এতেকাফ

wikishia থেকে

(নিবন্ধটি ফিকাহ সংশ্লিষ্ট একটি বিষয়ের সংজ্ঞা ও সংক্ষিপ্ত পরিচিতি নিয়ে রচিত এবং ধর্মীয় আমলের মানদণ্ড নয়। আমলের লক্ষ্যে অন্য সূত্রের শরণাপন্ন হোন।)

এতেকাফ (আরবি: الاعتکاف); রোজা অবস্থায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (কমপক্ষে ৩ দিন) মসজিদে অবস্থান করাকে বোঝায়। এতেকাফের জন্য কোন নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত হয় নি, তবে বিভিন্ন হাদীসের সাক্ষ্যানুযায়ী এতেকাফের সবচেয়ে উত্তম সময় হলো রমজান মাসের তৃতীয় দশক। এতেকাফে মসজিদে অবস্থান এবং মসজিদ থেকে বের হওয়ার বিষয়ে বিশেষ বিধান রয়েছে। ইরানে রমজানের পাশাপাশি রজব মাসের আইয়ামে বিজেও (১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) বেশীরভাগ জামে মসজিদে এতেকাফের আয়োজন করা হয়।

বিভিন্ন হাদীসের বর্ণনানুযায়ী, এতেকাফের সওয়াব হজ্জওমরাহ’র সমান। এতেকাফের মাধ্যমে গুনাহসমূহ থেকে ক্ষমা পাওয়া যায় এবং জাহান্নামের আগুন থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়।

গুরুত্ব ও তাৎপর্য

এতেকাফ; মুস্তাহাব একটি আমল। মাসুম ইমামগণ (আ.) থেকে বর্ণিত বিভিন্ন হাদিসের ভিত্তিতে এতেকাফের সওয়াব হজ্জওমরার সমান বলে উল্লেখিত হয়েছে।[১] মহানবির (স.) সুন্নত হিসেবে মুসলিম দেশগুলোতে এতেকাফ ব্যাপকভাবে পালিত হয়।

সংজ্ঞা

ফিকহী পরিভাষায়, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে বিশেষ শর্ত সাপেক্ষে ও আমলের মাধ্যমে কমপক্ষে ৩ দিন মসজিদে অবস্থান করাকে ‘এতেকাফ’ (اعتکاف) এবং এ আমল সম্পাদনকারীকে ‘মুতাকিফ’ (معتکف) বলা হয়।[২] এতেকাফ শব্দটি ((عکف)) ধাতু থেকে সংগৃহীত। আর এর অর্থ হল কোন কিছুর প্রতি মনোনিবেশ করা এবং সেটাকে গুরুত্ব দেওয়া ও তার প্রতি সন্মান প্রদর্শন করা।[৩] এছাড়া, পবিত্র কুরআনে ((عاکف))[৪] শব্দটি অবস্থানকারী ও বাসিন্দা অর্থে এবং ((معکوف))[৫] শব্দটি ‘নিষিদ্ধ’ ও ‘যাতে বাধা প্রদান করা হয়েছে’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

আধ্যাত্মিক ব্যক্তিদের দৃষ্টিতে এতেকাফ

ইরফান শাস্ত্রের পরিভাষা অনুযায়ী, এতেকাফ হলো; পার্থিব ব্যস্ততা থেকে মনকে দূরে সরিয়ে মহান প্রভুর প্রতি নিজেকে সমার্পন করার নাম।[৬] আল্লামা মাজলিসী’র দৃষ্টিতে এতেকাফের প্রকৃত অর্থ হলো, মহান আল্লাহর আনুগত্যের প্রতি প্রত্যাবর্তন করা এবং মোরাকাবা’র প্রতি অটল থাকা।[৭] একইভাবে তার মতে এর পূর্ণতা; অন্তর, আকল (বুদ্ধিবৃত্তি) ও শরীরের অঙ্গ-প্রত্যাঙ্গকে সৎকর্ম আঞ্জামে উৎসর্গ করা এবং গাফিলতি ও উদাসীনতা থেকে দূরে থাকা, মহান আল্লাহর নির্দেশ পালন ও তাঁর এরাদাকে বাস্তবায়নে  তটস্থ থাকা এবং নিজের অস্তিত্ব থেকে খোদা ব্যতীত অন্য সকল কিছুকে দূরে নিক্ষেপ করার মাঝে নিহিত।[৮]

