Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭২১টি
সম্পাদনা
৩৫৪ নং লাইন: | ৩৫৪ নং লাইন: | ||
==শৃঙ্খলা ও পরিপাটি== | ==শৃঙ্খলা ও পরিপাটি== | ||
মহানবির (সা.) জীবন ছিল অত্যন্ত সুশৃঙ্খল। [[মসজিদ|মসজিদের]] নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার পর তিনি প্রতিটি খুঁটির জন্য আলাদা নাম রাখলেন, যাতে বোঝা যায় কোন খুঁটিতে কি কাজ হচ্ছে। যেমন: প্রতিনিধিদল ও অতিথিদের বসার খুঁটি এবং তাহাজ্জুদের নামাজের খুঁটি ইত্যাদি।<ref>দেলশাদ তেহরানি, সিরায়ে নাবাভি ‘মানতেকে আমালি’, খণ্ড ৩, পৃ. ৩৫২।</ref> নামাজের সারিগুলোকে এমন সোজা ভাবে দাঁড় করাতেন যেন তীরের দণ্ড সোজা করছেন এবং বলতেন: ‘হে আল্লাহর বান্দারা তোমাদের সারিগুলোকে সোজা করে নাও, তা না হলে তোমাদের অন্তরগুলোর মাঝে বিভেদ সৃষ্টি হবে।<ref>আন-নিসাবুরি, সহিহ মুসলিম, খণ্ড ২, পৃ. ৩১; আল-বায়হাকি, সুনানুল কোবরা, খণ্ড ২, পৃ. ২১।</ref> দৈনন্দিন জীবনেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত সুশৃঙ্খল। নিজের সময়কে ৩ | মহানবির (সা.) জীবন ছিল অত্যন্ত সুশৃঙ্খল। [[মসজিদ|মসজিদের]] নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার পর তিনি প্রতিটি খুঁটির জন্য আলাদা নাম রাখলেন, যাতে বোঝা যায় কোন খুঁটিতে কি কাজ হচ্ছে। যেমন: প্রতিনিধিদল ও অতিথিদের বসার খুঁটি এবং তাহাজ্জুদের নামাজের খুঁটি ইত্যাদি।<ref>দেলশাদ তেহরানি, সিরায়ে নাবাভি ‘মানতেকে আমালি’, খণ্ড ৩, পৃ. ৩৫২।</ref> নামাজের সারিগুলোকে এমন সোজা ভাবে দাঁড় করাতেন যেন তীরের দণ্ড সোজা করছেন এবং বলতেন: ‘হে আল্লাহর বান্দারা! তোমাদের সারিগুলোকে সোজা করে নাও, তা না হলে তোমাদের অন্তরগুলোর মাঝে বিভেদ সৃষ্টি হবে।<ref>আন-নিসাবুরি, সহিহ মুসলিম, খণ্ড ২, পৃ. ৩১; আল-বায়হাকি, সুনানুল কোবরা, খণ্ড ২, পৃ. ২১।</ref> দৈনন্দিন জীবনেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত সুশৃঙ্খল। নিজের সময়কে ৩ ভাগে ভাগ করতেন, একাংশ আল্লাহর ইবাদতের জন্য, একাংশ পরিবারের জন্য এবং আরেক অংশ নিজের জন্য। অতঃপর নিজের অংশের সময়কে নিজের এবং মানুষের মাঝে ভাগ করে নিতেন।<ref>ইবনে সায়াদ, আত-তাবাকাতুল কুবরা, খণ্ড ১, পৃ. ৪২৩; আস-সায়ালাবি, জাওয়াহেরুল হিসান ফি তাফসিরিল কুরআন, খণ্ড ৪, পৃ. ৩০৬।</ref> | ||
