গারানিকের উপাখ্যান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
→মূল কাহিনী
W.Alhassan (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
W.Alhassan (আলোচনা | অবদান) |
||
৮ নং লাইন: | ৮ নং লাইন: | ||
== মূল কাহিনী == | == মূল কাহিনী == | ||
সাইয়্যেদ জাফার মুর্তাযা আমেলি তার | [[সাইয়্যেদ জাফার মুর্তাযা আমেলি]] তার ‘[[আস-সাহিহ মিন সিরাতিন নাবিয়্যিল আ’যাম’]] গ্রন্থে গারানিকের কল্পকাহিনী সম্পর্কে যা কিছু লিখেছেন তার ভিত্তিতে, আহলে সুন্নতের আদ-দুররুল মানসুর,[১] আস-সীরাতুল হালাবিয়্যাহ,[২] [[তাফসীরে তাবারি]][৩] এবং ফাতহুল বারী[৪] গ্রন্থে এ সম্পর্কে বেশ কয়েকটি রেওয়ায়েত উল্লেখিত হয়েছে। ঐ রেওয়ায়েতগুলোর ভিত্তিতে, [[হাবাশায় মুসলমানদের হিজরত|হাবাশায় মুসলমানদের হিজরতের]] প্রায় দু’ মাস পরের ঘটনা; মহানবি (স.) মুশরিকদের মাঝে ছিলেন এমন সময় তাঁর উপর [[সূরা নাজম]] অবতীর্ণ হয়। তিনি (স.) [[সূরা|সূরাটি]] তেলাওয়াত করেন এবং ১৯ ও ২০নং আয়াত (أَفَرَأَيْتُمُ اللَّاتَ وَالْعُزَّىٰ وَمَنَاةَ الثَّالِثَةَ الْأُخْرَىٰ) [অনুবাদ: তোমরা কি লাত ও উযযা সম্পর্কে ভেবে দেখেছ? আর তৃতীয় আরেকটি মানাৎ সম্পর্কে (এসব অক্ষম, বাকশক্তিহীন, নড়াচড়ার শক্তিহীন মূর্তিগুলোর পূজা করা কতটা যুক্তিযুক্ত!)] পর্যন্ত তেলাওয়াতের পর তিনি শয়তানের প্ররোচনায় প্রভাবিত হন এবং ধারণা করেন যে, মুশরিকদের মাঝে প্রসিদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য ((تِلْکَ الْغَرانیقُ الْعُلی وَإنّ شَفاعَتَهُنَّ لَتُرْتَجی)) (এরা হচ্ছে উচ্চমানের গারানিক (সারস, কাক, দাঁড়কাক ও ঈগল অর্থে ব্যবহৃত হয়) যাদের সুপারিশ প্রত্যাশিত।) -এ এবারতটিও সূরা নাজমের অংশ।[৫] | ||
সুতরাং, মহানবি (স.) উল্লিখিত এবারতটিকে ওহি মনে করে উচ্চারণ করেন। কিন্তু রাতে মহানবি (স.)-এর নিকট যখন জীবরাইল (আ.)-এর আগমন ঘটে এবং তিনি সূরা নাজম তিলাওয়াত করে শোনান, তখন জীবরাইল (আ.) উল্লিখিত দু’টি বাক্যকে (تِلْکَ الْغَرانیقُ الْعُلی وَإنّ شَفاعَتَهُنَّ لَتُرْتَجی) প্রত্যাখ্যান করেন। এ সময় মহানবি (স.) বললেন: ‘তবে কি আমি মহান আল্লাহর উপর এমন কিছু আরোপ করলাম যা তিনি বলেন নি?’ অতঃপর মহান আল্লাহ্ সূরা বনি ইসরাইলের ৭৩-৭৫ নং আয়াত অবতীর্ণ করলেন: | সুতরাং, [[হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি|মহানবি (স.)]] উল্লিখিত এবারতটিকে [[ওহি]] মনে করে উচ্চারণ করেন। কিন্তু রাতে মহানবি (স.)-এর নিকট যখন [[জীবরাইল (আ.)]]-এর আগমন ঘটে এবং তিনি সূরা নাজম তিলাওয়াত করে শোনান, তখন জীবরাইল (আ.) উল্লিখিত দু’টি বাক্যকে (تِلْکَ الْغَرانیقُ الْعُلی وَإنّ شَفاعَتَهُنَّ لَتُرْتَجی) প্রত্যাখ্যান করেন। এ সময় মহানবি (স.) বললেন: ‘তবে কি আমি মহান আল্লাহর উপর এমন কিছু আরোপ করলাম যা তিনি বলেন নি?’ অতঃপর মহান আল্লাহ্ সূরা বনি ইসরাইলের ৭৩-৭৫ নং আয়াত অবতীর্ণ করলেন: | ||
وَاِنْ كَادُوْا لَيَفْتِنُوْنَكَ عَنِ الَّذِيْٓ اَوْحَيْنَآ اِلَيْكَ لِتَفْتَرِيَ عَلَيْنَا غَيْرَهٗۖ وَاِذًا لَّاتَّخَذُوْكَ خَلِيْلًا | وَاِنْ كَادُوْا لَيَفْتِنُوْنَكَ عَنِ الَّذِيْٓ اَوْحَيْنَآ اِلَيْكَ لِتَفْتَرِيَ عَلَيْنَا غَيْرَهٗۖ وَاِذًا لَّاتَّخَذُوْكَ خَلِيْلًا | ||
২২ নং লাইন: | ২২ নং লাইন: | ||
(৭৪) আর আমরা তোমাকে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত না রাখলে তুমি তাদের দিকে কিছুটা ঝুঁকেই পড়তে। | (৭৪) আর আমরা তোমাকে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত না রাখলে তুমি তাদের দিকে কিছুটা ঝুঁকেই পড়তে। | ||
(৭৫) তুমি তা করলে আমি তোমাকে এ দুনিয়ায় ও পরকালে দ্বিগুণ ‘আযাবের স্বাদ আস্বাদন করাতাম। সে অবস্থায় তুমি তোমার জন্য আমার বিরুদ্ধে কোন সাহায্যকারী পেতে না।[৬] | (৭৫) তুমি তা করলে আমি তোমাকে এ দুনিয়ায় ও পরকালে দ্বিগুণ ‘আযাবের স্বাদ আস্বাদন করাতাম। সে অবস্থায় তুমি তোমার জন্য আমার বিরুদ্ধে কোন সাহায্যকারী পেতে না।[৬] | ||
== মুসলিম লেখকদের গ্রন্থসমূহে গারানিকের কাহিনী == | == মুসলিম লেখকদের গ্রন্থসমূহে গারানিকের কাহিনী == |