গীবতের আয়াত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই
W.Alhassan (আলোচনা | অবদান) ("'''গীবতের আয়াত''' (আরবি: '''{{Arabic|آیه غیبت}}''') (সূরা হুজরাত: ১২) গীবত হারাম হওয়া এবং তার কারণ বর্ণনা করেছে। এই আয়াতে গীবত করাকে মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার সাথে তুলনা করা হয়েছে এবং মানু..." দিয়ে পাতা তৈরি) |
W.Alhassan (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
'''গীবতের আয়াত''' (আরবি: '''{{Arabic|آیه غیبت}}''') (সূরা | '''গীবতের আয়াত''' (আরবি: '''{{Arabic|آیه غیبت}}''') (সূরা হুজুরাত: ১২) [[গীবত]] [[হারাম]] হওয়া এবং এর কারণ বর্ণনা করেছে। এই আয়াতে গীবত করাকে মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার সাথে তুলনা করা হয়েছে এবং মানুষ যেরূপভাবে নিজের মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার ব্যপারে ঘৃণা বোধ করে, গীবতের ক্ষেত্রেও অনুরূপ ঘৃণা থাকা আবশ্যক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। | ||
এই আয়াত মহানবী (স.)-এর দু’জন সাহাবী সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়, যারা সালমান ফারসী এবং উসামাহ ইবনে যায়েদ সম্পর্কে গীবত | এই আয়াত মহানবী (স.)-এর দু’জন সাহাবী সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়, যারা [[সালমান ফারসী]] এবং [[উসামাহ ইবনে যায়েদ]] সম্পর্কে গীবত করেছিলেন। | ||
আয়াতে ভাইয়ের | আয়াতে ভাইয়ের উল্লেখ করা হয়েছে এই কারণে যে, ভ্রাতৃত্বের আয়াত (আয়াত-এ উখুওয়া) অনুযায়ী, মু’মিনগণ পরস্পরের ভাই হিসেবে সম্বোধিত হয়েছেন। কোন কোন ফকিহ’র দৃষ্টিতে, «لَحْمَ أَخِیهِ مَیْتاً» অংশটির ভিতিত্তে, শুধুমাত্র মুসলমানদের গীবত করা হারাম এবং কাফেরদের এমনকি ফাসেকের গীবত করা মুবাহ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে; পক্ষান্তরে, কিছু ফিকাহবিদ এই আয়াতে সার্বিক নিষেধাজ্ঞার উপর ভিত্তি করে যারা মু’মিন নয় তাদের গীবত করাকেও হারাম হিসেবে গণ্য করেছেন। মাকারেম শিরাজী’র বক্তব্য অনুসারে, উল্লেখিত আয়াতের উপর ভিত্তি করে, খারাপ অনুমান হচ্ছে تَجَسُّس তাজাস্সুস’-এর (গুপ্তচরবৃত্তি) উৎস। অনুরূপভাবে গুপ্তচরবৃত্তি লুকায়িত দোষ-ত্রুটি প্রকাশের কারণ এবং দোষ-ত্রুটি জানা গীবতের কারণ হয়; এই জন্য ইসলামে এই তিনটি কাজ নিষেধ করা হয়েছে। | ||
«لَحْمَ أَخِیهِ مَیْتاً» অংশটির | |||
==আয়াত এবং অনুবাদ== | ==আয়াত এবং অনুবাদ== | ||
সূরা হুজরাতের ১২ নং আয়াতকে গীবতের আয়াত বলা হয়। | সূরা হুজরাতের ১২ নং আয়াতকে গীবতের আয়াত বলা হয়। | ||
﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَبْ بَعْضُكُمْ بَعْضًا أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَنْ يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَحِيمٌ ١٢﴾ [حجرات:12] | ﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَبْ بَعْضُكُمْ بَعْضًا أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَنْ يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَحِيمٌ ١٢﴾ [حجرات:12] | ||
(হে মু’মিনগণ, তোমরা অধিক | (হে মু’মিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান করা থেকে দূরে থাকো। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা ঘৃণাই করে থাকো। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চ আল্লাহ অধিক তওবা কবুলকারী, অসীম দয়ালু।) {সূরা হুজরাত: আয়াত ১২} | ||
==শানে নুযুল== | ==শানে নুযুল== |