নাপাকি ভক্ষণকারী পশু
নিবন্ধটি ফিকাহ সংশ্লিষ্ট একটি বিষয়ের সংজ্ঞা ও সংক্ষিপ্ত পরিচিতি নিয়ে রচিত, ধর্মীয় আমলের মানদণ্ড নয়। আমলের লক্ষ্যে অন্য সূত্রের শরণাপন্ন হোন।
নাপাকি ভক্ষণকারী পশু (আরবি: جلّال); যে হালাল পশু মানুষের মল খাওয়ায় অভ্যস্ত হয়েছে। নাপাকি ভক্ষণকারী পশুর গোশত্, দুধ ও ডিম খাওয়া হারাম এবং ঐ পশুর মল ও মূত্র নাপাক। নাপাকি ভক্ষণকারী পশুর জন্য নির্ধারিত ইস্তিবরার (পবিত্র খাদ্য প্রদান এবং অপবিত্র কোন কিছু ভক্ষণ থেকে বিরত রাখা) মাধ্যমে জাল্লালাহ পশুর বিধান ঐ পশুর উপর থেকে অপসারিত হয়।
নাপাকি ভক্ষণকারী পশুর ইস্তিবরার সময়সীমা ভিন্ন ভিন্ন; ফকীহগণের প্রসিদ্ধ মত হলো উটের ইস্তিবরার জন্য নির্ধারিত সময়সীমা হলো ৪০ দিন, গরুর ২০ দিন, হাঁসের ৫ দিন এবং মুরগির ৩ দিন। যে সকল পশুর ইস্তিবরার সময়সীমা রেওয়ায়েতে উল্লেখিত হয়নি, কারো কারো মতে যতদিন না ঐ অভ্যাস দূর হয় তথা জাল্লালাহ বৈশিষ্ট্যটি তার থেকে অপসারিত না হয় ততদিন এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে; অবশ্য মুরগি বা হাঁসের সদৃশ্য পক্ষীকূলের বিধানও মুরগি বা হাঁসের মতই।
পরিভাষা পরিচিতি
যে হালাল পশু মানুষের মল খাওয়ায় অভ্যস্ত হয়েছে, তাকে নাপাকি ভক্ষণকারী পশু বা জাল্লালাহ বলা হয়।[১] আবুস সালাহ হালাবি ব্যতীত বেশীরভাগ ফকীহের মত হলো, এ পশু শুধু মানুষের মল খাওয়ার মধ্য দিয়ে এ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয় এবং অপর নাজাসাত তথা অপবিত্র জিনিস ভক্ষণ করলে এ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয় না।[২] ৪৬০ হিজরীর পূর্বের ফকীহগণ এ বৈশিষ্ট্য সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়ে নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা উল্লেখ করেন নি।[৩] কিন্তু সাম্প্রতিক কালের ফকীহগণের ভাষায় এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন মানদণ্ড উল্লেখিত হয়েছে; যেমন:- এক দিন ও রাত মানুষের মল খাওয়া।[৪] নাপাকি খাওয়ার মাধ্যমে নতুন মাংস জন্মানো এবং হাড় শক্ত হওয়া,[৫] ফ্যাসাদের প্রকাশ পাওয়া, পশুর শরীর ও চামড়া থেকে দূর্গন্ধ আসা ইত্যাদি।[৬] কোন পশুর নাপাকি ভক্ষণকারী হওয়ার বিষয়ে উল্লেখিত মানদণ্ডগুলোর অন্যতম হলো উরফ (সাধারণ জনগণের দৃষ্টিতে সাব্যস্ত হওয়া)।[[৭]
হালাল পশু শুধু তখনই নাপাকি ভক্ষণকারী পশু বলে সাব্যস্ত হবে এবং তার উপর জাল্লালাহ পশুর আহকাম বর্তাবে যখন মানুষের মল হবে তার একমাত্র খাদ্য।[৮]
ফিকহী বিধান
ফিকহী গ্রন্থসমূহ নাপাকি ভক্ষণকারী পশুর ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিধান উল্লেখিত হয়েছে:
মাংস, দুধ ও ডিম খাওয়ার বিধান
বেশীর ভাগ ফকীহর মত হলো, নাপাকি ভক্ষণকারী পশুর গোশত্ খাওয়া হারাম; এর বিপরীতে কেউ কেউ মকরুহ বলে মত প্রকাশ করেছেন।[৯] একইভাবে তারা ঐ পশুর দুধ ও ডিম খাওয়াকেও হারাম জেনেছেন; কেননা কোন পশুর দুধ ও ডিম হালাল হওয়া ঐ পশুর গোশত্ হালাল বা হারাম হওয়ার উপর নির্ভরশীল।[১০]
