ঈদে গাদীর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
→প্রচলিত রীতি
W.Alhassan (আলোচনা | অবদান) |
W.Alhassan (আলোচনা | অবদান) |
||
৪৯ নং লাইন: | ৪৯ নং লাইন: | ||
*ইদে গাদীরের নামায পড়া: [[ইমাম জাফার সাদিক আলাইহিস সালাম|ইমাম সাদিক (আ.)]] হতে বর্ণিত রেওয়ায়েত অনুসারে, দুই রাকাত বিশিষ্ট নামায রয়েছে যার প্রতি রাকাতে [[সূরা হামদ|সূরা হামদের]] পর ১০ বার [[সূরা ইখলাছ]], ১০ বার [[আয়াতুল কুরসি]] এবং ১০ বার [[সূরা ক্বদর]] পাঠ করতে হয়। এই নামাযের পুরস্কার ১০০ [[হজ্ব]], ১০০ [[উমরাহ]] এবং দুনিয়া ও আখেরাতের সকল হাজত পূরণের সমপরিমান মনে করা হয়েছে।[৩১] যোহরের সময় এই নামায পড়তে হয়। [[জামাআতবদ্ধ|জামাআতবদ্ধভাবে]] এই নামায আদায় করা জায়েয কি জায়েয নয় সে ব্যাপারে ফিকাহবিদদের মধ্যে মতপার্থক্য বিদ্যমান।[৩২] | *ইদে গাদীরের নামায পড়া: [[ইমাম জাফার সাদিক আলাইহিস সালাম|ইমাম সাদিক (আ.)]] হতে বর্ণিত রেওয়ায়েত অনুসারে, দুই রাকাত বিশিষ্ট নামায রয়েছে যার প্রতি রাকাতে [[সূরা হামদ|সূরা হামদের]] পর ১০ বার [[সূরা ইখলাছ]], ১০ বার [[আয়াতুল কুরসি]] এবং ১০ বার [[সূরা ক্বদর]] পাঠ করতে হয়। এই নামাযের পুরস্কার ১০০ [[হজ্ব]], ১০০ [[উমরাহ]] এবং দুনিয়া ও আখেরাতের সকল হাজত পূরণের সমপরিমান মনে করা হয়েছে।[৩১] যোহরের সময় এই নামায পড়তে হয়। [[জামাআতবদ্ধ|জামাআতবদ্ধভাবে]] এই নামায আদায় করা জায়েয কি জায়েয নয় সে ব্যাপারে ফিকাহবিদদের মধ্যে মতপার্থক্য বিদ্যমান।[৩২] | ||
==প্রচলিত রীতি== | ==প্রচলিত রীতি-নীতি== | ||
===সাইয়্যেদদের সাথে সাক্ষাত=== | ===সাইয়্যেদদের সাথে সাক্ষাত=== | ||
ইরান এবং অন্যান্য কিছু মুসলিম দেশে শিয়ারা ঈদে গাদীরের দিন সাইয়্যেদদের সাথে সাক্ষাত করতে যান। সাইয়্যেদরাও এই দিন উপলক্ষে ঈদি হিসেবে টাকা অথবা কোন পণ্য প্রদান করেন।[৩৩] | [[ইরান]] এবং অন্যান্য কিছু মুসলিম দেশে [[শিয়ারা]] ঈদে গাদীরের দিন [[সাইয়্যেদ|সাইয়্যেদদের]] সাথে সাক্ষাত করতে যান। সাইয়্যেদরাও এই দিন উপলক্ষে ঈদি হিসেবে টাকা অথবা কোন পণ্য প্রদান করেন।[৩৩] | ||
===গাদীর দিবসে আহার করানো=== | ===গাদীর দিবসে আহার করানো=== | ||