মহানবি (সা.) আয়না দেখতেন, নিজের চুল পরিপাটি করতেন ও | মহানবি (সা.) আয়না দেখতেন, নিজের চুল পরিপাটি করতেন ও আঁচড়াতেন, শুধু নিজের স্ত্রী ও পরিবারের জন্য পরিপাটি হতেন না, বরং নিজের সাথীদের জন্যও পরিপাটি থাকতেন।<ref>তাবারসি, মাকারেমুল আখলাক, কোম: শারিফ রাযি, ৬ষ্ঠ সংস্করণ, ১৩৯২ সৌরবর্ষ, পৃ. ৩৪-৩৫।</ref> সফরে বাহ্যিকভাবে পরিপাটি থাকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতেন। আর সবসময় ৫টি জিনিস তাঁর সাথে থাকত; আয়না, সুরমা, চিরুনি, মেসওয়াক ও কাঁচি।<ref>হালাবি, আস-সিরাতুল হালাবিয়াহ, বৈরুত: দারুল মা’রেফাহ, ১৪০০ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩৫২।</ref> | ||
===উম্মি নবি=== | ===উম্মি নবি=== | ||
: ''মূল নিবন্ধ: [[নিরক্ষর নবি]]'' | : ''মূল নিবন্ধ: [[নিরক্ষর নবি]]'' | ||
পবিত্র [[কুরআন|কুরআনে]] তাঁকে উম্মি নবি হিসেবে পরিচয় করানো হয়েছে, এর অর্থ হল পড়া ও লেখার সাথে পরিচিত না থাকা।<ref>কারাশি, কামুসুল কুরআন, ১৩৭১ ফার্সী সন, খণ্ড ১, পৃ. ১১৯।</ref> পবিত্র কুরআনে মহানবির (সা.) উম্মি হওয়াটা এমন এক বৈশিষ্ট হিসেবে উল্লেখ করছে, যে বৈশিষ্টের মাধ্যমে [[তাওরাত]] ও [[ইঞ্জিল|ইঞ্জিলে]] মহানবিকে (সা.) পরিচয় করানো হয়েছে।<ref>কারাশি, তাফসিরে আহসানুল হাদীস, ১৩৭৭ সৌরবর্ষ, খণ্ড ৪, পৃ. ১৭।</ref> | |||
উম্মী হওয়াটা বিশ্বনবীর (সা.) জন্য একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য বলে বিবেচিত; কারণ জ্ঞান অর্জনের জন্য লেখা-পড়া করার মতো অক্ষরজ্ঞান তাঁর ছিল না, কিন্তু তিনি আসমানী জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন এবং মানুষের জন্য পথপ্রদর্শন ও পরিত্রাণের উপাদান প্রস্তুত করেছিলেন।[১২৬. মুগনিয়া, তাফসীরুল কাশেফ, ১৪৪৩ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৪০৪] গবেষকদের মতে, লেখা ও পড়া না শেখা এক ব্যক্তির জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় পূর্ণ কোরআন নিয়ে আসা, প্রকৃত অর্থে একটি [[মুযিজা]]। <ref>রাবীনিয়া, উম্মি, পৃ. ৪০০।</ref> | উম্মী হওয়াটা বিশ্বনবীর (সা.) জন্য একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য বলে বিবেচিত; কারণ জ্ঞান অর্জনের জন্য লেখা-পড়া করার মতো অক্ষরজ্ঞান তাঁর ছিল না, কিন্তু তিনি আসমানী জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন এবং মানুষের জন্য পথপ্রদর্শন ও পরিত্রাণের উপাদান প্রস্তুত করেছিলেন।[১২৬. মুগনিয়া, তাফসীরুল কাশেফ, ১৪৪৩ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৪০৪] গবেষকদের মতে, লেখা ও পড়া না শেখা এক ব্যক্তির জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় পূর্ণ কোরআন নিয়ে আসা, প্রকৃত অর্থে একটি [[মুযিজা]]। <ref>রাবীনিয়া, উম্মি, পৃ. ৪০০।</ref> |