বিষয়বস্তুতে চলুন

সাকীফার ঘটনা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৩৪ নং লাইন: ৩৪ নং লাইন:


== যারা উপস্থিত ছিলেন ==
== যারা উপস্থিত ছিলেন ==
[[আহলে সুন্নাত|আহলে সুন্নাতের]] বেশীরভাগ সূত্রে বিদ্যমান প্রতিবেদনে সাকীফা বনু সায়েদা’তে [[আনসার]] ও [[মুহাজির|মুহাজিরদের]] সর্বাত্মকভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশে অংশগ্রহণের বিষয়টি উত্থাপিত হলেও[২০] বহুসংখ্যক সূত্রে [[আবুবকর|আবুবকরের]] হাতে দু’ দফায় [[বাইয়াত]] অনুষ্ঠিত হওয়ার তথ্য উল্লিখিত হয়েছে; প্রথম বাইয়াতটি সাকীফার দিন, আর দ্বিতীয়টি সাকীফার পরের দিন [[মদিনা|মদিনার]] মুসলমানদের বাইয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়; যা ‘বাইয়াতে আম’ (সর্বসাধারণের বাইয়াত) বলে উল্লিখিত হয়েছে।[২১]
[[আহলে সুন্নাত|আহলে সুন্নাতের]] বেশীরভাগ সূত্রে বিদ্যমান প্রতিবেদনে সাকীফা বনু সায়েদা’তে [[আনসার]] ও [[মুহাজির|মুহাজিরদের]] সর্বাত্মকভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশে অংশগ্রহণের বিষয়টি উত্থাপিত হলেও<ref>মাদেলুঙ্গ, জা-নশীনী মুহাম্মাদ, ১৩৭৭ ফার্সি সন, পৃ. ৫২-৫৩।</ref> বহুসংখ্যক সূত্রে [[আবুবকর|আবুবকরের]] হাতে দু’ দফায় [[বাইয়াত]] অনুষ্ঠিত হওয়ার তথ্য উল্লিখিত হয়েছে; প্রথম বাইয়াতটি সাকীফার দিন, আর দ্বিতীয়টি সাকীফার পরের দিন [[মদিনা|মদিনার]] মুসলমানদের বাইয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়; যা ‘বাইয়াতে আম’ (সর্বসাধারণের বাইয়াত) বলে উল্লিখিত হয়েছে।[২১]