শিয়ারা গাদীর দিবসে মসজিদ ও অন্যান্য স্থানসমূহে খাবার খাওয়ানোর জন্য দস্তরখানা বিছান।[৩৪] অনুরূপভাবে রাস্তাগুলোতে শরবত ও মিষ্টি বিতরণ করেন। মিসবাহুল | শিয়ারা গাদীর দিবসে [[মসজিদ]] ও অন্যান্য স্থানসমূহে খাবার খাওয়ানোর জন্য দস্তরখানা বিছান।[৩৪] অনুরূপভাবে রাস্তাগুলোতে শরবত ও মিষ্টি বিতরণ করেন। [[মিসবাহুল মুতাহাজ্জেদ]] গ্রন্থে বর্ণিত রেওয়ায়েত অনুসারে, গাদীর দিবসে একজন মু’মিন ব্যক্তিকে আহার করানোর সওয়াব হচ্ছে, দশ লক্ষ নবী ও সিদ্দিক এবং দশ লক্ষ শহীদকে আহার করানোর সমপরিমান।[৩৫] এই রেওয়ায়েত অনুসারে, [[ইমাম রেযা (আ.)]] ঈদে গাদীরের দিন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন এবং তাঁর সাহাবিদের বিশেষ একটি দলকে [[ইফতার|ইফতারের]] জন্য নিজের কাছে রেখে দিতেন এবং তাদের পরিবারের জন্য খাদ্য ও উপহার সামগ্রী প্রেরণ করতেন।[৩৬] | ||
===ভ্রাতৃত্বের আকদ=== | ===ভ্রাতৃত্বের আকদ=== | ||
শেইখ আব্বাস কুম্মি’র ভাষ্যানুযায়ী, ঈদে গাদীরের দিনে অন্যতম রীতি হচ্ছে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যার বিষয়বস্তু হচ্ছে দুনিয়াতে ভ্রাতৃত্ব ও সহানুভূতি এবং আখেরাতে পারস্পরিক সহযোগিতা।[৩৭] এরই উপর ভিত্তি করে, কিছু কিছু শিয়াদের অন্যতম রীতি হচ্ছে গাদীর দিবসে ভ্রাতৃত্বের আকদ পাঠ করা। ইরানের ‘ফারহাঙ্গে সারায়ে আন্দিশে’ নামক সংস্থা, ঈদে গাদীরের সময়টাতে ‘বারাদারানে’ নামক একটি ভার্চুয়াল ক্যাম্পেইন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে যেন ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করার মধ্য দিয়ে শিয়া এবং আহলে বাইতের (আ.) প্রেমিকদের মধ্যে সংহতির চেতনা এবং বিশ্বের মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য শক্তিশালী হয়।[৩৮] | [[শেইখ আব্বাস কুম্মি|শেইখ আব্বাস কুম্মি’র]] ভাষ্যানুযায়ী, ঈদে গাদীরের দিনে অন্যতম রীতি হচ্ছে [[ভ্রাতৃত্বের বন্ধন|ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে]] আবদ্ধ হওয়া যার বিষয়বস্তু হচ্ছে দুনিয়াতে ভ্রাতৃত্ব ও সহানুভূতি এবং [[আখেরাত|আখেরাতে]] পারস্পরিক সহযোগিতা।[৩৭] এরই উপর ভিত্তি করে, কিছু কিছু [[শিয়া|শিয়াদের]] অন্যতম রীতি হচ্ছে গাদীর দিবসে ভ্রাতৃত্বের আকদ পাঠ করা। ইরানের ‘ফারহাঙ্গে সারায়ে আন্দিশে’ নামক সংস্থা, ঈদে গাদীরের সময়টাতে ‘বারাদারানে’ নামক একটি ভার্চুয়াল ক্যাম্পেইন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে যেন ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করার মধ্য দিয়ে শিয়া এবং [[আহলে বাইত (আ.)|আহলে বাইতের (আ.)]] প্রেমিকদের মধ্যে সংহতির চেতনা এবং বিশ্বের মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য শক্তিশালী হয়।[৩৮] | ||
==গ্রন্থপরিচিতি== | ==গ্রন্থপরিচিতি== |