বিষয়বস্তুতে চলুন

হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

২১১ নং লাইন: ২১১ নং লাইন:
মক্কার জনগণের বিষয়ে মহানবির (সা.) আচরণ ইসলামের সহনশীলতা ও মহানবির (সা.) মহত্বকে মানুষের সামনে আরও স্পষ্ট করে দিল। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মহানবি (সা.) ও তাঁর অনুসারীদের উপর যেকোন ধরনের অমানবিক পদক্ষেপ নিতে পিছপা না হওয়া কুরাইশ ভয়ে ছিল, তিনি তাদের সাথে কিরূপ আচরণ করবেন। যখন তারা তাঁর (সা.) মুখ থেকে শুনতে পেল যে, তিনি বলেছেন: তোমাদের সকলকে মুক্ত করলাম। তখন তারা আশ্বস্ত হল।<ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৯৪-৯৫।</ref>
মক্কার জনগণের বিষয়ে মহানবির (সা.) আচরণ ইসলামের সহনশীলতা ও মহানবির (সা.) মহত্বকে মানুষের সামনে আরও স্পষ্ট করে দিল। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মহানবি (সা.) ও তাঁর অনুসারীদের উপর যেকোন ধরনের অমানবিক পদক্ষেপ নিতে পিছপা না হওয়া কুরাইশ ভয়ে ছিল, তিনি তাদের সাথে কিরূপ আচরণ করবেন। যখন তারা তাঁর (সা.) মুখ থেকে শুনতে পেল যে, তিনি বলেছেন: তোমাদের সকলকে মুক্ত করলাম। তখন তারা আশ্বস্ত হল।<ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৯৪-৯৫।</ref>


==মক্কা বিজয় পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ==
===মক্কা বিজয় পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ===
====হুনাইনের যুদ্ধ====
মক্কায় তাঁর অবস্থানের মেয়াদ ১৫ দিনও হয়নি, এর মধ্যে ইসলাম গ্রহণ না করা [[আরব উপদ্বীপ|আরব উপদ্বীপের]] বেশ কয়েকটি বড় গোত্র মহানবির (সা.) বিরুদ্ধে জোট বাধল। মহানবি (সা.) বিশাল মুসলিম বাহিনী নিয়ে মক্কা থেকে বের হলেন। মুসলিম বাহিনী [[হুনাইন]] নামক উপত্যকায় পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা শত্রু পক্ষ শিলাবৃষ্টির মতো তীর ছোঁড়া শুরু করে। এতে মুসলিম বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয় এবং তাদের কিছু সংখ্যক সৈন্য ছাড়া অবশিষ্টরা রনাঙ্গন ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। কিন্তু পলায়নরত মুসলিম সৈন্যরা হযরত আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিবের উচ্চকণ্ঠে মহানবির (সা.) আহবান শুনে ফিরে আসে এবং নব উদ্যমে শত্রু বাহিনীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদেরকে পরাজিত করে।<ref>ওয়াক্বেদি, আল-মাগ্বাযি,  ১৪০৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৮৮৫ এর পর।</ref>
মক্কায় তাঁর অবস্থানের মেয়াদ ১৫ দিনও হয়নি, এর মধ্যে ইসলাম গ্রহণ না করা [[আরব উপদ্বীপ|আরব উপদ্বীপের]] বেশ কয়েকটি বড় গোত্র মহানবির (সা.) বিরুদ্ধে জোট বাধল। মহানবি (সা.) বিশাল মুসলিম বাহিনী নিয়ে মক্কা থেকে বের হলেন। মুসলিম বাহিনী [[হুনাইন]] নামক উপত্যকায় পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা শত্রু পক্ষ শিলাবৃষ্টির মতো তীর ছোঁড়া শুরু করে। এতে মুসলিম বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয় এবং তাদের কিছু সংখ্যক সৈন্য ছাড়া অবশিষ্টরা রনাঙ্গন ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। কিন্তু পলায়নরত মুসলিম সৈন্যরা হযরত আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিবের উচ্চকণ্ঠে মহানবির (সা.) আহবান শুনে ফিরে আসে এবং নব উদ্যমে শত্রু বাহিনীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদেরকে পরাজিত করে।<ref>ওয়াক্বেদি, আল-মাগ্বাযি,  ১৪০৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৮৮৫ এর পর।</ref>


Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭৬৭টি

সম্পাদনা