ইবতিলা’র আয়াত
ইবতিলার আয়াত (বাকারাহ : ১২৪): এতে হযরত ইব্রাহিম (আ.) বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আল্লাহর (সুবহানাহু.) পক্ষ থেকে তাঁকে ইমামতের মহান মাকামে অধিষ্ঠিত করার কথা উল্লিখিত হয়েছে। ইমামের মনোনয়ন মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে হতে হবে এবং তাঁদের মাসুম তথা নিষ্পাপ হওয়ার সপক্ষে কুরআনি দলিল হিসেবে শিয়া আলেমগণ এ আয়াতটিকে উল্লেখ করে থাকেন।
শিয়া ও সুন্নি মুতাকাল্লিম (কালাম শাস্ত্রবিদ) ও মুফাসসিরগণ এ আয়াত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তাদের কেউ কেউ বলেছেন کلمات শব্দটির অর্থ -যা হযরত ইব্রাহিম (আ.) পূরণ ও সম্পন্ন করেছেন- হল হযরত ইসমাঈলকে কুরবানি করা প্রসঙ্গে হযরত ইব্রাহিমের (আ.) স্বপ্ন। অপর একটি দলের মত হল, আকলী ও শরয়ী সর্বদিক থেকে হযরত ইব্রাহিমকে (আ.) পরীক্ষার কথা বোঝানো হয়েছে। আর আল্লামা তাবাতাবাঈ’র মতে ‘কালিমাত’ শব্দের অর্থ হল মহান আল্লাহর প্রতি হযরত ইব্রাহিমের (আ.) অঙ্গীকারসমূহ ও সে সকল বিষয়ে মহান আল্লাহ্ কর্তৃক গৃহীত পরীক্ষাগুলো।
মুফাসসিরগণ ইমামত শব্দটির অর্থ করতে গিয়ে ‘রাজনৈতিক নেতা’, বাতেনি বেলায়েত’, ‘সার্বজনীন ইমামত ও নবুয়ত’ ইত্যাদি অর্থ উল্লেখ করেছেন।
আয়াত ও তরজমা
«وَإِذِ ابْتَلَى إِبْرَاهِيمَ رَبُّهُ بِكَلِمَاتٍ فَأَتَمَّهُنَّ قَالَ إِنِّي جَاعِلُكَ لِلنَّاسِ إِمَامًا قَالَ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي قَالَ لَا يَنَالُ عَهْدِي الظَّالِمِينَ»
“আর স্মরণ কর যখন ইবরাহীমকে তার প্রতিপালক কতিপয় বিষয়ে পরীক্ষা করলেন, অতঃপর তিনি সেগুলো পূর্ণ করলেন, তখন আল্লাহ্ বললেন, ‘আমি আপনাকে মানবজাতির নেতা (ইমাম) বানাচ্ছি’। ইব্রাহীম আরয করলেন, ‘আর আমার বংশধর হতেও’? আল্লাহ্ বলেন, আমার অঙ্গীকারের মধ্যে যালিমরা শামিল নয়।”
کلمات শব্দের অর্থ
- আলোচ্য আয়াতের ভিত্তিতে মহান আল্লাহ্ হযরত ইব্রাহিমকে (আ.) বিভিন্ন ‘কালিমাত’ দ্বারা পরীক্ষা করেছেন। কালিমাত শব্দটি প্রসঙ্গে মুফাসসিরা বিভিন্ন মত দিয়েছেন:[১]
- নিজ পুত্র ইসমাঈলকে (আ.) কুরবানি করার বিষয়ে হযরত ইব্রাহিমের (আ.) স্বপ্ন;
- পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক বিভিন্ন নির্দেশ অথবা পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা সংশ্লিষ্ট ১০টি বিধান;
- সূরা তাওবা’র ১১২, সূরা আহযাবের ৩৫ এবং সূরা মু’মিনুনের ১ থেকে ৯ নং আয়াতে আগত ৩০টি নৈতিক বৈশিষ্ট;
- নক্ষত্র, চাঁদ ও সূর্য পূজারিদের উদ্দেশে হযরত ইব্রাহিমের (আ.) যুক্তি উপস্থাপন, তাঁকে আগুনে নিক্ষেপ করা, জন্মভূমি থেকে হিজরত এবং পুত্র ইসমাঈলকে জবাই করা;
- সকল শরয়ী ও আকলী কর্তব্য দ্বারা হযরত ইব্রাহিমকে (আ.) পরীক্ষা।
- হজ্জব্রত পালন [২]
তাবারসি তার মাজমাউল বায়ান গ্রন্থে ‘কালিমাত’ শব্দের ক্ষেত্রে উল্লিখিত সকল সম্ভাবনাই প্রয়োগযোগ্য উল্লেখ পূর্বক ইমাম সাদিক (আ.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, আয়াতে উল্লিখিত ‘কালিমাত’ শব্দটির অর্থ হল ‘আলে আবা’ তথা রাসূলের (স.) চাদের নীচে সমবেত ৫ সত্ত্বা (পঞ্জাতন); যাঁদের উসিলায় হযরত আদমের (আ.) তওবা গৃহীত হয়েছিল।[৩]