উইলফার্ড মাদেলুঙ্গের ভাষায়, মুহাজিরদের মধ্য থেকে শুধুমাত্র আবুবকর, [[ওমর]] ও [[আবু উবাইদা]] সাকীফায় উপস্থিত ছিলেন। আর তাদের সাথে তাদের ব্যক্তিগত সহকারী, পরিবারের সদস্য এবং শুভাকাঙ্খি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আসার বিষয়টিও অসম্ভব নয়। একইভাবে [[আবু হুযাইফা|আবু হুযাইফার]] আযাদকৃত দাস ‘[[সালিম|সালিমের]]’ উপস্থিত হওয়ার তথ্যও দিয়েছেন; যিনি ছিলেন আবুবকরের হাতে বাইয়াতকারী প্রথম কয়েকজনের একজন। যদিও প্রথমসারির নির্ভরযোগ্য কোন সূত্রে তার উপস্থিতির বিষয়টি উল্লিখিত হয় নি। সূত্রগুলিতে উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য মুহাজির এবং দ্বিতীয় বা সাধারণ সারির সাহাবাদের উপস্থিত থাকার কোন তথ্যও উল্লিখিত হয় নি।[২২] গবেষকদের অনেকে কিছু কিছু প্রমাণের ভিত্তিতে এ কথা স্বীকার করেছেন যে, সাকীফায় অল্পসংখ্যক মুহাজির উপস্থিত ছিলেন।[২৩]
উইলফার্ড মাদেলুঙ্গের ভাষায়, মুহাজিরদের মধ্য থেকে শুধুমাত্র আবুবকর, [[ওমর]] ও [[আবু উবাইদা]] সাকীফায় উপস্থিত ছিলেন। আর তাদের সাথে তাদের ব্যক্তিগত সহকারী, পরিবারের সদস্য এবং শুভাকাঙ্খি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আসার বিষয়টিও অসম্ভব নয়। একইভাবে [[আবু হুযাইফা|আবু হুযাইফার]] আযাদকৃত দাস ‘[[সালিম|সালিমের]]’ উপস্থিত হওয়ার তথ্যও দিয়েছেন; যিনি ছিলেন আবুবকরের হাতে বাইয়াতকারী প্রথম কয়েকজনের একজন। যদিও প্রথমসারির নির্ভরযোগ্য কোন সূত্রে তার উপস্থিতির বিষয়টি উল্লিখিত হয় নি। সূত্রগুলিতে উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য মুহাজির এবং দ্বিতীয় বা সাধারণ সারির সাহাবাদের উপস্থিত থাকার কোন তথ্যও উল্লিখিত হয় নি।[২২] গবেষকদের অনেকে কিছু কিছু প্রমাণের ভিত্তিতে এ কথা স্বীকার করেছেন যে, সাকীফায় অল্পসংখ্যক মুহাজির উপস্থিত ছিলেন।[২৩]
১০৬ নং লাইন: ১০৬ নং লাইন:
'''Leon Caetani:''' ইতালীয় প্রাচ্যবিদ লিওন কায়তানি তার ইসলামি ইতিহাস গ্রন্থের ভূমিকায় [[আবুবকর]] ও [[বনু হাশিম|বনু হাশিমের]] মধ্যকার গভীর বিরোধের কথা উল্লেখ করে আল্লাহর রাসূলের (স.) ইন্তিকালের কয়েক ঘন্টা পার না হতেই সাকীফায় আনসারদের সমাবেশে আবুবকরের খেলাফতের দাবি’র বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
