ইফ্ফাত

wikishia থেকে

ইফ্ফাত (আরবি: عفّت); নৈতিক সূচিতা, সতীত্ব, মন্দ ও নোংরামি থেকে মুক্ত থাকা। পছন্দনীয় নৈতিক বৈশিষ্ট্যগুলোর অন্যতম; মানুষের অস্তিত্বের সাথে মিশে যাওয়া এমন এক অবস্থা যা তাকে হারাম কর্ম সম্পাদন থেকে বিরত রাখে। ন্যায়পরায়ণতা, সাহসিকতা ও প্রজ্ঞার পাশাপাশি ইফ্ফাত উত্তম নৈতিক বৈশিষ্ট্যগুলোর ভিত স্বরূপ এবং শারাহ; ‘শাহওয়াতের (দুনিয়াবি কাম-লালস) মাঝে ডুবে যাওয়া’ এবং ‘দুনিয়ার বৈধ স্বাদগুলো হতে নিজেকে পরিপূর্ণরূপে পৃথক করে নেওয়া’ -এ দুইয়ের মাঝামাঝি অবস্থা। বিভিন্ন রেওয়ায়েতে ইফফাতের অবস্থা ধরে রাখাকে সকল কল্যাণের মূল এবং শিয়া হওয়ার মানদণ্ড হিসেবে পরিচয় করানো হয়েছে।

ইফফাতের প্রকারের মধ্যে যৌন বিষয়াদিতে সতীত্ব রক্ষা, কথাবার্তায় শালীনতা, লেনদেন সংশ্লিষ্ট বিষয়াদিতে বৈধ পন্থা অবলম্বন, পানাহারে পরিমিত নীতি অবলম্বন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। আর এর প্রভাব ও সুফলগুলোর কতক হলো পারিবারিক বন্ধন শক্তিশালী হওয়া, সমাজে মানসিক প্রশান্তি প্রতিষ্ঠা ও গুনাহসমূহের ক্ষমা ইত্যাদি। পবিত্র কুরআনে লেনদেন সংশ্লিষ্ট এবং যৌন সংশ্লিষ্ট বিষয়াদিতে ইফফাত অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে।

পরিভাষা পরিচিতি

ইফফাত (নৈতিক সূচিতা), পছন্দনীয় নৈতিক গুণগুলোর[১] অন্যতম; এর অর্থ হলো সতীত্ব, আত্মসংযম ও নফসে এক ধরনের অবস্থার সৃষ্টি হওয়াকে বোঝায় যার মাধ্যমে মানুষ শাহওয়াতকে (কাম-লালসা) নিজের নিয়ন্ত্রণে[রাগেবে ইসফাহানি, মুফরাদাত, ১৪১২ হি., শব্দ عَفَّ ।] নিয়ে নেয় এবং হারাম কর্ম আঞ্জাম দেয়া থেকে বিশেষতঃ হারাম শাহওয়াত থেকে বিরত থাকে।[২] ইফফাত শব্দটি না-মাহরামের সামনে নারীর সংযত থাকা, সম্মান রক্ষা করা এবং সতীত্ব রক্ষা করা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।[৩] সার্বিক অর্থে ইফফাত ‘যা কিছু হালাল নয় তা থেকে নিজেকে দূরে রাখা অর্থে বোঝানো হয়েছে[৪] ((الْکفُّ عَمّا لایحِلُّ))।

ন্যায়পরায়ণতা, সাহসিকতাপ্রজ্ঞার পাশাপাশি ইফফাত উত্তম নৈতিক বৈশিষ্ট্যগুলোর অন্যতম হিসেবে পরিগণিত। আর নৈতিকতা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ আলেমদের দৃষ্টিতে মানুষের নফসের সাথী হয়ে যাওয়া এমন এক অভ্যাস যা মানুষের শাহওয়াত শক্তিকে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তির নিয়ন্ত্রণাধীন করে দেয়। শারাহ হলো; ‘শাহওয়াত তথা দুনিয়াবি কামলালসার মাঝে ডুবে যাওয়া’ এবং ‘শরীরের চাহিদার ভিত্তিতে দুনিয়ার বৈধ স্বাদগুলো হতে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেয়া’ -এ দুইয়ের মাঝামাঝি অবস্থা।[৫]