আদব ও আহকাম

এতেকাফের সময়

এতেকাফের জন্য কোন সময় নির্দিষ্ট করা হয় নি, তবে কিছু কিছু রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে আল্লাহর রাসূল (স.) রমজান মাসে এতেকাফে বসতেন।[৯] এরই ভিত্তিতে এতেকাফের সবচেয়ে উত্তম সময় হিসেবে রমজান মাসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।[১০] রমজান মাস ছাড়াও রজব মাসের আইয়ামুল বিজে (১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) ইরানের বেশীরভাগ জামে মসজিদে এতেকাফের আয়োজন করা হয়।[১১] এছাড়া, অপর ইসলামি দেশগুলোতে মুসলমানরা রমজান মাসের পাশাপাশি রজব মাসের আইয়ামে বিজে এতেকাফে বসে থাকেন।[১২]

এতেকাফের সময়সীমা

শিয়া ফকীহদের মতানুযায়ী এতেকাফের সর্বনিন্ম সময় হলো ৩ দিন এবং দ্বিতীয় দিন অতিক্রম করার পর তৃতীয় দিনে এতেকাফ ওয়াজিব হয়ে যায়।[৯] এতেকাফের সময়সীমা; প্রথম দিনের ফজরের সময়ের আগ থেকে নিয়ে তৃতীয় দিন ইফতারের সময় পর্যন্ত।[১০] অবশ্য আহলে সুন্নতের ৪ মাযহাবের বিশিষ্ট আলেম মালিক ইবনে আনাস[১১]শাফেয়ী’র[শাফেয়ী, আল-উম্, দারুল মা’রেফাহ, খণ্ড ২, পৃ. ১০৫।] মতে এতেকাফকারী সূর্যাস্ত যাওয়ার পূর্বে যেন এতেকাফের স্থানে উপস্থিত হয়।[১২]

এতেকাফের স্থান

কিছু কিছু রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে মসজিদুল হারাম, মসজিদুন নববি (স.), কুফা মসজিদবসরা মসজিদকে এতেকাফের স্থান বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অপর কিছু রেওয়ায়েতে জামে মসজিদ অথবা যে মসজিদে একজন আদেল ও ন্যায় পরায়ণ ইমাম জামাআতজুমআর নামায আদায় করেছেন সেখানেও এতেকাফে বসা যায়।[১৩] এরই ভিত্তিতে ফোকাহায়ে মুতাকাদ্দিম (প্রথম যুগের) ফকীহগণের মতে এতেকাফ শুধু উল্লেখিত ৪ মসজিদে সম্ভব।[১৪] কিন্তু শাহীদে আওয়ালশাহীদে সানীর মতে, ‘এতেকাফের গণ্ডিকে শুধু ৪ মসজিদের মাঝে সীমাবদ্ধ করার বিষয়টি দুর্বল’।[১৫] হিজরী চতুর্দশ শতাব্দির বেশীরভাগ ফকীহ, বিভিন্ন শহরের জামে মসজিদে এতেকাফের আয়োজনকে সঠিক আখ্যায়িত করেছেন।[১৬] আবার কেউ কেউ উল্লেখিত ৪ মসজিদ ছাড়াও অন্য মসজিদে (চাই তা জামে মসজিদ হোক বা সাধারণ মসজিদ) মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনকল্পে ও সওয়াবের আশায় এতেকাফে বসাকে জায়েয বলেছেন।[১৭]

রোজা রাখার শর্ত

শিয়া ফিকাহ অনুযায়ী, রোজা হলো এতেকাফের রুকুন।[১৮] তাই যারা রোজা রাখতে অক্ষম; যেমন- মুসাফির, রোগী ও ঋতুবতী নারী’র এতেকাফ সঠিক নয়।[১৯] (রজব মাসের) এতেকাফে কাযা বা মানতের রোজার নিয়ত করা জায়েয।[২০] আহলে সুন্নতের প্রসিদ্ধ ৪ মাযহাবের নেতা মুহাম্মাদ ইবনে ইদ্রিস শাফেয়ীআহমাদ ইবনে হাম্বাল এতেকাফের ক্ষেত্রে রোজাকে ওয়াজিব জ্ঞান করেন নি।[২৬] তবে ফিকহে মালেকিতে এবং হানাফি ফিকাহ’র মশহুর মত হলো রোজা ব্যতীত এতেকাফ অনুষ্ঠিত হয় না।[২৭]

