বিষয়বস্তুতে চলুন

হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

১৯৫ নং লাইন: ১৯৫ নং লাইন:


===আহযাব, বনি কুরাইযা ও বনি মুস্তালিকের যুদ্ধ===
===আহযাব, বনি কুরাইযা ও বনি মুস্তালিকের যুদ্ধ===
৫ম হিজরীতে আবু সুফিয়ান ৭০০০ মতান্তরে ১২০০০ সৈন্যের এক বাহিনী গঠন করে, এতে ছিল ৬০০ অশ্বারোহী। বিভিন্ন গোত্রের সৈন্য নিয়ে গঠিত হওয়ায় এ যুদ্ধকে [[আহযাবের যুদ্ধ|আহযাবের]] (দলসমূহ) যুদ্ধ বলা হয়। [[খায়বার|খায়বারে]] বসবাসকারী ইহুদি গোত্র বনি নাযিরের একটি দল এ যুদ্ধে কুরাইশ ও [[গাতফান]] গোত্রের সাথে মহানবির (সা.) বিরুদ্ধে হাত মেলায়। মদিনার আশেপাশে বসবাসরত [[বনি কুরাইজার]] ইহুদীরা -যারা কুরাইশদেরকে  সাহায্য না করার বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ ছিল- চুক্তি ভঙ্গ করে মক্কার সাথে হাত মেলায়।
: মূল নিবন্ধ: [[আহযাবের যুদ্ধ]], [[বনি মুস্তালিকের যুদ্ধ]] ও [[বনি কুরাইযার যুদ্ধ]]
 
৫ম হিজরীতে আবু সুফিয়ান ৭০০০ মতান্তরে ১২০০০ সৈন্যের এক বাহিনী গঠন করে, এতে ছিল ৬০০ অশ্বারোহী। বিভিন্ন গোত্রের সৈন্য নিয়ে গঠিত হওয়ায় এ যুদ্ধকে [[আহযাবের যুদ্ধ|আহযাবের]] (দলসমূহ) যুদ্ধ বলা হয়। [[খায়বার|খায়বারে]] বসবাসকারী ইহুদি গোত্র বনি নাযিরের একটি দল এ যুদ্ধে কুরাইশ ও [[গাতফান]] গোত্রের সাথে মহানবির (সা.) বিরুদ্ধে হাত মেলায়। মদিনার আশেপাশে বসবাসরত [[বনি কুরাইজার]] ইহুদীরা -যারা কুরাইশদেরকে  সাহায্য না করার বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ ছিল- চুক্তি ভঙ্গ করে মক্কার সাথে হাত মিলায়।


এর বিপরীতে মুসলিম বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা ছিল মাত্র ৩০০০; এর মাঝে হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া বাকিরা সবাই ছিল পদাতিক।
এর বিপরীতে মুসলিম বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা ছিল মাত্র ৩০০০; এর মাঝে হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া বাকিরা সবাই ছিল পদাতিক।
২০৩ নং লাইন: ২০৫ নং লাইন:
কয়েকজন মুসলমান বনি কুরাইযা এবং গাতফান গোত্রের সাথে যোগাযোগ করে তাদের মনে পরস্পরের বিরুদ্ধে সন্দেহের সৃষ্টি করল। এদিকে শৈত্যপ্রবাহ মক্কার বাহিনীর জন্য পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলল। এ কারণে আবু সুফিয়ান প্রত্যাবর্তনের নির্দেশ দিল এবং এর মাধ্যমে ১৫ দিনের মাথায় মদিনা অবরোধের সমাপ্তি ঘটল। যুদ্ধের ফল মুসলমানদের পক্ষেই গেল। বেদুঈন আরবদের অনেকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হল এবং আবু সুফিয়ান ও কুরাইশের অবস্থান আরও নড়বড়ে হয়ে গেল। <ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৭৬-৮৭।</ref>
কয়েকজন মুসলমান বনি কুরাইযা এবং গাতফান গোত্রের সাথে যোগাযোগ করে তাদের মনে পরস্পরের বিরুদ্ধে সন্দেহের সৃষ্টি করল। এদিকে শৈত্যপ্রবাহ মক্কার বাহিনীর জন্য পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলল। এ কারণে আবু সুফিয়ান প্রত্যাবর্তনের নির্দেশ দিল এবং এর মাধ্যমে ১৫ দিনের মাথায় মদিনা অবরোধের সমাপ্তি ঘটল। যুদ্ধের ফল মুসলমানদের পক্ষেই গেল। বেদুঈন আরবদের অনেকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হল এবং আবু সুফিয়ান ও কুরাইশের অবস্থান আরও নড়বড়ে হয়ে গেল। <ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৭৬-৮৭।</ref>