গুরুত্ব ও অবস্থান

‘ইফফাত’ শব্দটি পবিত্র কুরআনে ২ বার অর্থনৈতিক ও লেনদেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এসেছে আর ২ বার শাহওয়াত শক্তি প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে। সূরা বাকারাহ’র ২৭৩নং আয়াতের ভিত্তিতে ‘সদকা ঐ অভাবগ্রস্থ লোকদের জন্য যারা অবহেলিত এবং তাদের আত্মসংযম ও হাত না পাতার কারণে ((تَعَفُّف)) তাদেরকে ধনী ও সম্পদশালী মনে হয়’। একইভাবে সূরা নিসা’র ৬নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যারা সম্পদশালী এবং এতিমদের সম্পদ যাদের নিকট আমানত হিসেবে গচ্ছিত রাখা হয়েছে, তারা যেন এতিমের সম্পদ থেকে পারিশ্রমিক গ্রহণ করা থেকে নিবৃত্ত থাকে’; এ ক্ষেত্রে ((فَلْیسْتَعْفِف)) শব্দটির মাধ্যমে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে।

সূরা নূরে’র ৩৩নং আয়াতে, যারা অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে বিবাহ করতে অপারগ তাদেরকে সংযম (ইফফাত) অবলম্বন করতে বলা হয়েছে; আল্লাহ্ তাদেরকে নিজ অনুগ্রহে অভাবমুক্ত না করা অবধি। একই সূরার ৬০নং আয়াতে, যে সকল বৃদ্ধা বিবাহের আশা রাখে না তাদেরকে হিজাব অবলম্বন না করার বিষয় বৈধতা প্রদান করা হয়েছে, তবে ইফফাত ও সতীত্ব অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।

বিভিন্ন রেওয়ায়েতে ইফফাতকে সকল কল্যাণের মূল বলে পরিচয় করানো হয়েছে।[৬] অপর কিছু রেওয়ায়েতে শিয়া হওয়ার মানদণ্ড হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়েছে।[৭] আমিরুল মু’মিনীন (আ.) থেকে বর্ণিত একটি রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে, ইফফাত অবলম্বনকারী ব্যক্তি শহীদের চেয়ে উঁচু স্থানে বলে উল্লেখ হয়েছে এবং আল্লাহর ফেরেশতাকূলের একজন ফেরেশতা হিসেবে তার কথা স্মরণ করা হয়েছে।[৮] বিভিন্ন হাদীসে ইফাফকে (ইফফাত) সর্বোত্তম ইবাদত,[৯] পরহেজগারিতার চিহ্ন[১০] ও আকলের সৈন্যদলের অন্তর্ভুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।[১১] এছাড়া মহান আল্লাহর কাছে যে সকল দোয়া তাঁর নবি (স.) চেয়েছিলেন ইফফাত সেগুলোর অন্যতম হিসেবে উল্লেখিত হয়েছে।[১২]

প্রকার

বিভিন্ন আয়াত ও রেওয়ায়েতে ইফফাতের কয়েকটি প্রকার বর্ণিত হয়েছে:

  • যৌন বিষয়াদিতে ইফফাত: যৌন বিচ্যুতির ফাঁদে পড়া রোধে নাফসে আম্মারা’র নিয়ন্ত্রণ।[সূত্র প্রয়োজন] পবিত্র কুরআনে যারা অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে বিবাহ করতে অপারগ তাদেরকে সংযম (ইফফাত) অবলম্বন করতে বলা হয়েছে; যতক্ষণ না আল্লাহ্ তাদেরকে নিজ অনুগ্রহে অভাবমুক্ত করেন এবং তারা বিবাহের জন্য সক্ষম হয়ে ওঠে।[১৩]