আল্লামা তাবাতাবায়ীর মতে, পবিত্র কুরআনে ‘কালিমাত’ শব্দের অর্থ উল্লিখিত না হলেও আয়াতের বাচনভঙ্গি থেকে অনুমেয় যে, ‘কালিমাত’ বলতে মহান আল্লাহর সাথে কৃত হযরত ইব্রাহিমের (আ.) সকল ওয়াদা এবং ঐ সকল বিষয় যেগুলোর মাধ্যমে তাকে পরীক্ষা করা হয়েছে; যেমন- নক্ষত্র, চন্দ্র ও সূর্য পূজারিদের সাথে সাক্ষাতের ঘটনা; মূর্তি ভাঙ্গা, জন্মভূমি থেকে হিজরত, পুত্র ইসমাঈলকে (আ.) কুরবানি।[৪] তার মতে فأتمَّهُنَّ ক্রিয়ার কর্তা যদি হযরত ইব্রাহিম (আ.) হয়ে থাকেন তাহলে ‘কালিমাত’ পূর্ণ করার অর্থ হল, মহান আল্লাহ্ যা কিছু হযরত ইব্রাহিমের (আ.) নিকট চেয়েছেন তার সবগুলোকে তিনি আঞ্জাম দিয়েছেন। আর যদি উক্ত ক্রিয়ার কর্তা স্বয়ং মহান আল্লাহ্ হয়ে থাকেন -আয়াতের বাহ্যিক রূপও তাই বলছে- তবে এ ক্ষেত্রে ‘কালিমাত’ তামাম তথা সম্পূর্ণ করার অর্থ দাঁড়াবে মহান আল্লাহ্ হযরত ইব্রাহিমকে (আ.) তৌফিক দিয়েছেন এবং তাকে সহযোগিতা করেছেন যাতে তিনি সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।[৫]
হযরত ইব্রাহিমের ইমামতের অর্থ
‘ইমাম’ শব্দটি, একাধিক অর্থের অধিকারী শব্দগুলোর অন্তর্ভুক্ত;
- শেইখ তুসি, তার তাফসিরে তিবইয়ানে বলেছেন, এ আয়াতে ‘ইমামত’ হল ‘বেলায়েত’ ও রাজনৈতিক ‘নেতৃত্ব’ অর্থে। তার দৃষ্টিতে, রাজনৈতিক বেলায়েত ও নেতৃত্ব নবুয়্যতের অন্তর্ভুক্ত নয়; আর তাই, সকল নবিগণ নবুয়্যতের মাকামের অধিকারী হলেও তাঁরা বেলায়েতের অধিকারী ছিলেন না, বরং তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ এ মাকামের যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন।[৬]
- আল্লামা তাবাতাবাঈ’র মতে, ইমাম হলেন ঐ ব্যক্তি, কথায় ও কাজে মানুষ যার অনুসরণ করে। আর এ আয়াতে ইমামতে’র অর্থ হল বাতেনি হিদায়াত (পথ নির্দেশনা); এ এমনই এক মাকাম ও পদ যাতে পৌঁছুতে অস্তিত্বগত দিক থেকে বিশেষ পূর্ণতা এবং আধ্যাত্মিক মাকামের অধিকারী হতে হয়, যা বহু চেষ্ট-প্রচেষ্টা ও কষ্টের বিনিময়ে অর্জিত হয়; সত্ত্বাগতভাবে এটি নবুয়তের মাকাম থেকে আলাদা কিছু। আর এ কারণেই জনগণের উপর ইমামের বেলায়েত রয়েছে।[৭]
- হিজরী তৃতীয় শতাব্দির বিশিষ্ট সুন্নি মুফাসসির ‘তাবারি’ আলোচ্য আয়াতে উল্লিখিত ‘ইমামত’ শব্দটিকে ‘হযরত ইব্রাহিমের (আ.) সার্বজনীন ইমামত’ অর্থে তাফসির করেছেন। তার মতে এ আয়াতের ভিত্তিতে, ইব্রাহিম (আ.) ছিলেন তৎকালীন এবং পরবর্তী যুগের ইমাম; এমনকি অপর নবিগণেরও ইমাম। আর তৌহিদি সকল সুন্নত তাঁর অনুসরণকে কেন্দ্র করেই।[৮]
- অপর সুন্নি মুফাসসির ফাখরে রাজি, ‘ইমামত’কে নবুয়ত অর্থে তাফসির করেছেন।[৯]
- জাফার সুবহানি’র মতে, আয়াতে ‘ইমামতে’র মাকাম বলতে সর্বক্ষেত্রে হযরত ইব্রাহিমের (আ.) আদর্শ হওয়ার বিষয়টি বোঝানো হয়েছে। তার দৃষ্টিতে, পদটি এমন ব্যক্তিত্বদেরকে প্রদান করা হয়, যাদের মাধ্যমে ‘তারকে আওলা’ও (ترک اولی) সংঘটিত হয়নি। তিনি বলেন, এই মাকাম ইসমাত (নিষ্পাপত্ব) অপেক্ষা উচ্চতর এবং নবিগণের মধ্য থেকে কেউ কেউ এ মাকামের অধিকারী ছিলেন।[১০]