'''Leon Caetani:''' ইতালীয় প্রাচ্যবিদ লিওন কায়তানি তার ইসলামি ইতিহাস গ্রন্থের ভূমিকায় [[আবুবকর]] ও [[বনু হাশিম|বনু হাশিমের]] মধ্যকার গভীর বিরোধের কথা উল্লেখ করে আল্লাহর রাসূলের (স.) ইন্তিকালের কয়েক ঘন্টা পার না হতেই সাকীফায় আনসারদের সমাবেশে আবুবকরের খেলাফতের দাবি’র বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।


আনসারদের মাঝে আবুবকর আত্মপক্ষ সমর্থনে রাসুলের (স.) গোত্র কুরাইশের অপর গোত্রগুলোর উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে যে সকল বর্ণনা উল্লেখিত হয়েছে সেগুলোকে প্রত্যাখ্যান করে তিনি আলীর পক্ষ থেকে একই ধরনের দাবী তোলার সম্ভাবনা ব্যক্ত করে বলেছেন: আত্মীয়তা ও আল্লাহর রাসূলের (স.) সাথে ঘনিষ্টতার দৃষ্টিতে স্থলাভিষিক্ততার সবচেয়ে যোগ্য দাবীদ্বার ছিলেন আলী (আ.); কারণ তিনি ছিলেন নবির (স.) সবচেয়ে নিকটতম আত্মীয়। তার মতে, যদি [[মহানবি (স.)|মুহাম্মাদ (স.)]] নিজের কোন স্থলাভিষিক্ত নির্বাচন করতেন তবে সম্ভবত তিনি আলীকেই (আ.) প্রাধান্য দিতেন। এতদসত্ত্বেও কায়তানি একই গ্রন্থের অপর খণ্ডগুলিতে ল্যামেন্সের ‘আবুবকর, ওমর ও আবু উবাইদা ৩ শক্তির তত্ত্ব’কে খেলাফতের বিষয়ে সৃষ্ট মতভেদের সবচেয়ে যৌক্তিক কারণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।[৫৩]
আনসারদের মাঝে আবুবকর আত্মপক্ষ সমর্থনে রাসুলের (স.) গোত্র কুরাইশের অপর গোত্রগুলোর উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে যে সকল বর্ণনা উল্লেখিত হয়েছে সেগুলোকে প্রত্যাখ্যান করে তিনি আলীর পক্ষ থেকে একই ধরনের দাবী তোলার সম্ভাবনা ব্যক্ত করে বলেছেন: আত্মীয়তা ও আল্লাহর রাসূলের (স.) সাথে ঘনিষ্টতার দৃষ্টিতে স্থলাভিষিক্ততার সবচেয়ে যোগ্য দাবীদ্বার ছিলেন আলী (আ.); কারণ তিনি ছিলেন নবির (স.) সবচেয়ে নিকটতম আত্মীয়। তার মতে, যদি [[মহানবি (স.)|মুহাম্মাদ (স.)]] নিজের কোন স্থলাভিষিক্ত নির্বাচন করতেন তবে সম্ভবত তিনি আলীকেই (আ.) প্রাধান্য দিতেন। এতদসত্ত্বেও কায়তানি একই গ্রন্থের অপর খণ্ডগুলিতে ল্যামেন্সের ‘আবুবকর, ওমর ও আবু উবাইদা ৩ শক্তির তত্ত্ব’কে খেলাফতের বিষয়ে সৃষ্ট মতভেদের সবচেয়ে যৌক্তিক কারণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।<ref>দ্র: মাদেলুঙ্গ, জা-নশীনী মুহাম্মাদ, ১৩৭৭ ফার্সি সন, পৃ. ১৭-১৮।</ref>


