ইমাম মাহদীর (আ.) বিপ্লব
ইমাম মাহদী (আ.) হলেন শিয়া মাযহাবের ইমামতিধারার দ্বাদশতম ইমাম; তিনি আবির্ভূত হওয়ার পর সারা বিশ্বের ন্যায় ও ইনসাফ কায়েমের উদ্দেশ্যে বিপ্লব সাধন করবেন। কিন্তু তাঁর এ বিপ্লব বা সংগ্রাম কখন সংঘটিত হবে তা সুনির্দিষ্ট নয়। তবে হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে তাঁর বিপ্লবের সূচনা হবে এবং তা ৮ মাস ব্যাপী দীর্ঘ হবে। তাঁর বিপ্লবের মূল ক্ষেত্র হবে ইরাক এবং ইমাম সেখানে সুফিয়ানিকে পরাস্ত করবেন।
হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী ইমাম মাহদীর (আ.) এ বিশ্বব্যাপী বিপ্লব বা সংগ্রামের প্রধান সহযোগী হবেন ৩১৩ জন। কিন্তু এ সংগ্রামে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা আরও অনেক বেশি; তাদের অধিকাংশ হবে যুবক। হযরত ঈসাও (আ.) এ সংগ্রামে অংশগ্রহণ করবেন। নির্ভরযোগ্য রেওয়ায়েতের বর্ণনা অনুযায়ী এ বিপ্লবে অনেক নবীগণ, ওলী-আওলিয়া, আসহাবে কাহাফের সদস্যবর্গ ছাড়াও হযরত ইউশা বিন নুন (আ.), হযরত সালমান ফারসী, হযরত আবু দাযানেহ আনসারি, হযরত মালিক আশতার নাখায়ী প্রমুখ ব্যক্তিবর্গের পূনর্জন্ম ঘটবে এবং তারা ইমাম মাহদীর (আ.) পাশে থাকবেন।
কেউ কেউ হাদীস ও রেওয়ায়েতের আলোকে এমন ধারণাপোষণ করেন যে, ইমাম মাহদীর (আ.) বিপ্লবের অস্ত্র হবে তরবারি। আল্লাহ তার এ তরবারিতে যে অলৌকিক ক্ষমতা দিবেন, তিনি সে ক্ষমতাবলে শত্রুদের পরাজিত করবেন। আবার কেউ কেউ ধারণাপোষণ করেন যে, অত্যাধুনিক সব সমরাস্ত্র অকেজো হয়ে যাবে এবং ইমাম মাহদী (আ.) তরবাবির মাধ্যমে বিজয় অর্জন করবেন। কিন্তু কারও কারও মতে ইমাম মাহদীর (আ.) বিপ্লবে তরবারি শব্দটি প্রতীকী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। বরং এ পরিভাষাটি তাঁর বিপ্লব যে সশস্ত্র হবে, সে বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত বহন করে।
অবস্থান ও গুরুত্ব
ইমাম মাহদীর (আ.) বিপ্লব এ বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত বহন করে যে, ইমামতিধারার দ্বাদশতম ইমাম আবির্ভূত হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সশস্ত্র পদক্ষেপ নিবেন। [১] যদিও ইমামের এ বিপ্লব কোন কোন ক্ষেত্রে তার আবির্ভাব অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। [২] কিন্তু বিখ্যাত ইতিহাতবিদ ও গবেষক খোদামুরাদ সুলাইমান উল্লেখ করেছেন: এ দু’টি বিষয় পরস্পর ভিন্ন এবং বিপ্লব মূলত তার আবির্ভাবের পরেই সংঘটিত হবে। [৩]
কোন কোন রেওয়ায়েতে ইমামের এ বিপ্লব বিদ্রোহ ও অভ্যুত্থান অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। হযরত শেখ সাদুক প্রণীত আল খিসাল গ্রন্থে ইমাম মাহদীর (আ.) বিপ্লবকে রাজয়াত (পূনর্জন্ম), কিয়ামতের সাথে তুলনা করা হয়েছে। {শেখ সাদুক, আল খিসাল, খণ্ড ১, ১০৮} হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী ইমামের এ বিপ্লব আট মাস ব্যাপী স্থায়ী এবং তা বিশ্বব্যাপী খোদায়ী শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাপ্ত হবে। [৪]
