বিষয়বস্তুতে চলুন

প্রতিশ্রুতি রক্ষা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

২৫ নং লাইন: ২৫ নং লাইন:


== প্রতিশ্রুতি রক্ষা বিশ্বজনীন এক আইন ==
== প্রতিশ্রুতি রক্ষা বিশ্বজনীন এক আইন ==
মাকারেম শিরাজি লিখেছেন, বিভিন্ন রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে প্রতিশ্রুতি রক্ষা বিশ্বজনীন একটি আইন; যা মুসলিম ও কাফের উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।[২৪] তার দৃষ্টিতে, অঙ্গীকার রক্ষায় অটল থাকার বিষয়টি মানুষের ফিতরাতের মাঝেই রয়েছে, এ কারণেই সকল জাতি ও গোত্রের মাঝে -চাই তারা ধর্মে বিশ্বাসী হোক বা না হোক- বিষয়টি অপরিহার্য হিসেবে গন্য।[২৫] সূরা বাকারা’র ১৭৭নং[২৬] আয়াতের ভিত্তিতে তিনি বলেন: পবিত্র কুরআনে প্রতিশ্রুতি ও ওয়াদা রক্ষার বিষয়টি নিরঙ্কুশ এবং কোন শর্ত নির্ধারণ ছাড়াই বর্ণিত হয়েছে, সুতরাং সকল প্রকার প্রতিশ্রুতি, ওয়াদা, চুক্তি ও অঙ্গীকার এর সামিল; চাই তা মহান আল্লাহর সাথে কৃত হোক অথবা মানুষের সাথে। মুসলমানের সাথে কৃত চুক্তি হোক বা কাফেরের সাথে। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের কৃত অঙ্গীকার রক্ষা করে চলবে, মুসলমানদেরও উচিত কৃত অঙ্গীকারে অটল থাকা।[২৭]
আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজি লিখেছেন, বিভিন্ন রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে প্রতিশ্রুতি রক্ষা বিশ্বজনীন একটি আইন; যা মুসলিম ও [[কাফের]] উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তাঁর দৃষ্টিতে, অঙ্গীকার রক্ষায় অটল থাকার বিষয়টি মানুষের সত্তার [[ফিতরাত|ফিতরাতের]] (সত্তার) মাঝেই রয়েছে, এ কারণেই সকল জাতি ও গোত্রের মাঝে -চাই তারা ধর্মে বিশ্বাসী হোক বা না হোক- বিষয়টি অপরিহার্য হিসেবে গণ্য। [[সূরা বাকারা]]’র ১৭৭নং আয়াতের ভিত্তিতে তিনি বলেন: পবিত্র কুরআনে প্রতিশ্রুতি ও ওয়াদা রক্ষার বিষয়টি নিরঙ্কুশ এবং কোন শর্ত নির্ধারণ ছাড়াই বর্ণিত হয়েছে, সুতরাং সকল প্রকার প্রতিশ্রুতি, ওয়াদা, চুক্তি ও অঙ্গীকার এর সামিল; চাই তা মহান আল্লাহর সাথে কৃত হোক অথবা মানুষের সাথে। মুসলমানের সাথে কৃত চুক্তি হোক বা কাফেরের সাথে। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের কৃত অঙ্গীকার রক্ষা করে চলবে, মুসলমানদেরও উচিত কৃত অঙ্গীকারে অটল থাকা।


মালিকে আশতারের উদ্দেশ্যে লেখা ইমাম আলীর (আ.) পত্রে উল্লেখিত হয়েছে, চিন্তা ও পছন্দের ক্ষেত্রে বিশ্বের মানুষের মাঝে মতভেদ থাকা সত্ত্বেও তারা সকলে প্রতিশ্রুতি রক্ষার বিষয়ে মতৈক্য রাখে; এমনকি জাহিলিয়্যাতের যুগের মুশরিকরাও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করত। ঐ পত্রে মালিকে আশতারকে বলা হয়েছে যেন তিনি কাফেরের সাথে কৃত ওয়াদা রক্ষার ক্ষেত্রেও দৃঢ় থাকেন।[২৮]
[[মালিক আশতার|মালিকে আশতারের]] উদ্দেশ্যে লেখা [[ইমাম আলী (আ.)|ইমাম আলীর (আ.)]] পত্রে উল্লেখিত হয়েছে, চিন্তা ও পছন্দের ক্ষেত্রে বিশ্বের মানুষের মাঝে মতভেদ থাকা সত্ত্বেও তারা সকলে প্রতিশ্রুতি রক্ষার বিষয়ে মতৈক্য রাখে; এমনকি জাহিলিয়্যাতের যুগের [[মুশরিক|মুশরিকরাও]] প্রতিশ্রুতি রক্ষা করত। ঐ পত্রে মালিকে আশতারকে বলা হয়েছে, যেন তিনি কাফেরের সাথে কৃত ওয়াদা রক্ষার ক্ষেত্রেও দৃঢ় থাকেন।


== প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারীদের বৈশিষ্ট্য ==
== প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারীদের বৈশিষ্ট্য ==
আল্লামা তাবাতায়ী’র ভাষায়, পবিত্র কুরআন ও হাদিসে প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারীদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য উল্লেখিত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে জ্ঞানী ব্যক্তিদের দলভূক্তি, ঐশী সম্পর্ক প্রতিষ্ঠাকারী, খোদাভিরুতা, ধৈর্যশীল হওয়া এবং সৎকর্মের মাধ্যমে অসৎকর্মের মোকাবিলাকারী নামাযিরা[২৯] ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। রেযায়ী ইসফাহানী লিখেছেন, পবিত্র কুরআনের বেশ কয়েকটি আয়াতে ওয়াদা রক্ষাকারীদেরকে ‘সৎকর্মশীল’[৩০] ও ‘ঈমানদার’[৩১] বলে পরিচয় করানো হয়েছে।[৩২]
আল্লামা তাবাতায়ী’র ভাষায়, পবিত্র কুরআন ও হাদিসে প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারীদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য উল্লেখিত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে জ্ঞানী ব্যক্তিদের দলভূক্তি, ঐশী সম্পর্ক প্রতিষ্ঠাকারী, খোদাভিরুতা, ধৈর্যশীল হওয়া এবং সৎকর্মের মাধ্যমে অসৎকর্মের মোকাবিলাকারী নামাযিরা[২৯] ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। রেযায়ী ইসফাহানী লিখেছেন, পবিত্র কুরআনের বেশ কয়েকটি আয়াতে ওয়াদা রক্ষাকারীদেরকে ‘সৎকর্মশীল’[৩০] ও ‘ঈমানদার’[৩১] বলে পরিচয় করানো হয়েছে।[৩২]
Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭২১টি

সম্পাদনা