ইব্রাহিম কর্তৃক মূর্তি ভাঙ্গার কাহিনী

ইব্রাহিম কর্তৃক মূর্তি ভাঙ্গা (আরবি: تحطيم إبراهيم للأصنام) ইব্রাহিম নবী (আ.)-এর হাতে মুশরিকদের মূর্তিগুলো ভাঙ্গা ও ধ্বংস হওয়ার ঘটনাকে নির্দেশ করে। উক্ত ঘটনা কুরআনে, সূরা আম্বিয়া এবং সাফ্ফাতে উল্লেখিত হয়েছে। কুরআনের বর্ণনানুসারে, যেদিন লোকজন শহরের বাইরে গিয়েছিল, ইব্রাহিম মূর্তি ঘরে যান এবং বড় মূর্তি ব্যতীত সকল মূর্তিগুলোকে ভেঙ্গে ফেলেন। যখন লোকজন ফিরে আসলো এবং তাঁর নিকট মূর্তিগুলো ভাঙ্গার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলো, তখন তিনি ইশারা-ইঙ্গিতে বড় মূর্তিটিকে মূর্তি ভাঙ্গার জন্য দায়ী করলেন এবং বললেন, স্বয়ং মূর্তিগুলোর কাছে জিজ্ঞেস করতে, যাতে করে শহরের মানুষ মূর্তিগুলোর অক্ষমতার বিষয়টি উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়।
মুফাস্সীরগণের বক্তব্য অনুসারে, হযরত ইব্রাহিমের উদ্দেশ্য ছিল এটা দেখিয়ে দেওয়া যে, মূর্তীগুলো না কোন কথা বলার ক্ষমতা রাখে এবং না কারও কোন প্রকারের উপকার ও ক্ষতি সাধন করতে সক্ষম, সুতরাং সেগুলো ইবাদাতের যোগ্য নয়। এছাড়াও তাফসীরকারকদের অভিমত হচ্ছে ইব্রাহিমের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র কয়েকটি মূর্তি ভাঙ্গা ছিল না, কেননা এই কাজ অন্যদের বিশ্বাসের প্রতি অবমাননা হিসেবে পরিগণিত হয়; বরং তিনি নবী হিসেবে চেয়েছেন, এই কাজের মাধ্যমে মূর্তি পূজা সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে।
মূর্তি ভাঙ্গার কাহিনী
হযরত ইব্রাহিমের (আ.) মূর্তী ভাঙ্গার কাহিনী সূরা আম্বিয়া (আয়াত ৫২ থেকে ৮০ পর্যন্ত) এবং সূরা সাফ্ফাতে ( আয়াত ৮৯ থেকে ৯৮ পর্যন্ত) এসেছে। এই ঘটনাটি সূরা আম্বিয়াতে এরূপ বর্ণিত হয়েছে: যে দিন লোকজন শহরের বাইরে গেল, ইব্রাহিম বড় মূর্তীটি ব্যতিত সকল মূর্তীগুলোকে ভেঙ্গে ফেলল। যখন তারা ফিরে আসলো এবং ভাঙ্গা মূর্তীগুলোকে দেখতে পেল, ইব্রাহিম যেহেতু ইতিপূর্বে মূর্তিগুলো সম্পর্কে কুমন্তব্য করতেন সেহেতু তাঁকে ডাকল এবং তাঁর কাছে জিজ্ঞেস করলো, তুমি কি আমাদের খোদাগুলোর সাথে এরূপ করেছো? হযরত ইব্রাহিম বললেন, বরং তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বড়টি (বড় মূর্তিটি) এই কাজ করে থাকতে পারে। স্বয়ং তাদের কাছে জিজ্ঞেস করো। এই জিজ্ঞাসার পর তারা নিজেরাই আসলো এবং বুঝতে পারলো প্রকৃতপক্ষে, তারাই হচ্ছে অত্যাচারী; এমতাস্থায় ইব্রাহিমের শাস্তির জন্য আগুন জ্বালালো এবং তাঁকে সেই আগুনের মধ্যে নিক্ষেপ করলো; কিন্তু আগুন আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশে শীতল হয়ে গেল।