অভিনন্দনের ঘটনা

wikishia থেকে

অভিনন্দনের ঘটনা (আরবি:قضية التهنئة) বলতে গাদীরের ঘটনায় হযরত মুহাম্মাদ (স.) কর্তৃক ইমাম আলী (আ.)-এর বেলায়াত (অভিভাবকত্ব) ঘােষিত হওয়ার পর রাসুলের (স.) সাহাবীগণ বিশেষ করে প্রথম ও দ্বিতীয় খলিফার পক্ষ থেকে ইমাম আলী (আ.)-কে জানানো অভিনন্দনকে নির্দেশ করে। এই ঘটনাটিকে ইমাম আলীর (আ.) হাক্কানিয়াত এবং গাদীরের দিনে মহানবীর (স.) উদ্দেশ্য যে তাঁর (স.) স্থলাভিষিক্ত ঘোষণা করা, তার প্রমাণ বলে মনে করা হয়।

অভিনন্দনের বাক্য

গাদীরের দিনে (১৮ই জিলহজ্জ্ব, ১০ম হি:) অভিনন্দনের ঘটনা বলতে মহানবী (স.) কর্তৃক ইমাম আলীর (আ.) অভিভাবকত্ব ঘোষণার পর রাসুলের সাহাবাদের পক্ষ থেকে জানানো অভিনন্দনকে বোঝায়।[১] উমর বিন খাত্তাব এই বাক্যের «بَخٍّ بَخٍّ لَک یا عَلِی أَصْبَحْتَ مَوْلَای وَ مَوْلَی کلِّ مُؤْمِنٍ وَ مُؤْمِنَةٍ» (অর্থ: অভিনন্দন তোমাকে! হে আলী! তুমি আমার এবং সকল মু’মিন নর ও নারীর মাওলা হয়ে গেলে।) মাধ্যমে ইমাম আলী (আ.)-কে অভিনন্দন জানান।[২] কোন কোন বর্ণনায় আলী শব্দটির স্থানে 'ইবনে আবি তালিব'[৩] অথবা 'আমীরুল মু'মিনীন'[৪] শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। আবার কোন কোন বর্ণনায় মু'মিন ও মু'মিনাতের স্থানে মুসলিম শব্দটি এসেছে।[৫] খতিব বাগদাদির লেখা তারিখে বাগদাদ গ্রন্থে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, ইমাম আলী (আ.)-কে উমর অভিনন্দন জানানোর পর ইকমালের আয়াত অবতীর্ণ হয়।[৬]

কারা ইমাম আলী (আ.)-কে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন?

গাদীরে খুমে হযরত আলী (আ.)-কে অভিনন্দন জানানো সাহাবীদের মধ্যে ছিলেন আবু বকর, উমর বিন খাত্তাব, তালহাযুবায়ের[৭] কিছু লেখক উল্লেখ করেছেন যে, আবুবকর ও উমর প্রথমে অভিনন্দন জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন, কিন্তু মহানবী (স.) যখন তাদেরকে নিশ্চিত করলেন যে, হযরত আলীর (আ.) খিলাফত ও অভিভাকত্ব হল আল্লাহর নির্দেশ[৮] এবং এই বিষয়টির বিরোধিতা করলে কাফের হয়ে যাবে বলে সাবধান করার পর তারা ইমাম আলী (আ.)-কে অভিনন্দন জানান।[৯] তবে, অন্যান্য গ্রন্থে যেমনভাবে উমরের খুশির কথা উল্লেখ করা হয়েছে,[১০] তেমনিভাবে ইমাম আলীকে অভিনন্দন জানানোর ক্ষেত্রে অন্যান্যদের তুলনায় তার নামটি গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা হয়েছে[১১] এবং ইমাম আলীকে (আ.) অভিনন্দন জানানো ব্যক্তিদের মধ্যে তাকেই প্রথম[১২] অথবা প্রথম ব্যক্তিদের মধ্যকার[১৩] বলে মনে করা হয়। যদিওবা অনেক সূত্রে অভিনন্দনের বাক্যটিকে শুধু উমর ইবনে খাত্তাবের সাথে সম্পর্কযুক্ত করা হয়েছে।[১৪] তবে, কিছু গ্রন্থে আবার এসেছে যে, আবু বকর ও উমর একইভাবে ইমাম আলী (আ.)-কে অভিনন্দন জানান।[১৫]