যদি কোন হালাল প্রাণী মানুষের মল ছাড়াও অন্যান্য পবিত্র খাদ্য খায়, সেক্ষেত্রে তার গোশত্ খাওয়া হারাম নয় বরং মকরুহ, তার খাদ্যের বেশী পরিমাণ যদি নাপাকি হলেও একই হুকুম বলবৎ থাকবে।[১১]
মূত্র, মল, ধাম ও এঁটো নাপাক হওয়া
ফকীহগণের দৃষ্টিতে, নাপাকি ভক্ষণকারী পশুর মল ও মূত্র অপবিত্র।[১২] অবশ্য নাপাকি ভক্ষণকারী উটের ঘাম নাপাক হওয়ার বিষয়ে ফকীহগণের মাঝে এখতেলাফ রয়েছে। এ কারণে যদি নাপাকি ভক্ষণকারী উটের ঘাম কোন কিছুতে লেগে যায় কোন কোন ফকীহ তা পাক করা ওয়াজিব জ্ঞান করেছেন।[১৩] তবে ফকীহদের বেশীরভাগের দৃষ্টিতে নাপাকি ভক্ষণকারী উটের ঘাম হলো পাক।[১৪] কিছু কিছু গবেষকের মত হলো, নাপাকি ভক্ষণকারী উটের ঘাম পাক হলেও নামাযি যেন ঐ ঘাম তার শরীর থেকে দূর করে।[১৫] অপর কিছু লেখক নাপাকি ভক্ষণকারী অন্য পশুর ঘাম পাক না নাপাক হওয়ার বিষয়টি নাপাকি ভক্ষণকারী উটের ঘামের বিধানের আওতায় ফেলেছেন এবং এগুলোর উপর একই হুকুম বর্তাবে বলে উল্লেখ করেছেন।[১৬]
কিছু কিছু ফকিহ নাপাকি ভক্ষণকারী পশুর এঁটো হারাম বলেছেন;[১৭] এ কারণে ঐ পশুর এঁটো খাওয়া অন্যান্য নাপাক জিনিস খাওয়ার ন্যায় হারাম।[১৮] এর বিপরীতে কেউ কেউ নাপাকি ভক্ষণকারী পশুর এঁটো নাপাক হওয়া প্রসঙ্গে কোন বিধান উল্লেখ না করলেও তা খাওয়া মকরুহ বলে উল্লেখ করেছেন।[১৯]
হজ্জ ও উমরা’তে নাপাকি ভক্ষণকারী উটের পিঠে আরোহন
হজ্জ ও উমরাহ’তে নাপাকি ভক্ষণকারী উটের পিঠে আরোহন করাকে মকরুহ বলে সাব্যস্ত করেছেন।[২০]
ইস্তিবরা
নাপাকি ভক্ষণকারী পশুকে কিছুদিনের জন্য নাপাকি খাওয়া থেকে বিরত রেখে তাকে শুধুমাত্র পাক খড়-কুটো (বা অন্য খাবার) খেতে দিলে নাপাকি ভক্ষণকারী পশুর সকল বিধান তার থেকে অপসারিত হয়ে যাবে, আর এ কাজকেই ফিকহী পরিভাষায় ‘ইস্তিবরা’ বলা হয়।[২১] তবে ফকীহগণের কেউ কেউ পশুর নাপাকি ভক্ষণকারী বৈশিষ্ট্য অপসারণের জন্যে যে খড়-কুটো (বা খাবার) প্রদান করা হবে তা পাক হওয়াকে আবশ্যক জ্ঞান করেন নি।[২২]
ইস্তিবরার সময়সীমা
নাপাকি ভক্ষণকারী পশুর ইস্তিবরার সময়সীমা ভিন্ন ভিন্ন; ফকীহগণের প্রসিদ্ধ মত হলো উটের ইস্তিবরার জন্য ৪০ দিন, গরুর ২০ দিন, হাঁসের ৫ দিন এবং মুরগির ৩ দিন সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।[২৩] এ সময়সীমা মশহুর রেওয়ায়েতে উল্লেখিত হয়েছে এবং ফকীহগণ এ সময়সীমা মানাকে আবশ্যক বলে উল্লেখ করেছেন।[২৪] অপ্রসিদ্ধ বিভিন্ন রেওয়ায়েতে হাঁসের জন্য ৩,[২৫] ৬[২৬] ও ৭ দিন,[২৭] দুম্বা বা ভেড়ার জন্য ৭[২৮] ও ১৪ দিন,[২৯] এবং গরুর জন্য ৩০ দিন[৩০] ইস্তিবরার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। অবশ্য সকল রেওয়ায়েতেই উটের ক্ষেত্রে ৪০ এবং মুরগির ক্ষেত্রে ৩ দিন উল্লেখিত হয়েছে।[৩১]
মোরগ, টার্কি মোরগ, রাজহাঁস, কোয়েল ও ছাগলের ইস্তিবরার জন্য নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা রেওয়ায়েতে উল্লেখ হয় নি। কোন কোন ফকীহ’র মতে মুরগি বা হাঁসের সদৃশ্য পক্ষীকূলের বিধানও মুরগি ও হাঁসের মত।[৩২] তবে অপর কিছু ফকীহর মত হলো, যে সকল পশু-পাখির ইস্তিবরার জন্য কোন সময়সীমা উল্লেখ হয় নি তাদের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া (পবিত্র খাদ্য প্রদান) ততদিন অব্যাহত রাখতে হবে যতদিন না মানুষ তাকে ঐ অভ্যাস মুক্ত হয়েছে বলে সাব্যস্ত করে।[৩৩]