'''Willferd Madelung:''' উইলফার্ড মাদেলুঙ্গ তার The Succession of Muhammad গ্রন্থে [[মহানবির (স.) জা-নশীন]] সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। তার মতে, অধিকাংশ ঐতিহাসিকের বিশ্বাসের বিপরীতে সাকীফার বৈঠক শুরুতে মুসলমানদের খলিফা নির্বাচনের জন্য বসেনি; কারণ মুসলিম সমাজে নবির (স.) স্থলাভিষিক্ত হিসেবে খেলাফত তত্ত্বের কোন নজীর এর আগে ছিল না, তাই আনসার খেলাফতের লক্ষ্যে সাকীফায় সমবেত হয়েছিলেন এমন ভাবনা, বাস্তব সম্মত নয়।[৫৪] মাদেলুঙ্গের মতে, আনসাররা মনে করেছিলেন মুহাম্মদের (সা.) ইন্তেকালের মধ্য দিয়ে তাঁর প্রতি বাইয়াতেরও অবসান হয়েছে এবং মুহাম্মাদ (স.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক সমাজ ভেঙ্গে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দেয়ায়, মদিনা শহরের কার্য পরিচালনার লক্ষ্যে আনসারদের মধ্য থেকে একজন নেতাকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন; এ কারণেই তারা মুহাজিরদের সাথে পরামর্শ ছাড়াই বৈঠকে বসেছিলেন।[৫৫] তারা মনে করেছিলেন যে, মুহাজিরগণ নিজ শহর মক্কায় প্রত্যাবর্তন করবেন এবং মদিনায় তাদের অবস্থানের পক্ষে বিশেষ কোন কারণ নেই, আর যারা রয়ে যাবেন তারাও আনসারদের গঠিত সরকারকে মেনে নিবেন।[৫৬]
'''Willferd Madelung:''' উইলফার্ড মাদেলুঙ্গ তার The Succession of Muhammad গ্রন্থে [[মহানবির (স.) জা-নশীন]] সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। তার মতে, অধিকাংশ ঐতিহাসিকের বিশ্বাসের বিপরীতে সাকীফার বৈঠক শুরুতে মুসলমানদের খলিফা নির্বাচনের জন্য বসেনি; কারণ মুসলিম সমাজে নবির (স.) স্থলাভিষিক্ত হিসেবে খেলাফত তত্ত্বের কোন নজীর এর আগে ছিল না, তাই আনসার খেলাফতের লক্ষ্যে সাকীফায় সমবেত হয়েছিলেন এমন ভাবনা, বাস্তব সম্মত নয়।<ref>মাদেলুঙ্গ, জা-নশীনী মুহাম্মাদ, ১৩৭৭ ফার্সি সন, পৃ. ৫১।</ref> মাদেলুঙ্গের মতে, আনসাররা মনে করেছিলেন মুহাম্মদের (সা.) ইন্তেকালের মধ্য দিয়ে তাঁর প্রতি বাইয়াতেরও অবসান হয়েছে এবং মুহাম্মাদ (স.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক সমাজ ভেঙ্গে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দেয়ায়, মদিনা শহরের কার্য পরিচালনার লক্ষ্যে আনসারদের মধ্য থেকে একজন নেতাকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন; এ কারণেই তারা মুহাজিরদের সাথে পরামর্শ ছাড়াই বৈঠকে বসেছিলেন।<ref>মাদেলুঙ্গ, জা-নশীনী মুহাম্মাদ, ১৩৭৭ ফার্সি সন, পৃ. ৫১।</ref> তারা মনে করেছিলেন যে, মুহাজিরগণ নিজ শহর মক্কায় প্রত্যাবর্তন করবেন এবং মদিনায় তাদের অবস্থানের পক্ষে বিশেষ কোন কারণ নেই, আর যারা রয়ে যাবেন তারাও আনসারদের গঠিত সরকারকে মেনে নিবেন।<ref>মাদেলুঙ্গ, জা-নশীনী মুহাম্মাদ, ১৩৭৭ ফার্সি সন, পৃ. ৫১।</ref>


