বিষয়বস্তুতে চলুন

হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

১৮৫ নং লাইন: ১৮৫ নং লাইন:
: ''মূল নিবন্ধ: [[ওহুদ যুদ্ধ]]''
: ''মূল নিবন্ধ: [[ওহুদ যুদ্ধ]]''


তৃতীয় হিজরীতে কুরাইশ তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ গোত্রগুলোর কাছে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সাহায্য চাইল। এরপর তারা আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে সুসজ্জিত এক বাহিনী নিয়ে মদিনার উদ্দেশ্যে রওনা হল। প্রথমে মহানবি (সা.) মদিনায় থেকে তাদের মোকাবিলা করতে চাইলেও পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিলেন মদিনার বাইরে তাদের মোকাবিলা করবেন। [[ওহুদ পাহাড়|ওহুদ পাহাড়ের]] কাছাকাছি একটি স্থানে দুই বাহিনী পরস্পরে মুখোমুখি হল। সংঘর্ষের শুরুতে মুসলমানরা বিজয়ী হলেও [[খালেদ বিন ওয়ালিদ]] মুসলিম বাহিনীর একটি দলের গাফিলতির সুযোগ নিয়ে মুসলিম বাহিনীর পেছনে পৌঁছে যায় এবং পেছন থেকে মুসলিম বাহিনীকে আক্রমন করে বসে। ফলে মুসলমানদের বিজয় পরাজয়ে রূপান্তরীত হয়। এ যুদ্ধে আল্লাহর রাসূলের (সা.) চাচা [[হযরত হামযা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব]] শহীদ হন। মহানবিও (সা.) গুরুতর আহত হন। তাঁর (সা.) শাহাদাতের গুজব ছড়িয়ে পড়লে মুসলিম বাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে যায়।<ref>দেখুন; জাফারিয়ান, সিরিয়ে রাসুলে খোদা (সা.), ১৩৮০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৫০৪-৫২৩।</ref> ইবনে ইসহাকের উদ্ধৃতি দিয়ে ইবনে হিশাম বর্ণনা করেছেন: ওহুদের যুদ্ধ ১৫ই শাওয়াল ঘটেছিল।<ref>ইবনে হিশাম, সিরাতুন নাবাভিয়্যাহ, দারু ইহইয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ২, পৃ. ১০৬।</ref> মুসলিম সৈন্যদের পলায়নে মহানবির (সা.) জীবন হুমকির মুখে পড়ে এ সময় যে বীরত্ব হযরত আলী ইবনে আবি তালিব (আ.) দেখিয়েছিলেন সে বিষয়ে ঐতিহাসিকদের মতৈক্য রয়েছে।
তৃতীয় হিজরীতে কুরাইশরা তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ গোত্রগুলোর কাছে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সাহায্য চাইল। এরপর তারা আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে সুসজ্জিত এক বাহিনী নিয়ে মদিনার উদ্দেশ্যে রওনা হল। প্রথমে মহানবি (সা.) মদিনায় থেকে তাদের মোকাবিলা করতে চাইলেও পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিলেন মদিনার বাইরে তাদের মোকাবিলা করবেন। [[ওহুদ পাহাড়|ওহুদ পাহাড়ের]] কাছাকাছি একটি স্থানে দুই বাহিনী পরস্পরে মুখোমুখি হল। সংঘর্ষের শুরুতে মুসলমানরা বিজয়ী হলেও [[খালেদ বিন ওয়ালিদ]] মুসলিম বাহিনীর একটি দলের গাফিলতির সুযোগ নিয়ে মুসলিম বাহিনীর পেছনে পৌঁছে যায় এবং পেছন থেকে মুসলিম বাহিনীকে আক্রমন করে বসে। ফলে মুসলমানদের বিজয় পরাজয়ে রূপান্তরীত হয়। এ যুদ্ধে আল্লাহর রাসূলের (সা.) চাচা [[হযরত হামযা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব]] শহীদ হন। মহানবিও (সা.) গুরুতর আহত হন। তাঁর (সা.) শাহাদাতের গুজব ছড়িয়ে পড়লে মুসলিম বাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে যায়।<ref>দেখুন; জাফারিয়ান, সিরিয়ে রাসুলে খোদা (সা.), ১৩৮০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৫০৪-৫২৩।</ref> ইবনে ইসহাকের উদ্ধৃতি দিয়ে ইবনে হিশাম বর্ণনা করেছেন: ওহুদের যুদ্ধ ১৫ই শাওয়াল ঘটেছিল।<ref>ইবনে হিশাম, সিরাতুন নাবাভিয়্যাহ, দারু ইহইয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ২, পৃ. ১০৬।</ref> মুসলিম সৈন্যদের পলায়নে মহানবির (সা.) জীবন হুমকির মুখে পড়ে এ সময় যে বীরত্ব হযরত আলী ইবনে আবি তালিব (আ.) দেখিয়েছিলেন সে বিষয়ে ঐতিহাসিকদের মতৈক্য রয়েছে।


===বনি নাযির ও দুমাতুল জান্দালের অভিযান===
===বনি নাযির ও দুমাতুল জান্দালের অভিযান===
Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭২১টি

সম্পাদনা