Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭৬৩টি
সম্পাদনা
৩১৫ নং লাইন: | ৩১৫ নং লাইন: | ||
মহানবি (সা.) আয়না দেখতেন, নিজের চুল পরিপাটি করতেন ও আচড়াতেন, শুধু নিজের স্ত্রী ও পরিবারের জন্য পরিপাটি হতেন না, বরং নিজেদের সাথীদের জন্যও পরিপাটি থাকতেন।<ref>তাবারসি, মাকারেমুল আখলাক, কোম: শারিফ রাযি, ৬ষ্ঠ সংস্করণ, ১৩৯২ সৌরবর্ষ, পৃ. ৩৪-৩৫।</ref> সফরে বাহ্যিকভাবে পরিপাটি থাকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতেন। আর সবসময় ৫টি জিনিস তাঁর সাথে থাকত; আয়না, সুরমা, চিরুনি, মেসওয়াক ও কাঁচি।<ref>হালাবি, আস-সিরাতুল হালাবিয়াহ, বৈরুত: দারুল মা’রেফাহ, ১৪০০ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩৫২।</ref> | মহানবি (সা.) আয়না দেখতেন, নিজের চুল পরিপাটি করতেন ও আচড়াতেন, শুধু নিজের স্ত্রী ও পরিবারের জন্য পরিপাটি হতেন না, বরং নিজেদের সাথীদের জন্যও পরিপাটি থাকতেন।<ref>তাবারসি, মাকারেমুল আখলাক, কোম: শারিফ রাযি, ৬ষ্ঠ সংস্করণ, ১৩৯২ সৌরবর্ষ, পৃ. ৩৪-৩৫।</ref> সফরে বাহ্যিকভাবে পরিপাটি থাকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতেন। আর সবসময় ৫টি জিনিস তাঁর সাথে থাকত; আয়না, সুরমা, চিরুনি, মেসওয়াক ও কাঁচি।<ref>হালাবি, আস-সিরাতুল হালাবিয়াহ, বৈরুত: দারুল মা’রেফাহ, ১৪০০ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩৫২।</ref> | ||
==উম্মি নবি== | ===উম্মি নবি=== | ||
: ''মূল নিবন্ধ: [[নিরক্ষর নবি]]'' | |||
উম্মী হওয়াটা বিশ্বনবীর (সা.) জন্য একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য বলে বিবেচিত; কারণ জ্ঞান অর্জনের জন্য লেখা-পড়া করার মতো অক্ষরজ্ঞান তাঁর ছিল না, কিন্তু তিনি আসমানী জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন এবং মানুষের জন্য পথপ্রদর্শন ও পরিত্রাণের উপাদান প্রস্তুত করেছিলেন।[১২৬. মুগনিয়া, তাফসীরুল কাশেফ, ১৪৪৩ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৪০৪] গবেষকদের মতে, লেখা ও পড়া না শেখা এক ব্যক্তির জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় পূর্ণ কোরআন নিয়ে আসা, প্রকৃত অর্থে একটি | মহানবি (সা.) ক্ষেত্রে পবিত্র [[কুরআন|কুরআনে]] তাঁকে উম্মি নবি হিসেবে পরিচয় করানো হয়েছে, এর অর্থ হল পড়া ও লেখার সাথে পরিচিত না থাকা।<ref>কারাশি, কামুসুল কুরআন, ১৩৭১ ফার্সী সন, খণ্ড ১, পৃ. ১১৯।</ref> পবিত্র কুরআনে মহানবির (সা.) উম্মি হওয়াটা এমন এক বৈশিষ্ট হিসেবে উল্লেখ করছে, যে বৈশিষ্টের মাধ্যমে [[তাওরাত]] ও [[ইঞ্জিল|ইঞ্জিলে]] মহানবিকে (সা.) পরিচয় করানো হয়েছে।<ref>কারাশি, তাফসিরে আহসানুল হাদীস, ১৩৭৭ সৌরবর্ষ, খণ্ড ৪, পৃ. ১৭।</ref> | ||
উম্মী হওয়াটা বিশ্বনবীর (সা.) জন্য একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য বলে বিবেচিত; কারণ জ্ঞান অর্জনের জন্য লেখা-পড়া করার মতো অক্ষরজ্ঞান তাঁর ছিল না, কিন্তু তিনি আসমানী জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন এবং মানুষের জন্য পথপ্রদর্শন ও পরিত্রাণের উপাদান প্রস্তুত করেছিলেন।[১২৬. মুগনিয়া, তাফসীরুল কাশেফ, ১৪৪৩ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৪০৪] গবেষকদের মতে, লেখা ও পড়া না শেখা এক ব্যক্তির জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় পূর্ণ কোরআন নিয়ে আসা, প্রকৃত অর্থে একটি [[মুযিজা]]। <ref>রাবীনিয়া, উম্মি, পৃ. ৪০০।</ref> | |||
=অমীয়বাণী= | =অমীয়বাণী= |