বিষয়বস্তুতে চলুন

হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

৩৩৮ নং লাইন: ৩৩৮ নং লাইন:
শিয়া আকিদার ভিত্তিতে, হযরত মুহাম্মাদ (সা.) হলেন আল্লাহর [[নবি]] ও [[রাসূল]]। আর যেহেতু তিনি খাতামুল আম্বিয়া এজন্য তারপর আর কোন নবি আসবে না। তিনি (সা.) [[উলুল আযম]] নবিগণের একজন এবং মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য নতুন শরিয়ত এনেছেন। ১৪ জন [[চৌদ্দ মাসুম (আ.)|মাসুমের]] মাঝে আল্লাহর নবি (সা.) হলেন প্রথম ব্যক্তি। তিনি শুধুমাত্র [[ওহি]] গ্রহণে [[ইসমাত বা নিষ্পাপত্বা|ইসমাত]] তথা নিষ্পাপত্বের অধিকারী নন বরং তিনি তার জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে ইসমাতের অধিকারী। মহানবি (সা.) বিভিন্ন মুযিজার অধিকারী, পবিত্র কুরআন হল তাঁর সবচেয়ে বড় মুজিযা। (মহানবির (সা.) মুজিযাসমূহ দ্রষ্টব্য)
শিয়া আকিদার ভিত্তিতে, হযরত মুহাম্মাদ (সা.) হলেন আল্লাহর [[নবি]] ও [[রাসূল]]। আর যেহেতু তিনি খাতামুল আম্বিয়া এজন্য তারপর আর কোন নবি আসবে না। তিনি (সা.) [[উলুল আযম]] নবিগণের একজন এবং মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য নতুন শরিয়ত এনেছেন। ১৪ জন [[চৌদ্দ মাসুম (আ.)|মাসুমের]] মাঝে আল্লাহর নবি (সা.) হলেন প্রথম ব্যক্তি। তিনি শুধুমাত্র [[ওহি]] গ্রহণে [[ইসমাত বা নিষ্পাপত্বা|ইসমাত]] তথা নিষ্পাপত্বের অধিকারী নন বরং তিনি তার জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে ইসমাতের অধিকারী। মহানবি (সা.) বিভিন্ন মুযিজার অধিকারী, পবিত্র কুরআন হল তাঁর সবচেয়ে বড় মুজিযা। (মহানবির (সা.) মুজিযাসমূহ দ্রষ্টব্য)


=মহানবির (সা.) রেওয়ায়েত কেন্দ্রীক রচিত গ্রন্থাবলি=
==মহানবির (সা.) রেওয়ায়েত কেন্দ্রীক রচিত গ্রন্থাবলি==
মহানবির (সা.) হাদীস সমগ্র সংকলিত বিভিন্ন স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচিত হয়েছে অথবা শুধু হাদিসে নববি (সা.) নিয়ে বিশেষ অধ্যায় রচিত হয়েছে। ঐ সকল গ্রন্থাদির মধ্যে নিম্নের গ্রন্থগুলোর নাম উল্লেখযোগ্য:
মহানবির (সা.) হাদীস সমগ্র সংকলিত বিভিন্ন স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচিত হয়েছে অথবা শুধু হাদিসে নববি (সা.) নিয়ে বিশেষ অধ্যায় রচিত হয়েছে। ঐ সকল গ্রন্থাদির মধ্যে নিম্নের গ্রন্থগুলোর নাম উল্লেখযোগ্য:
*হিজরী ৪র্থ শতাব্দির বিশিষ্ট আলেম ও ফকীহ ইবনে শো’বা হাররানী রচিত ‘তোহাফুল উকুল আন আলির রাসূল (সা.)’; এ গ্রন্থে মহানবি (সা.) ও তাঁর [[আহলে বাইত (আ.)|আহলে বাইতের]] (আ.) গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ ও বাণী সংকলিত হয়েছে এবং মহানবি (সা.) থেকে বর্ণিত হাদীসের জন্য স্বতন্ত্র অধ্যায় রয়েছে।
*হিজরী ৪র্থ শতাব্দির বিশিষ্ট আলেম ও ফকীহ [[ইবনে শো’বা হাররানী]] রচিত ‘[[তোহাফুল উকুল আন আলির রাসূল (সা.)]]’; এ গ্রন্থে মহানবি (সা.) ও তাঁর [[আহলে বাইত (আ.)|আহলে বাইতের]] (আ.) গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ ও বাণী সংকলিত হয়েছে এবং মহানবি (সা.) থেকে বর্ণিত হাদীসের জন্য স্বতন্ত্র অধ্যায় রয়েছে।
*সাইয়্যেদ রাযি রচিত আল-মাজাযাতুন নাবাভিয়্যাহ; এতে মহানবির (সা.) গুরুত্বপূর্ণ বাণী বিষয়ভিত্তিক আকারে সংকলিত হয়েছে।
*[[সাইয়্যেদ রাযি]] রচিত আল-মাজাযাতুন নাবাভিয়্যাহ; এতে মহানবির (সা.) গুরুত্বপূর্ণ বাণী বিষয়ভিত্তিক আকারে সংকলিত হয়েছে।
*আলী আহমাদি মিয়ানজি রচিত ‘মাকাতীবুর রাসূল’; এতে বিভিন্ন অঞ্চলের শাসক ও সম্রাট, রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা, নির্বাহী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে লেখা বিভিন্ন চিঠি ছাড়াও বিভিন্ন অঙ্গীকার নামা ও চুক্তি সহ বিবিধ বিষয় উল্লিখিত হয়েছে।
*[[আলী আহমাদি মিয়ানজি]] রচিত ‘[[মাকাতীবুর রাসূল]]’; এতে বিভিন্ন অঞ্চলের শাসক ও সম্রাট, রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা, নির্বাহী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে লেখা বিভিন্ন চিঠি ছাড়াও বিভিন্ন অঙ্গীকার নামা ও চুক্তি সহ বিবিধ বিষয় উল্লিখিত হয়েছে।
*আল্লামা তাবাতাবায়ী রচিত ‘সুনানুন নাবি’; মহানবির (সা.) নৈতিকতা, তার আচার-আচরণ -যাকে নবীর সুন্নত বলা হয়- সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি কেন্দ্রীক রচিত হয়েছে।
*[[আল্লামা তাবাতাবায়ী]] রচিত ‘[[সুনানুন নাবি]]’; মহানবির (সা.) নৈতিকতা, তার আচার-আচরণ -যাকে নবীর সুন্নত বলা হয়- সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি কেন্দ্রীক রচিত হয়েছে।
*আবুল কাসেম পায়ান্দেহ রচিত নাহজুল ফাসাহাহ; মহানবির (সা.) হাদীস ও খোতবাসমূহ দু’টি পৃথক অধ্যায়ে উল্লিখিত হয়েছে।
*আবুল কাসেম পায়ান্দেহ রচিত [[নাহজুল ফাসাহাহ]]; মহানবির (সা.) হাদীস ও খোতবাসমূহ দু’টি পৃথক অধ্যায়ে উল্লিখিত হয়েছে।


[[নিবন্ধটি আপডেট হবে...]]
[[নিবন্ধটি আপডেট হবে...]]
Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭৬২টি

সম্পাদনা