অপারেশন ট্রু প্রমিজ বা সত্য প্রতিশ্রুতি অভিযান (True Promise Operation); হচ্ছে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেট ভবনে ইসরাইলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় ১৩ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের চালানো প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযান। এই অভিযানকে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যকার সরাসরি সংঘর্ষ, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা এবং ইরানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হিসেবে পরিগণিত করা হয়েছে। সত্য প্রতিশ্রুতি অভিযানে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইরান থেকে ইসরাইলের দিকে নিক্ষেপ করা হয় এবং বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যুহ ভেদ করে ইসরাইলি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিশেষ করে নাভাতিম বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে।

বিশিষ্ট ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ যেমন, শিয়া মাজহাবের বিশিষ্ট মারজায়ে তাক্বলীদ আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজী এবং আয়াতুল্লাহ নূরে হামেদানি এই অভিযানের সমর্থনে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন; তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের কিছু কিছু রাষ্ট্র এই অভিযানের সমালোচনা করেছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের প্রতিনিধি ইরানের এই সামরিক অভিযানকে জাতিসংঘ সনদের ৫১ নং অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ বৈধ প্রতিরক্ষা হিসেবে জ্ঞান করেন। ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সক্ষমতার দিক থেকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং যে কোন হুমকির জবাব দিতে ইরানের সক্ষমতার বিষয়টি প্রমাণ করাই এই হামলার আসল বার্তা বলে মনে করা হচ্ছে। ইরানের কোন কোন বিশেষজ্ঞ, ইসরাইলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলো ফিলিস্তিনের অধিকৃত ভূখণ্ডে পৌঁছানোকে ইরানের সক্ষমতার প্রদর্শন ও ইসরাইলের চরম পরাজয় হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
অপারেশনের বর্ণনা
১৩ই এপ্রিলের শেষের দিকে এবং ১৪ এপ্রিল, ২০২৪ ভোরে ইয়া রাসুলুল্লাহ কোড দিয়ে ইরান থেকে ইসরাইল অভিমুখে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপের মাধ্যমে এই অভিযানটি পরিচালিত হয়।[১] ইরান ও ইসরাইলের মধ্যকার প্রথম সরাসরি সংঘর্ষ এটি। ইসরাইলি সামরিক কর্মকর্তাদের মতে, এই অভিযানে ১৮৫ টি ড্রোন, ১১০ টি ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৩৬ টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের দিকে নিক্ষেপ করা হয়; যার অধিকাংশই ইরান থেকে এবং কয়েকটি ইরাক ও ইয়েমেন থেকেও ছোড়া হয়। নাভাতিম বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র অভিযান ছিল ইহুদিবাদী ইসরাইলি হামলার প্রতিশোধমূলক জবাব।[২]
ইউরোনিউজের মতে, ইরানের সাথে ইয়েমেনের হুথি, ইরাকের মিলিশিয়া ও লেবাননের হিজবুল্লাহ বাহিনীর সঙ্গ দেওয়া এই অভিযানে অধিকৃত ভূখণ্ডের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চল এবং অধিকৃত গোলান মালভূমির কিছু অংশকেও লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়। এই অভিযানকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা, ইরানের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং হামলার ধরনের দিক থেকে নজিরবিহীন হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।[৩]
ইরানের ড্রোনগুলো কি নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘান হেনেছিল?