তথ্যসূত্র
- ↑ আল্লামা হিল্লি, তাহরিরুল আহকামিশ শারইয়াহ, ১৪২০ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬৩৩; আমেলি, জামেউল মাকাসেদ, ১৪১৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৬০।
- ↑ আল্লামা হিল্লি, মুখতালিফুশ শিয়া, ১৪১৩ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ৩১৩; আরদেবিলী, আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ, মাজমাউল ফায়েদাহ ওয়াল বোরহান, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৪৯; নাজাফি, জাওয়াহেরুল কালাম, দারু ইহিয়াইত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ৩৬, পৃ. ২৭১।
- ↑ হুসাইন আলী, বাররাসি আহকামে হায়ওয়ানে জাল্লাল, ১৩৯৬ ফার্সি সন, পৃ. ১২।
- ↑ ফাযেল মিকদাদ, আত-তানকীহুর রায়ে, ১৪০৪ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৩৬।
- ↑ আমেলি, জামেউল মাকাসেদ, ১৪১৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৬০; আমেলী, মাদারেকুল আহকাম, ১৪১০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৩০।
- ↑ শাহীদে সানী, মাসালেকুল আফহাম, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১২, পৃ. ২৫।
- ↑ আরদেবিলী, মাজমাউল ফায়েদাহ ওয়াল বুরহান, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১১, পৃ. ২৫০; সাবযেভারি, কিফায়াতুল আহকাম, ইসফাহান, এন্তেশারাতে মাহদাভি, খণ্ড ২, পৃ. ৬০৩; তাবাতাবায়ী, রিয়াদুল মাসাইল, ১৪১৮ হি., খণ্ড ১৩, পৃ. ৩৮৩।
- ↑ আল্লামা হিল্লি, তাহরিরুল আহকামিশ শারইয়াহ, ১৪২০ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬৩৩; আমেলি, জামেউল মাকাসেদ, ১৪১৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৬০।
- ↑ নাজাফি, জাওয়াহেরুল কালাম, দারু ইহিয়াইত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ৩৬, পৃ. ২৭২।
- ↑ তাবাতাবায়ী, রিয়াদুল মাসাইল, ১৪১৮ হি., খণ্ড ১৩, পৃ. ৩৮৬; হায়েরি, কিতাবুল মানাহিল, মোআসসেসেয়ে আলুল বাইত আলাইহিমুস সালাম, পৃ. ৬২৪; তাবরিযী, তানকীহু মাবানিল উরওয়া, কিতাবুত তাহারাহ, ১৪২৬ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩৯৬।
- ↑ আল্লামা হিল্লি, মুখতালিফুশ শিয়া, ১৪১৩ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ৩১২; শাহীদে সানী, মাসালেকুল আফহাম, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১২, পৃ. ২৭।
- ↑ হালাবি, গুনিয়াতুন নুযু, ১৪১৭ হি., পৃ. ৪০; আল্লামা হিল্লি, তাযকিরাতুল ফোকাহা, মোআসসেসেয়ে আলুল বাইত আলাইহিমুস সালাম, খণ্ড ১, পৃ. ৫১।
- ↑ শেইখ মুফিদ, আল-মুকনিআহ, ১৪১৩ হি., পৃ. ৭১; শেইখ তুসী, আন-নিহায়াহ, ১৪০০ হি., পৃ. ৫৩।