একটি বর্ণনানুসারে, ইমাম আলীর (আ.) বেলায়াত ঘোষণার পর দ্বিতীয় খলিফা একজন যুবককে দেখতে পেয়ে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ (স.)-কে অবহিত করেন; যে ব্যক্তি ঘোষণা করছিল, এই আদেশ কেবল মুনাফিকরাই উপেক্ষা করবে। নবী করিম (স.) উমরকে জানান যে, ঐ যুবক ছিল জিব্রাইল[১৬]

ইমাম আলীর (আ.) ইমামতের প্রমাণ

ইমাম আলীকে (আ.) দ্বিতীয় খলিফার অভিনন্দনের বিষয়টি একথাই প্রমাণ করে যে, গাদীরের ঘটনার উদ্দেশ্য ছিল রাসুলের (সা.) পক্ষ থেকে ইমাম আলীকে নিজের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া।[১৭] এছাড়াও এর মাধ্যমে অন্যদের থেকে তার (ইমাম আলীর) শ্রেষ্ঠত্ব[১৮] ও জ্ঞানের আধিক্য স্বীকৃত হয়েছে।[১৯] কোন কোন গ্রন্থে এসেছে যে, ইমাম আলী (আ.) পরবর্তীতে প্রথম খলিফার সাথে সাক্ষাতে খিলাফতের জন্য নিজের অধিকারের দলিল হিসেবে জ্ঞান করেন।[২০] ফাইয কাশানির মতে, দ্বিতীয় খলিফা অভিনন্দনের বাক্যটি উচ্চারণের পর আলী (আ.)-কে আমীরুল মু'মিনীন হিসেবে সালাম করেন।[২১]

ঘটনার সময়

অধিকাংশ সূত্রে, গাদীরের ঘটনায় ইমাম আলীকে (আ.) মহানবীর (স.) স্থলাভিষিক্ত ঘোষণা করার পর সাহাবাগণের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।[২২] রেওয়ায়েত অনুসারে, ইমাম আলী (আ.)-কে নিজের স্থলাভিষিক্ত ঘোষণার পর মহানবী (স.), আলী (আ.)-এর জন্য একটি তাবু তৈরি করার এবং তাকে অভিনন্দন জানানোর লক্ষ্যে সাহাবাগণকে এক এক করে তাবুর মধ্যে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।[২৩] কোন কোন সূত্রে, এই ঘটনাকে মুবাহিলার দিন এবং ভ্রাতৃত্ব চুক্তির সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে; হযরত রাসুল (স.) যখন ইমাম আলীর (আ.) বেলায়াতের ঘোষণা দেন, তারপর পর উমর বিন খাত্তাব তাকে অভিনন্দন জানান।[২৪]

