Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭৬২টি
সম্পাদনা
(→لید) |
|||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
'''হযরত মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব ইবনে হাশেম''' (আমুল ফীল থেকে ১১ হি.), ইসলামের নবি, [[উলুল আযম]] নবিগণের (আ.) অন্যতম এবং মহান আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি। তাঁর প্রধান [[মুজিযা]] হল [[কুরআন]]। | '''হযরত মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব ইবনে হাশেম''' (আমুল ফীল থেকে ১১ হি.), ইসলামের নবি, [[উলুল আযম]] নবিগণের (আ.) অন্যতম এবং মহান আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি। তাঁর প্রধান [[মুজিযা]] হল [[কুরআন]]। | ||
[[চিত্র:مسجد النبی (مدینه).jpg|থাম্ব]] | [[চিত্র:مسجد النبی (مدینه).jpg|থাম্ব]] | ||
মহানবি হযরত মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম) [[আরব উপদ্বীপে]] মক্কার মুশরিক সমাজে জন্মগ্রহণ করলেও কখনও তিনি মূর্তিপূজা করেননি। ৪০ বছর বয়সে [[নবুয়্যতের]] আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। তাওহিদের (একত্ববাদ) প্রতি আহবান ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় বার্তা। তাঁকে প্রেরণের উদ্দেশ্য ছিল মানুষের নৈতিক দিকের পূর্ণতা দান করা। বহুবছর যাবত মক্কার মুশরিকরা তাঁর ও তাঁর অনুসারীদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালালেও | মহানবি হযরত মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম) [[আরব উপদ্বীপে]] মক্কার মুশরিক সমাজে জন্মগ্রহণ করলেও কখনও তিনি মূর্তিপূজা করেননি। ৪০ বছর বয়সে [[নবুয়্যতের]] আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। তাওহিদের (একত্ববাদ) প্রতি আহবান ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় বার্তা। তাঁকে প্রেরণের উদ্দেশ্য ছিল মানুষের নৈতিক দিকের পূর্ণতা দান করা। বহুবছর যাবত মক্কার মুশরিকরা তাঁর ও তাঁর অনুসারীদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালালেও তাঁরা [[ইসলাম]] থেকে সরে দাঁড়াননি। হযরত মুহাম্মাদ (সা.) দীর্ঘ ১৩ বছর মক্কায় লোকদেরকে ইসলামের প্রতি আহবান জানানোর পর [[মদিনায়]] হিজরত করেন। আর এ [[হিজরত|হিজরতের]] ঘটনা ছিল ইসলামি পঞ্জিকার সূচনা। | ||
মহানবির (সা.) আপ্রাণ চেষ্টায় আরব উপদ্বীপের প্রায় সকল এলাকা তাঁর জীবদ্দশাতেই ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়। পরবর্তীতে সম্প্রসারিত হয়ে আস্তে আস্তে দ্বীন- | মহানবির (সা.) আপ্রাণ চেষ্টায় আরব উপদ্বীপের প্রায় সকল এলাকা তাঁর জীবদ্দশাতেই ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়। পরবর্তীতে সম্প্রসারিত হয়ে আস্তে আস্তে দ্বীন-ই-ইসলাম বিশ্বজনীন ধর্মে পরিণত হয়। | ||
[[হাদীসে সাকালাইন|হাদীসে সাকালাইনের]] ভিত্তিতে, মহানবির (সা.) পর তাঁর অবর্তমানে কুরআন ও [[ইতরাত|ইতরাতের]] (তাঁর [[আহলে বাইত (আ.)|আহলে বাইত]]) শরণাপন্ন হওয়ার বিষয়ে তিনি মুসলমানদেরকে জোর তাগিদ দিয়েছেন। আর তাদেরকে বলেছেন যেন তারা এ দু’টি থেকে কখনও বিচ্ছিন্ন না হয়। তিনি (সা.) [[গাদীরে খুমের ঘটনা|গাদীরে খুমের]] ঘটনাসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে [[হযরত আলীর (আ.) ফজিলত|হযরত আলীকে]] (আলাইহিস সালাম) নিজের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে পরিচয় করিয়েছেন। | [[হাদীসে সাকালাইন|হাদীসে সাকালাইনের]] ভিত্তিতে, মহানবির (সা.) পর তাঁর অবর্তমানে কুরআন ও [[ইতরাত|ইতরাতের]] (তাঁর [[আহলে বাইত (আ.)|আহলে বাইত]]) শরণাপন্ন হওয়ার বিষয়ে তিনি মুসলমানদেরকে জোর তাগিদ দিয়েছেন। আর তাদেরকে বলেছেন যেন তারা এ দু’টি থেকে কখনও বিচ্ছিন্ন না হয়। তিনি (সা.) [[গাদীরে খুমের ঘটনা|গাদীরে খুমের]] ঘটনাসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে [[হযরত আলীর (আ.) ফজিলত|হযরত আলীকে]] (আলাইহিস সালাম) নিজের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে পরিচয় করিয়েছেন। | ||
মহানবি (সা.) ২৫ বছর বয়সে হযরত খাদিজার (সালামুল্লাহ আলাইহা) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং | মহানবি (সা.) ২৫ বছর বয়সে হযরত খাদিজার (সালামুল্লাহ আলাইহা) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তাঁদের দাম্পত্য জীবন ছিল ২৫ বছরের। হযরত খাদিজার ওফাতের পর মহানবি (সা.) পূনরায় বিবাহ করেন। [[হযরত খাদিজা]] ও হযরত [[মারিয়া]] থেকে [[মহানবি (সা.)|মহানবি (স.)]] কয়েকজন সন্তানের পিতা হলেও [[হযরত ফাতেমা যাহরা (সালামুল্লাহ আলাইহা)|হযরত ফাতেমা (সা. আ.)]] ছাড়াই বাকিরা সবাই তাঁর জীবদ্দশাতেই ইন্তিকাল করেন। | ||
=বংশ পরিচয়, কুনিয়াহ ও উপাধিসমূহ= | =বংশ পরিচয়, কুনিয়াহ ও উপাধিসমূহ= |