- ↑ দ্র: মুহাক্কেক হিল্লি, শারায়েউল ইসলাম, ১৪০৮, খণ্ড ১, পৃ. ৪৫; আল্লামা হিল্লি, তাহরিরুল আহকামিশ শারইয়াহ, ১৪২০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৫৮; শাহীদে আওয়াল, যিকরাইশ শিয়া, ১৪১৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১১৯-১২০; হিল্লি, মাআলেমুদ দ্বীন, ১৪০৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৭৬।
- ↑ খুয়ী, আত-তানকীহ: আত-তাহারাহ ২, ১৪১৮ হি., পৃ. ১৫৪।
- ↑ হিল্লি, নাযহাতুন নাযির, ১৩৯৪ হি., পৃ. ১৮-১৯।
- ↑ ইবনে বাররাজ, আল-মুহাযযাব, ১৪০৬ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৫; কাইদারি, ইসবাহুশ শিয়া, ১৪১৬ হি., পৃ. ২৫।
- ↑ আনসারী, কিতাবুল মাকাসিব (আল-মুহাশশা), ১৪১০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৮৮; তাবাতাবায়ী কুম্মি, মাবানি মিনহাজুস সালিহীন, ১৪২৬ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ১৩৬।
- ↑ মুহাক্কেক হিল্লি, শারায়েউল ইসলাম, ১৪০৮, খণ্ড ১, পৃ. ৮; শাহীদে আওয়াল, আদ-দুরুসুশ শারইয়াহ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১২৩।
- ↑ আল্লামা হিল্লি, তাহরিরুল আহকামিশ শারইয়াহ, ১৪২০ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১১৩; শাহীদে আওয়াল, আদ-দুরুসুশ শারইয়াহ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৪৭৪; হিল্লি, আল-জামে লিশ-শারায়ে, ১৪০৫ হি. পৃ. ২৩০।
- ↑ মিশকিনী, মুস্তালাহাতুল ফিকহ, ১৪১৯ হি., পৃ. ৬২।
- ↑ মুকাদ্দাস আরদেবিলী, মাজমাউল ফায়েদাহ ওয়াল বুরহান, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১১, পৃ. ২৫৫।
- ↑ শেইখ তুসী, আল-ফিলাফ, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ৮৬; ইবনে বাররাজ, আল-মুহাযযাব, ১৪০৬ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪২৮; মুহাক্কেক হিল্লি, শারায়েউল ইসলাম, ১৪০৮, খণ্ড ৩, পৃ. ১৭০-১৭৩; আল্লামা হিল্লি, তাহরিরুল আহকামিশ শারইয়াহ, ১৪২০ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৬৩৩-৬৩৫।
- ↑ তাবাতাবায়ী, রিয়াদুল মাসাইল, ১৪১৮ হি., খণ্ড ১৩, পৃ. ৩৮৬।
- ↑ সাদুক, মান লা ইয়াহদুরুহুল ফাকীহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩৩৮-৩৩৯।
- ↑ সাদুক, মান লা ইয়াহদুরুহুল ফাকীহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩৩৮-৩৩৯।
- ↑ কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ২৫২।
- ↑ ইবনে আশআস, আল-জাফারিয়াত, মাকতাবাতুন নাইনাভা, পৃ. ২৭।
- ↑ কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ২৫২।
- ↑ কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ২৫৩।
- ↑ কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ২৫১ ও ২৫৩; সাদুক, মান লা ইয়াহদুরুহুল ফাকীহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩৩৮ ও ৩৩৯; ইবনে আশআস, আল-জাফারিয়াত, মাকতাবাতুন নাইনাভা, পৃ. ২৭।
- ↑ আল্লামা হিল্লি, কাওয়ায়েদুল আহকাম, ১৪১৩ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩২৮; শাহীদে আওয়াল, আল-লুমআতুদ দামিশকিয়াহ, ১৪১০ হি., পৃ. ২৩৬; আল্লামা হিল্লি, ইরশাদুল আযহান, ১৪১০ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১১২।