তথ্যসূত্র

  1. আমিনী, আল-গাদীর, ১৪১৬ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫০৮।
  2. হিলালী, কিতাব সুলাইম বিন কায়েস, ১৪০৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৮২৯; ফুরাত কুফী, তাফসীরে ফুরাত আল-কুফী, ১৪১০ হি., পৃ. ৫১৬; মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৭৭।
  3. আল-তাফসীরুল মানসুব ইলাল ইমামিল আসকারী, ১৪০৯ হি., পৃ. ১১২; খাতিব বাগদাদী, তারিখে বাগদাদ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ২৮৪; ইবনে আসাকির, তারিখে দামেস্ক, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৪২, পৃ. ২৩৩।
  4. খুসাইবী, আল-হিদায়াতুল কুবরা, ১৪১৯ হি., পৃ. ১০৪।
  5. সাদুক, আল-আমালী, ১৩৭৬ ফার্সি সন, পৃ. ২; খাতিব বাগদাদী, তারিখে বাগদাদ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ২৮৪; ইবনে কাসীর, আল-বিদায়াতু ওয়ান নিহায়াহ, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৩৪৯।
  6. খাতিব বাগদাদী, তারিখে বাগদাদ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ২৮৪।
  7. হিল্লি, আল-উদাদুল কাউয়িয়্যাহ, ১৪০৮ হি., পৃ. ১৮৩।
  8. আল-তাফসীরুল মানসুব ইলাল ইমামিল আসকারী, ১৪০৯ হি., পৃ. ১১২; ফাইয কাশানি, নাওয়াদেরুল আখবার ফি মা ইয়াতাআ’ল্লাকু বি উসুলিদ্দিন, পৃ. ১৬৬।
  9. হিলালী, কিতাব সুলাইম বিন কায়েস, ১৪০৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৮২৯।
  10. আরবিলী, কাশফুল গুম্মাহ, ১৩৮১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৩৭।
  11. মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৭৭; তাবারসী, ই’লামুল ওয়ারা, ১৩৯০ হি., পৃ. ১৩৩।
  12. মুফিদ, মিসারুশ শিয়া, ১৪২২ হি., পৃ. ৪৪; বাহরানী, মাদিনাতু মাআজেয, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২৬৯।
  13. ইবনে তাঊস, তারাফ মিনাল আম্বা ওয়াল মানাকিব, ১৪২০ হি., পৃ. ৩৬২।
  14. হিলালী, কিতাব সুলাইম বিন কায়েস, ১৪০৫ হি., খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৮২৯; খুসাইবী, আল-হিদায়াতুল কুবরা, ১৪১৯ হি., পৃ. ১০৪ সাদুক, আল-আমালী, ১৩৭৬ ফার্সি সন, পৃষ্ঠা ২; মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ.১৭৭।
  15. আমিনী, আল-গাদীর, ১৪১৬ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫১২।
  16. শামী, আল-দুররুন নাযিম, ১৪২০ হি., পৃ. ২৫৩।
  17. কারাজাকি, কানযুল ফাওয়ায়েদ, ১৪১০ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৯৬।
  18. শামী, আল-দুররুন নাযিম, ১৪২০ হি., পৃ. ২৬৮-২৬৯।
  19. দাইলামী, গুরারুল আখবার, ১৪২৭ হি., পৃ. ৩৪৯।
  20. দাইলামী, ইরশাদুল কুলুব, ১৪১২ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২৬৪; খুসাইবী, আল-হিদায়াতুল কুবরা, ১৪১৯ হি., পৃ. ১০৩-১০৪।
  21. ফাইয কাশানি, নাওয়াদেরুল আখবার, ১৩৭১ ফার্সি সন, পৃ. ১৬৬।
  22. হিলালী, কিতাব সুলাইম বিন কায়েস, ১৪০৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৮২৮-৮২৯; আল-তাফসীরুল মানসুব ইলাল ইমামিল আসকারী, ১৪০৯ হি., পৃ. ১১২; ফুরাত কুফী, তাফসীরে ফুরাত আল-কুফী, ১৪১০ হি., পৃ. ৫১৬; সাদুক, আল-আমালী, ১৩৭৬ ফার্সি সন, পৃ. ২; মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৭৫; ইবনে আসাকির, তারিখে দামেস্ক, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৪২, পৃ. ২৩৪।
  23. হিলালী, কিতাব সুলাইম বিন কায়েস, ১৪০৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৮২৯; মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৭৬; তাবারসী, ই’লামুল ওয়ারা, ১৩৯০ ফার্সি সন, পৃ. ১৩২।
  24. ইবনে বাতরিক, উমদাতু উয়ুন, ১৪০৭ হি., পৃ. ১৬৯; ইবনে শাযান, আল-রাওযাহ, ১৪২৩ হি., পৃ. ৭৬-৭৭; আরবেলী, কাশফুল গুম্মাহ, ১৩৮১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩২৮।

