Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭২১টি
সম্পাদনা
৩৫১ নং লাইন: | ৩৫১ নং লাইন: | ||
===দুনিয়া বিমুখতা=== | ===দুনিয়া বিমুখতা=== | ||
নবি (সা.) ছিলেন দুনিয়াবিমুখ। তাঁর নিজস্ব কোন কক্ষ ছিল না। স্ত্রীদের জন্য কাঁদামাটি দিয়ে তৈরি মসজিদ সংলগ্ন কক্ষগুলোতেই তিনি থাকতেন, যাতে ছিল খেজুরের কাঠের তাক। কামরাগুলোতে দরজার পরিবর্তে, ছাগলের লোম বা উটের পশমের তৈরি পর্দা ঝুলানো ছিল। মাথায় যে বালিশটি দিতেন তাতে খেজুরের পাতা ভর্তি করা হয়েছিল। খেজুরের পাতায় ভরা একটি চামড়ার গদি ছিল, ওটার উপরই তিনি সারা জীবন ঘুমিয়েছেন। তাঁর অন্তর্বাস ছিল রুক্ষ কাপড়ের তৈরি যা শরীরে ক্ষতের সৃষ্টি করত এবং তিনি উটের পশমের তৈরি আবা পরতেন। অথচ [[হুনাইনের যুদ্ধ|হুনাইনের যুদ্ধের]] পর তিনি চার হাজার উট, চল্লিশ হাজারেরও বেশি ভেড়া এবং প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ-রৌপ্য মানুষের মাঝে বিলিয়েছিলেন। | নবি (সা.) ছিলেন দুনিয়াবিমুখ। তাঁর নিজস্ব কোন কক্ষ ছিল না। স্ত্রীদের জন্য কাঁদামাটি দিয়ে তৈরি মসজিদ সংলগ্ন কক্ষগুলোতেই তিনি থাকতেন, যাতে ছিল খেজুরের কাঠের তাক। কামরাগুলোতে দরজার পরিবর্তে, ছাগলের লোম বা উটের পশমের তৈরি পর্দা ঝুলানো ছিল। মাথায় যে বালিশটি দিতেন তাতে খেজুরের পাতা ভর্তি করা হয়েছিল। খেজুরের পাতায় ভরা একটি চামড়ার গদি ছিল, ওটার উপরই তিনি সারা জীবন ঘুমিয়েছেন। তাঁর অন্তর্বাস ছিল রুক্ষ কাপড়ের তৈরি যা শরীরে ক্ষতের সৃষ্টি করত এবং তিনি উটের পশমের তৈরি আবা পরতেন। অথচ [[হুনাইনের যুদ্ধ|হুনাইনের যুদ্ধের]] পর তিনি চার হাজার উট, চল্লিশ হাজারেরও বেশি ভেড়া এবং প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ-রৌপ্য মানুষের মাঝে বিলিয়েছিলেন। | ||
বাড়িতে তৈরি খাবার খেতেন, আসবাবপত্র ও জামাকাপড় ছিল অত্যন্ত সাদাসিধে। অনেক সময় মাস পেরিয়ে গেছে তবুও তাঁর ঘরে চুলা জ্বলেনি, খেজুর ও যবের রুটি খেয়ে তাঁর (সা.) দিন কেটেছে। পরপর দুদিন কখনও পেট ভর্তি করে খাবার খাননি। একদিনে দু’বেলা পেট ভরে খেয়ে দস্তরখান থেকে উঠতেন না। প্রায়শই এমন ঘটনা ঘটত যে, তিনি ও তাঁর সাথের লোকেরা রাতে ক্ষুধার্ত ঘুমিয়েছেন। একদিন ফাতিমা (সা. আ.) তাঁর (সা.) জন্য কিছু যবের রুটি এনে বললেন: আমি কিছু রুটি বানিয়েছি, আপনাকে না দিয়ে খেতে পারিনি। তিনি তা খেয়ে বললেন, তিনদিনে এটাই তোমার বাবার একমাত্র খাবার। একদিন এক আনসারের খেজুর বাগানে খেজুর খাওয়ার সময় বললেন, | বাড়িতে তৈরি খাবার খেতেন, আসবাবপত্র ও জামাকাপড় ছিল অত্যন্ত সাদাসিধে। অনেক সময় মাস পেরিয়ে গেছে তবুও তাঁর ঘরে চুলা জ্বলেনি, খেজুর ও যবের রুটি খেয়ে তাঁর (সা.) দিন কেটেছে। পরপর দুদিন কখনও পেট ভর্তি করে খাবার খাননি। একদিনে দু’বেলা পেট ভরে খেয়ে দস্তরখান থেকে উঠতেন না। প্রায়শই এমন ঘটনা ঘটত যে, তিনি ও তাঁর সাথের লোকেরা রাতে ক্ষুধার্ত ঘুমিয়েছেন। একদিন ফাতিমা (সা. আ.) তাঁর (সা.) জন্য কিছু যবের রুটি এনে বললেন: আমি কিছু রুটি বানিয়েছি, আপনাকে না দিয়ে খেতে পারিনি। তিনি তা খেয়ে বললেন, তিনদিনে এটাই তোমার বাবার একমাত্র খাবার। একদিন এক আনসারের খেজুর বাগানে খেজুর খাওয়ার সময় বললেন, এটি চতুর্থ দিন যে আমি উপবাসে ছিলাম। ক্ষুধার তীব্রতা কমাতে কখনো কখনো পেটে পাথর বেঁধে রাখতেন। মৃত্যুর সময়, তাঁর বর্মটি ত্রিশ বাটি যবের বিনিময়ে এক ইহুদির কাছে বন্ধক ছিল।<ref>পায়ান্দেহ, নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ৩৫-৩৬।</ref> | ||
==শৃঙ্খলা ও পরিপাটি== | ==শৃঙ্খলা ও পরিপাটি== |