যৌন বিষয়াদিতে ইফফাত অবলম্বন প্রসঙ্গে বিভিন্ন উপায়ও পবিত্র কুরআনের আয়াতসমূহে বর্ণিত হয়েছে, যেমন- বিবাহের জন্য অভাবীদেরকে সাহায্য করা[[১৪]] এবং যৌন উদ্দীপনার বিস্তার রোধ করা[১৫] ইত্যাদি বিষয়ে তাগিদ প্রদান করা হয়েছে।

  • বস্ত্রে ইফফাত: না-মাহরামের দৃষ্টি হতে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আবৃত করা[১৬] এবং সতর ঢাকা।[১৭]
  • লেনদেনে ইফফাত: এর অর্থ হলো হারাম উপার্জন থেকে বিরত থাকা, মহত্ব ও মর্যাদা রক্ষা করে চলা এবং অল্পে তুষ্টি ইত্যাদি।[১৮] ইমাম আলী (আ.) ইফফাত রক্ষা করাকে অভাবের সৌন্দর্য হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।[১৯]
  • আলাপে ইফফাত: অপরের সাথে উত্তম কথা বলা,[২০] দৃঢ় ও বাস্তবসম্মত সম্মত কথা বলা[২১] এবং অবমাননা ও গালি-গালাজ পরিহার করা।[২২]
  • পানাহারে ইফফাত: আমিরুল মু’মিনীন (আ.) থেকে বর্ণিত এক হাদীসে তিনি অল্প ভোজনকে ইফ্ফাতের চিহ্ন এবং অতিভোজনকে অপচয় বলে আখ্যা দিয়েছেন।[২৩][নোট ১]

কারণ ও উপকরণ

বিভিন্ন রেওয়ায়েতে ইফফাত অবলম্বনের ক্ষেত্রে কয়েকটি উপকরণের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে: *তাকওয়া: ইমাম আলীর (আ.) একটি হাদীসে সমস্ত পরিচ্ছন্ন ও পবিত্রতা তাকওয়া, অল্পে তুষ্টি, ও ইফফাতের মাঝে নিহিত বলে জ্ঞান করা হয়েছে।[২৪][নোট ২] *লজ্জা: একটি হাদীসে ইমাম আলী (আ.) বলেছেন: ((ألحياء قرين العفاف)) ‘লজ্জা ও শালীনতা হলো, ইফাফের (ইফ্ফাত) সঙ্গী’।[২৫]

  • অল্পে তুষ্টি: জীবন-যাপনের জন্য যতটুকু প্রয়োজন তাতে সন্তুষ্ট থাকা।[২৬] ইমাম আলী (আ.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে, ‘যথেষ্ট পরিমাণে সন্তুষ্ট থাকা ইফাফের (হারাম সম্পদ থেকে বেঁচে থাকার) কারণ’।[২৭] স্পষ্টত এখানে আর্থিক ইফাফের কথা বলা হয়েছে।

ইফ্ফাতের চিহ্নসমূহ

পবিত্র কুরআনের আয়াতসমূহে ইফ্ফাতের বিভিন্ন আলামত ও চিহ্ন উল্লেখ করা হয়েছে; যেমন- না-মাহরাম নারী ও পুরুষের মিশ্রণ থেকে দূরে থাকা, উস্কানিমূলক কথাবার্তা থেকে বিরত থাকা, না-মাহরামের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে সাজসজ্জা করা থেকে বিরত থাকা, অবৈধ সম্পর্ক থেকে দূরে থাকা, ব্যভিচার ও লাওয়াত থেকে বিরত থাকা, ভিক্ষাবৃত্তি পরিত্যাগ করা, হিজাব রক্ষা করা এবং দৃষ্টি সংযত রাখা ইত্যাদি।[২৮]