[১] কিছু কিছু মুফাস্সীরগণ বলেছেন, এই ঘটনায় কিছু ব্যক্তি ইব্রাহিমের প্রতি ঈমান আনয়ন করে।[২]
ইব্রাহিমের মূর্তিগুলো ভাঙ্গার উদ্দেশ্য: তাওহীদের প্রমাণ
মূর্তিগুলোকে ভাঙ্গা এবং এর জন্য বড় মূর্তিটিকে দায়ী করার উদ্দেশ্য হিসেবে এরূপ মনে করা হয় যে, হযরত ইব্রাহিম চেয়েছেন এই পন্থায় মূর্তিপূজারকদের সাথে মুনাযেরা এবং মূর্তিগুলোর ইলাহীত্বকে বাতিল প্রমাণ করতে এবং লোকজন যেন তাদের খোদাগুলো চুর্ণ হওয়ার মাধ্যমে বুঝতে সক্ষম হয় যে ঐগুলো তাদের উপাস্য নয়।[৩]
ইব্রাহিমের দলিলগুলোকে এই ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, যে জিনিস কোন উপকার ও ক্ষতি সাধনে করতে পারে না, কিভাবে তার উপাসনা করা সম্ভব।[৫] আল্লামা তাবাতাবায়ীর বক্তব্য অনুসারে, ইব্রাহিম (আ.), মূর্তিগুলোকে ভাঙ্গার জন্য বড় মূর্তিটিকে এজন্য দায়ী করেছেন, মানুষ যেন এটি স্বীকার করে যে, মূর্তিগুলো বাকশক্তিহীন।[৪]তিনি লিখেছেন, মূর্তিগুলোর নির্বাক হওয়ার অর্থই হচ্ছে তাদের কোন জ্ঞান ও ক্ষমতা থাকতে পারে না। আর একারণেই তারা কোন উপকার ও ক্ষতি বয়ে আনে না। সুতরাং তাদের ইবাদাত ও উপসনা বাতিল; কেননা ইবাদাত করা হয় কল্যাণের আশায় অথবা অকল্যাণের ভয়ে। আর মূর্তীগুলোর ক্ষেত্রে না কোন কল্যাণের আশা আছে, না কোন অকল্যাণের ভয়।[৫] তাফসীরে কাশেফ গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই মূর্তীগুলো যখন তাদের নিজেদেরকে রক্ষা করতে সক্ষম নয়, তখন অন্যদেরকে খারাপ পরিস্থিতি থেকে কিভাবে রক্ষা করবে।[৬]
মুর্তাযা মোতাহহারী মনে করেন, ইব্রাহিম মূর্তি ভাঙ্গার জন্য বড় মূর্তিটিকে দায়ী করেছেন, উক্ত বিষয়টি এই ইঙ্গিত বহন করে যে মূর্তিগুলো একে অপরের সাথে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয়েছিল এবং এই কাজের মাধ্যমে তিনি মানুষের ঘুমন্ত ফিতরাত তথা প্রকৃতি জাগ্রত করেছেন; কেননা মানুষ স্বভাবগতভাবেই উপলব্ধি করে যে, জড়বস্তুর পরস্পরের সাথে বিবাদে লিপ্ত হওয়া সম্ভব নয়।[৭]
ইব্রাহিম কি মিথ্যা বলেছে?
