Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭৫৭টি
সম্পাদনা
৯৩ নং লাইন: | ৯৩ নং লাইন: | ||
তাবারীর বর্ণনার ভিত্তিতে, আল্লাহর রাসূল (সা.) আত্মীয়দের কাছে দাওয়াত পৌঁছে দেবার পর বললেন: তোমাদের মধ্য থেকে কে আমাকে এ কাজে সাহায্য করবে যাতে তোমাদের মাঝে সে আমার ভাই, [[ওয়াছি]] (নির্বাহী), [[খলিফা]] ও স্থলাভিষিক্ত হতে পারে? সকলেই চুপ করে রইল, কিন্তু আলী (আ.) বললেন: হে আল্লাহর রাসূল! আমি (আপনাকে সহযোগিতা করব)। মহানবি (সা.) বললেন: এ হল তোমাদের মাঝে আমার ওয়াছি ও খলিফা। তাঁর কথা শোন এবং তাঁর আনুগত্য কর।<ref>তাবারি, তারিখুত তাবারি, খণ্ড ৩, পৃ. ১১৭২।</ref> | তাবারীর বর্ণনার ভিত্তিতে, আল্লাহর রাসূল (সা.) আত্মীয়দের কাছে দাওয়াত পৌঁছে দেবার পর বললেন: তোমাদের মধ্য থেকে কে আমাকে এ কাজে সাহায্য করবে যাতে তোমাদের মাঝে সে আমার ভাই, [[ওয়াছি]] (নির্বাহী), [[খলিফা]] ও স্থলাভিষিক্ত হতে পারে? সকলেই চুপ করে রইল, কিন্তু আলী (আ.) বললেন: হে আল্লাহর রাসূল! আমি (আপনাকে সহযোগিতা করব)। মহানবি (সা.) বললেন: এ হল তোমাদের মাঝে আমার ওয়াছি ও খলিফা। তাঁর কথা শোন এবং তাঁর আনুগত্য কর।<ref>তাবারি, তারিখুত তাবারি, খণ্ড ৩, পৃ. ১১৭২।</ref> | ||
=কুরাইশের শত্রুতা= | ==কুরাইশের শত্রুতা== | ||
গোত্রীয় চুক্তির কারণে [[কুরাইশ]], মহানবির (সা.) কোন ক্ষতি বা | গোত্রীয় চুক্তির কারণে [[কুরাইশ]]রা, মহানবির (সা.) কোন ক্ষতি বা তাঁকে হত্যা করার সাহস দেখাত না। কারণ তারা এ ধরনের কোন পদক্ষেপ নিলে তার অর্থ হতো [[বনি হাশিম|বনি হাশিমের]] সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া এবং অন্যান্য গোত্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল। এ কারণে তাদের বিরোধিতা কটুবাক্য, অপবাদ ও ছোটখাটো ক্ষতিতেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে অসহায় নওমুসলিমদের উপর যেভাবে চাইত নির্যাতন করত এবং তাদেরকে শাস্তি দিত ও তাদের ক্ষতি করত।<ref>শাহিদী, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৪৯।</ref> | ||
দিনের পর দিন বাড়তে থাকা মুসলমানদের সংখ্যার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে কুরাইশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা মহানবির (সা.) চাচা হযরত আবু তালিবের কাছে গেল এবং তিনি যেন নিজের ভ্রাতুষ্পুত্রকে তাঁর দাওয়াত থেকে বিরত রাখে এ মর্মে আহবান জানাল। একদিন তারা বলল, যেন মুহাম্মাদকে (সা.) তাদের হাতে সোপর্দ করা হয় যাতে তাঁকে তারা হত্যা করতে পারে। বিনিময়ে তারা [[আমারাহ ইবনে ওয়ালিদ]]কে -যে ছিল সুদর্শন যুবক এবং তাদের ভাষায় বুদ্ধিমান- দিতে চাইল। কিন্তু হযরত [[আবু তালিব]] তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন।<ref>ইবনে ইসহাক, সিরাতু ইবনে ইসহাক, ১৩৯৮ হি., পৃ. ১৫২; ইবনে হিশাম, সিরাতুন নাবাভিয়্যাহ, দারু ইহইয়াইত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ১, পৃ. ২৮৫।</ref> | দিনের পর দিন বাড়তে থাকা মুসলমানদের সংখ্যার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে কুরাইশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা মহানবির (সা.) চাচা হযরত আবু তালিবের কাছে গেল এবং তিনি যেন নিজের ভ্রাতুষ্পুত্রকে তাঁর দাওয়াত থেকে বিরত রাখে এ মর্মে আহবান জানাল। একদিন তারা বলল, যেন মুহাম্মাদকে (সা.) তাদের হাতে সোপর্দ করা হয় যাতে তাঁকে তারা হত্যা করতে পারে। বিনিময়ে তারা [[আমারাহ ইবনে ওয়ালিদ]]কে -যে ছিল সুদর্শন যুবক এবং তাদের ভাষায় বুদ্ধিমান- দিতে চাইল। কিন্তু হযরত [[আবু তালিব]] তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন।<ref>ইবনে ইসহাক, সিরাতু ইবনে ইসহাক, ১৩৯৮ হি., পৃ. ১৫২; ইবনে হিশাম, সিরাতুন নাবাভিয়্যাহ, দারু ইহইয়াইত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ১, পৃ. ২৮৫।</ref> মক্কাবাসীরা অত্যাচার নির্যাতনে কাজ হচ্ছে না দেখে প্রলোভনের কৌশল অবলম্বন করল। প্রথমে হযরত আবু তালিবকে দিয়ে তাঁকে বাধা প্রদানের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এবার তারা প্রস্তাব দিল যদি মুহাম্মাদ (সা.) নিজের দাওয়াত প্রদান থেকে বিরত থাকে, তাঁকে তারা আরবের রাজা বানিয়ে দেবে। ধন-সম্পত্তি দিয়ে আরবের সেরা ধনী বানিয়ে দেবে। আর যদি মুহাম্মদ (স) চায় তা হলে সবচেয়ে সুন্দরী রমণীর সাথে তাঁর বিয়ের ব্যবস্থা করবে। মোটকথা, দাওয়াত থেকে বিরত থাকলে তিনি যা চাইবেন, তাই-ই দেয়া হবে। | ||
মহানবি (সা.) উত্তরে বললেন: ‘আল্লাহর কসম, তারা যদি আমার ডান হাতে সূর্য এবং বাম হাতে চাঁদও দিয়ে দেয়, তবুও আমি আমার দাওয়াত থেকে পিছপা হব না। ততদিন পর্যন্ত যতদিন না মহান আল্লাহ্ আমাকে এ পথে বিজয়ী করবেন অথবা এ পথে আমি জীবন দিয়ে দেই।<ref>ইবনে হিশাম, সিরাতুন নাবাভিয়্যাহ, দারু ইহইয়াইত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ১, পৃ. ২৮৪ ও ২৮৫।</ref> | মহানবি (সা.) উত্তরে বললেন: ‘আল্লাহর কসম, তারা যদি আমার ডান হাতে সূর্য এবং বাম হাতে চাঁদও দিয়ে দেয়, তবুও আমি আমার দাওয়াত থেকে পিছপা হব না। ততদিন পর্যন্ত যতদিন না মহান আল্লাহ্ আমাকে এ পথে বিজয়ী করবেন, অথবা এ পথে আমি জীবন দিয়ে দেই।<ref>ইবনে হিশাম, সিরাতুন নাবাভিয়্যাহ, দারু ইহইয়াইত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ১, পৃ. ২৮৪ ও ২৮৫।</ref> | ||
==আবিসিনিয়ায় প্রথম হিজরত== | ==আবিসিনিয়ায় প্রথম হিজরত== |