আহযাবের যুদ্ধ শেষে মহানবি (সা.) বনি কুরাইযার ইহুদিদের বিষয়ে মনোনিবেশ করলেন। তারা মদিনা চুক্তির ভিত্তিতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করা পর্যন্ত সুরক্ষিত ও নিরাপদ ছিল। কিন্তু তারা আহযাবের যুদ্ধে ইসলামের শত্রুদের সাথে যোগ দিলে মহানবি (সা.) তাদেরকে ঘেরাও করলেন এবং তারা ২৫ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর আত্মসমার্পন করল। বনি কুরাইযার সাথে চুক্তিবদ্ধ [[আউস]] গোত্রের লোকেরা মহানবিকে (সা.) বলল: বনি কুরাইযার সাথে আমাদের চুক্তি রয়েছে, তারা তাদের কৃতকর্মের কারণে অনুতপ্ত। তাদের সাথে [[খাযরাজ|খাযরাজের]] সাথে চুক্তিবদ্ধদের (বনি কাইনুকা) মতো আচরণ করুন। বনি কাইনুকা’র বন্দীদের বিচারের দায়িত্ব অওস গোত্রের প্রধান [[সায়াদ বিন মুয়াজ]]কে দিলেন। বনি কুরাইযাও এ সিদ্ধান্ত মেনে নিল। সায়াদ বললেন: আমার সিদ্ধান্ত হল তাদের পুরুষদেরকে হত্যা করা হবে এবং নারী ও শিশুদেরকে বন্দী করা হবে। সায়াদের বিচার অনুযায়ী বড় গর্ত খনন করা হল এবং বনি কুরাইযার পুরুষদেরকে ঐ গর্তের পাশে শিরোশ্ছেদ করা হল।<ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৮৭-৮৮।</ref> এ প্রসঙ্গে ঐতিহাসিকদের মাঝে মতভেদ রয়েছে।<ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম,  ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৯০।</ref>
আহযাবের যুদ্ধ শেষে মহানবি (সা.) বনি কুরাইযার ইহুদিদের বিষয়ে মনোনিবেশ করলেন। তারা মদিনা চুক্তির ভিত্তিতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করা পর্যন্ত সুরক্ষিত ও নিরাপদ ছিল। কিন্তু তারা আহযাবের যুদ্ধে ইসলামের শত্রুদের সাথে যোগ দিলে মহানবি (সা.) তাদেরকে ঘেরাও করলেন এবং তারা ২৫ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর আত্মসমার্পন করল। বনি কুরাইযার সাথে চুক্তিবদ্ধ [[আউস]] গোত্রের লোকেরা মহানবিকে (সা.) বলল: বনি কুরাইযার সাথে আমাদের চুক্তি রয়েছে, তারা তাদের কৃতকর্মের কারণে অনুতপ্ত। তাদের প্রতি [[খাযরাজ|খাযরাজের]] সাথে চুক্তিবদ্ধদের (বনি কাইনুকা) মতো আচরণ করুন। বনি কুরাইযার বন্দীদের বিচারের দায়িত্ব আউস গোত্রের প্রধান [[সায়াদ বিন মুয়াজ]]কে দিলেন। বনি কুরাইযাও এ সিদ্ধান্ত মেনে নিল। সায়াদ বললেন: আমার সিদ্ধান্ত হল তাদের পুরুষদেরকে হত্যা করা হবে এবং নারী ও শিশুদেরকে বন্দী করা হবে। সায়াদের বিচার অনুযায়ী বড় গর্ত খনন করা হল এবং বনি কুরাইযার পুরুষদেরকে ঐ গর্তের পাশে শিরোশ্ছেদ করা হল।<ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৮৭-৮৮।</ref> এ প্রসঙ্গে ঐতিহাসিকদের মাঝে মতভেদ রয়েছে।<ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম,  ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৯০।</ref>


৬ষ্ঠ হিজরীতে মহানবির (সা.) বিরুদ্ধে সৈন্য সমাবেশের পায়াতারায় লিপ্ত [[বনি মুস্তালিক]] গোত্রকে মুসলমানরা পরাজিত করে।<ref>ইবনে হিশাম, সিরাতুন নাবাভিয়্যাহ, দারু ইহইয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ৩, পৃ. ৩০২।</ref>
৬ষ্ঠ হিজরীতে মহানবির (সা.) বিরুদ্ধে সৈন্য সমাবেশের পায়াতারায় লিপ্ত [[বনি মুস্তালিক]] গোত্রকে মুসলমানরা পরাজিত করে।<ref>ইবনে হিশাম, সিরাতুন নাবাভিয়্যাহ, দারু ইহইয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ৩, পৃ. ৩০২।</ref>
Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭২১টি

সম্পাদনা