মসজিদ থেকে বের না হওয়া

এতেকাফের সময়, জরুরী প্রয়োজনে যেমন- খাদ্য আনতে, শৌচকার্য সারতে এবং জুমআর নামায আদায়, জানাযার নামাযে অংশগ্রহণ, সাক্ষ্য প্রদান, রোগীকে দেখতে যাওয়াসহ বিশেষ কল্যাণকর কাজে মু’তাকিফ ব্যক্তির মসজিদ থেকে বের হওয়ার অনুমতি রয়েছে। অবশ্য এ সকল ক্ষেত্রে এতেকাফকারীর পক্ষে শুধুমাত্র প্রয়োজন মেটানোর জন্য মসজিদ ত্যাগ করা জায়েয এবং মসজিদের বাইরে কোথাও বসা এমনকি যতদূর সম্ভব ছায়ার নীচ দিয়ে হাটাও সমিচীন নয়।[২১] সাইয়্যেদ কাযেম তাবাতাবায়ী তার উরওয়াতুল উসকা গ্রন্থে এতেকাফের স্থান ত্যাগ করার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র উরফি ও শরয়ী প্রয়োজন এবং কল্যাণকর (চাই তা তার ব্যক্তিগত হোক বা অন্যের জন্য) কাজের ক্ষেত্রে জায়েয বলেছেন।[২২] ইদ্দাতুদ দায়ী গ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়ে বিহারুল আনওয়ার গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম হাসান মুজতাবা (আ.) তার এক অনুসারীর (শিয়া) ঋণ পরিষোধ করার জন্য নিজের তাওয়াফ অসমাপ্ত রেখে ঐ ব্যক্তির সমস্যা সমাধানে তার সাথে রওয়ানা হন।[২৩][নোট ‌১]

এতেকাফে যে সকল কর্ম হারাম

ফকীহগণের মতানুযায়ী আতরের ঘ্রান নেয়া ও মাখা, পার্থিব বিষয়াদিতে তর্ক ও ঝগড়া করা, ক্রয় ও বিক্রয় (তবে জরুরী অবস্থা এ বিধানের ব্যতিক্রম), হস্তমৈথুন, সহবাস (এমনকি চুম্বন করাও) হারাম এবং উল্লিখিত কাজসমূহ এতেকাফকে বাতিল করে দেয়।[৩১] একইভাবে যে সকল কর্ম রোজা বাতিলের কারণ হয়, এতেকাফকেও বাতিল করে দেয়।[২৪]

এতেকাফের দর্শন ও প্রভাব

বিভিন্ন রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে এতেকাফকে গুনাহসমূহের ক্ষমা[২৫]জাহান্নামের আগুন থেকে সুরক্ষিত থাকার[২৬] কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া চিন্তার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা, স্বীয় প্রতিপালকের সাথে একান্তে আলাপ ও মুনাজাত করা এবং তওবার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা ইত্যাদি বিষয়কে এতেকাফের দর্শন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।[২৭]

এতেকাফের ইতিকথা

মুসলমানরা এতেকাফের শিক্ষা আল্লাহর নবির (স.) সুন্নত থেকে লাভ করেছেন।[২৮] একটি বর্ণনার ভিত্তিতে ইসলাম ধর্ম আগমনের পূর্বেও এতেকাফ ছিল।[২৯]

মহানবির (স.) এতেকাফ সম্পর্কে বর্ণিত বিষয়াদির থেকে জানা যায় যে, তিনি হিজরতের পর মদিনায় রমজান মাসে এতেকাফে বসেছিলেন। এতেকাফের সময় মসজিদুন নববিতে তার জন্য পর্দা দিয়ে একটি আড়ালের ব্যবস্থা করা হত।[৩০] বর্তমানে মসজিদে নববির তাওবাহ পিলারের পূর্ব দিকে ‘সারীর’ (খাট) নামে একটি স্থান রয়েছে; বলা হয়েছে যে, এতেকাফের দিনগুলোতে ঐ স্থানের পাশে তাঁর বিছানা করা হত এবং তিনি এতেকাফে বসতেন।[৩১]