আয়াতটি ইমামের নিষ্পাপ হওয়ার প্রতি নির্দেশক
শিয়া আলেমগণ لاینالُ عَهدی الظّالِمینَ 'আমার অঙ্গীকারের মধ্যে যালিমরা শামিল নয়।' বাক্যটি হতে ইমামের মাসুম তথা নিষ্পাপ হওয়ার ফলাফলে পৌঁছেছেন।[১১] তাদের বিশ্বাস, এ আয়াতের ভিত্তিতে ইমামকে অবশ্যই মাসুম হতে হবে, তিনি যেন কোন ধরনের পাপ ও জুলুমকারী না হন। আর তাই হযরত ইব্রাহিমের (আ.) বংশধরদের মধ্যে যারা এমন ছিল না, তাদের বিষয়ে করা হযরত ইব্রাহিমের (আ.) করা আবেদনকে মহান আল্লাহ্ এ বাক্যের মাধ্যমে নাকচ করে দিয়েছেন।[১২]
শিয়া আলেমদের মতের সমালোচনা
উপরিউক্ত তাফসির প্রসঙ্গে সংশয় উপস্থাপন করে কেউ কেউ বলেছেন, জালিম ও অত্যাচারী হল সেই ব্যক্তি যে, কাবিরা (বড়) গুনাহে লিপ্ত হয়েছে এবং নিজের গুনাহ থেকে তওবা করে নি। সুতরাং যে গুনাহগার ও পাপি তওবা করেছে ‘জালিম’ শব্দটি তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, তাই আয়াতটি ইমামের ইসমাতের পক্ষে দলিল হিসেবে আনার অবকাশ নেই।[১৩]
শিয়া আলেমদের জবাব
শেইখ তুসি ও ফাযল ইবনে হাসান তাবারসি উল্লিখিত সংশয়ের জবাবে বলেছেন لاینالُ عَهدی الظّالِمینَ (আমার অঙ্গীকারের মধ্যে যালিমরা শামিল নয়।) বাক্যে নাফি (নাকচ) নিরঙ্কুশ ও শর্তহীনভাবে এসেছে। অর্থাৎ যে কোন সময়ে, যে কোন জুলুম (অত্যাচার) এ আয়াতের শামিল। অতএব, আয়াতটি অতীতে জালিম ছিল কিন্ত তওবা করেছে এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না-এ কথা বলার অবকাশ নেই। তার ভাষ্যমতে, বিষয়টি বিবেচনায় রাখলে জালিম ব্যক্তি এ পদের অধিকারী হবে না বিষয়টি প্রমাণের জন্য নতুন কোন দলিল-প্রমাণের প্রয়োজন নেই, অবশ্য অন্য কোন দলিলও উপস্থাপিত হয় নি।[১৪]
আল্লামা তাবাতাবাঈ উক্ত সংশয়ের জবাবে বলেছেন, নিশ্চিতভাবে হযরত ইব্রাহিম (আ.), জুলুম থেকে তওবা করে নি এমন ব্যক্তির জন্য ইমামতের পদের আবেদন জানান নি। সুতরাং তার দরখস্ত হয় ঐ ব্যক্তিদের জন্য ছিল যারা কোন জুলুমই করে নি অথবা ঐ ব্যক্তিদের জন্য যারা অতীতে জুলুম করলেও তওবা করেছে।[১৫] তবে যেহেতু মহান আল্লাহ্ তার দরখস্তকে তার সন্তানদের জালিম হওয়ার কারণে গ্রহণ করেন নি, তাই এখান থেকে এই ফলাফলে উপনীত হওয়া যায় যে, বিষয়টি ঐ সকল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বর্তায় যারা জুলুম করার পর তওবা করেছে।[১৬]
তথ্যসূত্র
- ↑ তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৪০৮ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩৭৭-৩৭৮; মাকারেম শিরাজি, তাফসীরে নেমুনে, ১৩৮০ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ৪৩৬-৪৪৫।
- ↑ তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৪০৮ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩৭৭-৩৭৮।
- ↑ তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৪০৮ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩৭৭-৩৭৮।
- ↑ তাবাতাবাঈ, আল-মিযান, ১৩৯৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৭০।
