Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭২১টি
সম্পাদনা
৩৬৬ নং লাইন: | ৩৬৬ নং লাইন: | ||
==অমীয়বাণী== | ==অমীয়বাণী== | ||
মহানবির (সা.) পবিত্র মূখ থেকে নিসৃত মহামূল্যবান বাণীরগুলো কয়েকটি নিম্নরূপ- | |||
*প্রতিবেশীকে ক্ষুধার্ত রেখে পেট ভর্তি করে মু’মিন খায় না।<ref>(لایشبع المؤمن دون جاره) পায়ান্দেহ, নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ৬৮৩, হা. নং ২৫৪৫।</ref> | *প্রতিবেশীকে ক্ষুধার্ত রেখে পেট ভর্তি করে মু’মিন খায় না।<ref>(لایشبع المؤمن دون جاره) পায়ান্দেহ, নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ৬৮৩, হা. নং ২৫৪৫।</ref> | ||
*মু’মিন ওঁৎপেতে থেকে কারও রক্ত ঝরায় না।<ref>(لایفتک مؤمن) নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ৬৮৩, হা. নং ২৫৫০।</ref> | *মু’মিন ওঁৎপেতে থেকে কারও রক্ত ঝরায় না।<ref>(لایفتک مؤمن) নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ৬৮৩, হা. নং ২৫৫০।</ref> | ||
*ঈমানহীন আমল এবং আমল হীন ঈমান গ্রহণযোগ্য নয়।<ref>নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ৬৮৪, হা. নং ২৫৫৩।</ref> | *ঈমানহীন আমল এবং আমল হীন ঈমান গ্রহণযোগ্য নয়।<ref>নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ৬৮৪, হা. নং ২৫৫৩।</ref> | ||
*৩টি জিনিস যদি কারো মাঝে না থাকে তাহলে তার কাজ সমাধা হবে না; এমন তাক্বওয়া যা তাকে পাপ থেকে বিরত রাখে, এমন আখলাক যা তাকে জনগণের সাথে সহনশীল হতে শেখায়, এমন সহিষ্ণুতা যার মাধ্যমে সে তুচ্ছতাচ্ছিল্যকারীদের তুচ্ছতাচ্ছিল্যকে প্রতিহত করতে পারে।<ref>নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ৪২৪, হা. নং ১২৮৮।</ref> | *৩টি জিনিস যদি কারো মাঝে না থাকে তাহলে তার কাজ সমাধা হবে না; এমন তাক্বওয়া যা তাকে পাপ থেকে বিরত রাখে, এমন আখলাক যা তাকে জনগণের সাথে সহনশীল হতে শেখায়, এমন সহিষ্ণুতা যার মাধ্যমে সে তুচ্ছতাচ্ছিল্যকারীদের তুচ্ছতাচ্ছিল্যকে প্রতিহত করতে পারে।<ref>নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ৪২৪, হা. নং ১২৮৮।</ref> | ||
অসহায়ের উপকার সাধন ও আত্মীয়তার বন্ধন জোড়া লাগানোর প্রতিদান অন্য সৎকাজ অপেক্ষা দ্রুত পৌঁছায় এবং জুলুম ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার শাস্তি অন্যান্য মন্দ কর্ম অপেক্ষা দ্রুত পৌঁছায়।<ref>নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ২১১, হা. নং ২৯৩।</ref> | *অসহায়ের উপকার সাধন ও আত্মীয়তার বন্ধন জোড়া লাগানোর প্রতিদান অন্য সৎকাজ অপেক্ষা দ্রুত পৌঁছায় এবং জুলুম ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার শাস্তি অন্যান্য মন্দ কর্ম অপেক্ষা দ্রুত পৌঁছায়।<ref>নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ২১১, হা. নং ২৯৩।</ref> | ||
