বিষয়বস্তুতে চলুন

খসড়া:ইহবাত

wikishia থেকে

ইহবাত (আরবি: إحباط) অর্থ হলো গুনাহের প্রভাবে ইবাদতসমূহের সওয়াব বিনষ্ট হয়ে যাওয়া। ইহবাত সংক্রান্ত আলোচনা কালাম শাস্ত্রে করা হয়ে থাকে। শিয়া পণ্ডিতগত ইহবাতের ধারণায় বিশ্বাস রাখেন না; তারা শুধুমাত্র কোনো মুমিন ব্যক্তির মুরতাদ (ধর্মত্যাগী) হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেই তা স্বীকার করেন। আহলে সুন্নাতের মধ্য থেকে আশআরিগণও একই মত পোষণ করেন। অন্যদিকে মু'তাজিলারা বিশ্বাস করেন যে, গুনাহ মানুষের নেক আমলের সওয়াব ধ্বংস করে দিতে সক্ষম।

কুরআনহাদীসে 'আমলের হাবত' (বিনষ্ট) সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে এবং এর কিছু উদাহরণও বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু শিয়া পণ্ডিতগণ মূলত বুদ্ধিবৃত্তিক দৃষ্টিকোন থেকে ইহবাতকে গ্রহণ না করার দরুন, এই বিষয়গুলোকে এমনভাবে ব্যাখ্যা করেন যা ইহবাতের অনুপস্থিতির বিশ্বাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ইহবাত প্রত্যাখ্যান করার জন্য দলিল হিসেবে কুরআনের কিছু আয়াত উদ্ধৃত করেন।

অবশ্য শিয়া পণ্ডিতগণের মধ্যে, বিশিষ্ট মারজায়ে তাক্বলীদ ও কুরআনের মুফাসসির নাসের মাকারেম শিরাজীসহ অল্পসংখ্যক পণ্ডিত বলেছেন যে, ইহবাত অস্বীকার করার পক্ষে কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক (আকলি) ও বর্ণনামূলক (রেওয়ায়েত) প্রমাণ নেই এবং তারা এটিকে একটি সম্ভাব্য বিষয় বলে মনে করেন।

পরিভাষা পরিচিতি ও অবস্থান

‘ইহবাত’ একটি কুরআনী পরিভাষা [], যা কালাম শাস্ত্রে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করা হয়েছে।[] এই পরিভাষাটির অর্থ হলো গুনাহ’র মাধ্যমে নেক কাজের সওয়াব বিনষ্ট হয়ে যাওয়া।[] ইহবাতের বিপরীত হলো ‘তাকফীর’ - যার অর্থ নেক আমল করার মাধ্যমে গুনাহ মিটে যাওয়া।[]

‘ইহবাত’ শব্দটি ও এর বিভিন্ন রূপ পবিত্র কুরআনে ষোল বার এসেছে।[] কালাম শাস্ত্রে এ বিষয়টি পুনরুত্থান, সওয়াব ও শাস্তি বা ওয়াদাওয়াঈদ (সুসংবাদ ও ভীতি প্রদর্শন) এর অন্তর্গত বিষয়াবলির অধীনে আলোচনা করা হয়েছে। []

ইহবাত সম্পর্কে মুসলিম আলেমদের সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি ও মতপার্থক্য