প্রভাব ও ফল

ইফ্ফাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বর্ণনায় বিভিন্ন প্রভাব ও ফল উল্লেখিত হয়েছে পারিবারিক বন্ধন শক্তশালী হওয়া,[২৮][নোট ৩] সমাজে মানসিক প্রশান্তি প্রতিষ্ঠা, ব্যক্তি ও সমাজের সুস্থতা ও নিরাপত্তা,[২৯] মানুষের মর্যাদা রক্ষা,[৩০] নম্রতা, [৩১] এবং গুনাহসমূহের ক্ষমা[৩২] ও নৈতিকতা পূর্ণতা পাওয়া ইত্যাদি।[৩৩][নোট ৪]

  1. নারাকি, জামেউস সা’আদাত, ১৯৬৭ খ্রি., খ. ১, পৃ. ৮৫।
  2. দেহখোদা, লোগাত নামেহ, ১৩৭৭ ফার্সি সন, শব্দ عفَّت।
  3. আনওয়ারি, ফারহাঙগে বোযোর্গে সোখান, ১৩৮১ সৌরবর্ষ , শব্দ عفَّت।
  4. ইবনে মানজুর, লিসানুল আরাব, ১৪১৪ হি., শব্দ عفف ।
  5. নারাকি, জামেউস সা’আদাত, ১৯৬৭ খ্রি., খ. ১, পৃ. ১০৮-১০৯ ও ৯৪।
  6. লাইসি ওয়াসেতি, উয়ুনুল হিকাম, ১৩৭৪ ফার্সি সন, পৃ. ৪৫।
  7. সাদুক, আল-খিসাল, ১৩৬২ ফার্সি সন, খ. ১, পৃ. ২৯৬।
  8. সৈয়দ রাজি, নাহজুল বালাগা, ১৪১৪ হি. পৃ. ৫৫৯, হিকমত নং ৪৭৪।
  9. ১০- কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খ. ২, পৃ. ৭৯।
  10. সৈয়দ রাজি, নাহজুল বালাগা, ১৪১৪ হি. পৃ.৩০৪, খুতবায়ে হাম্মাম।
  11. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খ. ১, পৃ. ২১।
  12. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খ. ৮৭, পৃ. ১৬৬।
  13. তাবাতাবাঈ, আল-মিজান, ১৩৯০ হি., খ. ১৫, পৃ. ১১৩।
  14. নূর: ৩২।
  15. আহযাব : ৩২; কিসাস : ২৫।
  16. আহযাব : ৫৯।
  17. মুমিনূন : ৩০-৩১।
  18. বাকারাহ : ২৭৩।
  19. ২০-ইবনে শু’বাহ হাররানি, তোহাফুল উকুল, ১৪০৪ হি., পৃ. ৭০।
  20. বাকারাহ : ৮৩; হাজ্জ : ২৪।
  21. আহযাব : ৭০; তাবাতাবাঈ, আল- মিজান, ১৩৯০ হি., খ. ১৬, পৃ. ৫২৩।
  22. আনআম : ১০৮; সৈয়দ রাজি, নাহজুল বালাগা, ১৪১৪ হি., পৃ. ৩২৩, কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খ. ২, পৃ. ৩৬০।
  23. আমাদি, গুরারুল হিকাম ওয়া দুরারুল কালিম, ১৪১০ হি., পৃ. ৪৯৯।
  24. আমাদি, গুরারুল হিকাম ওয়া দুরারুল কালিম, ১৪১০ হি., পৃ. ৭৬ ও পৃ. ৮১৬, নং ৫০ ও ১৪৭২।
  25. আমাদি, গুরারুল হিকাম ওয়া দুরারুল কালিম, ১৪১০ হি., পৃ. ৩৮, নং ৬২১।
  26. আমাদি, গুরারুল হিকাম ওয়া দুরারুল কালিম, ১৪১০ হি., পৃ. ৮১, হা. নং ১৫৪৯।
  27. হাশেমি রাফসানজানি, ফারহাঙ্গে কোরআন, ১৩৯৫ ফার্সি সন, খ. ২০, পৃ. ৪৪৫-৪৪৮।
  28. তামিমি আমাদি, গুরারুল হিকাম, ১৪১০ হি., পৃ. ১১০; কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খ. ৫, পৃ. ৫৫৪।
  29. ৩০-কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খ. ২, পৃ. ৫৫৪।
  30. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খ. ২, পৃ. ৫৫৪।
  31. সাদুক, আল-আমালি, ১৩৭৬ ফার্সি সন, পৃ. ২৫৪।
  32. তামিমি আমাদি, গুরারুল হিকাম, ১৪১০ হি., পৃ. ৬২৫।
  33. তামিমি আমাদি, গুরারুল হিকাম, ১৪১০ হি., পৃ. ৭৮১, হা. নং ৩০৯।