দ্বিতীয় হিজরীর রমজান মাসে বদরের যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার কারণে তিনি (স.) এতেকাফে বসতে পারেন নি; এ কারণে পরবর্তী বছর তিনি ২০ দিন যাবত এতেকাফে বসেছিলেন; ১০ দিন চলতি বছরের জন্য এবং ১০ দিন বিগত বছরের কাযা হিসেবে।[৩২] বিভিন্ন হাদীস গ্রন্থে ইমাম হাসান মুজতাবা (আ.)ইমাম সাদিক (আ.)সহ অন্যান্য ইমামদের এতেকাফে বসার কথা উল্লেখিত হয়েছে।[৩৩]

সংশ্লিষ্ট গ্রন্থ পরিচিতি

এতেকাফ সম্পর্কে আরবি ও ফার্সি ভাষায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রন্থ রচিত হয়েছে, যেমন-

মুহাম্মাদ ইবনে ইদ্রিস শাফেয়ী রচিত ‘কিতাবুল এতেকাফ’, এছাড়া দাউদ ইসফাহানী[৩৪] শেইখ সাদুক এবং আবুল ফাযল সাবুনী থেকেও একই শিরোনামে গ্রন্থ রচনার কথা উল্লেখিত হয়েছে।[৩৫]

মুঈনুদ্দীন সালিম ইবনে বাদরান বাসরি রচিত ‘আল-এতেকাফিয়্যাহ’।[৩৬]

শেইখ লুতফুল্লাহ মিসী ইসফাহানী (মৃ. ১০৩৫ হি.) রচিত ‘আল-এতেকাফিয়্যাহ ইয়া মাউল হায়াত ওয়া সাফীল ফুরাত’। রাসূল জাফারিয়ানের প্রচেষ্টায় সংকলিত ‘মাজমুয়েয়ে মীরাসে ইসলামি’ গ্রন্থের ১ম খণ্ডে ১৩৭৩ ফার্সি সনে প্রকাশিত হয়েছে।

মুহাম্মাদ জাফার আস্তরাবাদি (মৃত্যু ১২৬৩ হি.) রচিত ‘আল-কাফাফ ফি মাসায়িলিল ইতিকাফ’। গ্রন্থটির একটি খণ্ড আয়াতুল্লাহ মারআশি নাজাফির গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত রয়েছে।[৩৭]

সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ শাহরিস্তানি (মৃত্যু ১২৯০ হি.) রচিত ‘আল-ইতিকাফিয়্যাহ’। আগা বোজোর্গ তেহরানির ভাষ্যানুযায়ী গ্রন্থটির কপি এখনও মজুত রয়েছে।[৩৮]

এছাড়া, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইতিকাফের সংস্কৃতি ব্যাপকভাবে প্রসার লাভের কারণে এ বিষয়ে বহুসংখ্যক গ্রন্থ রচিত ও মুদ্রিত হয়েছে।[৩৯]