- ↑ তাবাতাবাঈ, আল-মিযান, ১৩৯৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৭০।
- ↑ শেইখ তুসি, তিবইয়ান, ১৪০৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৪৪৯।
- ↑ তাবাতাবাঈ, আল-মিযান, ১৩৯৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৭০-২৭২।
- ↑ তাবারি, জামেউল বায়ান, ১৪১২ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৬১০।
- ↑ ফাখরে রাজি, মাফাতিহুল গায়েব, ১৪২০ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৩৬।
- ↑ দ্র: সুবহানি, মানশুরে জাভিদ, ১৩৮৩ ফার্সি সন, খণ্ড ৫, পৃ. ২৩৫-২৩৭।
- ↑ তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৪০৮ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩৮০।
- ↑ তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৪০৮ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩৮০; ফাযিল মিকদাদ, আল্লাওয়ামেউল ইলহিয়্যাহ, পৃ. ৩৩২-৩৩৩; সাইয়্যেদ মুর্তাযা, আশ-শাফি ফিল ইমামাহ, ১৪০৭ হি, খণ্ড ৩, পৃ. ১৪১।
- ↑ জারজানি, শারহুল মাওয়াকিফি, ১৪১২ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ৩৫১; ফাখরে রাজি, মাফাতিহুল গায়েব, ১৪২০ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৪২।
- ↑ শেইখ তুসি, আত-তিবইয়ান, ১৪০৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৪৪৯; তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭৯ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ২০২।
- ↑ তাবাতাবাঈ, আল-মিযান, ১৩৯৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৭৪।
- ↑ তাবাতাবাঈ, আল-মিযান, ১৩৯৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৭৪।
গ্রন্থপঞ্জি
- জারজানি, মীর সাইয়্যেদ শরীফ, শারহুল মাওয়াকিফি, কোম, মানশুরাতুশ শারীফ আল-রাযি, ১৪১২ হি.।
- সুবহানি, জাফর, মানশুরে জাভিদ, কোম, মুআসসেসেয়ে ইমাম সাদিক (আ.), ১৩৮৩ ফার্সি সন।
- সাইয়্যেদ মুর্তাযা, আলী ইবনে হুসাইন, আশ-শাফি ফিল ইমামাহ, তেহরান, মুআসসাসাতুস সাদিক, ১৪০৭ হি.।
- তাবাতাবাঈ, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন, আল-মিযান ফি তাফসীরিল কুরআন, বৈরুত, মুআসসাসাতুল আ’লামি, ১৩৯৩ হি.।
- তাবারি, মুহাম্মাদ বিন জারির, জামেউল বায়ান ফি তাফসীরিল কুরআন (তাফসীরুল তাবারি), বৈরুত, দারুল মা’রিফাহ, ১৪০৮ হি.।
- তাবারসি, ফাযল ইবনে হাসান, মাজমাউল বায়ান ফি তাফসীরিল কুরআন, বৈরুত, দারুল মা’রেফাহ, ১৪০৮ হি.।
- শেইখ তুসি, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, আত-তিবইয়ান ফি তাফসীরিল কুরআন, কোম, মাক্তাবুল ই’লামুল ইসলামী, ১৪০৯ হি.।
- ফাযিল মিকদাদ, মিকদাদ ইবনে আব্দুল্লাহ, আল্লাওয়ামেউল ইলহিয়্যাহ, কোম, মাক্তাবাতুল মারআশি, ১৪০৫ হি.।
- ফাখরে রাজি, মুহাম্মাদ ইবনে উমর, মাফাতিহুল গায়েব (আত-তাফসীরুল কাবির), বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, আত-তাবআতুল সালেসাহ, ১৪২০ হি.।
- মাকারেম শিরাজি, নাসের, তাফসীরে নেমুনে, তেহরান, দারুল কুতুব আল-ইসলামিয়্যাহ, একচল্লিশতম সংস্করণ, ১৩৮০ ফার্সি সন।