ইব্রাহিমের মূর্তী ভাঙ্গা সম্পর্কে কুরআনের বর্ণনায় এসেছে যে, লোকজন যখন শহরের বাইরে যেতে চাইছিল, তখন ইব্রাহিম তাদের সাথে না যাওয়ার জন্য বলেছিলেন, তিনি অসুস্থ।[৮] এছাড়াও তাঁর কাছে যখন জিজ্ঞেস করা হলো, মূর্তিগুলোকে কে ভেঙ্গেছে, উত্তরে বললেন বড় মূর্তিটি।[৯] এই দু’টো বিষয়ের কারণে মুফাস্সীরগণের মাঝে এই সংক্রান্ত আলোচনার উদয় হয়েছে যে ইব্রাহিম কি নিষ্ঠার সাথে কথা বলেছেন নাকি একটি সমীচীন মিথ্যা বলেছেন বা সত্য গোপন করেছেন:
মুসলমান মুফাস্সীরগণ বিশ্বাস করেন, ইব্রাহিম (আ.) তাঁর অসুস্থতার বিষয়ে কোন কথা বলেন নি;[১০] তবে এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা ও সম্ভাবনার কথা উপস্থাপণ করেছেন, যা নিম্নরূপ: তাবারসী এবং আল্লামা তাবাতাবায়ী বলেন, তিনি জানতেন যে অতিশীঘ্রই অসুস্থ হবেন, এজন্য তাঁর কথা সত্য ছিল।[১১] আহলে সুন্নতের মুফাস্সীর আলুসি বিশ্বাস করেন, যেহেতু প্রতিটি ব্যক্তিই কোন না কোন দিন অসুস্থ হবেন, সেহেতু ইব্রাহিম বলেন অসুস্থ এবং তাঁর উদ্দেশ্য ছিল যে তিনি অসুস্থ হবেন। সুতরাং তিনি সত্য গোপন করেছেন এবং তাঁর কথা এমনভাবে তুলে ধরেছেন, মুশরিকরা যেন মনে করে তিনি এখন অসুস্থ।[১২] এমন একটি সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রকৃতপক্ষে তাঁর উদ্দেশ্য ছিল এটি যে, তাদের কুফরিতে তাঁর হৃদয় অসুস্থ হয়েছে; কিন্তু সত্য গোপন করেছেন এবং এমনভাবে বলেছেন যে তারা ধরে নেবে তাঁর শরীর অসুস্থ।[১৩]
তারা আরও বলেছেন, ইব্রাহিম এই যে মূর্তী ভাঙ্গার জন্য বড় মূর্তিটিকে দায়ী করেছেন; এটি মিথ্যা কথা নয়; কারণ সাক্ষ্য-প্রমাণ অনুসারে, তিনি এই কথাটি একাগ্রচিত্তে বলেন নি বরং তিনি ইশারা-ইঙ্গিতের মাধ্যমে মূর্তিপূজারকদের কুসংস্কারাচ্ছন্ন আকিদাসমূহকে তুলে ধরতে চেয়েছেন।[১৪] বিতর্ক ও বাহাসের ক্ষেত্রে ইশারা-ইঙ্গিতপূর্ণ কথাবার্তাকে প্রচলিত হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।[১৫] কেউ কেউ এই সম্ভাবনার কথা বলেছেন যে ইব্রাহিম এই বিষয়টিকে একটি শর্তমূলক বাক্য হিসেবে উপস্থাপন করেছেন এবং বলেছেন মূর্তিগুলো যদি কথা বলতে সক্ষম হয় তবে এমন কাজ ঘটাতে পারে।[১৬] বস্তুতঃ ইব্রাহিম তার কথাকে সম্ভাবনার শর্তের সাথে সম্পর্কিত করেছেন যাতে করে মূর্তিপূজারকদের ভ্রান্ত দাবীকে তাদের জন্য প্রমাণ করা যায়।[১৭]
ইব্রাহিমের মূর্তি ভাঙ্গা এবং স্বাধীন বিশ্বাস