গ্রন্থপঞ্জি

  • ইবনে বাতরিক, ইয়াহইয়া বিন হাসান, উমদাতু উয়ুন সিহাহিল আখবার ফি মানাকিবি ইমাম আল-আবরার, কোম, জামেয়ে মুদারেরসীন, ১৪০৭ হি.।
  • ইবনে হাম্বাল, আহমাদ বিন মুহাম্মাদ, মুসনাদুল ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল, তাহকীক: আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মোহসিন তুর্কী ও অন্যান্যরা, বৈরুত, মুআসসেসাতুর রিসালাহ, ১৪১৬ হি.।
  • ইবনে শাযান কুম্মী, শাযান ইবনে জিব্রাঈল, আল-রাওযাতু ফি ফাযায়িলি আমিরুল মু’মিনীন আলী ইবনে আবি তালিব (আ.), তাহকীক: আলী শিকারচি, কোম, মাক্তাবাতুল আমিন, ১৪২৩ হি.।
  • ইবনে তাঊস, আলী বিন মুসা, তারাফ মিনাল আম্বা ওয়াল মানাকিব, তাহকীক: কাইস আত্তার, মাশহাদ, তাসুয়া, ১৪২০ হি.।
  • ইবনে আব্দুল বার্, ইউসুফ বিন আব্দুল্লাহ, আল-ইস্তিয়া’ব ফি মা’রিফাতিল আসহাব, তাহকীক: আলী মুহাম্মাদ আল-বাজাউয়ী, বৈরুত, দারুল জিল, ১৪১২ হি.।
  • ইবনে আসাকির, আলী বিন হাসান, তারিখ মাদিনাত দামেস্ক, তাসহীহ: আলী শারয়ী, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪১৫ হি.।
  • ইবনে কাসীর, ইসমাঈল বিন উমর, আল-বিদায়াতু ওয়ান নিহায়াহ, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪০৭ হি.।
  • আরবিলী, আলী বিন ঈসা, কাশফুল গুম্মাহ ফি মা’রিফাতিল আয়িম্মা, তাহকীক: হাশেম রাসুলী মাহাল্লাতি, তাবরীয, বানি হাশেমী, ১৩৮১ হি.।
  • আমিনী, আব্দুল হোসাইন, আল-গাদীর ফিল কিতাবি ওয়াস সুন্নাতি ওয়াল আদাব, কোম, মারকাযুল গাদীর লিদ দিরাসাতিল ইসলামীয়্যাহ, ১৪১৬ হি.।
  • বাহরানী, সাইয়্যেদ হাশেম বিন সুলাইমান, মাদিনাতু মাআজেয আল-আয়িম্মাহ আল-ইসনা আশার, কোম, মুআসসেসাতুল মাআরেফ আল-ইসলামীয়্যাহ, ১৪১৩ হি.।
  • আত তাফসীরুল মানসুব ইলাল ইমামি আবি মুহাম্মাদ আল-হাসান বিন আলী আল-আসকারী (আ.), তাহকীক: মাদ্রাসা ইমাম মাহদী (আ.ফা.), কোম, ১৪০৯ হি.।
  • হাসকানী, উবায়দুল্লাহ বিন আব্দুল্লাহ, শাওয়াহেদ আল-তানযীল লি কাওয়ায়েদ আল-তাফযীল, তেহরান, ভেযারাতে ফারহাঙ্গ ওয়া আরশাদে ইসলামী, ১৪১১ হি.।
  • হিল্লি, আলী বিন ইউসুফ বিন আল-মুতাহ্হার, আল-উদাদুল কাউয়িয়্যাহ লি দাফয়িল মুখাওয়িফ আল-ইয়াওমিয়্যাহ, কোম, কিতাব খানেয়ে আয়াতুল্লাহ মারআশি নাজাফী, ১৪০৮ হি.।