- ↑ তাবাতাবায়ী, রিয়াদুল মাসাইল, ১৪১৮ হি., খণ্ড ১৩, পৃ. ৩৮৬।
গ্রন্থপঞ্জি
- ইবনে আশআস, মুহাম্মাদ, আল-জাফারিয়াত, তেহরান, মাকতাবাতুন নাইনাভা আল-হাদীসাহ।
- ইবনে বাররাজ, আব্দুল আযিয, আল-মুহাযযাব, কোম, দাফতারে এন্তেশারাতে ইসলামি, ১৪০৬ হি.।
- আনসারী, মুর্তাযা, কিতাবুল মাকাসিব (আল-মুহাশশা), কোম, মোআসসেসেয়ে মাতবুআতি দারুল কুতুব, ১৪১০ হি.।
- তাবরিযী, জাওয়াদ ইবনে আলী, তানকীহু মাবানিল উরওয়া, কিতাবুত তাহারাহ, কোম, দারুস সিদ্দিকাতুশ শাহিদাহ সালামুল্লাহি আলাইহা, ১৪২৬ হি.।
- হায়েরি, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ, কিতাবুল মানাহিল, কোম, মোআসসেসেয়ে আলুল বাইত আলাইহুমিস সালাম।
- হুসাইন আলী, মুহাম্মাদ আমিন, বাররাসি আহকামে হায়ওয়ানে জাল্লাল, ফিকাহ ও উসুল শাস্ত্র বিষয়ক থিসিস, কোম, মারকাযে মুদিরিয়াতে হৌযে-হায়ে ইলমিয়ে, ১৩৯৬ ফার্সি সন।
- হালাবি, হামযাহ ইবনে আলী, গুনিয়াতুন নুযু’ ইলা ইলমাইল উসুলি ওয়াল ফুরু, কোম, মোআসসেসেয়ে ইমাম সাদিক আলাইহিস সালাম, ১৪১৭ হি.।
- হিল্লি, মুহাম্মাদ ইবনে শুজা আল-কাত্তান, মাআলেমুদ দ্বীন ফি ফিকহি আলে ইয়াসীন, কোম, মোআসসেসেয়ে ইমাম সাদিক আলাইহিস সালাম, ১৪০৫ হি.।
- হিল্লি, ইয়াহিয়া ইবনে সাঈদ, আল-জামে লিশ-শারায়ে, কোম, মুআসসিসাতু সাইয়্যেদিশ শুহাদা আল-আলামিয়্যাহ, ১৪০৫ হি.।
- হিল্লি, ইয়াহিয়া ইবনে সাঈদ, নাযহাতুন নাযিরাহ ফিল জামই বাইনাল আশবাহ ওয়ান নাযায়েরাহ, কোম, মানশুরাতে রাযি, ১৩৯৪ হি.।
- খুয়ী, সাইয়্যেদ আবুল কাসেম, আত-তানকীহ ফি শারহিল উরওয়াতিল উসকা, আত-তাহারাহ ২, কোম, ১৪১৮ হি.।
- সাবযেভারি, মুহাম্মাদ বাকের ইবনে মুহাম্মাদ, কিফায়াতুল আহকাম, ইসফাহান, এন্তেশারাতে মাহদাভি।
- শাহীদে আওয়াল, মুহাম্মাদ ইবনে মাক্কি, আদ-দুররুশ শারইয়াহ ফি ফিকহিল ইমামিয়াহ, কোম, দাফতারে এন্তেশারাতে ইসলামি, ১৪১৭ হি.।
- শাহীদে আওয়াল, মুহাম্মাদ ইবনে মাক্কি, আল-লুমআতুদ দামিশকিয়াহ ফি ফিকহিল ইমামিয়াহ, বৈরুত, দারুত তুরাস, ১৪১০ হি.।
- শাহীদে আওয়াল, মুহাম্মাদ ইবনে মাক্কি, যিকরাইশ শিয়া ফি আহকামিশ শারইয়াহ, কোম, মোআসসেসেয়ে আলুল বাইত আলাইহিমুস সালাম, ১৪১৯ হি.।
- শাহীদে সানী, যাইনুদ্দীন ইবনে আলী, মাসালেকুল আফহাম ইলা তানকীহু শারায়েল ইসলাম, কোম, মুআসসিসাতুল মায়ারিফিল ইসলামিয়াহ, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, আল-খিলাফ, কোম, দাফতারে এন্তেশারাতে ইসলামি, ১৪০৭ হি.।
- শেইখ তুসী, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, আন-নিহায়াতু ফি মুজাররাদিল ফিকহী ওয়াল ফাতাভি, বৈরুত, দারুল কিতাবিল আরাবি, ১৪০০ হি.।
- শেইখ মুফিদ, মুহাম্মাদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে নো’মান, আল-মুকনিআহ, কোম, শেইখ মুফিদ কংগ্রেস, ১৪১৩ হি.।
- সাদুক, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, মান লা ইয়াহদুরুহুল ফাকীহ, কোম, দাফতারে এন্তেশারাতে ইসলামি, ১৪১৩ হি.