সংবাদ সূত্র অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড[৮] ও জর্ডানের[৯] মতো কিছু দেশ ইরানি ড্রোন রুখতে ইসরাইলকে সহযোগিতা করে। যাইহোক, প্রাপ্ত তথ্যানুসারে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের রামুন ও নাভাতিম বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে।[৪] ইরানি কর্মকর্তাদের মতে, অভিযানে যোগ দেওয়া ড্রোনগুলো তাদের লক্ষ্যের শতভাগ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে, কারণ তাদের কোনটিকেই ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর জন্য পাঠানো হয় নি, বরং শুধুমাত্র ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যতিব্যস্ত রাখার জন্য ওড়ানো হয়েছিল, যাতে করে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যস্ত রাখার মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।[৫]
ইসরাইলে ইরানি হামলার কারণ
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেট ভবনে, ১লা এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে যায়নবাদী সরকারের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পক্ষ থেকে প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ অত্যন্ত সু-স্পষ্টভাবে, ইসরাইল কর্তৃক ইরানের রেড লাইন অতিক্রম এবং দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেট ভবনে হামলাকে এই অভিযানের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। ইরানি কনস্যুলেট ভবনে ইসরাইলি ঐ হামলায় কুদস ফোর্সের অন্যতম সিনিয়র কমান্ডার রেজা জাহিদিসহ ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সাত সদস্য শহীদ হন।[৬]
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের প্রতিনিধি ইরানের এই সামরিক অভিযানকে জাতিসংঘ সনদের ৫১ নং অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ বৈধ প্রতিরক্ষা হিসেবে জ্ঞান করেন। বলা হয়েছে, কূটনৈতিক পন্থার ব্যর্থতা, দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরাইলি হামলার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হওয়ার হতাশা এবং এই ধরনের হামলার পুনরাবৃত্তি রোধ করার লক্ষ্যে ইসরাইলে ইরান হামলা চালায়।[৭]
অভিযানের নামকরণ
ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী এক বিবৃতিতে এই অভিযানকে অপারেশন ট্রু প্রমিজ বা সত্য প্রতিশ্রুতি অভিযান নামে অভিহিত করে এবং এটিকে ইসরাইলের শাস্তির অংশ হিসেবে উল্লেখ করে, যা ইরানের জাতীয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদনক্রমে এবং দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।[৮] এছাড়াও এই অভিযানে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সমর্থনের কথাও উল্লেখ করা হয়। এর আগে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা সাইয়্যেদ আলী খামেনায়ী (হা.) ইসরাইলি সরকারকে শাস্তি এবং তাদেরকে অনুশোচনামূলক জবাব[৯] দেওয়ার কথা বলেছিলেন।
প্রতিক্রিয়াসমূহ
ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত অভিযানকালে, ইরানের বিভিন্ন শহরে যেমন তেহরান, ইস্পাহান ও কেরমান এবং একইসাথে লেবানন[১০] ও ইরাকের[১১] বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে এসে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে। এছাড়াও ১৪ এপ্রিল ইরানের বিভিন্ন শহরে এবং অন্যান্য কয়েকটি দেশে[১২] এই অভিযানের সমর্থনে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও কোন কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শাস্তি এবং প্রতিশোধ দিবসের হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ডিং হয়ে ওঠে।
বিভিন্ন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক পণ্ডিত ব্যক্তিবর্গরা এই অভিযানের সমর্থনে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন, যেমন বিশিষ্ট শিয়া মারজায়ে তাক্বলীদ মাকারেম শিরাজী[১৩] এটিকে মুসলমানদের জন্য সন্তুষ্টি ও গর্বের উৎস বলে অভিহিত করেছেন। আয়াতুল্লাহ হামেদানিও এক বার্তায় এই অভিযানকে সমর্থন করেন।[১৪] মাজমায়ে জাহানি আহলে বাইত (আ.) -এর সেক্রেটারি জেনারেল রেজা রামাজানিও এই অভিযানের সমর্থনে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এবং এটিকে যায়নবাদী ইসরাইলের জন্য বড় পরাজয় হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন।[১৫]
এছাড়াও স্যোশাল মিডিয়া এক্স-এ ওমানের গ্রান্ড মুফতি আহমেদ বিন হামাদ আল-খালিলির পেইজে, ইরানের এই পদক্ষেপকে প্রকৃতপক্ষেই আনন্দদায়ক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।[১৬]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড ও জার্মানির মতো কিছু ইউরোপীয় রাষ্ট্র ইসরাইলের সমর্থনে অপারেশন ট্রু প্রমিজ বা সত্য প্রতিশ্রুতি অভিযানের সমালোচনা করেছে।[১৭] জাতিসংঘ মহাসচিব, রাশিয়া, চীন এবং কিছু আরব রাষ্ট্র ইরান এবং ইসরাইলকে সংযম প্রদর্শনের আহবান জানিয়েছে।