তথ্যসূত্র

  1. শেইখ সাদুক, মান লা ইয়াহদ্বুরুহুল ফাকীহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১৮৮; ইবনে তাঊস, ইকবালুল আ’মাল, ১৪০৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৯৫।
  2. মুআসসেসেয়ে দায়েরাতুল মাআরেফ আল-ফিকহুল ইসলামী, ফারহাঙ্গে ফিকহে ফার্সি, ১৩৮২ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ৫৯৮।
  3. রাগেব, মোফরাদাত, ১৩৯২ হি., পৃ. ৩৫৫।
  4. সূরা হজ্জ, আয়াত ২৫।
  5. সূরা ফাতহ, আয়াত ২৫।
  6. জারজানি, আত-তা’রিফাত, ১৩৫৭ হি., পৃ. ২৫।
  7. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৯৮, পৃ. ৪।
  8. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৯৮, পৃ. ১৫০।
  9. মুহাক্কেক হিল্লি, শারায়েউল ইসলাম, ১৩৮৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২১৬।
  10. তাবাতাবায়ী, আল-উরওয়াতুল উসকা, ১৪২০ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৬৭১।
  11. মালিক, আল-মুওয়াত্তা, ১৪০৬ হি, খণ্ড ১, পৃ. ৩১৪।
  12. ইবনে রুশদ, বিদায়াতুল মুজতাহিদ, ১৪০৬ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩১৪।
  13. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০১ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ১৭৬; মুফিদ, আল-মুকনিয়া’হ, ১৪১০ হি., পৃ. ৩৬৩।
  14. দ্র: সাদুক, আল-মুকনি’, ১৪০৪ হি., পৃ. ১৮; দ্র: সাইয়্যেদ মুর্তাযা, আল-ইন্তেসার, ১৩৯১ হি., পৃ. ৭২; তুসি, আল-খিলাফ, ১৪০৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২৭২।
  15. শাহীদ সানী, আর-রাওযাতুল বাহিয়্যাহ, ১৪০৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১৫০।
  16. খোমেনী, তাহরীরুল ওয়াসিলাহ, দারুল ইলম, খণ্ড ১, পৃ. ৩০৫; গুলপাইগানি, মাজমাউল মাসায়েল, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ১৭৫; সাফি গুলপাইগানি, জামেউল আহকাম, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৪৪; বাহজাত, ইস্তেফতাআত, ১৪২৮ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪৪২।
  17. পায়েগাহ-এ এত্তেলা রেসানিয়ে হাওযা, https://hawzah.net/fa/Question/View/64508/
  18. মালিক, আল-মুওয়াত্তা, ১৪০৬ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩১৫; মুহাক্কে হিল্লি, শারায়েউল ইসলাম, ১৩৮৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২১৫।
  19. নারাকি, মুস্তানাদুশ শিয়া, ১৪১৫ হি., খণ্ড ১০, পৃ. ৫৪৬।
  20. নারাকি, মুস্তানাদুশ শিয়া, ১৪১৫ হি., খণ্ড ১০, পৃ. ৫৪৫।
  21. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০১ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ১৭৮; ইবনে রুশদ, বিদায়াতুল মুজতাহিদ, ১৪০৬ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩১৭; মুহাক্কেক হিল্লি, শারায়েউল ইসলাম, ১৩৮৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২১৭।
  22. তাবাতাবায়ী, আল-উরওয়াতুল উসকা, ১৪২০ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৬৮৬।
  23. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৯৪, পৃ. ১২৯।
  24. খোমেনী, তাহরীরুল ওয়াসিলাহ, দারুল ইলম, খণ্ড ১, পৃ. ৩০৫।
  25. সুয়ুতি, জামেউস সাগির, ১৪০১ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৫৭৫।
  26. আত-তাবরানি, আল-মু’জামুল আওসাত, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ১২১।
  27. https://rasekhoon.net/article/show/159057, রাসেখুন ওয়েবসাইট।
  28. মালিক, আল-মুওয়াত্তা, ১৪০৬ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩১৪।
  29. বুখারি, সহিহ বুখারি, এদারাতিন তিবাআহ আল-মুনিরিয়্যাহ, খণ্ড ৩, পৃ. ১০৫-১১০; ইবনু মাজাহ, সুনান ইবনু মাজাহ, ১৯৫২-১৯৫৩ খ্রি., খণ্ড ১, পৃ. ৫৬৩।
  30. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০১ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ১৭৫।
  31. জা’ফারিয়ান, অসারে ইসলামী মাক্কে ওয়া মাদীনে, ১৩৮১ ফার্সি সন, পৃ. ২২৬; আল-মিনকারা, ওয়াফাউল ওয়াফা বি আখবারি দারুল ‍মুস্তাফা, আল-নাশের: মাক্তাবাতুন আয়াতুল্লাহ আল-মারআশি আল-নাজাফি
  32. শেইখ সাদুক, মান লা ইয়াহদ্বুরুহুল ফাকীহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১৮৪।
  33. শেইখ সাদুক, মান লা ইয়াহদ্বুরুহুল ফাকীহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১৯০।
  34. দ্র: ইবনে নাদিম, আল-ফিহরিস্ত, ১৩৫০ ফার্সি সন, পৃ. ২৬৪-২৭১।
  35. দ্র: নাজ্জাশি, রিজাল, ১৪০৭ হি., পৃ. ৩৭৫-৩৮৯।
  36. আগা বোজোর্গ, আল-যারিয়া’হ, দারুল আদ্বওয়া, খণ্ড ২, পৃ. ২৩০।
  37. আগা বোজোর্গ, আল-যারিয়া’হ, দারুল আদ্বওয়া, খণ্ড ২, পৃ. ২২৯; মুদাররেসি তাবাতাবায়ী, মোকাদ্দামেয়ী বার ফিকহে শীয়া, ১৩৬৮ ফার্সি সন, পৃ. ৩৩৮।
  38. আগা বোজোর্গ, আল-যারিয়া’হ, দারুল আদ্বওয়া, খণ্ড ২, পৃ. ২২৯-২৩০।
  39. «لیست کتاب‌ها», https://hawzah.net/fa/Magazine/View/6433/7975/104557/

