বিষয়বস্তুতে চলুন

প্রতিশ্রুতি রক্ষা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
৪ নং লাইন: ৪ নং লাইন:


== গুরুত্ব ==
== গুরুত্ব ==
প্রতিশ্রুতি রক্ষা বলতে কেউ কোন কাজ সম্পাদনের ওয়াদা করলে পূর্ণরূপে সেই কাজ সম্পন্ন করাকে বোঝায়।[১] চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করাকে গুরুত্বপূর্ণ ও উন্নত নৈতিক বিশিষ্ট্যগুলোর একটি এবং প্রতিশ্রুতি ও চুক্তি ভঙ্গ করাকে সর্বনিকৃষ্ট নৈতিক ত্রুটি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।[২]
প্রতিশ্রুতি রক্ষা বলতে, কেউ কোন কাজ সম্পাদনের ওয়াদা করলে পূর্ণরূপে সেই কাজ সম্পন্ন করাকে বোঝায়। চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করাকে গুরুত্বপূর্ণ ও উন্নত [[নৈতিক বিশিষ্টাবলি|নৈতিক বিশিষ্ট্যগুলোর]] একটি এবং প্রতিশ্রুতি ও চুক্তি ভঙ্গ করাকে সর্বনিকৃষ্ট নৈতিক ত্রুটি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।[২]


মাকারেম শিরাজির ভাষায়, পবিত্র কুরআন ও হাদিসে এ প্রসঙ্গে বিস্তারিতভাবে আলোকপাত করা হয়েছে এবং প্রতিশ্রুত রক্ষার বিষয়ে শক্তিশালী বক্তব্য ও তাগিদপূর্ণ ব্যাখ্যার মাধ্যমে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, পাশাপাশি ওয়াদা ভঙ্গকারীকে কঠোরভাবে তিরস্কার ও ভর্ৎসনা করা হয়েছে।[৩]
বিশিষ্ট শীয়া আলেম [[আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজির]] ভাষায়, পবিত্র কুরআন ও হাদিসে এ প্রসঙ্গে বিস্তারিতভাবে আলোকপাত করা হয়েছে এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষার বিষয়ে শক্তিশালী বক্তব্য ও তাগিদপূর্ণ ব্যাখ্যার মাধ্যমে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, পাশাপাশি ওয়াদা ভঙ্গকারীকে কঠোরভাবে তিরস্কার ও ভর্ৎসনা করা হয়েছে।


বিভিন্ন হাদিসে ‘প্রতিশ্রুতি রক্ষা’কে ধর্মের ভিত্তি ও ইয়াক্বীনের (দৃঢ় বিশ্বাস) চিহ্ন,[৪] মহান আল্লাহ্ ও বিচার দিবসের প্রতি ঈমানের নিদর্শন[৫] হিসেবে পরিচয় করানো হয়েছে। পক্ষান্তরে ওয়াদা ভঙ্গ করাকে বে-দ্বীন হওয়ার সমান বলে গন্য করা হয়েছে।[৬] ইমাম সাজ্জাদ (আ.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসের ভিত্তিতে ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা, সকল ধর্মের ৩ নির্যাসের একটি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।[] নাহজুল বালাগা’তে, ‘প্রতিশ্রুতি রক্ষা’ মহান আল্লাহর ধার্যকৃত গুরুত্বপূর্ণ ওয়াজিবকর্মগুলোর অন্যতম বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।[৮]
বিভিন্ন হাদিসে ‘প্রতিশ্রুতি রক্ষা’কে ধর্মের ভিত্তি ও ইয়াক্বীনের (দৃঢ় বিশ্বাস) চিহ্ন, [[মহান আল্লাহ্]] ও বিচার দিবসের প্রতি ঈমানের নিদর্শন হিসেবে পরিচয় করানো হয়েছে। পক্ষান্তরে ওয়াদা ভঙ্গ করাকে বে-দ্বীন হওয়ার সমান বলে গন্য করা হয়েছে। [[ইমাম সাজ্জাদ (আ.)]] থেকে বর্ণিত একটি হাদিসের ভিত্তিতে ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা, সকল ধর্মের ৩ নির্যাসের একটি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। [[নাহজুল বালাগা]]’তে, ‘প্রতিশ্রুতি রক্ষা’ মহান আল্লাহর ধার্যকৃত গুরুত্বপূর্ণ ওয়াজিবকর্মগুলোর অন্যতম বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।


=== প্রতিশ্রুতি রক্ষা; মহান আল্লাহ্, নবিগণ ও ইমামগণের বৈশিষ্ট্য ===
===প্রতিশ্রুতি রক্ষা; মহান আল্লাহ্, নবিগণ ও ইমামগণের বৈশিষ্ট্য===
কিছু কিছু মুফাসসিরের ভাষ্য হল, পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারী বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে নিজের প্রসংশা করছেন। কুরআনে হযরত ইসমাঈলের নাম (صادق الوعد) (ওয়াদা রক্ষায় (দৃঢ়) সত্যবাদী) হিসেবে স্মরণ করা হয়েছে।[১০] শিয়া ইমামদের ক্ষেত্রে বিশেষতঃ ইমাম হুসাইনের (আ.) ক্ষেত্রে যে সকল বৈশিষ্ট্য ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে ‘প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারী’ অন্যতম।[১১]
কিছু কিছু [[মুফাস্সির|মুফাস্সিরের]] ভাষ্য হল, পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারী বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে নিজের প্রসংশা করছেন। কুরআনে [[হযরত ইসমাঈল (আ.)|হযরত ইসমাঈলের]] নাম (صادق الوعد) (ওয়াদা রক্ষায় (দৃঢ়) সত্যবাদী) হিসেবে স্মরণ করা হয়েছে। শিয়া ইমামদের ক্ষেত্রে বিশেষতঃ [[ইমাম হুসাইন (আ.)|ইমাম হুসাইনের (আ.)]] ক্ষেত্রে যে সকল বৈশিষ্ট্য ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে ‘প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারী’ অন্যতম।


== কুরআনের দৃষ্টিতে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা ওয়াজিব ==
== কুরআনের দৃষ্টিতে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা ওয়াজিব ==
Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭২১টি

সম্পাদনা