সময় ও মেয়াদ
ইমাম মাহদীর (আ.) বিপ্লব কখন শুরু হবে তা সুস্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট নয়। [৫] কিন্তু কিছু কিছু রেওয়ায়েতে এ বিপ্লবের সূচনা লগ্নের কিছু বৈশিষ্ট্যের প্রতি ইশারা করা হয়েছে। যেমনঃ বর্ণিত হয়েছে যে, হিজরী বেজোড় বর্ষে আশুরার দিন সংঘটিত হতে পারে। [৬] তারীখে মা’বাদে জুহুর কিতাবের প্রণেতা সাইয়েদ মুহাম্মাদ সাদর উল্লেখ করেছেন: আশুরার দিন ব্যতিত এ সম্পর্কে বর্ণিত রেওয়ায়েতগুলো জায়িফ। [৭]
এ বিপ্লবের মেয়াদ সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম মাহদি আলাইহিস সালাম আট মাস পর্যন্ত তরবারি বহন করবেন। [৮]
স্থান
অধিকাংশ রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে ইমাম মাহদীর (আ.) বিপ্লব মক্কা শহরে শুরু হবে। [৯] যেমন: শেইখ কুলাইনী আল কাফী হাদীসগ্রন্থে এবং নো’মানি তার বিখ্যাত আল গাইবাহ গ্রন্থে এ স্থানের কথা উল্লেখ করেছেন। [১০] শেইখ সাদুক প্রণীত উইয়্যুনুর আখবারুর রেযা গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন যে, ইমাম মাহদীর (আ.) বিপ্লবের স্থান হবে ‘তাহামাহ’ অঞ্চল। ঐতিহাসিকগণের দৃষ্টিতে মক্কা হচ্ছে ‘তাহামাহ’ অঞ্চলের অন্তর্গত। [১১]
কোন কোন রেওয়ায়েতে ইয়েমেনের কারআ’ নামক অঞ্চলকে এ বিপ্লবের স্থান হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। [১২] কিন্তু ‘দানেশ নামেহ ইমাম মাহদী (আ.)’ গ্রন্থের প্রণেতা এ ধরণাকে ভিত্তিহীন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। হয়তো এ বিষয়টি ইমাম মাহদীর বিপ্লবের সময় ইয়ামেনী অভ্যুত্থান বিষয়ক রেওয়ায়েতের কারণে প্রচারিত হতে পারে। অথবা এ ধরনের রেওয়ায়েত ফাতেমী শাসনের স্বীকৃতি দানের জন্যও বর্ণিত হতে পারে। [১৩]
‘দানেশ নামেহ ইমাম মাহদী (আ.)’ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে- ১০ হাজার লোক মক্কায় ইমাম মাহদীর (আ.) নিকট বাইয়াত গ্রহণ করবে। তিনি একটি বাহিনীকে মদীনায় প্রেরণ করবেন। অতঃপর সুফিয়ানী বিদ্রোহ দমনে ইরাক গমন করবেন এবং সেখানেই তাঁর বিপ্লবের প্রধান যুদ্ধক্ষেত্র হবে। [১৪]
হাদীসের বর্ণনায় রোম, দেইলাম, ভারত, কাবুল, মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল তার নিকট আত্মসমার্পন করবে। [১৫] হযরত ঈসা (আ.) বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে ইমাম মাহদীর (আ.) সাথে যোগ দিবেন। ইমাম মাহদীর (আ.) বিপ্লবের সমাপ্তি ঘটবে ইরাকের কুফা শহরে এবং সেখানেই তাঁর খেলাফতের কেন্দ্র হবে। [১৬]
কিভাবে সূচনা হবে?