গ্রন্থপঞ্জি

  • কুরআন-এ কারিম।
  • আগা বোজর্গে তেহরানি, মুহাম্মাদ মোহসেন, আল-যারিয়াহ ইলা তাসানিফিশ শিয়া, বৈরুত, দারুল আদ্বওয়া, তারিখ অজ্ঞাত।
  • ইবনে তাঊস, আলী ইবনে মূসা, ইকবালুল আ'মাল, তেহরান, দারুল কুতুব আল-ইসলামিয়্যাহ, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৯ হি.।
  • ইবনে রুশদ, মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ, বিদায়াতুল মুজতাহিদ ওয়া নিহায়াতুল মুক্তাছেদ, বৈরুত, ১৪০৬ হি.।
  • ইবনে মাজাহ, মুহাম্মাদ, সুনান ইবনে মাজাহ, বে কৌশিশে মুহাম্মাদ ফাওয়াদ আব্দুল বাকী, কায়রো, ১৯৫২ খ্রি.।
  • ইবনে নাদিম, মুহাম্মাদ, আল-ফিহরিস্ত, বে কৌশিশে রেযা তাজাদ্দোদ, তেহরান, ১৩৫০ ফার্সি সন।
  • ইমাম খোমেনী, তাহরীরুল ওয়াসিলাহ, কোম, মুআসসেসেয়ে মাতবুআত দারুল ইলম, প্রথম সংস্করণ, তারিখ অজ্ঞাত।
  • বুখারি, মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল, সহিহ বুখারি, কায়রো, এদারাতিন লি তিবাআ'তিল মুনিরিয়্যাহ, তারিখ অজ্ঞাত।
  • বালখি, শেইখ নেজাম উদ্দিন, আল-ফাতাওয়া আল-হিন্দিয়্যাহ, কায়রো, ১৩২৩ হি.।
  • বাহজাত, মুহাম্মাদ তাকী, ইস্তেফতাআত, দাফতারে হযরত আয়াতুল্লাহ বাহজাত, কোম, প্রথম সংস্করণ, ১৪২৮ হি.।
  • জারজানি, আলী ইবনে মুহাম্মাদ, আত-তা'রিফাত, কায়রো, ১৩৫৭ হি.।
  • জাযিরি, আব্দুর রহমান, আল-ফিকহু আলাল মাযাহিবিল আরবাআ', বৈরুত, ১৪০৬ হি.।
  • রাগেব ইস্ফাহানি, হুসাইন, মোফরাদাতুল আলফায আল-কুরআন, বে কৌশিশে নাদিম মারআশি, কায়রো, ১৩৯২ হি.।
  • সামারকান্দি, আলাউদ্দিন, তোহফাতুল ফোকাহা, বৈরুত, ১৪০৫ হি./১৯৮৫ খ্রি.।
  • সাইয়্যেদ মুর্তাযা, আলী, আল-ইন্তেছার, বে কৌশিশে মুহাম্মাদ রেযা খোরাসান, নাজাফ, ১৩৯১ হি.।
  • সুয়ুতি, জালাল উদ্দিন, জামেউস সাগির, বৈরুত, দারুল ফিকর, প্রথম সংস্করণ, ১৪০১ হি.।
  • শাফেয়ী, মুহাম্মাদ, আল-উম্, বে কৌশিশে মুহাম্মাদ যোহারি নাজ্জার, বৈরুত, দারুল মা'রেফাহ, তারিখ অজ্ঞাত।
  • শাহীদ সানী, যাইনুদ্দিন, আর-রাওযাতুল বাহিয়্যাহ, বে কৌশিশে মুহাম্মাদ কালান্তুর, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, ১৪০৩ হি.।
  • শেইখ সাদুক, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, আল-জাওয়ামেউল ফিকহিয়্যাহ (আল-মুকনি'), কোম, ১৪০৪ হি.।
