বিষয়বস্তুতে চলুন

সাকীফার ঘটনা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

১২৮ নং লাইন: ১২৮ নং লাইন:
ফাদাক কেড়ে নেয়া: কিছু কিছু ইতিহাস বিশ্লেষক মনে করেন, সাকিফার ঘটনার পর ফাতিমা (সা. আ.) কাছ থেকে ফাদাক কেড়ে নেয়া ছিল মূলতঃ আহলে বাইতের (আ.) উপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির নিমিত্তে। এই পদক্ষেপ একদিকে যেমন আবুবকরের সরকারের ভিতকে মজবুত করত, অপরদিকে আল্লাহর রাসূলের (স.) আহলে বাইতের (আ.) পক্ষ থেকে বিরোধিতা ও সংগ্রামের পথকেও রুদ্ধ করে দিত।<ref>আসকারী, সাকীফা: বাররাসি নাহভে শেকলগিরি হুকুমাত পাস আয রেহলাত পায়াম্বার, ১৩৮৭ ফার্সি সন, পৃ. ১১৫।</ref>
ফাদাক কেড়ে নেয়া: কিছু কিছু ইতিহাস বিশ্লেষক মনে করেন, সাকিফার ঘটনার পর ফাতিমা (সা. আ.) কাছ থেকে ফাদাক কেড়ে নেয়া ছিল মূলতঃ আহলে বাইতের (আ.) উপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির নিমিত্তে। এই পদক্ষেপ একদিকে যেমন আবুবকরের সরকারের ভিতকে মজবুত করত, অপরদিকে আল্লাহর রাসূলের (স.) আহলে বাইতের (আ.) পক্ষ থেকে বিরোধিতা ও সংগ্রামের পথকেও রুদ্ধ করে দিত।<ref>আসকারী, সাকীফা: বাররাসি নাহভে শেকলগিরি হুকুমাত পাস আয রেহলাত পায়াম্বার, ১৩৮৭ ফার্সি সন, পৃ. ১১৫।</ref>


সাকীফার সিদ্ধান্তে মুনাফিকদের সমর্থন: আয়াতুল্লাহ জাওয়াদি আমুলি’র ভাষ্যানুযায়ী, আল্লাহর রাসূলের (স.) ওফাতের পর মদিনার মুনাফিকদের পক্ষ থেকে সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতারও সমাপ্তি ঘটে। বিষয়টির বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, একদিনেই তো মুনাফিকরা হারিয়ে যায় নি, আবার তারা তো সালমান ও আবুযারের মত মু’মিনও হয়ে যায় নি; বরং তারা আহলে সাকীফার সাথে সমঝোতা করে নেয়, আর এ কারণে সাকীফার শুরা অনুষ্ঠিত হওয়ার (ও সরকার গঠনের) পর মদিনায় আর কোন মুনাফিক ছিল না।<ref>،«تفسیر-سوره-منافقون-جلسه-1-1397/01/29» ইসরা ওয়েবসাইট।</ref>
সাকীফার সিদ্ধান্তে মুনাফিকদের সমর্থন: আয়াতুল্লাহ জাওয়াদি আমুলি’র ভাষ্যানুযায়ী, আল্লাহর রাসূলের (স.) ওফাতের পর মদিনার মুনাফিকদের পক্ষ থেকে সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতারও সমাপ্তি ঘটে। বিষয়টির বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, একদিনেই তো মুনাফিকরা হারিয়ে যায় নি, আবার তারা তো সালমান ও আবুযারের মত মু’মিনও হয়ে যায় নি; বরং তারা আহলে সাকীফার সাথে সমঝোতা করে নেয়, আর এ কারণে সাকীফার শুরা অনুষ্ঠিত হওয়ার (ও সরকার গঠনের) পর মদিনায় আর কোন মুনাফিক ছিল না।<ref>ইসরা ওয়েবসাইট ،«تفسیر-سوره-منافقون-جلسه-1-1397/01/29» </ref>


কারবালা ট্রাজেডি: কারো কারো মতে, সাকিফায় মহানবির (স.) জা-নশীন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন হওয়ায় খলিফা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন বিশেষ নিয়ম ও মানদণ্ড আর অবশিষ্ট থাকে নি। এ কারণে মুসলমানদের খলিফা একদিন আনসার ও কয়েকজন কুরাইশের মধকার দ্বন্দ্বের মাধ্যমে, আরেকদিন প্রথম খলিফার ওসিয়তের মাধ্যমে, তৃতীয় দফায় ৬ জনের শুরা’র ভোটে, আরেক দফায় মুয়াবিয়া কর্তৃক তার পুত্রের জন্য বাইয়াত গ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচিত হলো। আর এই ইয়াযিদই কারবালা ট্রাজেডির মূল হোতা।[৬৯] বিশিষ্ট শিয়া আলেম সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন তেহরানি (মৃত্যু ১৪১৬ হি.), আলীর (আ.) সম্পর্কে কাযী আবি বাকর ইবনে আবি কারিয়াহ রচিত কবিতা উল্লেখ পূর্বক কবিতার  و اَریتکم ان الحسین اصیب فی یوم السقیفة -এ পংতির ব্যাখ্যায় লিখেছেন, যদি আলীর খেলাফতকে জবরদখল করা না হত, তাহলে হারমালাহ’র তীর আলী আসগারের গলায় বিঁধতো না’।[৭০] এছাড়া মুহাম্মাদ হুসাইন গারাভি ইসফাহানি (১২৯৬-১৩৬১ হি.) এক কবিতায় উল্লিখিত বিষয়টি উল্লেখ করেছেন:  
কারবালা ট্রাজেডি: কারো কারো মতে, সাকিফায় মহানবির (স.) জা-নশীন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন হওয়ায় খলিফা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন বিশেষ নিয়ম ও মানদণ্ড আর অবশিষ্ট থাকে নি। এ কারণে মুসলমানদের খলিফা একদিন আনসার ও কয়েকজন কুরাইশের মধকার দ্বন্দ্বের মাধ্যমে, আরেকদিন প্রথম খলিফার ওসিয়তের মাধ্যমে, তৃতীয় দফায় ৬ জনের শুরা’র ভোটে, আরেক দফায় মুয়াবিয়া কর্তৃক তার পুত্রের জন্য বাইয়াত গ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচিত হলো। আর এই ইয়াযিদই কারবালা ট্রাজেডির মূল হোতা।[৬৯] বিশিষ্ট শিয়া আলেম সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন তেহরানি (মৃত্যু ১৪১৬ হি.), আলীর (আ.) সম্পর্কে কাযী আবি বাকর ইবনে আবি কারিয়াহ রচিত কবিতা উল্লেখ পূর্বক কবিতার  و اَریتکم ان الحسین اصیب فی یوم السقیفة -এ পংতির ব্যাখ্যায় লিখেছেন, যদি আলীর খেলাফতকে জবরদখল করা না হত, তাহলে হারমালাহ’র তীর আলী আসগারের গলায় বিঁধতো না’।[৭০] এছাড়া মুহাম্মাদ হুসাইন গারাভি ইসফাহানি (১২৯৬-১৩৬১ হি.) এক কবিতায় উল্লিখিত বিষয়টি উল্লেখ করেছেন:  
confirmed, templateeditor
১,৯৬২টি

সম্পাদনা