শিয়াসহ সকল ইসলামী মতাদর্শের মতে, কিছু কিছু গুনাহ করার কারণে নেক আমল বিনষ্ট হয়ে যায়।[]উদাহরণস্বরূপ, সব মুসলিম পণ্ডিত বিশ্বাস করেন যে, কোনো মুমিন ব্যক্তির সকল সৎকর্ম তার মুরতাদ (ধর্মত্যাগী) হয়ে যাওয়ার কারণে (এবং পরবর্তীতে তাওবা না করা) ধ্বংস হয়ে যায়।[] তাদের মধ্যে মতপার্থক্য হলো: ইহবাত কি শুধুমাত্র মুরতাদ হওয়া ও কুফরীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, নাকি সব ধরনের আমলের ক্ষেত্রে এটি সত্য। আশআরী সম্প্রদায়, শিয়াদের প্রসিদ্ধ মতের মতো, শেষোক্ত অর্থে ইহবাতকে বাতিল বলে মনে করেন। []কিন্তু মু'তাজিলারা বিশ্বাস করেন যে, সামগ্রিকভাবে ইহবাত একটি সঠিক বিষয়।[১০]তারা তাদের দাবি প্রমাণের জন্য বুদ্ধিবৃত্তিক দলিলের আশ্রয় নিয়েছেন[১১], যার জবাব শিয়া ও আশআরী আলেমগণ দিয়েছেন।[১২]

শিয়াদের দৃষ্টিভঙ্গি

শিয়াদের মধ্যে যে মতটি প্রসিদ্ধ সেটি হচ্ছে যে, ইহবাত সঠিক নয়।[১৩]হিজরি চতুর্থ শতাব্দীর শিয়া কালামবিদ শেখ তুসী সামগ্রিকভাবে ইহবাতকে প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, কুরআনের যেসব আয়াতের বাহ্যিক অর্থ ইহবাতের দিকে ইঙ্গিত করে, তা গ্রহণযোগ্য নয়; কারণ আকীদা-বিশ্বাসের ভিত্তি হলো আকল বা বুদ্ধিবৃত্তি। আর আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা অবশ্যই এমনভাবে করতে হবে, যেন বুদ্ধিবৃত্তির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়।[১৪]জাফর সুবহানীও লিখেছেন যে, নেক আমল গুনাহের দ্বারা বিনষ্ট হওয়া, একপ্রকার ওয়াদা ভঙ্গ ও জুলুম; আর যেহেতু আল্লাহ জুলুম করেন না, তাই তিনি মানুষের নেক আমল গুনাহ করার কারণে বিনষ্ট করেন না।[১৫] এছাড়াও তিনি কুরআনের কিছু আয়াতের (যেমন সূরা যিলযালের ৭ নং আয়াত এবং সূরা নাজমের ৪০ নং আয়াত) প্রতি ইশারা করেন, যার ভিত্তিতে কিয়ামতের দিন মানুষ তাদের সম্পাদিত সব ভালো ও মন্দ আমলের ফল দেখতে পাবে এবং তাদের কোনো ভালো বা মন্দ আমলই বিনষ্ট হবে না।[১৬]

অবশ্য শিয়া পণ্ডিতগণের মধ্যে অন্যান্য মতবাদও বিদ্যমান। উদাহরণস্বরূপ, তাফসীরে নমুনার প্রণেতা নাসের মাকারেম শিরাজীর মতে, আংশিকভাবে ইহবাত সম্ভব এবং ইহবাত বাতিল হওয়ার পক্ষে কোনো যুক্তিগ্রাহ্য ও বর্ণনামূলক প্রমাণ নেই।[১৭]তিনি ইহবাতকে পার্থিব বিষয়ের সাথে উপমা দিয়ে বলেন, যেমনভাবে মানুষ সারাজীবন কষ্ট করে যে মূলধন অর্জন করে তা একটি ভুলের কারণেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে, তেমনি সম্ভবত তার নেক আমলগুলোও একটি গুনাহ করার কারণে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তিনি এই বিষয়ক মতপার্থক্যকে শব্দগত বিরোধ বলে মনে করেন। [১৮] বিহারুল আনওয়ার গ্রন্থের প্রণেতা আল্লামা মাজলিসীও বিশ্বাস করেন যে, প্রতিটি গুনাহকে নেক আমল বিনষ্টকারী বলে গণ্য করা যায় না; কিন্তু কুরআন ও হাদীসে যেসব ঘটনার উল্লেখ আছে সেগুলো ইহবাতের দৃষ্টান্ত। [১৯] তবে তিনি অন্যত্র এই বিষয়কে এমনভাবে ব্যাখ্যা করেছেন যেন তা 'আমলের হাবত' হিসেবে গণ্য না হয়।[২০]

