সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজেম তাবাতাবায়ি ইয়াজদি
![]() | |
পুরো নাম | সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজেম তাবাতাবায়ি ইয়াজদি |
---|---|
বংশ | তাবাতাবায়ি |
জন্ম তারিখ | ১২৪৮ হিজরী |
যে শহরে জন্ম | কিসনাভিয়্যাহ গ্রাম, ইয়াজদ্ |
মৃত্যুর তারিখ | ২৮ই রজব, ১৩৩৭ হিজরী |
সমাধিসৌধ | ইমাম আলীর (আ.) মাযারে ইমরান বিন শাহিন মসজিদে |
খ্যাতিমান আত্মীয়স্বজন | সাইয়েদ মুহাম্মাদ (পুত্র) বৃটিশদের মুকাবিলায় আশায়ের গোষ্ঠীর নেতৃত্বদানকারী•সাইয়েদ আব্দুল আযিয তাবাতাবায়ি ইয়াজদি (নাতি) |
শিক্ষকগণ | মুহাম্মাদ বাকের আগা ইস্পাহানী•সাইয়েদ মুহাম্মাদ বাকের খুনসারী•সাইয়েদ মুহাম্মাদ হাশেম খুনসারী•সাইয়েদ মুহাম্মাদ হাসান শিরাজী |
ছাত্রবৃন্দ | আব্দুল কারিম হায়েরী ইয়াজদি•মুহাম্মাদ হুসাইন কাশিফুল গিতা•মুহাম্মাদ তাক্বী বাফাকী•সাইয়েদ হুসাইন বুরুজার্দী |
সংকলন | উরওয়াতুল উসকা |
সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজেম তাবাতাবায়ি ইয়াজদি -ওফাত ১৩৩৭ হিজরী- (আরবি: السيد محمد كاظم الطباطبائي اليزدي); শিয়া মাযহাবের খ্যাতনামা ফিকাহবিদ এবং ‘উরওয়াতুল উসকা’ গ্রন্থের প্রণেতা। তিনি সাইয়েদ মুহাম্মাদ হাসান শিরাজী ইন্তেকালের পর শিয়া বিশ্বের মারজায়্যাতের গুরুদায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ইরানের তৎকালীন সংবিধানিক বিপ্লবের (Constitutional Revolution) বিরোধী ছিলেন। তিনি লিবিয়ার উপর ইটালি, ইরাকে ইংল্যান্ড ও ইরানের উপর তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সামরিক আগ্রাসনের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং এ সব হামলার বিরুদ্ধে মুসলমানদের প্রতিরোধ ও জিহাদের ডাক দেন।
মুহাম্মাদ বাকের নাজাফী ও মীর্যা মুহাম্মাদ হাসান শিরাজী ছিলেন সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজেম তাবাতাবায়ি’র শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক। এছাড়া তাঁর শিষ্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মুহাম্মাদ হুসাইন কাশেফুল গাতা, আগা জিয়া ইরাকি, সাইয়েদ আব্দুল হুসাইন শারাফুদ্দীন, হাসান আলী নুখুদাকি ইসফাহানি, সাইয়েদ মুহাম্মাদ তাকী খোনসারি, সাইয়েদ মুহসিন আমীন এবং আগা বুজুর্গ তেহরানী প্রমুখ।
সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজেম তাবাতাবায়ি ইয়াজদি প্রণীত ‘উরওয়াতুল উসকা’ গ্রন্থটি ফিকাহশাস্ত্রের প্রথমসারির অত্যন্ত মূল্যবান ও জ্ঞানগর্ভ কিতাব হিসেবে পরিচিত; এটি উচ্চতর ধর্মীয় শিক্ষালয়ের পাঠ্যপুস্তক হিসেবে স্বীকৃত। এ মহাগ্রন্থের উপর এ যাবত অনেক ব্যাখ্যামূলক পুস্তক-পুস্তিকা ও টিকা-টিপ্পনি লিখিত হয়েছে; যা আলেম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।
জীবন-বৃত্তান্ত
সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজেম তাবাতাবায়ি ইয়াজদি ইরানের ইয়াজদ প্রদেশের কিসনাভিয়্যাহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তাঁর পিতা সাইয়েদ আব্দুল আজিম ছিলেন একজন কৃষক। বংশগত দিক থেকে তিনি তাবাতাবায়ি সাইয়েদ বংশীয় এবং ইমাম হাসান মুজতাবার (আ.) বংশধর।[২] সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজেম তাবাতাবায়ি’র জন্ম তারিখ নিয়ে মতান্তর রয়েছে; আইয়ানুশ শিয়া গ্রন্থে তাঁর জন্ম সনকে ১২৪৭ হিজরী মোতাবেক ১৮৩২ খ্রিষ্টাব্দ[৩] এবং আলী দাওয়ানি রচিত নেহযাতে রুহানিয়ুনে ইরান নামক গ্রন্থে তাঁর পরিবারের প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী ১২৪৮ হিজরী মোতাবেক ১৮৩৩ খ্রিষ্টাব্দ উল্লেখ করা হয়েছে।[৪]
সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজেম তাবাতাবায়ি ২৮ রজব ১৩৩৭ সনে মোতাবেক ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে ওফাত বরণ করেন এবং তাকে আমিরুল মু’মিনিন ইমাম আলীর (আ.) পবিত্র মাজার প্রাঙ্গনে দাফন করা হয়।[৫] তাঁর ইন্তেকালের খবরে ইরাকের শিয়া ও সুন্নী ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। এ সময় ইরানের শাসক আহমাদ শাহ তাঁর স্মরণে আয়োজিত শোক সভায় উপস্থিত হন।[৬] বিশিষ্ট পাণ্ডুলিপি বিশেষজ্ঞ সাইয়েদ আব্দুল আজিজ তাবাতাবায়ি ছিলেন তার নাতি।[৭]
সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজেম তাবাতাবায়ি ইরাকের নাজাফ শহরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর সন্তানাদি হলেন যথাক্রমে- সাইয়েদ আলী, সাইয়েদাহ যাহরা, সাইয়েদ হাসান, সাইয়েদ মাহমুদ[৮], সাইয়েদ আসাদুল্লাহ[৯] এবং সাইয়েদ মুহাম্মাদ।
তাঁর সন্তানবর্গের মধ্যে সাইয়েদ মুহাম্মাদ অনেক মূল্যবান ও গবেষণাধর্মী গ্রন্থ রচনা করেছেন, তম্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সাহায়েফুল আবরার বেওজায়েফুল আসহার।[১০] তিনি ইরানের আহওয়াজ অঞ্চলে ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দান করেন।[১১] কোন কোন ইতিহাসবিদের দৃষ্টিতে তিনি শাহাদত বরণ করেন আবার কারও কারও মতে যেমন- আগা বুজুর্গ তেহরানী উল্লেখ করেছেন যে, তিনি স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন এবং তাঁর মৃত্যুর তারিখ হচ্ছে ১৮ মার্চ ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দ।[১২] ইসলামি বিপ্লবের রাহবার সাইয়েদ আলী খামেনেয়ী এ সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন: সাইয়েদ মুহাম্মাদ তাঁর পিতার আদেশক্রমে ইংরেজ বিরোধী জিহাদে নেতৃত্ব দান করেন। তিনি এ যুদ্ধে অন্যান্য আলেমগণের সাথে ইংরেজদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। কিন্তু তিনি সে যুদ্ধে শাহাদত বরণ করেন নি, বরং যুদ্ধের কিছু দিন পরে তাঁর ইন্তেকাল হয়।[১৩]
ইলমি ব্যক্তিত্ব;
শিক্ষা জীবন
সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজেম তাবাতাবায়ি ইয়াজদি প্রথম জীবনে কৃষি কাজে ব্যস্ত ছিলেন, কিন্তু তিনি পরবর্তীতে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণে ব্রত হন।[১৪] তিনি ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণের নিমিত্তে ১৮৪০ সনে ইরানের ইয়াজদ প্রদেশের মোহসিনিয়্যাহ মাদ্রাসাতে ভর্তি হন।[১৫] ৪ বছর পরে তিনি ইরানের মাশহাদ নগরীতে গমণ করেন এবং সেখানে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি গণিত ও জ্যোতিবিদ্যা গ্রহণে মশগুল হন। এরপর ১৮৫৫ সনে তিনি ইসফাহানে হিজরত করেন এবং সেখানে সাদর মাদ্রাসাতে ভর্তি হন।[১৬] তিনি সেখানে শেখ মুহাম্মাদ বাকের নাজাফীর সান্নিধ্যে উচ্চতর ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং ইজতিহাদের পর্যায়ে উন্নীত হন।[১৭]