কিছু কিছু গবেষকগণের মতে, যারা দাবী করেছেন ইব্রাহিমের (আ.) মূর্তি ভাঙ্গার বিষয়টি অন্যদের ধর্মীয় পবিত্রতার প্রতি অবমাননা ছিল। সুতরাং মুসলমানরাও পারে এরূপ কাজ অনুকরণ করতে এবং মুশরিকদের প্রাচীর স্থাপনাগুলোকে ধ্বংস করতে।[২০] এরূপ দাবীর প্রত্যুত্তরে বলা হয়েছে প্রতিটি মানুষের জান ও মাল সম্মানীয় এবং অন্যদের মূর্তীকে যা কিনা তাদের সম্পদ হিসেবে গণ্য হয়, ধ্বংস করা যাবে না। ইব্রাহিম তাঁর নিজের নবুওয়াত ও রিসালাতের মাকামে এরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং অন্যরা পারবেন না অন্য মানুষের সম্পদে হস্তক্ষেপ করতে।[২১] কেউ কেউ আবার বলেছেন, ধর্ম ও আকীদার স্বাধীনতা হচ্ছে আধুনিক যুগের ধ্যান-ধারণা। আর আধুনিক যুগের পরিমাপকসমূহ দিয়ে আধুনিক পূর্ববর্তী কালের ঘটনাসমূহকে যাচাই করা যাবে না।[২২]
মুফাস্সীরগণের বক্তব্য অনুসারে, ইব্রাহিমের মূর্তি ভাঙ্গার উদ্দেশ্য ছিল মূর্তিগুলোর উলূহিয়্যাতকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা এবং তার এই কাজের উদ্দেশ্য ছিল মূর্তিপূজা সংস্কৃতির সাথে লড়াই করা, শুধুমাত্র কয়েকটি মূর্তী ভাঙ্গা নয়।[১৮]
তথ্যসূত্র
- ↑ সূরা ইব্রাহিম, আয়াত ৫৮-৬৯।
- ↑ মাকারেম শিরাজী, তাফসীরে নেমুনেহ, ১৩৭১ ফার্সি সন, খণ্ড ১৩, পৃ. ৪৪২।
- ↑ তাবাতাবায়ী, আল-মীযান, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১৪, পৃ. ২৯৯।
- ↑ তাবাতাবায়ী, আল-মীযান, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১৪, পৃ. ৩০০ ও ৩০১।
- ↑ তাবাতাবায়ী, আল-মীযান, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১৪, পৃ. ৩০২।
- ↑ মুগনিয়া, তাফসীরুল কাশেফ, ১৪২৪ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ২৮৪।
- ↑ মোতাহহারি, মাজমুয়ে-এ আসার, ১৩৮৯ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ৩১৯।
- ↑ সূরা সাফ্ফাত, আয়াত ৮৯।
- ↑ সূরা আম্বিয়া, আয়াত ৬৩।
- ↑ দ্র: তাবাতাবায়ী, আল-মীযান, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১৭, পৃ. ১৪৮; তাবারসী, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৭০২; আলুসী, রুহুল মাআনি, ১৪১৫ হি., খণ্ড ১২, পৃ. ৯৮; ফফরুদ্দিন রাযী, আত তাফসীরুল কাবীর, ১৪২০ হি., খণ্ড ২৬, পৃ. ৩৪১; কারাশি বানাবি, তাফসীরে আহসানুল হাদিস, ১৩৭৫ ফার্সি সন, খণ্ড ৯, পৃ. ১৫৯।
- ↑ দ্র: তাবাতাবায়ী, আল-মীযান, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১৭, পৃ. ১৪৭; তাবারসী, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৭০২।
- ↑ আলুসী, রুহুল মাআনি, ১৪১৫ হি., খণ্ড ১২, পৃ. ৯৮।
- ↑ ফফরুদ্দিন রাযী, আত তাফসীরুল কাবীর, ১৪২০ হি., খণ্ড ২৬, পৃ. ৩৪২; আলুসী, রুহুল মাআনি, ১৪১৫ হি., খণ্ড ১২, পৃ. ৯৮।
