Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭৬৭টি
সম্পাদনা
২৫৬ নং লাইন: | ২৫৬ নং লাইন: | ||
[[১১তম হিজরী]]র শুরুর দিকে মহানবি (সা.) অসুস্থ হলেন। তাঁর (সা.) অসুস্থতা বেড়ে গেলে তিনি মিম্বরে গিয়ে মুসলমানদেরকে পরস্পরের সাথে দয়াসুলভ আচরণের তাকীদ করে বললেন: যদি কারও অধিকার আমার কাঁধে থাকে তাহলে হয় সে অধিকারের দাবী তুলে নিক অথবা যদি কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে আমি তাকে শোধ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।<ref>ইবনে সায়াদ, তাবাকাতুল কোবরা, খণ্ড ২, পৃ. ২৫৫।</ref> | [[১১তম হিজরী]]র শুরুর দিকে মহানবি (সা.) অসুস্থ হলেন। তাঁর (সা.) অসুস্থতা বেড়ে গেলে তিনি মিম্বরে গিয়ে মুসলমানদেরকে পরস্পরের সাথে দয়াসুলভ আচরণের তাকীদ করে বললেন: যদি কারও অধিকার আমার কাঁধে থাকে তাহলে হয় সে অধিকারের দাবী তুলে নিক অথবা যদি কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে আমি তাকে শোধ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।<ref>ইবনে সায়াদ, তাবাকাতুল কোবরা, খণ্ড ২, পৃ. ২৫৫।</ref> | ||
==দোয়াত ও কাগজের হাদীস== | ===দোয়াত ও কাগজের হাদীস=== | ||
: ''মূল নিবন্ধ:[[দোয়াত ও কাগজের হাদীস]]'' | |||
আহলে সুন্নতের অপর প্রসিদ্ধ গ্রন্থ সহীহ মুসলিমের বর্ণনার ভিত্তিতে মহানবির (সা.) বিরোধিতাকারী ব্যক্তি ছিলেন | [[আহলে সুন্নত|আহলে সুন্নতের]] সবচেয়ে প্রসিদ্ধ গ্রন্থ [[সহীহ আল-বুখারী]]র বর্ণনার ভিত্তিতে, আল্লাহর রাসূল (সা.) নিজের জীবনের শেষদিনগুলোর একদিন একদল সাহাবী তাকে দেখতে গেলেন, যদিও তাদের উপর নির্দেশ ছিল উসামার বাহিনীতে যোগদানের, কিন্তু তারা তা অমান্য করে আল্লাহর নবিকে দেখতে যান। তিনি তাদেরকে বললেন: আমাকে কাগজ ও কলম এনে দাও, তোমাদের জন্য এমন কিছু লিখে দেই যার ফলে তোমরা কখনই বিভ্রান্ত হবে না। উপস্থিতদের একজন বলল: আল্লাহর রাসূলের (সা.) অসুস্থতা তীব্রতর হয়েছে (এবং তিনি প্রলাপ বকছেন), আমাদের কাছে কুরআন রয়েছে আর তা আমাদের জন্য যথেষ্ঠ। এ সময় উপস্থিতদের মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা দিল এবং তারা শোরগোল করতে লাগল। তাদের কেউ বলল: কাগজ ও কলম এনে দাও যাতে তিনি সে মূল্যবান উপদেশ লিখে দিতে পারেন, আবার কেউ বাধা দিল। এ সময় আল্লাহর রাসূল (সা.) বললেন: আমার কাছ থেকে চলে যাও।<ref>বুখারি, সহিহ বুখারি, খণ্ড ৬, বাবে মারাযুন নাবি (সা.) ও ওয়াফাতুহু, পৃ. ১২, প্রকাশক দারুল জীল, বৈরুত।</ref> | ||
আহলে সুন্নতের অপর প্রসিদ্ধ গ্রন্থ [[সহীহ মুসলিম|সহীহ মুসলিমের]] বর্ণনার ভিত্তিতে মহানবির (সা.) বিরোধিতাকারী ব্যক্তি ছিলেন ‘[[উমর ইবনে খাত্তাব]]’। একই গ্রন্থে এবং সহীহ বুখারীতেও বর্ণিত হয়েছে যে, [[ইবনে আব্বাস]] সবসময় এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করতেন এবং একে বৃহৎ মুসিবত বলে আখ্যায়িত করতেন।<ref>সহিহ মুসলিম, খণ্ড ৩, পৃ. কিতাবুল ওয়াসিয়্যাহ, ৫ নং অধ্যায়, পৃ. ১২৫৯, প্রকাশক দারু ইহইয়ায়িত তুরাসিল আরাবি।</ref> | |||
মহানবি (সা.) ১১ হিজরীর ২৮ সফর<ref>শেইখ মুফিদ, মাসারুশ শিয়া ফি মুখতাছারিত তাওয়ারিখিশ শিয়া, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৪৬।</ref> অন্য এক বর্ণনায় একই সনে ১২ রবিউল আওয়াল ৬৩ বছর বয়সে ওফাত প্রাপ্ত হন। যেভাবে নাহজুল বালাগাতে উল্লিখিত হয়েছে, বিদায় বেলা মহানবির (সা.) মাথা মোবারক হযরত আলীর (আ.) বক্ষ ও গর্দানের মাঝামাঝি।<ref>নাহজুল বালাগাহ, অনুবাদ সৈয়দ জাফার শাহিদী, খোতবা ২০২, পৃ. ২৩৭।</ref> | মহানবি (সা.) ১১ হিজরীর ২৮ সফর<ref>শেইখ মুফিদ, মাসারুশ শিয়া ফি মুখতাছারিত তাওয়ারিখিশ শিয়া, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৪৬।</ref> অন্য এক বর্ণনায় একই সনে ১২ রবিউল আওয়াল ৬৩ বছর বয়সে ওফাত প্রাপ্ত হন। যেভাবে নাহজুল বালাগাতে উল্লিখিত হয়েছে, বিদায় বেলা মহানবির (সা.) মাথা মোবারক হযরত আলীর (আ.) বক্ষ ও গর্দানের মাঝামাঝি।<ref>নাহজুল বালাগাহ, অনুবাদ সৈয়দ জাফার শাহিদী, খোতবা ২০২, পৃ. ২৩৭।</ref> | ||
ইন্তিকালের সময় হযরত ফাতেমা (সা. আ.) ব্যতীত তাঁর (সা.) আর কোন সন্তান জীবিত ছিলেন না। ইব্রাহিম (আ.)-সহ তাঁর অপর সন্তানরা তাঁর ইন্তেকালের পূর্বেই ইন্তেকাল করেছিলেন। হযরত আলী (আ.) তাঁর (সা.) দেহ মোবারককে বনি হাশিমের কয়েকজনের সহযোগিতায় গোসল দেন ও কাফন পরান এবং তাকে মসজিদুন নাবির (সা.) অভ্যন্তরে দাফন করা হয়। | ইন্তিকালের সময় হযরত ফাতেমা (সা. আ.) ব্যতীত তাঁর (সা.) আর কোন সন্তান জীবিত ছিলেন না। ইব্রাহিম (আ.)-সহ তাঁর অপর সন্তানরা তাঁর ইন্তেকালের পূর্বেই ইন্তেকাল করেছিলেন। হযরত আলী (আ.) তাঁর (সা.) দেহ মোবারককে বনি হাশিমের কয়েকজনের সহযোগিতায় গোসল দেন ও কাফন পরান এবং তাকে মসজিদুন নাবির (সা.) অভ্যন্তরে দাফন করা হয়। |