তিনি পরবর্তীতে তাঁর উস্তাদ মুহাম্মাদ বাকের নাজাফী ইসফাহানির পরামর্শে ইরাকের নাজাফ শহরে গমণ করেন।[১৮] তিনি ঐ বছর নাজাফে পৌঁছান যে বছর খ্যাতনামা মারজায়ে তাকলীদ শেখ মুর্তাযা আনসারী ইন্তেকাল এবং মীর্যা শিরাজী মারজাইয়্যাতের গুরুদায়িত্বে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। অতঃপর তিনি আমিরুল মু’মিনিন আলীর (আ.) রওজার পেশ ইমাম হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[১৯] আয়াতুল্লাহ মীর্যা শিরাজী সামেরা শহরে চলে যাবার পর তিনি নাজাফ শহরে স্থায়িভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন এবং ধর্মীয় শিক্ষাদান অব্যাহত রাখেন ও মারজাইয়্যাতের গুরুদায়িত্ব গ্রহণ করেন।[২০]
ইলমি অবস্থান
আইয়ানুশ শিয়া গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজেম তাবাতাবায়ি’র ফিকাহ ক্লাসে প্রায় দুই শতাধিক শিষ্য অংশগ্রহণ করতেন।[২১] আয়াতুল্লাহ মুহসিন আমীন তাঁকে বিজ্ঞ পণ্ডিত ও ফিকাহবিদ হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন: তাঁর প্রণীত মহাগ্রন্থ ‘উরওয়াতুল উসকা’ এতই জ্ঞানগর্ভ ও উচুমানের যে, যদি কেউ মুজতাহিদ ও মারজায়ে তাকলীদ হতে চায়, তবে তাকে উক্ত কিতাবের উপর গবেষণা করতে হবে।[২২] উস্তাদ মুহাম্মাদ গারাভী ‘মাআ উলামায়িন নাজাফ’ গ্রন্থে এ বিশিষ্ট ফিকাহবিদকে জ্ঞানের মহাসাগর হিসেবে অভিহিত করার পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক ও উদ্ধৃতিগত জ্ঞানের ক্ষেত্রে তিাঁর বিশেষ পারদর্শিতার প্রতি ইশারা করে বলেছেন যে, ফিকাহ ও হাদীসশাস্ত্রের যাবতীয় বিষয়াদির উপর তাঁর পূর্ণ দখল ছিল।[২৩] সাইয়েদ মূসা শুবেইরি আগা জিয়া ইরাকির উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেছেন যে, সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজেম তাবাতাবায়ি ইয়াজদি তদানীন্তন বিশিষ্ট ফিকাহবিদ আখুন্দ খোরাসানি থেকেও অধিক জ্ঞানী ছিলেন। কেননা ফিকাহশাস্ত্রের অনেক সুক্ষ্ম ও জটিল বিষয়ে তার চুলচেরা বিশ্লেষণ এ বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত বহন করে।[২৪]
মারজাইয়্যাত
সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজেম তাবাতাবায়ি ইয়াজদি ১৩১২ হিজরী মোতাবেক ১৮৯৫ সনে মীর্যা শিরাজী ইন্তেকালের পর শিয়া বিশ্বের মারজাইয়্যাতের গুরুদায়িত্ব গ্রহণ করেন। সে সময় নাজাফ শহরে আখুন্দ খোরাসানি ও শেখ মুহাম্মাদ তোহা নাজাফও মারজায়ে তাকলীদ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে তাদেরও ইন্তেকালের পর তিনি সমগ্র শিয়া বিশ্বের একক মারজায়ে তাকলীদ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।[২৫] তাঁর ইন্তেকালের পর মীর্যা মুহাম্মাদ তাকী শিরাজী ও সাইয়েদ ইসমাঈল সাদর মারজায়ে তাকলীদ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।[২৬]
উস্তাদগণ
- মোল্লা মুহাম্মাদ জাফর আবাদি[৩০]
- মাওলা হাসান বিন মুহাম্মাদ আর্দেকানি[৩১]
- শেখ মাহদী জাফারী[৩৩]
শিষ্যগণ