*৩টি জিনিস ধর্মের জন্য ক্ষতিকর; অসৎকর্মশীল জ্ঞানী ব্যক্তি, অত্যাচারী শাসক এবং মূর্খ পরিশ্রমী ও চেষ্টাকারী।<ref>(آفة الدین ثلاثة: فقیه فاجر و امام جائر و مجتهد جاهل) নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ২১১, হা. নং ২৯১।</ref> | *৩টি জিনিস ধর্মের জন্য ক্ষতিকর; অসৎকর্মশীল জ্ঞানী ব্যক্তি, অত্যাচারী শাসক এবং মূর্খ পরিশ্রমী ও চেষ্টাকারী।<ref>(آفة الدین ثلاثة: فقیه فاجر و امام جائر و مجتهد جاهل) নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ২১১, হা. নং ২৯১।</ref> | ||
*মহান আল্লাহর নিকট সর্বনিকৃষ্ট হালাল হচ্ছে ‘তালাক’।<ref>(ابغض الحلال الی الله الطلاق) পায়ান্দেহ, নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ১৫৭, হা. নং ১৬।</ref> | *মহান আল্লাহর নিকট সর্বনিকৃষ্ট হালাল হচ্ছে ‘তালাক’।<ref>(ابغض الحلال الی الله الطلاق) পায়ান্দেহ, নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ১৫৭, হা. নং ১৬।</ref> | ||
*দুস্থ ও অভাবীদের সাথে বন্ধুত্ব | *দুস্থ ও অভাবীদের সাথে বন্ধুত্ব কর, কারণ কিয়ামতের দিন তারা বড় সম্পদের অধিকারী হবে।<ref>পায়ান্দেহ, নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ১৬০, হা. নং ২৯।</ref> | ||
মহান আল্লার নিকট তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে সবচেয়ে প্রিয় বান্দা হল সে যে আল্লাহর বান্দাদের জন্য অধিক উপকারী ও কাজের সাব্যস্ত হয়।<ref>পায়ান্দেহ, নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ১৬৩, হা. নং ৮৬।</ref> | মহান আল্লার নিকট তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে সবচেয়ে প্রিয় বান্দা হল সে, যে আল্লাহর বান্দাদের জন্য অধিক উপকারী ও কাজের সাব্যস্ত হয়।<ref>পায়ান্দেহ, নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ১৬৩, হা. নং ৮৬।</ref> | ||
*তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম হল তারা, যারা নিজের স্ত্রীদের জন্য ভাল হয়।<ref>পায়ান্দেহ, নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ৪৬৫, হা. নং ১৪৭৭।</ref> | *তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম হল তারা, যারা নিজের স্ত্রীদের জন্য ভাল হয়।<ref>পায়ান্দেহ, নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ৪৬৫, হা. নং ১৪৭৭।</ref> | ||
আমার উম্মতের মধ্যে দু’টি দল সংশোধিত হলে আমার উম্মত সংশোধিত হবে, আর যদি তারা ফাসিদ (চরিত্রহীন) হয়ে যায় তাহলে আমার উম্মতও ফাসিদ (চরিত্রহীন) হয়ে যাবে। তাঁকে (সা.) জিজ্ঞেস করা হল; হে আল্লাহর রাসূল! ঐ দু’টি দল কারা। তিনি (সা.) বললেন: ফকীহ ও শাসকগণ।<ref>শেইখ সাদুক, খিসাল, ১৩৬২ সৌরবর্ষ, খণ্ড ১, পৃ. ৩৭।</ref> | আমার উম্মতের মধ্যে দু’টি দল সংশোধিত হলে আমার উম্মত সংশোধিত হবে, আর যদি তারা ফাসিদ (চরিত্রহীন) হয়ে যায় তাহলে আমার উম্মতও ফাসিদ (চরিত্রহীন) হয়ে যাবে। তাঁকে (সা.) জিজ্ঞেস করা হল; হে আল্লাহর রাসূল! ঐ দু’টি দল কারা। তিনি (সা.) বললেন: ফকীহ ও শাসকগণ।<ref>শেইখ সাদুক, খিসাল, ১৩৬২ সৌরবর্ষ, খণ্ড ১, পৃ. ৩৭।</ref> |