  • খুসাইবী, হোসাইন বিন হামদান, আল-হিদায়াতুল কুবরা, বৈরুত, আল-বালাগ, ১৪১৯ হি.।
  • খাতিব বাগদাদী, আহমাদ বিন আলী, তারিখে বাগদাদ, তাহকীক: মুস্তাফা আব্দুল কাদির আতা, বৈরুত, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, ১৪১৭ হি.।
  • দাইলামী, হাসান বিন মুহাম্মাদ, ইরশাদুল কুলুব ইলাস সাওয়াব, কোম, আল-শরীফ আল-রাযী, ১৪১২ হি.।
  • দাইলামী, হাসান বিন মুহাম্মাদ, গুরারুল আখবার ওয়া দুরারুল আসার ফি মানাকিবি আবিল আয়িম্মাতিল আতহার, তাহকীক: ইসমাঈল যাইগাম, কোম, দালিল মা, ১৪২৭ হি.।
  • শামী, ইউসুফ বিন হাতেম, আল-দুররুন নাযিম ফি মানাকিবিল আয়িম্মাতিল লি হামীম, কোম, জামেয়ে মুদারেরসীন, ১৪২০ হি.।
  • সাদুক, মুহাম্মাদ বিন আলী, আল-আমালী, তেহরান, কিতাবচী, ষষ্ঠ সংস্করণ, ১৩৭৬ ফার্সি সন।
  • তাবারসী, ফাযল বিন হাসান, ই’লামুল ওয়ারা বি আ’লামুল হুদা, তেহরান, ইসলামীয়্যাহ, তৃতীয় সংস্করণ, ১৩৯০ হি.।
  • ফাইয কাশানি, মুহাম্মদ মহসিন, নাওয়াদেরুল আখবার ফি মা ইয়াতাআ’ল্লাকু বে উসুলুদ্দিন, তেহরান, মোআসসেসেয়ে মুতালেআত ওয়া তাহকীকাতে ফারহাঙ্গি, ১৩৭১ ফার্সি সন।
  • কারাযাকি, মুহাম্মদ বিন আলী, কানযুল ফাওয়ায়েদ, তাহকীক: আবদুল্লাহ নে’মাত, কোম, দারুয যাখায়ের, ১৪১০ হি.।
  • কুফী, ফুরাত বিন ইব্রাহীম, তাফসীরে ফুরাত আল-কুফী, তাহকীক: মুহাম্মাদ কাজেম, তেহরান, ভেজারাতে ফারহাঙ্গ ওয়া এরশাদে ইসলামী, মোআসসেসাতুল তাব ওয়াল নাশর, ১৪১০ হি.।
  • মাজলিসী, মুহাম্মাদ বাকের, বিহারুল আনওয়ার আল-জামেয়াতু লি দুরারি আখবার আয়িম্মাতিল আতহার, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৩ হি.।
  • মুফিদ, মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ বিন নো’মান, আল-ইরশাদ ফি মা’রিফাতি হুজাজিল্লাহি আলাল ইবাদ, কোম, কংগ্রেয়ে শেখ মুফিদ, ১৪১৩ হি.।
  • মুফিদ, মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ বিন নো’মান মিসারুশ শিয়া ফি মুখতাসারি তাওয়ারিখিশ শারীয়্যাহ, চাপ শুদে দার মাজমুআতিন নাফিসাহ ফি তারিখিল আয়িম্মা, বৈরুত, দারুল কারী, ১৪২২ হি.।
  • হিলালী, সুলাইম কায়েস, কিতাব সুলাইম বিন কায়েস আল-হিলালী, তাহকীক: মুহাম্মাদ আনসারী যানজানী, খুঈনি, কোম, আল-হাদী, ১৪০৫ হি.।