বিষয়বস্তুতে চলুন

হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

২২৯ নং লাইন: ২২৯ নং লাইন:
মক্কা বিজয়ের পর বিভিন্ন গোত্রের প্রতিনিধি মহানবির (সা.) কাছে এসে ইসলাম গ্রহণ করল এবং আনুগত্যের ঘোষণা দিল। মহানবিও (সা.) সম্মান ও সাগ্রহে তাদেরকে গ্রহণ করলেন। আর এ কারণে বছরটি ‘সানাতুল উফুদ’ নামে প্রসিদ্ধ হল।<ref>আয়াতি, তারিখে পায়াম্বারে ইসলাম (সা.), পৃ. ৫৩৭।</ref>
মক্কা বিজয়ের পর বিভিন্ন গোত্রের প্রতিনিধি মহানবির (সা.) কাছে এসে ইসলাম গ্রহণ করল এবং আনুগত্যের ঘোষণা দিল। মহানবিও (সা.) সম্মান ও সাগ্রহে তাদেরকে গ্রহণ করলেন। আর এ কারণে বছরটি ‘সানাতুল উফুদ’ নামে প্রসিদ্ধ হল।<ref>আয়াতি, তারিখে পায়াম্বারে ইসলাম (সা.), পৃ. ৫৩৭।</ref>


=মুবাহালার ঘটনা=  
==মুবাহালার ঘটনা==
৯ম হিজরীতে বিভিন্ন অঞ্চলের বাদশাদেরকে পত্র পাঠানোর সময় মহানবি (সা.) নাজরানের প্রধান ধর্মযাজকের বরাবরও পত্র পাঠিয়ে ঐ এলাকার জনগণকে ইসলামের প্রতি আহবান জানান। খ্রিষ্টানরা মহানবির (সা.) সাথে কথা বলতে এবং তাঁর দাবীর বিষয়টি পর্যালোচনা করতে একটি প্রতিনিধি দল মদিনায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
৯ম হিজরীতে বিভিন্ন অঞ্চলের বাদশাদেরকে পত্র পাঠানোর সময় মহানবি (সা.) [[নাজরান|নাজরানের]] প্রধান ধর্মযাজকের বরাবরও পত্র পাঠিয়ে ঐ এলাকার জনগণকে ইসলামের প্রতি আহবান জানান। খ্রিষ্টানরা মহানবির (সা.) সাথে কথা বলতে এবং তাঁর দাবীর বিষয়টি পর্যালোচনা করতে একটি প্রতিনিধি দল মদিনায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রতিনিধি দলটি মদিনায় মসজিদে নববিতে মহানবির (সা.) সাথে আলোচনায় বসল। উভয় পক্ষ নিজেদের আকিদা সত্য হওয়ার পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি ও দলীল উপস্থাপন করার পর কোন ফলাফল না হওয়ায় সিদ্ধান্ত হল, মুবাহালার মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে। অর্থাৎ উভয় পক্ষ পরস্পরের উপর অভিসম্পাত করবে। এরই ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হল আগামীকাল উভয় পক্ষ মদিনা শহরের বাইরে মরুভূমিতে সমবেত হবে।
প্রতিনিধি দলটি মদিনায় [[মসজিদে নববি]]তে মহানবির (সা.) সাথে আলোচনায় বসল। উভয় পক্ষ নিজেদের আকিদা সত্য হওয়ার পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি ও দলীল উপস্থাপন করার পর কোন ফলাফল না হওয়ায় সিদ্ধান্ত হল, মুবাহালার মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে। অর্থাৎ উভয় পক্ষ পরস্পরের উপর অভিসম্পাত করবে। এরই ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হল আগামীকাল উভয় পক্ষ মদিনা শহরের বাইরে মরুভূমিতে সমবেত হবে।


মোবাহালার দিন সকালে মহানবি (সা.) আলী ইবনে আবিতালিবের (আ.) বাড়িতে এলেন। ইমাম হাসানের (আ.) হাত ধরলেন এবং ইমাম হুসাইনকে (আ.) কোলে নিলেন। অতঃপর আলী (আ.) ও [[হযরত ফাতেমা যাহরা (সালামুল্লাহ আলাইহা)|ফাতেমাকে (সা. আ.)]] সঙ্গে নিয়ে মোবাহালার ময়দানের উদ্দেশ্যে মদিনা থেকে বের হলেন। নাজরানের খ্রিষ্টানরা তাদেরকে দেখে মুবাহালা করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং অন্য কোন উপায়ে নিষ্পত্তির আহবান জানায়<ref>শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, পৃ. ১৬৬-১৬৮।</ref> এবং জিজিয়া কর প্রদানে সম্মত হয়ে মুবাহালায় ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করে।
মোবাহালার দিন সকালে মহানবি (সা.) আলী ইবনে আবি তালিবের (আ.) বাড়িতে এলেন। [[ইমাম হাসান (আ.)|ইমাম হাসানের (আ.)]] হাত ধরলেন এবং [[ইমাম হুসাইন (আ.)|ইমাম হুসাইনকে (আ.)]] কোলে নিলেন। অতঃপর আলী (আ.) ও [[হযরত ফাতেমা যাহরা (সালামুল্লাহ আলাইহা)|ফাতেমাকে (সা. আ.)]] সঙ্গে নিয়ে মোবাহালার ময়দানের উদ্দেশ্যে মদিনা থেকে বের হলেন। নাজরানের খ্রিষ্টানরা তাদেরকে দেখে মুবাহালা করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং অন্য কোন উপায়ে নিষ্পত্তির আহবান জানায়<ref>শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, পৃ. ১৬৬-১৬৮।</ref> এবং জিজিয়া কর প্রদানে সম্মত হয়ে মুবাহালায় ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করে।


=মহানবির (সা.) বিদায় হজ্জ=
=মহানবির (সা.) বিদায় হজ্জ=
Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭৬৭টি

সম্পাদনা