- ↑ মাকারেম শিরাজী, তাফসীরে নেমুনেহ, ১৩৭১ ফার্সি সন, খণ্ড ১৩, পৃ. ৪৩৮; মাকারেম শিরাজী, কাহারমানে তাওহীদ, ১৩৮৮ ফার্সি সন, পৃ. ৮৭।
- ↑ তাবাতাবায়ী, আল-মীযান, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১৪, পৃ. ৩০১।
- ↑ মাকারেম শিরাজী, তাফসীরে নেমুনেহ, ১৩৭১ ফার্সি সন, খণ্ড ১৩, পৃ. ৪৩৯।
- ↑ আবুল ফুতুহ রাযী, রাওযাল জিনান, ১৪০৮ হি., খণ্ড ১৩, পৃ. ৩৪১; কাশানি, মিনহাজুস সাকেদীন, কিতাব ফুরুশিয়ে ইসলামিয়া, খণ্ড ৬, পৃ. ৭৪; তাবারসী, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ৭, পৃ. ৮৫।
- ↑ তাবাতাবায়ী, আল-মীযান, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১৪, পৃ. ৩০৩; মাকারেম শিরাজী, কাহারমানে তাওহীদ, ১৩৮৮ ফার্সি সন, পৃ. ৮৯।
গ্রন্থপঞ্জি
- আলুসী, মাহমুদ, রুহুল মাআনি ফি তাফসীরিল কুরআনিল আযিম ওয়া আস সাবউল মাসানি, তাহকিক: আলী আব্দুল বারি আতিয়া, সংকলন: ইব্রাহিম শামসুদ্দীন ওয়া সানা বাযিঅ শামসুদ্দীন, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৫ হি.।
- সুবহানি, জাফর, মানশুরে জাভিদ, কোম, মুআসসেসেয়ে ইমাম সাদিক (আলাইহিস সালাম), তারিখ অজ্ঞাত।
- তাবাতাবায়ী, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন, আল-মিযান ফি তাফসীরিল কুরআন, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামী, পঞ্চম সংস্করণ, ১৪১৭ হি.।
- তাবারসী, ফাযল ইবনে হাসান, মাজমাউল বায়ান ফি তাফসীরিল কুরআন, তেহরান, নাসের খসরু, ১৩৭২ ফার্সি সন।
- ফখরুদ্দিন রাযী, মুহাম্মাদ ইবনে উমর, আত তাফসীরুল কাবির, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, ১৪২০ হি.।
- কারাশি বানাবি, আলী আকবার, তাফসীরু আহসানিল হাদীস, তেহরান, বুনিয়াদে বে’সাত, ১৩৭৫ ফার্সি সন।
- কাশানি, ফাতহুল্লাহ ইবনে শুকরুল্লাহ, মিনহাযুস সাদেকীন ফি ইলযামিল মুখালেফীন, তেহরান, কিতাবফুরুশিয়ে ইসলামিয়া, তারিখ অজ্ঞাত।
- মুগনিয়া, মুহাম্মাদ জাওয়াদ, তাফসীরুল কাশেফ, কোম, দারুল কুতুবিল ইসলামী, ১৪২৪ হি.।
- মোতাহ্হরাী, মুর্তাযা, মাজমুয়েয়ে অসার, তেহরান, সাদরা, ১৩৮৯ ফার্সি সন।
- মাকারেম শিরাজী, নাসের, তাফসীরে নেমুনেহ, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়া, ১৩৭১ ফার্সি সন।
- মাকারেম শিরাজীম, নাসের, কেহেরমানে তাওহীদ, শারহ ওয়া তাফসীরে আয়াতে মারবুত বে হযরত ইব্রাহিম (আ.), কোম, ইমাম আলী ইবনে আবি তালিব আলাইহিস সালাম, ১৩৮৮ ফার্সি সন।
- মৌলাভি, জালালুদ্দীন মুহাম্মাদ, মাসনাভি মা’নাভি, তেহরান, ইলমি ফারহাঙ্গি, ১৩৭৬ ফার্সি সন।