এক পরিসংখ্যানে সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজেম তাবাতাবায়ি’র শিষ্য সংখ্যা ৩৫০ জন উল্লেখ করা হয়েছে।[৩৬] কিন্তু কোন কোন গবেষণাতে এ বিশিষ্ট ফিকাহবিদ ও মারজায়ে তাকলীদের শিষ্য সংখ্যা ৭৫০ জনের অধিক বলে বর্ণনা করা হয়েছে।[৩৭] তাঁর শিষ্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, যথাক্রমে-
১- মুহম্মাদ হুসাইন কাশেফুল গাতা
৪- সাইয়েদ আব্দুল হুসাইন শারাফুদ্দীন
৫- সাইয়েদ মুহাম্মাদ হুসাইন তাবাতাবায়ি কুম্মী
৬- সাইয়েদ মুহাম্মাদ হুসাইনি হামাদানি
৮- সাইয়েদ হাসান মুদাররেস
৯- হাসান আলি নুখুদাকি ইসফাহানি
১০- সাইয়েদ মুহাম্মাদ তাকী খোনসারি
১১- শেখ আলী আকবার নাহাওয়ান্দি
১২- সাইয়েদ জামালুদ্দীন গুলপাইগানি
১৫- সাইয়েদ মুহাম্মাদ হুজ্জাত কুহকামারি
কেউ কেউ শেখ আব্দুল কারীম হায়েরী ও সাইয়েদ হুসাইন বুরুজের্দীকেও সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজেম তাবাতাবায়ি’র শিষ্যগণের অন্তর্ভূক্ত করেছেন। কিন্তু সাইয়েদ মুসা শুবাইরি উল্লেখ করেছেন যে, এ দু’জন সরাসরি তাঁর শিষ্য ছিলেন না; বরং তারা উভয়ে আখুন্দ খোরাসানি’র ছাত্র ছিলেন।[৩৯]
বই-পুস্তক
বিশিষ্ট গবেষক আবুল হাসানি উল্লেখ করেছেন: সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজেম তাবাতাবায়ি ইয়াজদি উসূল ও ফিকাহ শাস্ত্রের উপর ২৫টি মূল্যবান ও জ্ঞানগর্ভ গ্রন্থ রচনা করেছেন।[৪০] এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ও মূল্যবান কিতাব হচ্ছে ‘উরওয়াতুল উসকা’।[৪১] এ কিতাবটি ফিকাহশাস্ত্রের তথ্য-উপাত্ত, যুক্তি-প্রমাণ ও দলিলাদির ক্ষেত্রে এতই সমৃদ্ধ ও উচুমানের যে সমস্ত ফিকাহবিদ ও মারজায়ে তাকলীদগণের নিকট অত্যন্ত সমাদৃত এবং এ যাবত এ কিতাবের উপর বহু ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ ও টিকা-টিপ্পনী সম্বলিত বই-পুস্তক রচিত হয়েছে।[৪২] কিতাবটি এতই প্রসিদ্ধ ও সমাদৃত হয়েছে যে, এর প্রণেতাকে সবাই ‘উরওয়াতুল উসকা’র লেখক নামেই চেনে।[৪৩]
রাজনৈতিক অবস্থান
বর্ণিত হয়েছে যে, সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজেম তাবাতাবায়ি ইয়াজদি তাঁর সময়কার অন্যান্য মারজায়ে তাকলীদগণের তুলনায় (যেমন- আয়াতুল্লাহ আখুন্দ খোরাসানি) রাজনৈতিক বিষয়াদিতে কম সক্রিয় ছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক কার্যক্রম কেবল বিবৃতি প্রকাশ কিংবা অভিমত ব্যক্ত করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকত। কিন্তু তদুপরি একজন যুগশ্রেষ্ঠ মারজায়ে তাকলিদ ও ফকীহ হিসেবে এতটুকুই সমাজের মানুষের উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত।[৪৪]
রাজনৈতিক বিষয়াদিতে তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিম্নে তুলে ধরা হল-
মুসলিম কোম্পানিসমূহের প্রতি সমর্থন
১৩১৬ হিজরী মোতাবেক ১৯৩৭ সনে কিছু ধার্মিক ব্যবসায়ি ব্যবসা-বাণিজ্যে বিদেশীদের একচেটিয়া প্রভাব মোকাবেলায় ইরানের ইসফাহানে একটি মুসলিম কোম্পানি গড়ে তুলেন।[৪৫] এ সময় সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজেম তাবাতাবায়ি ইয়াজদি তাঁর সমসাময়িক মারজায়ে তাকলীদ বিশেষত আখুন্দ খোরাসানি, মীর্যা হুসাইন নূরী, শারিয়াত ইসফাহানি ও সাইয়েদ ইসমাঈল সাদর প্রমুখের ন্যায় উক্ত কোম্পানির প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন এবং সে কোম্পানির উৎপাদিত পণ্য ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করে এক বিবৃতি প্রকাশের মাধ্যমে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেন।[৪৬]