- তাবাতাবায়ী কুম্মি, সাইয়্যেদ তাকী, মাবানি মিনহাজুস সালিহীন, কোম, মানশুরাতু কালামিশ শারক, ১৪২৬ হি.।
- তাবাতাবায়ী ইয়াযদি, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ কাযিম, আল-উরওয়াতুল উসকা (আল-মুহাশশা), কোম, দাফতারে এন্তেশারাতে ইসলামি, ১৪১৯ হি.।
- তাবাতাবায়ী, সাইয়্যেদ আলী, রিয়াদুল মাসাইল, কোম, মোআসসেসেয়ে আলুল বাইত আলাইহিমুস সালাম, ১৪১৮ হি.।
- আমেলি, আলী ইবনে হুসাইন, জামেউল মাকাসেদ ফি শারহিল কাওয়ায়েদ, মোআসসেসেয়ে আলুল বাইত আলাইহিমুস সালাম, ১৪১৪ হি.।
- আমেলী, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, মাদারেকুল আহকাম ফি শারহি ইবাদাতি শারায়েইল ইসলাম, বৈরুত, মুআসসিসাতু আলিল বাইত আলাইহিমুস সালাম, ১৪১০ হি.।
- আল্লামা হিল্লি, হাসান ইবনে ইউসুফ, ইরশাদুল আযহান ইলা আহকামিল ঈমান, কোম, দাফতারে এন্তেশারাতে ইসলামি, ১৪১০ হি.।
- আল্লামা হিল্লি, হাসান ইবনে ইউসুফ, তাহরিরুল আহকামিশ শারইয়াহ আলা মাযহাবিল ইমামিয়াহ, কোম, মোআসসেসেয়ে ইমাম সাদিক আলাইহিস সালাম, ১৪২০ হি.।
- আল্লামা হিল্লি, হাসান ইবনে ইউসুফ, তাযকিরাতুল ফোকাহা, কোম, মোআসসেসেয়ে আলুল বাইত আলাইহিমুস সালাম।
- আল্লামা হিল্লি, হাসান ইবনে ইউসুফ, মুখতালিফুশ শিয়া ফি আহকামিশ শারিইয়াহ, কোম, দাফতারে নাশরে ইসলামি, ১৪১৩ হি.
- ফাযেল মিকদাদ, মিকদাদ ইবনে আব্দুল্লাহ, আত-তানকীহুর রায়ে লি-মুখতাছারিশ শারায়ে, কোম, আয়াতুল্লাহ মারআশি নাজাফি (রহ.) গ্রন্থাগার, ১৪০৪ হি.।
- কুলাইনি, মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব, আল-কাফি, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়াহ, ১৪০৭ হি.।
- কাইদারি, মুহাম্মাদ ইবনে হুসাইন, ইসবাহুশ শিয়া বি-মিসবাহিশ শারিয়াহ, কোম, মোআসসেসেয়ে ইমাম সাদিক আলাইহিস সালাম, ১৪১৬ হি.।
- মিশকিনী, আলী, মুস্তালাহাতুল ফিকহ, কোম, আল-হাদী, ১৪১৯ হি.।
- মুকাদ্দাসে আরদেবিলী, আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ, মাজমাউল ফায়েদাহ ওয়াল বুরহান ফি শারহি ইরশাদিল আযহান, কোম, দাফতারে নাশরে ইসলামি, ১৪০৩ হি.।
- নাজাফি, মুহাম্মাদ হাসান, জাওয়াহেরুল কালাম ফি শারহি শারায়েইল ইসলাম, বৈরুত, দারু ইহিয়াইত তুরাসিল আরাবি।