ইহবাতের কারণসমূহ

সমস্ত মুসলমান একমত যে, যদি কোন মুমিন ব্যক্তি মুরতাদ হয়, তবে তার কুফরী তার পূর্বের সকল নেক আমল বিনষ্ট করে দেয়।[২১] কুরআনের আয়াতসমূহে, ঈমান আনার পর মুরতাদ হওয়া, [২২] সৎকাজে উপদেশ দানকারীদের হত্যা করা,[২৩] পরকাল ও আল্লাহর আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলা [২৪] এবং মুনাফিকী ও দ্বিমুখী আচরণকে[২৫]আমল বিনষ্ট হওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। [২৬]অবশ্য শেখ তুসী বলেন, যেহেতু এই আয়াতগুলোর বাহ্যিক অর্থ বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়, তাই সেগুলোকে এমনভাবে অর্থ করতে হবে যা বুদ্ধিবৃত্তির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়।[২৭]

শিয়া হাদীসেও ইহবাতের কারণ হিসেবে নিম্নোক্ত গুনাহগুলোর উল্লেখ রয়েছে: ইমাম আলী (আ.)-এর বেলায়েত (অভিভাবকত্ব) অস্বীকার করা, [২৮] মুসিবতে অধৈর্য্য প্রকাশ করা,[২৯]বিবাহিত নারী বা পুরুষকে ব্যভিচারের মিথ্যা অপবাদ দেওয়া,[৩০]খারাপ ধারণা পোষণ করা,[৩১]রিয়া বা প্রদর্শনেচ্ছা[৩২] এবং ঝগড়া করা[৩৩] আল্লামা মাজলিসী এই হাদীসগুলোকে শিয়াদের ইহবাত সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তোলার চেষ্টা করেছেন। তার মতে, হাদীসগুলোতে 'হাবত' শব্দটি এর প্রকৃত অর্থে ব্যবহৃত হয়নি; বরং এই অর্থে যে, কোন কোন নেক আমল কবুল হওয়ার শর্ত হলো ভবিষ্যতে কিছু কিছু গুনাহ হতে বিরত থাকা, আর ঐ গুনাহ করলে বুঝা যায় যে সে শুরু থেকেই সেই নেক আমলটি তার সকল শর্তাবলীসহ সম্পাদন করেনি এবং মূলত সে সওয়াবের যোগ্যই ছিল না। [৩৪] তিনি এই মতটিকে শিয়াদের প্রসিদ্ধ মত বলে মনে করেছেন।[৩৫]

মহানবী (সা.)-এর উপস্থিতিতে উচ্চস্বরে কথা বলা

সূরা হুজুরাতের ২ নং আয়াতে, মুমিনদেরকে নবী করিম (সাঃ) এর কণ্ঠস্বরের উপরে তাদের কণ্ঠস্বর উঁচু করতে এবং তাঁর উপস্থিতিতে উচ্চস্বরে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে, যাতে তাদের আমল বিনষ্ট না হয়ে যায়। শিয়া মুফাসসিরগণ এই আয়াতের ব্যাখ্যায়- কুফরশিরক ব্যতীত অন্য কোনো আমল কীভাবে ইহবাত তথা আমল বিনষ্টের কারণ হতে পারে – বিভিন্ন ধরনের জবাব দিয়েছেন:[৩৬]

