বিষয়বস্তুতে চলুন

হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

৮৮ নং লাইন: ৮৮ নং লাইন:
প্রথমদিকে মহানবির (সা.) দাওয়াতের পরিধি সীমিত থাকলেও নব দীক্ষিত মুসলমানদের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং কিছুদিনের মধ্যেই ঈমান আনয়নকারী মুসলমানরা [[মক্কা]]র আশেপাশে গিয়ে মহানবির (সা.) সাথে [[নামাজ]] আদায় করা শুরু করল। <ref>ইবনে হিশাম, সিরাতুন নাবাভিয়্যাহ, দারু ইহইয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ১, পৃ. ২৮১ ও ২৮২।</ref>
প্রথমদিকে মহানবির (সা.) দাওয়াতের পরিধি সীমিত থাকলেও নব দীক্ষিত মুসলমানদের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং কিছুদিনের মধ্যেই ঈমান আনয়নকারী মুসলমানরা [[মক্কা]]র আশেপাশে গিয়ে মহানবির (সা.) সাথে [[নামাজ]] আদায় করা শুরু করল। <ref>ইবনে হিশাম, সিরাতুন নাবাভিয়্যাহ, দারু ইহইয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ১, পৃ. ২৮১ ও ২৮২।</ref>


=প্রকাশ্যে দাওয়াত=
==প্রকাশ্যে দাওয়াত==
নবুয়্যতের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর তিনি ৩ বছর যাবত গোপনে মানুষকে দাওয়াত দিতে থাকেন। শুরুর দিনগুলোতে তিনি (সা.) জনগণকে মূর্তিপূজা ত্যাগ করে আল্লাহর উপাসনার প্রতি আহবান জানাতেন। মুসলমানরা নামাজ ও ইবাদতের সময় জনসাধারণের দৃষ্টির আড়ালে লোকালয় থেকে দূরের কোন স্থানে সমবেত হয় নামাজ আদায় করতেন।<ref>শাহিদী, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৪১-৪৪।</ref> প্রসিদ্ধি রয়েছে যে, বে’সাতের (আনুষ্ঠানিক নবুয়্যত ঘোষণা) ৩ বছর পর তিনি (সা.) প্রকাশ্যে দাওয়াতের জন্য নির্দেশিত হন। ইবনে ইসহাক লিখেছেন ‘ইনযারের আয়াত’ -((وَأَنذِرْ‌ عَشِیرَ‌تَک الْأَقْرَ‌بِینَ ..)) ‘তোমার নিকটত্মীয়দেরকে সতর্ক কর’<ref>আশ-শোআরা : ২১৪-২১৬।</ref>- অবতীর্ণ হলে মহানবি (সা.) একটি ভোজের আয়োজন করলেন এবং ঐ ভোজে [[আব্দুল মুত্তালিব|আব্দুল মুত্তালিবের]] সন্তানদের ৪০ জনকে আমন্ত্রণ জানালেন। আপ্যায়নের পর্ব শেষে মহানবি (সা.) কিছু বলতে চাইলেন কিন্তু [[আবু লাহাব]] তাঁকে (সা.) জাদুকর আখ্যায়িত করল এবং হট্টগোল করে সভা ভেঙ্গে দিল। মহানবি (সা.) আবারও তাদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করলেন এবং তাদের নিকট ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিলেন।<ref>ইবনে ইসহাক, সিরাতু ইবনে ইসহাক, ১৩৯৮ হি., পৃ. ১৪৫ ও ১৪৬।</ref>  
নবুয়্যতের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর তিনি ৩ বছর যাবত গোপনে মানুষকে দাওয়াত দিতে থাকেন। শুরুর দিনগুলোতে তিনি (সা.) জনগণকে মূর্তিপূজা ত্যাগ করে আল্লাহর উপাসনার প্রতি আহবান জানাতেন। মুসলমানরা নামাজ ও ইবাদতের সময় জনসাধারণের দৃষ্টির আড়ালে লোকালয় থেকে দূরের কোন স্থানে সমবেত হয়ে নামাজ আদায় করতেন।<ref>শাহিদী, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৪১-৪৪।</ref> প্রসিদ্ধি রয়েছে যে, বে’সাতের (আনুষ্ঠানিক নবুয়্যত ঘোষণা) ৩ বছর পর তিনি (সা.) প্রকাশ্যে দাওয়াতের জন্য নির্দেশিত হন। ইবনে ইসহাক লিখেছেন ‘ইনযারের আয়াত’ -((وَأَنذِرْ‌ عَشِیرَ‌تَک الْأَقْرَ‌بِینَ ..)) ‘তোমার নিকটত্মীয়দেরকে সতর্ক কর’<ref>আশ-শোআরা : ২১৪-২১৬।</ref>- অবতীর্ণ হলে মহানবি (সা.) একটি ভোজের আয়োজন করলেন এবং ঐ ভোজে [[আব্দুল মুত্তালিব|আব্দুল মুত্তালিবের]] সন্তানদের ৪০ জনকে আমন্ত্রণ জানালেন। আপ্যায়নের পর্ব শেষে মহানবি (সা.) কিছু বলতে চাইলেন; কিন্তু [[আবু লাহাব]] তাঁকে (সা.) জাদুকর আখ্যায়িত করল এবং হট্টগোল করে সভা ভেঙ্গে দিল। মহানবি (সা.) আবারও তাদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করলেন এবং তাদের নিকট ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিলেন।<ref>ইবনে ইসহাক, সিরাতু ইবনে ইসহাক, ১৩৯৮ হি., পৃ. ১৪৫ ও ১৪৬।</ref>  


তাবারীর বর্ণনার ভিত্তিতে, আল্লাহর রাসূল (সা.) আত্মীয়দের কাছে দাওয়াত পৌঁছে দেবার পর বললেন: তোমাদের মধ্য থেকে কে আমাকে এ কাজে সাহায্য করবে যাতে তোমাদের মাঝে সে আমার ভাই, [[ওয়াছি]] (নির্বাহী), [[খলিফা]] ও স্থলাভিষিক্ত হতে পারে? সকলেই চুপ করে রইল, কিন্তু আলী (আ.) বললেন: হে আল্লাহর রাসূল! আমি (আপনাকে সহযোগিতা করব)। মহানবি (সা.) বললেন: এ হল তোমাদের মাঝে আমার ওয়াছি ও খলিফা। তাঁর কথা শোন এবং তাঁর আনুগত্য কর।<ref>তাবারি, তারিখুত তাবারি, খণ্ড ৩, পৃ. ১১৭২।</ref>
তাবারীর বর্ণনার ভিত্তিতে, আল্লাহর রাসূল (সা.) আত্মীয়দের কাছে দাওয়াত পৌঁছে দেবার পর বললেন: তোমাদের মধ্য থেকে কে আমাকে এ কাজে সাহায্য করবে যাতে তোমাদের মাঝে সে আমার ভাই, [[ওয়াছি]] (নির্বাহী), [[খলিফা]] ও স্থলাভিষিক্ত হতে পারে? সকলেই চুপ করে রইল, কিন্তু আলী (আ.) বললেন: হে আল্লাহর রাসূল! আমি (আপনাকে সহযোগিতা করব)। মহানবি (সা.) বললেন: এ হল তোমাদের মাঝে আমার ওয়াছি ও খলিফা। তাঁর কথা শোন এবং তাঁর আনুগত্য কর।<ref>তাবারি, তারিখুত তাবারি, খণ্ড ৩, পৃ. ১১৭২।</ref>
Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭৫৭টি

সম্পাদনা