  • শেইখ সাদুক, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, মান লা ইয়াহদ্বুরুহুল ফাকীহ, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামী, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪১৩ হি.।
  • শেইখ তুসি, আবু জা'ফার মুহাম্মাদদ ইবনে হাসান, আল-খিলাফ, তাহকিক ওয়া তাসহিহ: খোরাসানি, আলী, শাহরেস্তানি, সাইয়্যেদ জাওয়াদ, ত্বহা, নাজাফ, মাহদি, আরাকি, মুজতাবা, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামি, প্রথম সংস্করণ, ১৪০৭ হি.।
  • সাফি গুলপাইগানি, লুতফুল্লাহ, জামেউল আহকাম, ইন্তেশারাতে হযরত মাসুমা (সা.আ.), কোম, চতুর্থ সংস্করণ, ১৪১৭ হি.।
  • আত-তাবরানি, সুলাইমান ইবনে আহমাদ, আল-মু'জামুল আওসাত, তাহকিক: আবু মাআয, তারিক ইবনে আওয়াযুল্লাহ, কায়রো, ১৪১৫ হি.।
  • আল্লামা হিল্লি, হাসান ইবনে ইউসুফ, তাযকিরাতুল ফোকাহা, কোম, মুআসসেসেয়ে আলুল বাইত (আ.), প্রথম সংস্করণ, ১৪১৪ হি.।
  • কুলাইনি, মুহাম্মাদ, আল-কাফি, বে কৌশিশে আলী আকবার গাফ্ফারি, বৈরুত, ১৪০১ হি.।
  • গুলপাইগানি, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ রেযা, মাজমাউল মাসায়েল, দারুল কুরআনিল কারিম, কোম, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৯ হি.।
  • মালিক ইবনে আনাছ, আল-মুওয়াত্তা, বে কৌশিশে মুহাম্মাদ ফাওয়াদ আব্দুল বাকী, বৈরুত, ১৪০৬ হি.।
  • মাজলিসী, মুহাম্মাদ বাকের, বিহারুল আনওয়ার, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৩ হি.।
  • মুহাক্কেক হিল্লি, জা'ফার ইবনে হাসান, শারায়েউল ইসলাম, বে কৌশিশে আব্দুল হুসাইন মুহাম্মাদ আলী, নাজাফ, ১৩৮৯ হি.।
  • মুদাররেসি তাবাতাবায়ী, হুসাইন, মোকাদ্দামেয়ী বার ফিকহে শিয়া, তরজমা: মুহাম্মাদ আসিফ, মাশহাদ, ১৩৬৮ ফার্সি সন।
  • মুফিদ, মুহাম্মাদ ইবনে মুহাম্মাদ নো'মান, আল-মুকনিআ'হ, কোম, মুআসসেসেয়ে নাশরে ইসলামী, ১৪১০ হি.।
  • নাজ্জাশি, আহমাদ ইবনে আলী, রিজালুন নাজ্জাশি, বে কৌশিশে মুসা শোবাইরি যানজানি, কোম, জামাআ'তুল মুদাররেসিন ফিল হাওযা ইলমিয়্যাহ, ১৪০৭ হি.।
  • নারাকি, মাওলা আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ মাহদি, মুস্তানাদুশ শিয়া ফি আহকামিশ শারিয়্যাহ, কোম, মুআসসেসেয়ে আলুল বাইত (আ.), প্রথম সংস্করণ, ১৪১৫ হি.।