গীবতের আয়াত (আরবি: آیه غیبت) (সূরা হুজুরাত: ১২) গীবত হারাম হওয়া এবং এর কারণ বর্ণনা করেছে। এই আয়াতে গীবত করাকে মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার সাথে তুলনা করা হয়েছে এবং মানুষ যেরূপভাবে নিজের মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার ব্যপারে ঘৃণা বোধ করে, গীবতের ক্ষেত্রেও অনুরূপ ঘৃণা থাকা আবশ্যক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

গীবতের আয়াত
আয়াতের নামগীবতের আয়াত
সূরার নামসূরা হুজুরাত
আয়াত নম্বর১২
পারা নম্বর২৬
অবতীর্ণের স্থানমদীনা
বিষয়আখলাক * ফিকাহ
প্রসঙ্গগীবত হারাম এবং এর কারণ

এই আয়াত মহানবী (স.)-এর দু’জন সাহাবী সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়, যারা সালমান ফারসী এবং উসামাহ ইবনে যায়েদ সম্পর্কে গীবত করেছিলেন।

আয়াতে ভাইয়ের উল্লেখ করা হয়েছে এই কারণে যে, ভ্রাতৃত্বের আয়াত (আয়াত-এ উখুওয়া) অনুযায়ী, মু’মিনগণ পরস্পরের ভাই হিসেবে সম্বোধিত হয়েছেন। কোন কোন ফকিহ’র দৃষ্টিতে, «لَحْمَ أَخِیهِ مَیْتاً» অংশটির ভিতিত্তে, শুধুমাত্র মুসলমানদের গীবত করা হারাম এবং কাফেরদের এমনকি ফাসেকের গীবত করা মুবাহ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে; পক্ষান্তরে, কিছু ফিকাহবিদ এই আয়াতে সার্বিক নিষেধাজ্ঞার উপর ভিত্তি করে যারা মু’মিন নয় তাদের গীবত করাকেও হারাম হিসেবে গণ্য করেছেন। মাকারেম শিরাজী’র বক্তব্য অনুসারে, উল্লেখিত আয়াতের উপর ভিত্তি করে, খারাপ অনুমান হচ্ছে تَجَسُّس তাজাস্সুস’-এর (গুপ্তচরবৃত্তি) উৎস। অনুরূপভাবে গুপ্তচরবৃত্তি লুকায়িত দোষ-ত্রুটি প্রকাশের কারণ এবং দোষ-ত্রুটি জানা গীবতের কারণ হয়; এই জন্য ইসলামে এই তিনটি কাজ নিষিদ্ধ হয়েছে।

আয়াত এবং অনুবাদ

সূরা হুজুরাতের ১২ নং আয়াতকে গীবতের আয়াত বলা হয়:[১]

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَبْ بَعْضُكُمْ بَعْضًا أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَنْ يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَحِيمٌ ١٢﴾ [حجرات:12]

(হে মু’মিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান করা থেকে দূরে থাকো। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা ঘৃণাই করে থাকো। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চ আল্লাহ অধিক তওবা কবুলকারী, অসীম দয়ালু।) {সূরা হুজুরাত: আয়াত ১২}

শানে নুযুল

গীবতের আয়াত সম্পর্কে, যা মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে,[২]দু’টো শানে নুযুল বর্ণিত হয়েছে:

  • মাজমাউল বায়ানে তাবারসি’র (মৃত্যু: ৫৪৮ হি.) বক্তব্য অনুসারে, এই আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে রাসূল (স.)-এর দু’জন সাহাবী সম্পর্কে, যারা সালমান ফারসী’র গীবত করেছিলেন। ঐ দুই ব্যক্তি তাদের জন্য খাবার আনতে সালমানকে মহানবী (স.)-এর নিকট পাঠিয়েছিলেন। মহানবী (স.), সালমান ফারসীকে গুদাম রক্ষকের দায়িত্ব পালনকারী উসামা ইবনে যায়েদ এর নিকট প্রেরণ করেন। উসামা সালমানকে বলেন খাদ্য শেষ হয়ে গেছে। সালমান খালি হাতে ফিরে আসে। ঐ দুই ব্যক্তি, উসামাকে কৃপণ বলে আখ্যায়িত করে এবং সালমান সম্পর্কে বলে, যদি তাকে সামিহা কুয়াতেও (পানি ভর্তি একটি কুয়ার নাম) পাঠাই, তবে তা শুকিয়ে যাবে। অতঃপর তারা উসামার নিকট আসার জন্য এবং বিষয়টি সম্পর্কে অনুসন্ধান করার লক্ষ্যে নিজেরাই যাত্রা শুরু করে। মহানবী (স.) তাদেরকে বললেন: কি হয়েছে যে গোশতের প্রভাব তোমাদের মুখে দেখতে পাচ্ছি। তারা দু’জন বললেন: হে আল্লাহর রাসূল (স.) আমরা আজ গোশত খাই নি। মহানবী (স.) বললেন: তোমরা সালমান ও উসামা’র গোশত খাচ্ছ! তারপর গীবতের আয়াত অবতীর্ণ হয়।[৩]
  • বর্ণিত হয়েছে «وَلایَغْتَبْ بَعْضُکُمْ بَعْضاً» মহানবী’র (স.) একজন খেদমতকারীর সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়। সাহাবীরা যখন মহানবী (স.)-এর সাথে সাক্ষাতে আসতেন, তাদের নিকট খাবার চাইতো এবং অতঃপর তাদের সাক্ষাতের অন্তরায় হতো। এই জন্য তারা তাকে মৃদুভাষী কৃপণ বলেন এবং আয়াতটি ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়।[৪]