তিনি আরও একটি সম্ভাবনাকে জোর তাগিদ দিয়ে উত্থাপন করেছেন তা হলো, মহানবির (স.) স্থলাভিষিক্ত সমস্ত আরবদের উপর হুকুমত করবে এমন ভাবনা শুধু আবুবকর ও ওমরের ছিল; আর এ কারণেই তারা শুধুমাত্র কুরাইশকে এমন খেলাফতের যোগ্য মনে করতেন।[৫৭]
তিনি আরও একটি সম্ভাবনাকে জোর তাগিদ দিয়ে উত্থাপন করেছেন তা হলো, মহানবির (স.) স্থলাভিষিক্ত সমস্ত আরবদের উপর হুকুমত করবে এমন ভাবনা শুধু আবুবকর ও ওমরের ছিল; আর এ কারণেই তারা শুধুমাত্র কুরাইশকে এমন খেলাফতের যোগ্য মনে করতেন।<ref>মাদেলুঙ্গ, জা-নশীনী মুহাম্মাদ, ১৩৭৭ ফার্সি সন, পৃ. ৫১-৫২।</ref>


মাদেলুঙ্গের মতে মহানবির (স.) ইন্তিকালের পূর্বেই খেলাফত দখলের সিদ্ধান্ত ছিল আবুবকরের, আর এ স্বপ্ন পূরণে তার পথে সবচেয়ে বড় বিরোধীদেরকে সরিয়ে দেওয়ার চিন্তায় ছিলেন তিনি।[৫৮] এক্ষেত্রে তার সামনে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল মহানবির (স.) আহলে বাইত; যাদেরকে পবিত্র কুরআনে অপর মুসলমানদের তুলনায় উঁচু মরতবা ও মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে।[৫৯] আনসার কর্তৃক সাকীফায় এমন শুরার আয়োজন আবুবকরের জন্য তার লক্ষ্যে পৌঁছুনোর মোক্ষম এক সুযোগ তৈরি করে দেয়। তিনি প্রথমে ওমর এবং আবু উবাইদা’কে -ঐ পরিবেশে যাদের বিজয়ী হওয়ার কোন সম্ভাবনাই ছিল না, লোক দেখানোর লক্ষ্যে- স্থলাভিষিক্তের প্রার্থী হিসেবে তাদের নাম উত্থাপন করেছিলেন। আর এটা স্পষ্ট যে, আবুবকরের ঐ প্রস্তাবনা খুব একটা গুরুত্ব দিয়ে উত্থাপন করেন নি; বরং উপস্থিত জনতার মধ্যে ঝগড়া ও দ্বন্দ্ব সৃষ্টির নিমিত্তে ঐ প্রস্তাবনা তুলেছিলেন যাতে অবশেষে ঘটনার ফল তার পক্ষে যায়।[৬০]
মাদেলুঙ্গের মতে মহানবির (স.) ইন্তিকালের পূর্বেই খেলাফত দখলের সিদ্ধান্ত ছিল আবুবকরের, আর এ স্বপ্ন পূরণে তার পথে সবচেয়ে বড় বিরোধীদেরকে সরিয়ে দেওয়ার চিন্তায় ছিলেন তিনি।<ref>মাদেলুঙ্গ, জা-নশীনী মুহাম্মাদ, ১৩৭৭ ফার্সি সন, পৃ. ৬২।</ref> এক্ষেত্রে তার সামনে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল মহানবির (স.) আহলে বাইত; যাদেরকে পবিত্র কুরআনে অপর মুসলমানদের তুলনায় উঁচু মরতবা ও মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে।<ref>মাদেলুঙ্গ, জা-নশীনী মুহাম্মাদ, ১৩৭৭ ফার্সি সন, পৃ. ৬২।</ref> আনসার কর্তৃক সাকীফায় এমন শুরার আয়োজন আবুবকরের জন্য তার লক্ষ্যে পৌঁছুনোর মোক্ষম এক সুযোগ তৈরি করে দেয়। তিনি প্রথমে ওমর এবং আবু উবাইদা’কে -ঐ পরিবেশে যাদের বিজয়ী হওয়ার কোন সম্ভাবনাই ছিল না, লোক দেখানোর লক্ষ্যে- স্থলাভিষিক্তের প্রার্থী হিসেবে তাদের নাম উত্থাপন করেছিলেন। আর এটা স্পষ্ট যে, আবুবকরের ঐ প্রস্তাবনা খুব একটা গুরুত্ব দিয়ে উত্থাপন করেন নি; বরং উপস্থিত জনতার মধ্যে ঝগড়া ও দ্বন্দ্ব সৃষ্টির নিমিত্তে ঐ প্রস্তাবনা তুলেছিলেন যাতে অবশেষে ঘটনার ফল তার পক্ষে যায়।<ref>মাদেলুঙ্গ, জা-নশীনী মুহাম্মাদ, ১৩৭৭ ফার্সি সন, পৃ. ৬২।</ref>


মাদেলুঙ্গের মতে, আহলে সুন্নাত ও পশ্চিমা পণ্ডিতরা আবুবকর ও ওমরের ন্যায় সাহাবার তুলনায় অল্পবয়স্ক ও অনভিজ্ঞ হওয়ায় আলী তাদের যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন না বলে যে, যুক্তি দেখিয়েছেন -বিষয়টি বাস্তবসম্মত নয়। বরং আলীর (আ.) নাম কেন উত্থাপিত হয় নি সে প্রসঙ্গে আবুবকর অন্য যুক্তি দেখিয়েছেন।[৬১]
মাদেলুঙ্গের মতে, আহলে সুন্নাত ও পশ্চিমা পণ্ডিতরা আবুবকর ও ওমরের ন্যায় সাহাবার তুলনায় অল্পবয়স্ক ও অনভিজ্ঞ হওয়ায় আলী তাদের যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন না বলে যে, যুক্তি দেখিয়েছেন -বিষয়টি বাস্তবসম্মত নয়। বরং আলীর (আ.) নাম কেন উত্থাপিত হয় নি সে প্রসঙ্গে আবুবকর অন্য যুক্তি দেখিয়েছেন।<ref>মাদেলুঙ্গ, জা-নশীনী মুহাম্মাদ, ১৩৭৭ ফার্সি সন, পৃ. ৬৫।</ref>


== শিয়া কালাম শাস্ত্রে সাকীফার ঘটনা ==
== শিয়া কালাম শাস্ত্রে সাকীফার ঘটনা ==
confirmed, templateeditor
১,৯৬২টি

সম্পাদনা