বার্তাসমূহ
ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সক্ষমতার দিক থেকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং যে কোন হুমকির জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে ইরানের সক্ষমতার বিষয়টি প্রমাণ করাই এই হামলার আসল বার্তা বলে মনে করা হচ্ছে। ইরানের কোন কোন বিশেষজ্ঞ, ইসরাইলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যেমন, আয়রন ডোম, ডেভিডস স্লিং এ্যারো-৩ থাকা সত্ত্বেও ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলো ফিলিস্তিনের অধিকৃত ভূখণ্ডে পৌঁছানোকে ইরানের সক্ষমতার প্রদর্শন ও সামরিক দৃষ্টিকোন থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছেন এবং এটিকে ইসরাইলের পরাজয় হিসেবে বিবেচনা করেছেন। এছাড়াও এই অভিযানকে ইসরাইলিদের রেড লাইন অতিক্রম করার ফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।[৩৫]আইআরজিসির নৌ ইউনিটের প্রধান কমান্ডার হুসাইন আলাঈ মনে করেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে ও প্রত্যাশিতভাবে ইসরাইলে ইরানের হামলার কারণে দেশটির প্রতিরোধ ক্ষমতা পুনরুজ্জীবিত হয়েছে।[১৮]
ইসরাইলের উপর ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরাইলের কোন কোন কর্মকর্তা কঠোর জবাব দেওয়া অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন; তবে ইসরাইলের সবচেয়ে বড় সমর্থক ও মিত্র আমেরিকার সমর্থন না থাকায় এই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে সক্ষম হয় নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে এক টেলিফোনালাপে ইরানের হামলার জবাব দেওয়ার বিরুদ্ধে তাকে সতর্ক করেন এবং ঘোষণা দেন যে, ইসরাইল যদি জবাব দেয় সেক্ষেত্রে কোনভাবেই যেন আমেরিকার সহযোগিতা প্রত্যাশা না করে।[১৯] প্রভাবশালী ইংলিশ পত্রিকা দি গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে ইসরাইলের বর্তমান ও সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বরাত দিয়ে উল্লেখ করে যে, ইরানে ইসরাইলের সরাসরি জবাব নিশ্চিত নয় এবং নেতানিয়াহু এখনও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন নি।[২০] প্রতিবেদনটিতে, ইসরাইলের ইনস্টিটিউট অফ ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজের গবেষক রাজ জিম্মিতের বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইসরাইল ইরানের হামলার জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে: ইসরাইলের পক্ষ থেকে যে কোন জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের তীব্র প্রতিক্রিয়া, আমেরিকার সমর্থন না থাকা এবং গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের জড়িয়ে থাকা।[২১]
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলের প্রতিনিধিও ইরানের উপর আরও বেশী নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং ইসলামী রেভল্যুশনারী গার্ড বাহিনীকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।[৪০] কোন কোন সূত্র ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে মার্কিন সংকল্পের বিষয়টির উল্লেখ করেছে।[২২]
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে ইহুদিবাদী ইসরাইলের ইয়েদিওথ আহরোনোথ পত্রিকার বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই অভিযানে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবেলার জন্য ইসরাইল ১.০৮ থেকে ১.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ইরান এই অংকের প্রায় এক দশমাংশ খরচ করেছে। [২৩] টিআরটি (তুর্কী রেডিও ও টেলিভিশন কর্পোরেশন) নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুসারে, ১.৩৫ বিলিয়ন ডলারের অঙ্কটি ছিল শুধুমাত্র ড্রোন মোকাবেলার ব্যয়; তাছাড়া কয়েক ডজন সামরিক বিমান উড্ডয়নের খরচ এবং ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে যে ক্ষয়ক্ষতি সংঘটিত হয়েছে তা এতে অন্তর্ভুক্ত হয় নি।[২৪]
ইংরেজী সংবাদপত্র গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণ অনুসারে, ইরানি ড্রোন রুখতে ইসরাইলকে সহযোগিতা করার কারণে জর্ডান কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে; দেশের অভ্যন্তরে এবং এ অঞ্চলের জনসাধারণের ক্ষোভের মুখে পড়েছে দেশটি। [২৫]
তথ্যসূত্র
- ↑ فروند پهپاد و موشک به سمت سرزمینهای اشغالی شلیک شد, খাবারগুযারিয়ে ইরনা।
- ↑ تصاویر ماهواره از خسارت به پایگاه نواتیم در پاسخ ایران, খাবারগুযারিয়ে ইসনা।
- ↑ احتمالی تلآویو به تهران: آیا نیروی هوایی اسرائیل میتواند ایران را زمینگیر کند؟, ইউরোনিউজ।
- ↑ damage reported at 2 Israeli air bases, abcnews.go.