  • নবী করীম (সা.)-এর কণ্ঠস্বরের উপর কণ্ঠস্বর উঁচু করা বা তাঁর সামনে উচ্চস্বরে কথা বলা, যদি মহানবী (সা.)-কে অপমান করার উদ্দেশ্যে হয় তবে তা একপ্রকার কুফরী; আর সকল মুসলমানের মতে, কাফির হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে মানুষের সকল আমল বিনষ্ট হয়ে যায়।[৩৭]
  • মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর সামনে উপস্থিত হওয়া এমন একটি আমল, যার নিজস্ব সওয়াব রয়েছে। যদি মুমিনগণ মহানবীকে অপমান করার উদ্দেশ্যে তাঁর সামনে উচ্চস্বরে কথা বলে, তবে এই কাজ মহানবীর (সা.) সমীপে উপস্থিত হওয়ার সওয়াব নষ্ট করে দেয়।[৩৮]

নবী করীম (সা.)-কে অবমাননা করার মাধ্যমে মুমিনের সকল নেক আমলের বিনষ্ট হওয়া একটি সম্ভাব্য বিষয় এবং এটির বিপরীতে কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক প্রমাণ নেই।[৩৯]

তথ্যসূত্র

  1. মিসবাহ ইয়াযদী, আমুযেশে আকাইদ, ১৩৮৪ ফার্সি সন, পৃ. ৪৬৭।
  2. শুজাঈ, "ইহবাত ও তাকফীর", পৃ. ১৭৯।
  3. হিল্লী, কাশফুল মুরাদ, ১৩৮২ ফার্সি সন, পৃ. ২৭২; হিম্মাসী রাযী, আল-মুনকিযু মিনাত তাকলীদ, ১৪১২ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪২।
  4. হিল্লী, কাশফুল মুরাদ, ১৩৮২ ফার্সি সন, পৃ. ২৭২; হিম্মাসী রাযী, আল-মুনকিযু মিনাত তাকলীদ, ১৪১২ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪২।
  5. আবদুল বাকী, আল-মুজামুল মুফাহরাস, ১৪০৭ হি., পৃ. ১৯৩।
  6. শুজাঈ, "ইহবাত ও তাকফীর", পৃ. ১৭৯।
  7. সুবহানী, ফারহাঙ্গে আকাইদ ও মাযাহিবে ইসলামী, ১৩৭৮ ফার্সি সন, খণ্ড ৪, পৃ. ১৯৫।
  8. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৩৩৪।
  9. তাফতাযানী, শারহুল মাকাসিদ, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ১৪০।
  10. কাজী আবদুল জাব্বার, শারহুল উসূলিল খামসাহ, ১৪২২ হি., পৃ. ৪২২।
  11. কাজী আবদুল জাব্বার, শারহুল উসূলিল খামসাহ, ১৪২২ হি., পৃ. ৪২৩-৪২৬।
  12. দেখুন: হিল্লী, কাশফুল মুরাদ, ১৩৮২ ফার্সি সন, পৃ. ২৭২-২৭৩; হিম্মাসী রাযী, আল-মুনকিযু মিনাত তাকলীদ, ১৪১২ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪২-৪৪; ইজী, আল-মাওয়াকিফ ফি ইলমিল কালাম, আলামুল কুতুব, পৃ. ৩৭৯।
  13. তাফতাযানী, শারহুল মাকাসিদ, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ১৪০।
  14. শেখ তুসী, আল-ইকতিসাদ, ১৪০৬ হি., পৃ. ২০০।
