বিষয়বস্তুতে চলুন

হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

১৩৩ নং লাইন: ১৩৩ নং লাইন:
মহানবির (সা.) মক্কা থেকে হিজরতের ৩ দিন পর হযরত আলী (আ.) তাঁর (সা.) নিকট গচ্ছিত মক্কার লোকদের আমানত সেগুলোর মালিকদের কাছে হস্তান্তরের পর বনি হাশিমের নারীদের সাথে -যাদের মাঝে হযরত ফাতেমাও (সা. আ.) ছিলেন- মদিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন এবং কোবা পল্লীতে কুলসুম বিন হাদমের গৃহে এসে মহানবির (সা.) সাথে যুক্ত হন।<ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৬০</ref>
মহানবির (সা.) মক্কা থেকে হিজরতের ৩ দিন পর হযরত আলী (আ.) তাঁর (সা.) নিকট গচ্ছিত মক্কার লোকদের আমানত সেগুলোর মালিকদের কাছে হস্তান্তরের পর বনি হাশিমের নারীদের সাথে -যাদের মাঝে হযরত ফাতেমাও (সা. আ.) ছিলেন- মদিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন এবং কোবা পল্লীতে কুলসুম বিন হাদমের গৃহে এসে মহানবির (সা.) সাথে যুক্ত হন।<ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৬০</ref>


শুক্রবার ১২ রবিউল আওয়াল মহানবি (সা.) বনি নাজ্জার গোত্রের একদল লোককে সঙ্গে নিয়ে মদিনার উদ্দেশ্যে রওনা হন এবং প্রথম [[জুমআর নামাজ]] বনি সালেম বিন আওফ গোত্রে আদায় করেন। তিনি শহরে প্রবেশ করলে প্রত্যেক গোত্রের প্রধান এবং পরিবারের কর্তারা তাঁকে নিজ বাড়ি নিতে চাইলেন। মহানবি (সা.) বললেন: আমার উট যেখানে বসবে সেখানেই আমার আবাসস্থল হবে। তিনি (সা.) আমন্ত্রণকারীদের উদ্দেশ্যে বললেন: উটের জন্য রাস্তা উন্মুক্ত কর সে দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং জানে যে তাকে কোথায় যেতে হবে। উট বনি মালিক ও বনি নাজ্জার গোত্রের মাঝামাঝি সাহল ও সুহাইল নামক দুই এতিম সহোদরের অধিকৃত স্থানে বসে পড়ল। মহানবি (সা.) ঐ জমির দুই মালিকের তত্ত্বাবধায়ক [[মুয়াজ বিন আফরা]]র কাছ থেকে জমিটি কিনে নিলেন এবং সেখানে মসজিদ নির্মাণ করলেন, যা ছিল [[মসজিদে নববি]]র ভিত্তি।  
শুক্রবার ১২ রবিউল আওয়াল মহানবি (সা.) বনি নাজ্জার গোত্রের একদল লোককে সঙ্গে নিয়ে মদিনার উদ্দেশ্যে রওনা হন এবং প্রথম [[জুমআর নামাজ]] বনি সালেম বিন আওফ গোত্রে আদায় করেন। তিনি শহরে প্রবেশ করলে প্রত্যেক গোত্রের প্রধান এবং পরিবারের কর্তারা তাঁকে নিজ বাড়িতে নিতে চাইলেন। মহানবি (সা.) বললেন: আমার উট যেখানে বসবে সেখানেই আমার আবাসস্থল হবে। তিনি (সা.) আমন্ত্রণকারীদের উদ্দেশ্যে বললেন: উটের জন্য রাস্তা উন্মুক্ত কর, সে দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং জানে যে তাকে কোথায় যেতে হবে। উট বনি মালিক ও বনি নাজ্জার গোত্রের মাঝামাঝি সাহল ও সুহাইল নামক দুই এতিম সহোদরের অধিকৃত স্থানে বসে পড়ল। মহানবি (সা.) ঐ জমির দুই মালিকের তত্ত্বাবধায়ক [[মুয়াজ বিন আফরা]]র কাছ থেকে জমিটি কিনে নিলেন এবং সেখানে মসজিদ নির্মাণ করলেন, যা ছিল [[মসজিদে নববি]]র ভিত্তি।  
স্থানটি খেজুর ও অন্যান্য ফসল শুকানোর জন্য ব্যবহৃত হত। হযরত [[আবু আইয়ুব আনসারী]]র গৃহ এর সন্নিকটেই ছিল। তাঁর মাতা গোপনে রাসূলের (সা.) আসবাবপত্র নিজ গৃহে উঠালেন। এদিকে সকলে নবীকে (সা.) নিজ গৃহে নেয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করতে লাগল। মহানবী তাদের থামিয়ে দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন: ‘(আমার) আসবাবপত্র কোথায়?’ সকলে বলল, ‘আবু আইয়ুবের মা তা নিয়ে গেছেন।’ মহানবী বললেন, ‘লোকেরা সেখানেই ওঠে যেখানে তার আসবাবপত্র থাকে।’ অতঃপর আসআদ ইবনে জুরারাহ্ উটের রশি ধরে নবীকে (সা.) সেখানে পৌঁছে দেন। মহানবির (সা.) হুজরা (কামরা) তৈরি  না হওয়া পর্যন্ত তিনি আবু আইয়ুব আনসারির বাড়িতে অবস্থান করেন এবং মসজিদ নির্মাণে  
স্থানটি খেজুর ও অন্যান্য ফসল শুকানোর জন্য ব্যবহৃত হত। হযরত [[আবু আইয়ুব আনসারী]]র গৃহ এর সন্নিকটেই ছিল। তাঁর মাতা গোপনে রাসূলের (সা.) আসবাবপত্র নিজ গৃহে উঠালেন। এদিকে সকলে নবীকে (সা.) নিজ গৃহে নেয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করতে লাগল। মহানবী তাদের থামিয়ে দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন: ‘(আমার) আসবাবপত্র কোথায়?’ সকলে বলল, ‘আবু আইয়ুবের মা তা নিয়ে গেছেন।’ মহানবী বললেন, ‘লোকেরা সেখানেই ওঠে যেখানে তার আসবাবপত্র থাকে।’ অতঃপর আসআদ ইবনে জুরারাহ্ উটের রশি ধরে নবীকে (সা.) সেখানে পৌঁছে দেন। মহানবির (সা.) হুজরা (কামরা) তৈরি  না হওয়া পর্যন্ত তিনি আবু আইয়ুব আনসারির বাড়িতে অবস্থান করেন এবং মসজিদ নির্মাণে  
মুসলমানদের সাহায্য করতে থাকেন।<ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৬০-৬৩।</ref>
মুসলমানদের সাহায্য করতে থাকেন।<ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৬০-৬৩।</ref>
Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭২১টি

সম্পাদনা