- ↑ موشک هایپرسونیک ایران به اهداف اسرائیلی اصابت کرد /سفیر سوئیس به جای وزارتخارجه به سپاه احضار شد /موشکهای بالستیک ظرف ۱۵ دقیقه به اسرائیل رسیدند, অনলাইন।
- ↑ اسرائیل به کنسولگری ایران در سوریه و شهادت ۷ عضو ارشد سپاه (+فیلم و عکس, আসরে ইরান।
- ↑ علایی:۱۲۰ جنگنده پیشرفته برای مقابله با ایران به پرواز درآمدند اما..., খাবারগুযারিয়ে অনলাইন।
- ↑ فروند پهپاد و موشک به سمت سرزمینهای اشغالی شلیک شد, খাবারগুযারিয়ে ইরনা।
- ↑ در پی شهادت سرلشکر پاسدار محمدرضا زاهدی و همرزمانش, দাফতারে হেফয ও নাশরে আসারে আয়াতুল্লাহ খামেনায়ী (হা.)।
- ↑ عملیات ایران علیه رژیم صهیونیستی را جشن گرفتند, মাশরেক নিউজ।
- ↑ مردم عراق در خیابان های بغداد از حملات موشکی و پهپادی ایران به اسراییل, আপারাত।
- ↑ عملیات «وعده صادق» در پاکستان به خیابان آمدند, খাবারগুযারিয়ে ইরনা।
- ↑ حضرت آیت الله العظمی مکارمشیرازی(مدّظلّه العالی), বালিগনিউজ।
- ↑ مرجع عالیقدر حضرت آیت الله العظمی نوری همدانی «مدظله العالی» در حمایت از پاسخ کوبنده جمهوری اسلامی ایران و گروه های مقاومت به تجاوزات رژیم صهیونیستی, পায়গাহে ইত্তেলারেসানিয়ে দাফতারে আয়াতুল্লাহ নুরী হামেদানী (হা.)।
- ↑ رمضانی: رژیم صهیونیستی غده سرطانی و تهدیدی برای دنیای بشری است/ اسرائیل اگر اشتباهی کند، پاسخ ایران سنگینتر خواهد بود, খাবারগুযারিয়ে আবনা।
- ↑ العام لسلطنة عمان: الرد الإیرانی علی الکیان الصهیونی أمر یسر الخاطر حقا + صورة التغریدة, وکالة أبنا العالمیة.
- ↑ ایران و اسرائیل در نشست شورای امنیت, ইউরোনিউজ।
- ↑ علایی:۱۲۰ جنگنده پیشرفته برای مقابله با ایران به پرواز درآمدند اما..., খাবারগুযারিয়ে অনলাইন।
- ↑ احتمالی تلآویو به تهران: آیا نیروی هوایی اسرائیل میتواند ایران را زمینگیر کند؟, ইউরোনিউজ।
- ↑ will Israel respond to Iran’s attack and could it cope with a war?, The Guardian.
- ↑ will Israel respond to Iran’s attack and could it cope with a war?, The Guardian.
- ↑ Shalal and Lawder, to hit Iran with new sanctions in "coming days", Yellen says, Reuters.
- ↑ أنفقت 1.5 ملیار دولار فی لیلة واحدة لصد الهجوم الإیرانی, আল-জাজিরা।
- ↑ اقتصادی حمله پهبادی ایران به اسرائیل، ۱.۳۵ میلیارد دلار برآورد شد, টিআরটি ওয়েবসাইট।
- ↑ faces difficult balancing act amid row over role in downing Iranian drones, The Guardian.