ইটালি, রুশ ও বৃটিশ উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান
১৯১১ সনে ইটালির সৈন্য বাহিনী কর্তৃক লিবিয়া দখল এবং রুশ ও ইংরেজ বাহিনী কর্তৃক ইরানের উপর সামরিক আগ্রাসনের প্রতিবাদে সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজেম তাবাতাবায়ি এক ঐতিহাসিক ফতোয়া প্রদান করেন। তিনি এ ফতোয়াতে মুসলিম দেশসমূহ হতে কাফির-মুশরিকদের বিতাড়নে সমগ্র মুসলিম উম্মাহর ঈমানি দায়িত্ব হিসেবে উল্লেখ করেন।[৪৭]
ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংরেজ বাহিনী ইরাক দখল করে নেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে তিনি তাঁর সমসাময়িক মারজায়ে তাকলীদগণ যেমন- মীর্যা তাকি শিরাজী ও শাইখুশ্ শারিয়াহ ইসফাহানি একযোগে ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন।[৪৮] ইংরেজ বিরোধী এ জিহাদে তার সন্তান সাইয়েদ মুহাম্মাদ শাহাদত বরণ করেন।[৪৯]
সংবিধানিক বিপ্লব আন্দোলন
সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজেম তাবাতাবায়ি তৎকালীন সময়ে ইরানে চলমান সংবিধানিক বিপ্লব আন্দোলনে এ বিপ্লবের পথিকৃত শেখ ফাযলুল্লাহ নূরীর সাথে ঐকমত্যপোষণ করতেন। তিনি ইসলামি শরিয়াতের বিধানাবলি যথাযথভাবে মেনে চলার শর্তে পার্লামেন্টের বৈধতার কথা উল্লেখ করেন। যখন শেখ ফাযলুল্লাহ নুরী তেহরানস্থ হযরত আব্দুল আজিম হাসানি’র মাজারে সংবিধানিক বিপ্লব আন্দোলনে বিচ্যুতির প্রতিবাদে অনশন ধর্মঘট পালন করেন, তখন তিনি তাঁর এ অবস্থানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করেন।[৫০]
এ কারণে সংবিধানিক বিপ্লব আন্দোলনের প্রতি আখুন্দ খোরাসানি সমর্থন জ্ঞাপন সত্ত্বেও তিনি এ আন্দোলনের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেন।[৫১]
সামাজিক কার্যক্রম
সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজেম তাবাতাবায়ি ইয়াজদি বিভিন্ন সামাজিক ও জনসেবামূলক কার্যক্রমে বিশেষ সহযোগিতা করতেন। তিনি মসজিদ, মাদ্রাসা, মুসাফিরখানা নির্মাণ এবং সর্বস্তরের জনগণের কল্যাণে নানাবিধ সেবামূলক কাজে অংশ নিতেন। এছাড়া তিনি অনেক ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক ভবন নির্মাণের উপর বিশেষ গুরুত্বারেপা করতেন। নাজাফের সবচেয়ে বিখ্যাত ধর্মীয় মাদ্রাসা যা মাদ্রাসা-এ-সাইয়েদ নামে পরিচিত; তা মূলত তাঁর হাতেই গড়া।[৫২]
তিনি নাজাফ শহরের আল আমারেহ এলাকাতে জিয়ারতকারীদের জন্য এক বিশাল মুসাফিরখানা প্রতিষ্ঠা করেন; যা ১৩৮৪ হিজরী থেকে মাদ্রাসা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।[৫৩]
নৈতিক বৈশিষ্ট্যাবলি
বিশিষ্ট মারজায়ে তাকলীদ সাইয়েদ মূসা শুবেইরি উল্লেখ করেছেন: সাইয়েদ আহমাদ খোনসারি যিনি তাকওয়া ও পরহেজগারিতায় ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন; তিনি সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজেম তাবাতাবায়ি ইয়াজদি’র সুউচ্চ তাকওয়া, পরহেজগারিতা ও আধ্যাত্মিকার সাক্ষ্য দিয়েছেন।[৫৪] তিনি আত্মসংবরণ ও সতর্কতার ক্ষেত্রে ছিলেন অত্যন্ত সুপরিচিত ও বিরল।[৫৫]
স্মরণসভা