তাফসীর ভিত্তিক নোট

ইবনে আব্বাস আয়াতটির তাফসীরে বলেছেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেভাবে মৃতের গোশতকে হারাম করেছেন, গীবতকেও হারাম হিসেবে গণ্য করেছেন।[৫] উক্ত আয়াত অনুসারে, মৃতের গোশত খাওয়া যেমন মানুষের নিকট অপছন্দনীয়, তেমনি জীবিত ব্যক্তির গীবতের ক্ষেত্রেও ঘৃণা থাকা আবশ্যক।[৬] প্রথমটি মানব প্রকৃতির পরিপন্থী এবং দ্বিতীয়টি আকল তথা বুদ্ধিবৃত্তি ও শরীয়ত পরিপন্থী।[৭] আল্লামা তাবাতাবায়ী’র ভাষ্য মতে, «فَكَرِ‌هْتُمُوه» ইঙ্গিত করে যে, মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়াকে ঘৃণা করা একটি সুনির্দিষ্ট ও প্রতিষ্ঠিত বিষয় এবং নিঃসন্দেহে কেউ এমন কাজ করে না। সুতরাং মু’মিন ভাইয়ের গীবত করাটাও ঘৃণার বিষয় হওয়া আবশ্যক; কেননা এটাও মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার ন্যায়।[৮] ইমাম খোমেনী (রহ.) শারহে চেহেল হাদীস গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন: মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া হচ্ছে গীবতের বাতেনী (অভ্যন্তরীণ) রূপ এবং পরকালে গীবত এভাবেই প্রকাশিত হবে।[৯]

মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সাথে গীবতের তুলনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, যেমনভাবে কেউ মৃতের গোশত খেলেও মৃত ব্যক্তি কোন কিছুই অনুভব করে না, গীবতের ক্ষেত্রেও যদি কারও অনুপস্থিতিতে তার দোষ-ত্রুটি বলা হয়, তবে সেই ব্যক্তি (যার গীবত করা হয়) তা অনুভব করে না।[১০] আল্লামা তাবাতাবায়ীর দৃষ্টিতে, আয়াতে ভাইয়ের উল্লেখ এই দৃষ্টিকোন থেকে যে, পূর্বের দুই আয়াতে (সূরা হুজরাতের ১০ নং আয়াত), মু’মিনদেরকে পরস্পরের ভাই বলা হয়েছে। মৃতের ব্যাখ্যাও এই দৃষ্টিকোন থেকে যে গীবতের শিকার হওয়া ব্যক্তি জানে না যে তার অনুপস্থিতিতে গীবত করা হচ্ছে।[১১]

তাফসীরে নেমুনেহ-তে আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজী এই আয়াতের উপর ভিত্তি করে, খারাম অনুমানকে গোপন অনুসন্ধান তথা গুপ্তচরবৃত্তির উৎস, গুপ্তচরবৃত্তিকে গোপন দোষ-ত্রুটিসমূহের প্রকাশ এবং দোষ-ত্রুটি জানাকে গীবতের কারণ হিসেবে গণ্য করেছেন। আর ইসলাম উক্ত তিনটি কাজকেই নিষিদ্ধ করেছে।[১২]

ফিকাহগত প্রয়োগ

ফকিহগণ গীবতের আয়াতের উপর ভিত্তি করে, গীবতের হুকুম-আহকামের উল্লেখ করেছেন, যা নিম্নরূপ:

  • ফকিহগণ এই আয়াতটিকে গীবত হারাম হওয়ার জন্য ব্যবহার করেছেন।[১৩]গীবতের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে।[১৪] আল্লামা তাবাতাবায়ীর বক্তব্য অনুসারে, সবগুলো সংজ্ঞার সারমর্মই হচ্ছে এই যে, কারও অনুপস্থিতিতে এমন কোন কিছু বলা, যা সে শুনলে অসন্তুষ্ট হবে।[১৫]
  • উল্লেখিত আয়াতে গীবতকে অপছন্দনীয় গণ্য করা এবং মৃতের গোশত খাওয়ার সাথে তুলনা করার কারণে এটিকে কবিরা গুনাহ হিসেবে বিবেচনা করেছেন।[১৬]
  • আয়াতে গীবত হারাম বলার মধ্যে শুধুমাত্র মুসলমানদের গীবত করা অন্তর্ভূক্ত হবে; কেননা, «لَحْمَ أَخِیهِ مَیْتاً» অংশটি কাফেরের অন্তর্ভূক্ত হবে না।[১৭] তদ্রুপভাবে,

আয়াতের «بعضکم» শব্দটিকে কাফেরদের গীবত করা বৈধ হওয়ার দলিল বিবেচনা করেছেন।[১৮]

  • কোন কোন ফকিহগণ আয়াতে সার্বিক নিষেধের উপর নির্ভর করে, যারা মু’মিন নয় তাদের গীবত করাও হারাম বলে মনে করেন;[১৯]তবে কারও কারও দৃষ্টিতে, আয়াতটি শুধুমাত্র মু’মিনদের গীবত হারাম হওয়ার বিষয়টিকে শামিল করেছে।[২০]
  • ফাসেকদের গীবত করা আয়াতের সার্বিকতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং তাদের গীবত করা মুবাহ তথা জায়েয বলে গণ্য করা হয়েছে।[২১]

তথ্যসূত্র

  1. মুআসসেসেয়ে দায়েরাতুল মাআরেফ-এ ফিকহে ইসলামী, ফারহাঙ্গে ফিকহে ফার্সি, ১৩৮৫ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ১৯৯।
  2. তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি. , খণ্ড ১৮, পৃ. ৩০৫।
  3. তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ৯, পৃ. ২০৩।
  4. ইবনে আবি হাতেম, তাফসীরুল কুরআনিল আযীম, ১৪০৯ হি. , খণ্ড ১০, পৃ. ৩৩০৬।
  5. ইবনে আবি হাতেম, তাফসীরুল কুরআনিল আযীম, ১৪০৯ হি. , খণ্ড ১০, পৃ. ৩৩০৬।
  6. তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ৯, পৃ. ২০৬; তাবরানি, আত-তাফসীরুল কাবির, ২০০৮ খ্রি. , খণ্ড ৬, পৃ. ৮৭; তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি. , খণ্ড ১৮, পৃ. ৩২৩।
  7. তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ৯, পৃ. ২০৬; তাবরানি, আত-তাফসীরুল কাবির, ২০০৮ খ্রি. , খণ্ড ৬, পৃ. ৮৭।
  8. তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি. , খণ্ড ১৮, পৃ. ৩২৪।
  9. ইমাম খোমেনী, শারহে চেহেল হাদীস, ১৩৮০ ফার্সি সন, পৃ. ৩০৩।
  10. তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ৯, পৃ. ২০৬; তাবরানি, আত-তাফসীরুল কাবির, ২০০৮ খ্রি. , খণ্ড ৬, পৃ. ৮৭।
  11. তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি. , খণ্ড ১৮, পৃ. ৩২৪।
  12. মাকারেম শিরাজী, তাফসীরে নেমুনেহ, ১৩৭১ ফার্সি সন, খণ্ড ২২, পৃ. ১৮৪।
  13. নারাকি, মুস্তানাদুশ শিয়া, ১৪১৫ হি. , খণ্ড ১৪, পৃ ১৬১; মুআসসেসেয়ে দায়েরাতুল মাআরেফ-এ ফিকহে ইসলামী, ফারহাঙ্গে ফিকহে ফার্সি, ১৩৮৫ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ১৯৯ ও ২০০।
  14. দ্র: ইমাম খোমেনী, মাকাসেবুল মুহাররামাহ, ১৪১৫ হি. , খণ্ড ১, পৃ. ৩৮১-৩৮৫।
  15. তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি. , খণ্ড ১৮, পৃ. ৩২৩।
  16. শাহীদ সানী, রাসায়েলুশ শাহীদ আস-সানী, কিতাব ফুরুশিয়ে বাসিরাত, পৃ. ২৮৫; আরদেবিলী, মাজমাউল ফায়েদাহ ওয়াল বুরহান, ১৪০৩ হি. খণ্ড ১২, পৃ. ৩৩৯; মাকারেম শিরাজী, তাফসীরে নেমুনেহ, ১৩৭১ ফার্সি সন, খণ্ড ২২, পৃ. ১৮৫।
  17. আরদেবিলী, মাজমাউল ফায়েদাহ ওয়াল বুরহান, ১৪০৩ হি. খণ্ড ৮, পৃ. ৭৬ ও ৭৭; তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি. , খণ্ড ১৮, পৃ. ৩২৫।
  18. ফাযেল কাযিমি, মাসালেকুল আফহাম, ১৩৬৫ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ৪১৬, ৪১৭।
  19. আরদেবিলী, মাজমাউল ফায়েদাহ ওয়াল বুরহান, ১৪০৩ হি. খণ্ড ৮, পৃ. ৭৬ ও ৭৭।
  20. নারাকি, মুস্তানাদুশ শিয়া, ১৪১৫ হি. , পৃ. ১৬১; ফাযেল কাযিমি, মাসালেকুল আফহাম, ১৩৬৫ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ৪১৬।
  21. ফাযেল কাযিমি, মাসালেকুল আফহাম, ১৩৬৫ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ৪১৬।