গ্রন্থপঞ্জি
- اقتصادی حمله پهبادی ایران به اسرائیل، ۱.۳۵ میلیارد دلار برآورد شد, টিআরটি ওয়েবসাইট, ১৭/৪/২০২৪,
- حوزویان در حمایت از عملیات «وعده صادق, খাবারগুযারিয়ে হাউযা, ১৪/৪/২০২৪,
- اعترضنا أجساما طائرة دخلت مجالنا الجوی, আল-জাযিরা, ১৪/৪/২০২৪,
- تصاویر ماهواره از خسارت به پایگاه نواتیم در پاسخ ایران, খাবারগুযারিয়ে ইসনা, ১৫/৪/২০২৪,
- بی. سی نیوز: ۹ موشک ایران به ۲ پایگاه اسرائیل اصابت کرد., খাবারগুযারিয়ে ইরনা, ১৫/৪/২০২৪,
- احتمالی تلآویو به تهران: آیا نیروی هوایی اسرائیل میتواند ایران را زمینگیر کند؟, ইউরোনিউজ, ১৪/৪/২০২৪,
- آیت الله جوادی آملی در پی وعده صادق سپاه, তাবনাক ওয়েবসাইট, ১৫/৪/২০২৪,
- حضرت آیت الله العظمی مکارمشیرازی(مدّظلّه العالی), বালিগনিউজ, ১৫/৪/২০২৪,
- مرجع عالیقدر حضرت آیت الله العظمی نوری همدانی «مدظله العالی» در حمایت از پاسخ کوبنده جمهوری اسلامی ایران و گروه های مقاومت به تجاوزات رژیم صهیونیستی, পায়গাহে ইত্তেলারেসানিয়ে দাফতারে আয়াতুল্লাহ নুরী হামেদানী (হা.), ১৫/৪/২০২৪,
- در پی شهادت سرلشکر پاسدار محمدرضا زاهدی و همرزمانش, দাফতারে হেফয ও নাশরে আসারে আয়াতুল্লাহ খামেনায়ী (হা.), ১৪/৪/২০২৪,
- دانشگاهیان در حمایت از پاسخ مقتدرانه سپاه به رژیم صهیونیستی, ফার্স নিউজ, ১৪/৪/২০২৪,
- ایران و اسرائیل در نشست شورای امنیت, ইউরোনিউজ, ১৪/৪/২০২৪,
- عملیات «وعده صادق» در پاکستان به خیابان آمدند, খাবারগুযারিয়ে ইরনা, ১৪/৪/২০২৪,
- علایی:۱۲۰ جنگنده پیشرفته برای مقابله با ایران به پرواز درآمدند اما..., খাবারগুযারিয়ে অনলাইন, ১৭/৪/২০২৪,
- إیرانیة تحتفی بالهجوم علی إسرائیل, আল-জাযিরা, ১৪/৪/২০২৪,
- گسترده موشکی و پهپادی ایران به اسرائیل آغاز شد, খাবারগুযারিয়ে তাসনিম, ১৪/৪/২০২৪,
- اسرائیل به کنسولگری ایران در سوریه و شهادت ۷ عضو ارشد سپاه (+فیلم و عکس), আসরে ইরান, ১৪/৪/২০২৪,
- نماز عید فطر, দাফতারে হেফয ও নাশরে আসারে আয়াতুল্লাহ খামেনায়ী (হা.) ওয়েবসাইট, ১৪/৪/২০২৪,
- فروند پهپاد و موشک به سمت سرزمینهای اشغالی شلیک شد, খাবারগুযারিয়ে ইরনা, ১৪/৪/২০২৪,
- مستقیم نظامی با اسرائیل چه تاثیری بر زندگی شهروندان عادی ایران میگذارد؟, ইউরোনিউজ, ১৪/৪/২০২৪,
- باقری: گنبد آهنین نتوانست مقابله قابلتوجهی با عملیات ما داشته باشد, আল-আলাম চ্যানেল, ১৭/৪/২০২৪,
- مردم عراق در خیابان های بغداد از حملات موشکی و پهپادی ایران به اسراییل, আপারাত, ১৫/৪/২০২৪,
- عملیات ایران علیه رژیم صهیونیستی را جشن گرفتند, মাশরেক নিউজ, ১৫/৪/২০২৪,
- رمضانی: رژیم صهیونیستی غده سرطانی و تهدیدی برای دنیای بشری است/ اسرائیل اگر اشتباهی کند، پاسخ ایران سنگینتر خواهد بود, খাবারগুযারিয়ে আবনা, ১৫/৪/২০২৪,
- will Israel respond to Iran’s attack and could it cope with a war?, The Guardian, Accessed: 17 April 2024.
- Motamedi, Maziar, Promise’: Why and how did Iran launch a historic attack on Israel?, Al Jazeera Media Network, Published: 14 April 2024, Accessed: 16 April 2024.
- Shalal and Lawder, to hit Iran with new sanctions in "coming days", Yellen says, Reuters, Published: 17 April 2024, Accessed: 17 April 2024
- faces difficult balancing act amid row over role in downing Iranian drones, The Guardian, Published: 15 April 2024, Accessed: 17 April 2024.
- damage reported at 2 Israeli air bases, abcnews.go.