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম মাহদী (আ.) মসজিদুল হারামে এশার নামায আদায় করবেন। অতঃপর কাবা গৃহের পাশ থেকে তাঁর বিপ্লবের সূচনা করবেন। [১৭] তখন উত্তরাধিকার সূত্রে তাঁর নিকট মহানবীর (সা.) পাগড়ি, আবা, জুব্বা, তরবারি, ঢাল, পতাকা থাকবে। [১৮] কাবা ঘরের পাশে রুকন ও মাকামে ইবরাহীমের মধ্যবর্তি স্থানে লোকেরা তাঁর নিকট বাইয়াত গ্রহণ করবে। [১৯]
শেইখ সাদুক (রহ.) বর্ণনা করেছেনঃ ইমাম মাহদী (আ.) ৩১৩ জন সঙ্গী নিয়ে মসজিদুল হারামে উপস্থিত হবেন এবং পবিত্র কুরআনের এ আয়াতটি পাঠের মাধ্যমে স্বীয় বক্তব্য শুরু করবেন,
بَقِيَّتُ اللَّهِ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ
“যদি তোমরা ঈমানদার হও, তাহলে আল্লাহর উদ্বৃত্ত (বাকিয়াতুল্লাহ) তোমাদের জন্য উত্তম।” [২০] অতঃপর তিনি বলবেন,
أَنَا بَقِيَّةُ اللَّهِ فِي أَرْضِهِ وَ خَلِيفَتُهُ وَ حُجَّتُهُ عَلَيْكُمْ
“আমিই হলাম এ পৃথিবীতে আল্লাহর উদ্বৃত্ত ও তার প্রতিনিধি এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের উপর হুজ্জাত।” যখন তাঁর সহযোগিদের সংখ্যা ১০ হাজারে উন্নীত হবে, তখন বিপ্লব শুরু করবেন। [২১]
অস্ত্র
হাদীসের আলোকে ইমাম মাহদীর (আ.) অস্ত্র হবে তরবারি। [২২] এ কারণে অনেকে বিশ্বাস করেন যে, ইমাম মাহদীর (আ.) অভ্যুত্থানের সময় আল্লাহর নির্দেশে সমস্ত অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র অকেজো হয়ে যাবে। আবার কেউ কেউ মনে করেন যে, ইমামের আবির্ভাবের পূর্বে সংঘটিত যুদ্ধসমূহে যাবতীয় আধুনিক অস্ত্রসমূহ ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। কোন কোন গবেষকের ধারণামতে আল্লাহ তায়ালা অলৌকিকতার মাধ্যমে ইমাম মাহদীর (আ.) তরবারি অন্য যে কোন আধুনিক অস্ত্রের তুলনায় অধিক ক্ষমতা দান করবেন। [২৩]
পক্ষান্তরে আবার কেউ কেউ মনে করেন যে, ইমাম মাহদীর (আ.) অস্ত্র সম্পর্কে হাদীসে বর্ণিত ‘সাইফ’ বলতে ক্ষমতা ও সামরিক শক্তিকে বুঝান হয়েছে। [২৪] সুতরাং এর অর্থ হচ্ছে ইমাম (আ.) সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে শত্রুদের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করবেন। তিনি সংগ্রামে শুধুমাত্র তরবারিই ব্যবহার করবেন এমনটি নয়। [২৫]
অংশগ্রহণকারীগণ
ইমাম মাহদীর (আ.) বিপ্লবে অংশগ্রহণকারীদের কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন রেওয়ায়েতে উল্লেখিত হয়েছে, যেমন: তাদের সংখ্যা, তাদের বৈশিষ্ট্য এবং বিখ্যাত ব্যক্তিত্বগণ ইত্যাদি।
সংখ্যা
অধিকাংশ হাদীসে ইমাম মাহদীর (সা.) একনিষ্ঠ সঙ্গীর সংখ্যা ৩১৩ জন উল্লেখ করা হয়েছে। এ সংখ্যা বদরের যুদ্ধে রাসূলের (সা.) সাহাবীদের সংখ্যার সমান। [২৬] কোন কোন রেওয়ায়েত এ সংখ্যাকে ১০ হাজার, ১২ হাজার অথবা ১৫ হাজারের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। [২৭] এ কারণে বর্ণনা করা হয়ে থাকে যে, ইমামের বিপ্লবে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ৩১৩ জনের অধিক। ৩১৩ জন মূলত এ বিপ্লবের শীর্ষ কমাণ্ডার ও সহযোগিবৃন্দ। [২৮]
অংশগ্রহণকারীদের বৈশিষ্ট্য
