Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭২১টি
সম্পাদনা
২১৬ নং লাইন: | ২১৬ নং লাইন: | ||
==হুদায়বিয়ার সন্ধি== | ==হুদায়বিয়ার সন্ধি== | ||
খন্দকের যুদ্ধ | : মূল নিবন্ধ:[[বায়াতে রিদওয়ান]] ও [[হুদায়বিয়ার সন্ধি]] | ||
৬ষ্ঠ হিজরীর [[যিলক্বদ]] মাসে মহানবি (সা.) ১৫০০ মুসলমানকে সঙ্গে নিয়ে [[উমরাহ]] পালনের লক্ষ্যে মক্কা অভিমুখে রওনা হলেন। তাঁর (সা.) উদ্দেশ্যে সম্পর্কে অবগত হয়ে [[কুরাইশ]] তাঁকে (সা.) | |||
খন্দকের যুদ্ধ শেষে [[বনি কুরাইযা]]র ইহুদিদের আত্মসমার্পন এবং ৬ষ্ঠ হিজরীর সব কয়টি যুদ্ধের ফল মুসলমানদের পক্ষে যায়, পাশাপাশি যুদ্ধগুলো থেকে লব্ধ গনিমত ইসলামের শক্তিকে আরব উপদ্বীপের মানুষের চোখে বহুগুণে বাড়িয়ে দিল। এর ধারাবাহিকতায় বহু গোত্র ইসলামে দীক্ষিত হয়, আবার কোন কোন গোত্র মুসলমানদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়।[৮২] | |||
৬ষ্ঠ হিজরীর [[যিলক্বদ]] মাসে মহানবি (সা.) ১৫০০ মুসলমানকে সঙ্গে নিয়ে [[উমরাহ]] পালনের লক্ষ্যে মক্কা অভিমুখে রওনা হলেন। তাঁর (সা.) উদ্দেশ্যে সম্পর্কে অবগত হয়ে [[কুরাইশ]]রা তাঁকে (সা.) বাঁধা দিতে প্রস্তুতি নেয়। মুসলমানদের মক্কায় প্রবেশ রুখতে প্রথমে খালিদ বিন ওয়ালিদ ও [[আকরামাহ বিন আবু জাহল]]কে প্রেরণ করে। [[হুদায়বিয়া]] নামক স্থানে -যেখান থেকে [[হারাম]] এলাকা শুরু হয়- মহানবি (সা.) অবতরণ করলেন। তিনি মক্কার উদ্দেশ্যে বার্তা পাঠালেন; আমরা যুদ্ধের জন্য নয়, যিয়ারত করতে এসেছি। কিন্তু কুরাইশরা মহানবির (সা.) উমরাহ পালনে বাঁধা দিল এবং অবশেষে তাঁর ও মক্কার প্রতিনিধিদের মাঝে এ মর্মে [[হুদায়বিয়া চুক্তি|চুক্তি]] স্বাক্ষরিত হল যে, আগামী ১০ বছর পর্যন্ত ২ পক্ষের মাঝে কোন যুদ্ধ হবে না এবং এ বছর মুসলমানরা মক্কায় প্রবেশ করতে পারবে না। কিন্তু আগামী বছর এ সময় মক্কার জনগণ ৩ দিনের জন্য শহরের বাইরে চলে যাবে এবং শহরকে মুসলমানদের যিয়ারতের জন্য খালি করে দেবে। ঐ চুক্তির অপর শর্ত ছিল, যদি মক্কার কোন লোক মহানবির (সা.) কাছে যায় তবে তাকে ফেরত পাঠাতে হবে, পক্ষান্তরে যদি কেউ মদিনা থেকে মক্কায় যায় কুরাইশরা তাকে ফেরত পাঠাতে বাধ্য নয়। প্রত্যেকটি গোত্র মুসলমান বা কুরাইশের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবে।<ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৯০-৯১।</ref> পরবর্তীতে কুরাইশরা চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে [[মক্কা বিজয়|মক্কা বিজয়ের]] ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়।<ref>দেখুন; শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৯১।</ref> | |||
===আল্লাহর গৃহের যেয়ারত=== | ===আল্লাহর গৃহের যেয়ারত=== |