গারানিকের উপাখ্যান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই
("'''গারানিকের উপাখ্যান;''' ঐ কল্পকাহিনীকে বোঝায় যাতে দাবী করা হয়েছে, সূরা নাজম তিলাওয়াতের সময় মহানবি (স.) শয়তানের প্ররোচনায় প্রভাবিত হয়ে কুরআনে নেই এমন দু’টি এবারত এ সূ..." দিয়ে পাতা তৈরি) |
W.Alhassan (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
'''গারানিকের উপাখ্যান;''' ঐ কল্পকাহিনীকে বোঝায় যাতে দাবী করা হয়েছে, সূরা নাজম তিলাওয়াতের সময় মহানবি (স.) শয়তানের প্ররোচনায় প্রভাবিত হয়ে কুরআনে নেই এমন দু’টি এবারত এ সূরার আয়াতের মাঝে এই ভেবে পড়েছেন যে, এবারতদ্বয় আয়াতের অংশ ও ওহি। কিন্তু জীবরাইল (আ.) এ ঘটনা সম্পর্কে তাঁকে (স.) অবগত করেন। এ কাহিনীতে দাবী করা হয়েছে, ঘটনাটি মুসলমানদের হাবাশায় হিজরতের প্রায় দু’ মাস পরের। | '''গারানিকের উপাখ্যান;''' ঐ কল্পকাহিনীকে বোঝায় যাতে দাবী করা হয়েছে, [[সূরা নাজম]] তিলাওয়াতের সময় [[মহানবি (স.)]] শয়তানের প্ররোচনায় প্রভাবিত হয়ে কুরআনে নেই এমন দু’টি এবারত এ সূরার আয়াতের মাঝে এই ভেবে পড়েছেন যে, এবারতদ্বয় আয়াতের অংশ ও ওহি। কিন্তু [[জীবরাইল (আ.)]] এ ঘটনা সম্পর্কে তাঁকে (স.) অবগত করেন। এ কাহিনীতে দাবী করা হয়েছে, ঘটনাটি [[মুসলমানদের হাবাশায় হিজরত|মুসলমানদের হাবাশায় হিজরতের]] প্রায় দু’ মাস পরের। | ||
আহলে সুন্নতের বেশ কিছু ইতিহাস ও তাফসির গ্রন্থে -যেমন: সিরায়ে ইবনে ইসহাক, আত-তাবাকাতুল কুবরা ও তাফসিরে | [[আহলে সুন্নত|আহলে সুন্নতের]] বেশ কিছু ইতিহাস ও তাফসির গ্রন্থে -যেমন: [[সিরায়ে ইবনে ইসহাক]], [[আত-তাবাকাতুল কুবরা]] ও [[তাফসিরে তাবারী]]’- গারানিকের কাহিনী সংশ্লিষ্ট রেওয়ায়েতগুলো উল্লেখ পূর্বক ঘটনাটির উপর আলোকপাত করা হয়েছে। এর বিপরীতে আহলে সুন্নত ও শিয়াদের বিপুল সংখ্যক আলেম বিভিন্ন দলীল উত্থাপনের মাধ্যমে গারানিকের কাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। বিশিষ্ট শিয়া মুফাসসির [[মুহাম্মাদ হাদী মারেফাত]], গারানিক সংশ্লিষ্ট রেওয়ায়েতগুলোর সনদ ত্রুটিযুক্ত বলেছেন; কেননা তার মতে, মূল রাভিদের কেউই মহানবি (স.)-কে দেখনি অতএব, তাদের কেউই [[সাহাবা]] ছিলেন না। | ||
মহানবি (স.) নফসের কুমন্ত্রণার শিকার হতে পারেন বা শয়তানের প্ররোচনায় প্রভাবিত হতে পারেন -এমন বিষয় ইবনে হাইয়ান আন্দালুসি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন: উল্লেখিত ঘটনা আহলে সুন্নতের নির্ভরযোগ্য কোন হাদীস গ্রন্থে উল্লেখিত হয় নি। এছাড়াও বিশিষ্ট সুন্নি মুফাসসির ও মুতাকাল্লিম ফাখরে রাজীর মতে, গারানিকের কাহিনী কুরআনের বিষয়ে যাহেরপন্থী মুফাসসিরদের সাথে সম্পর্কিত একটি বর্ণনা। তার মতে এ দলটির বিপরীতে গবেষকরা পবিত্র কুরআন, সুন্নত ও আকল (বুদ্ধিবৃত্তি) ভিত্তিক বিভিন্ন দলীলের মাধ্যমে ঐ ঘটনাকে জাল, বানোয়াট ও বাতিল সাব্যস্ত করেছেন। | [[হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি|মহানবি (স.)]] নফসের কুমন্ত্রণার শিকার হতে পারেন বা শয়তানের প্ররোচনায় প্রভাবিত হতে পারেন -এমন বিষয় [[ইবনে হাইয়ান আন্দালুসি]] প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন: উল্লেখিত ঘটনা আহলে সুন্নতের নির্ভরযোগ্য কোন হাদীস গ্রন্থে উল্লেখিত হয় নি। এছাড়াও বিশিষ্ট সুন্নি মুফাসসির ও মুতাকাল্লিম [[ফাখরে রাজী|ফাখরে রাজীর]] মতে, গারানিকের কাহিনী কুরআনের বিষয়ে যাহেরপন্থী মুফাসসিরদের সাথে সম্পর্কিত একটি বর্ণনা। তার মতে এ দলটির বিপরীতে গবেষকরা পবিত্র [[কুরআন]], [[সুন্নত]] ও [[আকল]] (বুদ্ধিবৃত্তি) ভিত্তিক বিভিন্ন দলীলের মাধ্যমে ঐ ঘটনাকে জাল, বানোয়াট ও বাতিল সাব্যস্ত করেছেন। | ||
প্রাচ্যবিদদের কেউ কেউ কয়েকটি ইসলামি সূত্রে উল্লেখিত গারানিকের গল্পকে পুঁজি করে ওহি’তে শয়তানের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনার কথা ব্যক্ত করছেন। একইভাবে সালমান রুশদি রচিত স্যাটানিক ভার্সেস-এর একটি অংশও এই গল্পকে কেন্দ্র করেই। | প্রাচ্যবিদদের কেউ কেউ কয়েকটি ইসলামি সূত্রে উল্লেখিত গারানিকের গল্পকে পুঁজি করে [[ওহি|ওহি’তে]] শয়তানের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনার কথা ব্যক্ত করছেন। একইভাবে [[সালমান রুশদি]] রচিত স্যাটানিক ভার্সেস-এর একটি অংশও এই গল্পকে কেন্দ্র করেই। | ||
== মূল কাহিনী == | == মূল কাহিনী == |