  15. সুবহানী, মানশুরে জাবিদ, ১৩৯০ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৫০৯।
  16. সুবহানী, মানশুরে জাবিদ, ১৩৯০ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৫১০।
  17. মাকারেম শিরাজী, তাফসীরে নমুনাহ, ১৩৭৪ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ১১৫।
  18. মাকারেম শিরাজী, তাফসীরে নমুনাহ, ১৩৭৪ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ১১৫।
  19. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৩৩৪।
  20. দেখুন: মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৩৩২-৩৩৪।
  21. উদাহরণস্বরূপ দেখুন: তাফতাযানী, শারহুল মাকাসিদ, ১৪১২ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ১৪২; জাওয়াদী আমুলী, তাসনীম, ১৩৮৭ ফার্সি সন, খণ্ড ১০, পৃ. ৬০৩।
  22. সূরা বাকারাহ, আয়াত ২১৭।
  23. সূরা আলে ইমরান, আয়াত ২১-২২।
  24. সূরা আ'রাফ, আয়াত ১৪৭।
  25. সূরা আহযাব, আয়াত ১৯।
  26. সুবহানী, মানশুরে জাবিদ, ১৩৯০ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৫১৯-৫৩২।
  27. শেখ তুসী, আল-ইকতিসাদ, ১৪০৬ হি., পৃ. ২০০।
  28. সাফফার, বাসাইরুদ দারাজাত, ১৪০৪ হি., পৃ. ৭৭।
  29. কুলাইনী, আল-কাফী, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ২২৪।
  30. শেখ সাদুক, ছাওয়াবুল আ'মাল ওয়া ইকাবুল আ'মাল, ১৪০৬ হি., পৃ. ২৮৫।
  31. ইবনে হাইয়ূন, দাআইমুল ইসলাম, ১৩৮৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩৫২।
  32. শেখ সাদুক, আল-আমালী, ১৩৭৬ ফার্সি সন, পৃ. ৫৮২।
  33. ইবনে শু'বাহ হুররানী, তুহফুল উকুল, ১৪০৪ হি., পৃ. ৩০৯।
  34. দেখুন: মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৩৩২-৩৩৪।
  35. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৩৩২।
  36. জাফরী, "আশনাঈ বা চান্দ ইসতিলাহে কুরআনী (৪) ইহবাত ও তাকফীর", পৃ. ৪৫।
  37. মাকারেম শিরাজী, তাফসীরে নমুনাহ, ১৩৭৪ ফার্সি সন, খণ্ড ২২, পৃ. ১৩৮।
  38. শেখ তুসী, আত-তিবইয়ান, দার ইহইয়াউত তুরাসিল আরাবী, খণ্ড ৯, পৃ. ৩৪১; তাবরাসী, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ৯, পৃ. ১৯৬।
  39. মাকারেম শিরাজী, তাফসীরে নমুনাহ, ১৩৭৪ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ১১৫; সুবহানী, মানশুরে জাবিদ, ১৩৯০ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৫২২।