গ্রন্থপঞ্জি

  • ইবনে শো’বা হাররানি, হাসান ইবনে আলী, তোহাফুল উকুল, তাসহীহ: আলী আকবার গাফফারি, কোম, এন্তেশারাতে ইসলামি, ১৪০৪ হি.।
  • ইবনে মানযুর, মুহাম্মাদ ইবনে মুকাররাম, লিসানুল আরাব, বৈরুত, দারু সাদের, ১৪১৪ হি.।
  • আনওয়ারি, হাসান, ফারহাঙ্গে বোযোর্গে সোখান, তেহরান, সোখান প্রকাশনী, ১৩৯০ ফার্সি সন।
  • তামিমি আমাদি, আব্দুল ওয়াহিদ ইবনে মুহাম্মাদ, গুরারুল হিকাম ওয়া দুরারুল কালেম, তাসহীহ: সাইয়্যেদ মাহদি রাজায়ী, কোম, দারুল কিতাবিল ইসলামি প্রকাশনী, ১৪১০ হি.।
  • দেহখোদা, আলী আকবার, লোগাত নামেহ, তেহরান, তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনী, ১৩৭৭ ফার্সি সন।
  • রাগেব ইসফাহানী, হুসাইন ইবনে মুহাম্মাদ, মুফরাদাতিল আলফাযিল কুরআন, লেবানন-সিরিয়া, দারুল ইলম-দারুশ শামিয়া, ১৪১২ হি.।
  • সাদুক, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, আমালী, তেহরান, কিতাবচী প্রকাশনী, ১৩৭৬ ফার্সি সন।
  • সাদুক, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, আল-খিসাল, তাসহীহ: আলী আকবার গাফফারী, কোম, জামেয়ে মুদাররেসীন, ১৩৬২ ফার্সি সন।
  • আল্লামা তাবাতাবাঈ, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন, আল-মীযান, বৈরুত, মুআসসাসাতুল আ’লামি লিল-মাতবুআত, ১৩৯০ ফার্সি সন।
  • কুলাইনি, মুহাম্মাদ ইয়াকুব, আল-কাফী, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়া, ১৪০৭ হি.।
  • লাইসি ওয়াসেতি, আলী ইবনে মুহাম্মাদ, উয়ুনিল হিকাম ওয়াল মাওয়ায়েয, তাসহীহ: হুসাইন হাসানি বিরজান্দি, কোম, দারুল হাদীস, ১৩৭৬ ফার্সি সন।
  • আল্লামা মাজলিসী, মুহাম্মাদ বাকির, বিহারুল আনওয়ার, বৈরুত, দারু ইহিয়াইত তুরাসিল আরাবি, ১৪০৩ হি.।
  • নারাকী, মাহদী, জামেউস সায়াদাত, তাসহীহ: মুহাম্মাদ কালান্তার, বৈরুত, মুআসসাসাতুল আ’লামি লিল-মাতবুআত, ১৯৬৭ খ্রি.।
  • সাইয়্যেদ রাযী, নাহজুল বালাগাহ, তাসহীহ: সুবহি সালেহ, কোম, হিজরত প্রকাশনী, ১৪১৪ হি.।
  • হাশেমি রাফসানজানী, আকবার, ফারহাঙ্গে কুরআন, কোম, বুস্তানে কিতাব প্রকাশনী, ১৩৯৫ ফার্সি সন।