আল গাইবাত কিতাবে বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইমামের (আ.) বিপ্লবে অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই যুবক এবং স্বলসংখ্যক হচ্ছে বয়স্ক। [২৯] তারা অধিক সাহসি, ইবাদতকারী, অটল, দৃঢ়চেতা এবং শক্তিশালী। [৩০]
বিখ্যাত ব্যক্তিত্বগণ
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত ঈসা (আ.) ইমমা মাহদীর (আ.) বিপ্লবে তার সহযোগি হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন। [৩১] অনুরূপভাবে কিছু ওলী-আওলিয়া যারা এ পৃথিবীতে বিদায় নিয়েছেন, তারা আল্লাহর ইচ্ছায় রাজআত বা প্রত্যাবর্তন করবেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেনঃ আসহাবে কাহাফের সদস্যবর্গ, হযরত ইউশা বিন নুন (আ.), হযরত সালমান ফারসী, হযরত আবু দাযানেহ আনসারি, হযরত মালিক আশতার নাখায়ী প্রমুখ। [৩২]
তথ্যসূত্র
- ↑ সুলাইমান, দারসনামেহ মাহদাভিয়্যাত, খণ্ড ৩, পৃ. ১৭০-১৭১
- ↑ সাদর, আল মৌসুআতুল মাহদাভিয়্যাত, খণ্ড ৩, পৃ. ১৯৫
- ↑ সুলাইমান, দারসনামেহ মাহদাভিয়্যাত, খণ্ড ৩, পৃ. ১৭২
- ↑ সাদর, আল মৌসুআতুল মাহদাভিয়্যাত, খণ্ড ৩, পৃ. ৪৪৯
- ↑ সাদর, আল মৌসুআতুল মাহদাভিয়্যাত, খণ্ড ৩, পৃ. ২০৭
- ↑ সাদর, আল মৌসুআতুল মাহদাভিয়্যাত, খণ্ড ৩, পৃ. ২১২-২১৩
- ↑ সাদর, আল মৌসুআতুল মাহদাভিয়্যাত, খণ্ড ৩, পৃ.২১৩
- ↑ নো’মানি, আল গাইবাহ, পৃ. ১৬৪, হাদীস নং ৫
- ↑ মুহাম্মাদি রেই শাহরি, দানেশনামেহ ইমাম মাহদী, খণ্ড ৮, পৃ. ১৯৯
- ↑ কুলাইলী, আল কাফী, খণ্ড ১, পৃ. ২৩১
- ↑ মুহাম্মাদি রেই শাহরি, দানেশনামেহ ইমাম মাহদী, খণ্ড ৮, পৃ.১৯৯
- ↑ এরবেলী, কাশফুল গাম্মাহ, খণ্ড ২, পৃ. ৪৬৯ এবং ফাইজে কাশানি, আল ওয়াফী, খণ্ড ২, পৃ. ৪৬৭
- ↑ মুহাম্মাদি রেই শাহরি, দানেশনামেহ ইমাম মাহদী, খণ্ড ৮, পৃ.১৯৯
- ↑ মুহাম্মাদি রেই শাহরি, দানেশনামেহ ইমাম মাহদী, খণ্ড ৮, পৃ. ২০১
- ↑ নো’মানি, আল গাইবাহ, পৃ. ২৩৫, হাদীস নং ২২
- ↑ সুলাইমানি, দারসনামেহ মাহদাভিয়্যাত, খণ্ড ৩, পৃ. ১৭৯
- ↑ মুহাম্মাদি রেই শাহরি, দানেশনামেহ ইমাম মাহদী, খণ্ড ৮, পৃ. ২০১
- ↑ নো’মানি, আল গাইবাহ, পৃ. ২৩৫, হাদীস নং ২৭০
- ↑ শেইখ তুসী, আল গাইবাহ, পৃ. ৪৫৪ এবং শেইখ মুফীদ, আল এরশাদ, খণ্ড ২, পৃ. ৩৭৯
- ↑ সূরা হুদ, আয়াত ৮৬
- ↑ শেইখ সাদুক, কামালুদ্দীন, খণ্ড ১, পৃ. ৩৩১
- ↑ কুলাইলী, আল কাফী, খণ্ড ৮, পৃ. ৫০, হাদীস নং ১৩ এবং শেইখ সাদুক, কামালুদ্দীন, খণ্ড ১, পৃ. ৩২১
- ↑ সুলাইমানি, দারসনামেহ মাহদাভিয়্যাত, খণ্ড ৩, পৃ. ১৭৬
- ↑ আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজী, হুকুমতে জাহানী ইমমা মাহদী, পৃ. ২৫১-২৫৩
- ↑ আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজী, হুকুমতে জাহানী ইমমা মাহদী, পৃ.২৫১
- ↑ শেইখ সাদুক, কামালুদ্দীন, খণ্ড ২, পৃ. ৬৫৪, হাদীস নং ২০
- ↑ সাইয়েদ ইবনে তাউস, আল মুলাহেম ওয়াল ফেতান, পৃ. ৬৪-৬৫
- ↑ জামানী, হযরত মাহদী (আ.), আইনে পায়াম্বারান, পৃ. ২১৯
- ↑ নো’মানি, আল গাইবাহ, পৃ. ২৩৫, হাদীস নং ১০
- ↑ আল্লামা মাযলিসি, বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৫২, পৃ. ৩৮৬
- ↑ সাইয়েদ ইবনে তাউস, আল মুলাহেম ওয়াল ফেতান, পৃ. ৮৩
- ↑ হুররে আমুলী, ইসবাতুল হুদাত, খণ্ড ৫, পৃ.১৭৩