গ্রন্থপঞ্জি

  • পবিত্র কুরআন।
  • ইবনে হাইয়ূন, নুমান বিন মুহাম্মদ, দাআইমুল ইসলাম ওয়া যিকরুল হালাল ওয়াল হারাম ওয়াল কাযায়া ওয়াল আহকাম, কোম, মুআসসাসাতু আলে-বাইত (আ.), ১৩৮৫ হি.।
  • ইবনে শু'বাহ হুররানী, হাসান বিন আলী, তুহাফুল উকুল, কোম, দাফতারে ইনতিশারাতে ইসলামী, ১৪০৪ হি.।
  • ইজী, আবদুর রহমান বিন আহমাদ, আল-মাওয়াকিফ ফি ইলমিল কালাম, বৈরুত, আলামুল কুতুব, তারিখবিহীন।
  • তাফতাযানী, মাসউদ বিন উমর, শারহুল মাকাসিদ, কোম, আশ-শারিফুর রাযী, ১৪১২ হি.।
  • জাফরী, ইয়াকুব, "আশনাঈ বা চান্দ ইসতিলাহে কুরআনী (৪) ইহবাত ও তাকফীর", মাজাল্লায়ে দারসহায়ে মাকতাবে ইসলাম, সংখ্যা ১০, দাই মাস ১৩৭২ ফার্সি সন।
  • জাওয়াদী আমুলী, আবদুল্লাহ, তাসনীম, কোম, ইসরা, ১৩৮৭ ফার্সি সন।
  • হিল্লী, হাসান বিন ইউসুফ, কাশফুল মুরাদ ফি শারহে তাজরীদিল ই'তিকাদ, কোম, মুআসসাসাতে ইমাম সাদিক (আ.), ১৩৮২ ফার্সি সন।
  • হিম্মাসী রাযী, মাহমুদ, আল-মুনকিযু মিনাত তাকলীদ, কোম, দাফতারে ইনতিশারাতে ইসলামী, ১৪১২ হি.।
  • সুবহানী, জাফর, ফারহাঙ্গে আকাইদ ও মাযাহিবে ইসলামী, কোম, তাওহীদ, ১৩৭৮ ফার্সি সন।
  • সুবহানী, জাফর, মানশুরে জাবিদ, কোম, মুআসসাসাতে ইমাম সাদিক (আ.), ১৩৯০ ফার্সি সন।
  • শুজাঈ, আহমাদ, "ইহবাত ও তাকফীর", দানিশনামায়ে কালামে ইসলামী, খণ্ড ১, কোম, মুআসসাসাতে ইমাম সাদিক (আ.), ১৩৮৭ ফার্সি সন।
  • শেখ সাদুক, মুহাম্মদ বিন আলী, আল-আমালী, তেহরান, কিতাবচী, ১৩৭৬ ফার্সি সন।
  • শেখ সাদুক, মুহাম্মদ বিন আলী, ছাওয়াবুল আ'মাল ওয়া ইকাবুল আ'মাল, কোম, দারুশ শারিফুর রাযী, ১৪০৬ হি.।
  • শেখ তুসী, মুহাম্মদ বিন হাসান, আল-ইকতিসাদ ফিমা ইয়াতাআল্লাকু বিল ই'তিকাদ, বৈরুত, দারুল আযওয়া, ১৪০৬ হি.।
  • শেখ তুসী, মুহাম্মদ বিন হাসান, আত-তিবইয়ান ফি তাফসীরিল কুরআন, বৈরুত, দারু ইহইয়াইত তুরাসিল আরাবী, তারিখবিহীন।
  • সাফফার, মুহাম্মদ বিন হাসান, বাসাইরুদ দারাজাত ফি ফাযাইলি আলে মুহাম্মদ (সা.), কোম, কিতাবখানায়ে আয়াতুল্লাহ মার'শী নাজাফী (রহ.), ১৪০৪ হি.।
  • তাবরাসী, ফাযল বিন হাসান, মাজমাউল বায়ান ফি তাফসীরিল কুরআন, তেহরান, নাসির খসরু, ১৩৭২ ফার্সি সন।
  • আবদুল বাকী, মুহাম্মদ ফুয়াদ, আল-মুজামুল মুফাহরাস লি আলফাযিল কুরআনিল কারীম, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪০৭ হি.।
  • কাজী আবদুল জাব্বার, ইবনে আহমাদ, শারহুল উসূলিল খামসাহ, বৈরুত, দারু ইহইয়াইত তুরাসিল আরাবী, ১৪২২ হি.।
  • কুলাইনী, মুহাম্মদ বিন ইয়াকুব, আল-কাফী, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়্যাহ, ১৪০৭ হি.।
  • মাজলিসী, মুহাম্মদ বাকির বিন মুহাম্মদ তাকী, বিহারুল আনওয়ারিল জামিআহ লি দুরারি আখবারিল আইম্মাতিল আতহার (আ.), বৈরুত, দারু ইহইয়াইত তুরাসিল আরাবী, ১৪০৩ হি.।
  • মিসবাহ ইয়াযদী, মুহাম্মদ তাকী, আমুযেশে আকাইদ, কোম, শিরকাতে চাপ ও নাশরে বাইনুল মিলালি সাযমানে তাবলিগাতে ইসলামী, ১৩৮৪ ফার্সি সন।
  • মাকারেম শিরাজী, নাসির, তাফসীরে নমুনাহ, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়্যাহ, ১৩৭৪ ফার্সি সন।
  • ইয়াযদী, আকদাস, ও যায়নাব আব্বাসী আগভী, "ইহবাত ও তাকফীরে আমল", মাজাল্লায়ে তাহকিকাতে কালামী, সংখ্যা ১৪, পাইয ১৩৯৫ ফার্সি সন।