বিষয়বস্তুতে চলুন

হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
'''হযরত মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব ইবনে হাশেম''' (আমুল ফীল থেকে ১১ হি.), ইসলামের নবি, [[উলুল আযম]] নবিগণের (আ.) অন্যতম এবং মহান আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি। তাঁর প্রধান [[মুজিযা]] হল [[কুরআন]]।
'''হযরত মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব ইবনে হাশেম''' (আমুল ফীল থেকে ১১ হি.), ইসলামের নবি, [[উলুল আযম]] নবিগণের (আ.) অন্যতম এবং মহান আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি। তাঁর প্রধান [[মুজিযা]] হল [[কুরআন]]।
[[চিত্র:مسجد النبی (مدینه).jpg|থাম্ব]]
[[চিত্র:مسجد النبی (مدینه).jpg|থাম্ব]]
মহানবি হযরত মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম) [[আরব উপদ্বীপে]] মক্কার মুশরিক সমাজে জন্মগ্রহণ করলেও কখনও তিনি মূর্তিপূজা করেননি। ৪০ বছর বয়সে [[নবুয়্যতের]] আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। তাওহিদের (একত্ববাদ) প্রতি আহবান ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় বার্তা। তাঁকে প্রেরণের উদ্দেশ্য ছিল মানুষের নৈতিক দিকের পূর্ণতা দান করা। বহুবছর যাবত মক্কার মুশরিকরা তাঁর ও তাঁর অনুসারীদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালালেও তারা [[ইসলাম]] থেকে সরে দাঁড়াননি। হযরত মুহাম্মাদ (সা.) দীর্ঘ ১৩ বছর মক্কায় লোকদেরকে ইসলামের প্রতি আহবান জানানোর পর [[মদিনায়]] হিজরত করেন। আর এ [[হিজরত|হিজরতের]] ঘটনা ছিল ইসলামি পঞ্জিকার সূচনা।
মহানবি হযরত মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম) [[আরব উপদ্বীপে]] মক্কার মুশরিক সমাজে জন্মগ্রহণ করলেও কখনও তিনি মূর্তিপূজা করেননি। ৪০ বছর বয়সে [[নবুয়্যতের]] আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। তাওহিদের (একত্ববাদ) প্রতি আহবান ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় বার্তা। তাঁকে প্রেরণের উদ্দেশ্য ছিল মানুষের নৈতিক দিকের পূর্ণতা দান করা। বহুবছর যাবত মক্কার মুশরিকরা তাঁর ও তাঁর অনুসারীদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালালেও তাঁরা [[ইসলাম]] থেকে সরে দাঁড়াননি। হযরত মুহাম্মাদ (সা.) দীর্ঘ ১৩ বছর মক্কায় লোকদেরকে ইসলামের প্রতি আহবান জানানোর পর [[মদিনায়]] হিজরত করেন। আর এ [[হিজরত|হিজরতের]] ঘটনা ছিল ইসলামি পঞ্জিকার সূচনা।
মহানবির (সা.) আপ্রাণ চেষ্টায় আরব উপদ্বীপের প্রায় সকল এলাকা তাঁর জীবদ্দশাতেই ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়। পরবর্তীতে সম্প্রসারিত হয়ে আস্তে আস্তে দ্বীন-ইসলাম বিশ্বজনীন ধর্মে পরিণত হয়।
মহানবির (সা.) আপ্রাণ চেষ্টায় আরব উপদ্বীপের প্রায় সকল এলাকা তাঁর জীবদ্দশাতেই ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়। পরবর্তীতে সম্প্রসারিত হয়ে আস্তে আস্তে দ্বীন-ই-ইসলাম বিশ্বজনীন ধর্মে পরিণত হয়।


[[হাদীসে সাকালাইন|হাদীসে সাকালাইনের]] ভিত্তিতে, মহানবির (সা.) পর তাঁর অবর্তমানে কুরআন ও [[ইতরাত|ইতরাতের]] (তাঁর [[আহলে বাইত (আ.)|আহলে বাইত]]) শরণাপন্ন হওয়ার বিষয়ে তিনি মুসলমানদেরকে জোর তাগিদ দিয়েছেন। আর তাদেরকে বলেছেন যেন তারা এ দু’টি থেকে কখনও বিচ্ছিন্ন না হয়। তিনি (সা.) [[গাদীরে খুমের ঘটনা|গাদীরে খুমের]] ঘটনাসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে [[হযরত আলীর (আ.) ফজিলত|হযরত আলীকে]] (আলাইহিস সালাম) নিজের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে পরিচয় করিয়েছেন।
[[হাদীসে সাকালাইন|হাদীসে সাকালাইনের]] ভিত্তিতে, মহানবির (সা.) পর তাঁর অবর্তমানে কুরআন ও [[ইতরাত|ইতরাতের]] (তাঁর [[আহলে বাইত (আ.)|আহলে বাইত]]) শরণাপন্ন হওয়ার বিষয়ে তিনি মুসলমানদেরকে জোর তাগিদ দিয়েছেন। আর তাদেরকে বলেছেন যেন তারা এ দু’টি থেকে কখনও বিচ্ছিন্ন না হয়। তিনি (সা.) [[গাদীরে খুমের ঘটনা|গাদীরে খুমের]] ঘটনাসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে [[হযরত আলীর (আ.) ফজিলত|হযরত আলীকে]] (আলাইহিস সালাম) নিজের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে পরিচয় করিয়েছেন।


মহানবি (সা.) ২৫ বছর বয়সে হযরত খাদিজার (সালামুল্লাহ আলাইহা) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তাদের দাম্পত্য জীবন ছিল ২৫ বছরের। হযরত খাদিজার ওফাতের পর মহানবি (সা.) পূনরায় বিবাহ করেন। [[হযরত খাদিজা]] ও হযরত [[মারিয়া]] থেকে [[মহানবি (সা.)|মহানবি (স.)]] কয়েকজন সন্তানের পিতা হলেও [[হযরত ফাতেমা যাহরা (সালামুল্লাহ আলাইহা)|হযরত ফাতেমা (সা. আ.)]] ছাড়াই বাকিরা সবাই তাঁর জীবদ্দশাতেই ইন্তিকাল করেন।
মহানবি (সা.) ২৫ বছর বয়সে হযরত খাদিজার (সালামুল্লাহ আলাইহা) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তাঁদের দাম্পত্য জীবন ছিল ২৫ বছরের। হযরত খাদিজার ওফাতের পর মহানবি (সা.) পূনরায় বিবাহ করেন। [[হযরত খাদিজা]] ও হযরত [[মারিয়া]] থেকে [[মহানবি (সা.)|মহানবি (স.)]] কয়েকজন সন্তানের পিতা হলেও [[হযরত ফাতেমা যাহরা (সালামুল্লাহ আলাইহা)|হযরত ফাতেমা (সা. আ.)]] ছাড়াই বাকিরা সবাই তাঁর জীবদ্দশাতেই ইন্তিকাল করেন।


=বংশ পরিচয়, কুনিয়াহ ও উপাধিসমূহ=
=বংশ পরিচয়, কুনিয়াহ ও উপাধিসমূহ=
Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭৬২টি

সম্পাদনা