গ্রন্থপঞ্জি

  • ইবনে আবি হাতেম, আব্দুর রহমান ইবনে মুহাম্মাদ, তাফসীরুল কুরআনিল আযীম, রিযাদ, মাক্তবাতুন নিযার মুস্তাফা আল-বায, তৃতীয় সংস্করণ, ১৪০৯ হি. ।
  • আরদেবিলী, আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ, মাজমাউল ফায়েদাহ ওয়াল বুরহান ফি শারহি ইরশাদিল আযহান, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামী, প্রথম সংস্করণ, ১৪০৩ হি. ।
  • ইমাম খোমেনী, সাইয়্যেদ রুহুল্লাহ মুসাভি, শারহে চেহেল হাদীস (আরবাঈন হাদীস), কোম, মুআসসেসেয়ে তানযীম ওয়া নাশরে আসারে ইমাম খোমেনী, ২৪তম সংস্করণ, ১৩৮০ ফার্সি সন।
  • ইমাম খোমেনী, সাইয়্যেদ রুহুল্লাহ মুসাভি, মাকাসিবুল মুহাররামাহ, কোম, মুআসসেসেয়ে তানযীম ওয়া নাশরে আসারে ইমাম খোমেনী, প্রথম সংস্করণ, পৃ. ১৪১৫।
  • শাহীদ সানি, যাইনুদ্দিন ইবনে আলী, রাসায়েলুশ শাহীদ আস-সানী, কোম, কিতাব ফুরুশিয়ে বাসিরাত, প্রথম সংস্করণ, তারিখ অজ্ঞাত।
  • তাবাতাবায়ী, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন, আল-মিযান ফি তাফসীরিল কুরআন, বৈরুত, মুআসসাসাতুল আ’লামি, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৩৯০ হি. ।
  • তাবরানি, সুলাইমান ইবনে আহমাদ, আত-তাফসীরুল কাবির (তাফসীরুল কুরআনিল আযীম), জর্ডান-ইরবিদ, দারুল কিতাব আস-সাকাফি, প্রথম সংস্করণ, ২০০৮ খ্রি. ।
  • তাবারসি, ফাযল ইবনে হাসান, মাজমাউল বায়ান ফি তাফসীরিল কুরআন, তাসহিহ: ফাযলুল্লাহ ইয়াযদি তাবাতাবায়ী ও হাশেম রাসূলী মাহাল্লাতি, তেহরান, নাসের খসরু, তৃতীয় সংস্করণ, ১৩৭২ ফার্সি সন।
  • ফাযেল কাযিমি, জাওয়াদ ইবনে সাঈদ, মাসালেকুল আফহাম ইলা আয়াতিল আহকাম, তাহকিক ওয়া তাসহিহ: মুহাম্মাদ তাকী কাশফি ও মুহাম্মাদ বাকের শরীফ যাদেহ, তেহরান, মুর্তাযাভি, ‍দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৩৬৫ ফার্সি সন।
  • মুআসসেসেয়ে দায়েরাতুল মাআরেফ-এ ফিকহে ইসলামী, ফারহাঙ্গে ফিকহে ফার্সি, যির নাযারে মাহমুদ হাশেমী শাহরুদী, কোম, মুআসসেসেয়ে দায়েরাতুল মাআরেফ-এ ফিকহে ইসলামী, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৩৮৫ ফার্সি সন।
  • মাকারেম শিরাজী, নাসের, তাফসীরে নেমুনেহ, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামীয়্যাহ, দশম সংস্করণ, ১৩৭১ ফার্সি সন।
  • নারাকি, মোল্লা আহমাদ, মুস্তানাদুশ শিয়া ফি আহকামিশ শারীয়্যাহ, কোম, মুআসসেসেয়ে আলুল বাইত, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৫ হি. ।