২০১৩ সনের মার্চ মাসে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ধর্মীয় নগরী কোম শহরে সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজেম তাবাতাবায়ি ইয়াজদি’র প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সম্মেলনে ইরাক, ইরান ও লেবাননের বিশিষ্ট আলেম, গবেষক, ফকীহগণ অংশগ্রহণ করেন।[৫৬]
তথ্যসূত্র
- ↑ আমীন, আইয়ানুশ শিয়া, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১০, পৃ. ৪৩।
- ↑ আমীন, আইয়ানুশ শিয়া, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১০, পৃ. ৪৩।
- ↑ আমীন, আইয়ানুশ শিয়া, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১০, পৃ. ৪৩।
- ↑ বাযরাফশান, সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজিম ইয়াজদী, ফাকীহ দুরান্দিশ, ১৩৮৬ ফার্সি সন, পৃ. ২৩।
- ↑ আমীন, আইয়ানুশ শিয়া, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১০, পৃ. ৪৮।
- ↑ আমীন, আইয়ানুশ শিয়া, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১০, পৃ. ৪৩।
- ↑ শারীফ রাযী, গাঞ্জিদে দানেশমান্দান, ১৩৭০ ফার্সি সন, খণ্ড ৯, পৃ. ২৩১।
- ↑ মুসাভি দরূদী, “যেন্দেগীনামে মুখতাছার ওয়া সাল শুমারে ফাআলিয়্যাতহায়ে ইলমি...”, পৃ. ১৯৮।
- ↑ শারাফুদ্দীন, মাআ মাওসুআতুন রিজাল আল-শিয়া, ৪১১ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩৬০।
- ↑ আগা বুজুর্গ তেহরানী, আল-যারিয়াহ, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১৫, পৃ. ৮।
- ↑ শারাফুদ্দীন, মাআ মাওসুআতুন রিজাল আল-শিয়া, ৪১১ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩৬০।
- ↑ আগা বুজুর্গ তেহরানী, আল-যারিয়াহ, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১৫, পৃ. ৮।
- ↑ بیانات در دیدار اعضای ستاد برگزاری همایش علامه سید محمد کاظم طباطبایی یزدی
- ↑ আমীন, আইয়ানুশ শিয়া, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১০, পৃ. ৪৩।
- ↑ মুসাভি দরূদী, “যেন্দেগীনামে মুখতাছার ওয়া সাল শুমারে ফাআলিয়্যাতহায়ে ইলমি...”, পৃ. ১৯৭।
- ↑ মুসাভি দরূদী, “যেন্দেগীনামে মুখতাছার ওয়া সাল শুমারে ফাআলিয়্যাতহায়ে ইলমি...”, পৃ. ১৯৭।
- ↑ সাদর, তাকমিলাতু আমালিল আমেল, ১৪২৯ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৪৭৪।
- ↑ মুসাভি দরূদী, “যেন্দেগীনামে মুখতাছার ওয়া সাল শুমারে ফাআলিয়্যাতহায়ে ইলমি...”, পৃ. ১৯৭।
- ↑ আমীন, আইয়ানুশ শিয়া, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১০, পৃ. ৪৩।
- ↑ আগা বুজুর্গ তেহরানী, তাবাকাতু আ’লাম আল-শিয়া, ১৪৩০ হি./২০০৯ খ্রি., খণ্ড ১৭, পৃ. ৭১।
- ↑ আমীন, আইয়ানুশ শিয়া, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১০, পৃ. ৪৩।
- ↑ আমীন, আইয়ানুশ শিয়া, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১০, পৃ. ৪৩।
- ↑ গারাভী, মাআ উলামায়িন নাজাফিল আশরাফ, ১৪২০ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪৫৮।
- ↑ শুবেইরি যানজানি, জাররেই আয দারিয়া, ১৩৮৯ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ৩৮৬।
- ↑ মুসাভি দরূদী, “যেন্দেগীনামে মুখতাছার ওয়া সাল শুমারে ফাআলিয়্যাতহায়ে ইলমি...”, পৃ. ১৯৮।
- ↑ শুবেইরি যানজানি, জাররেই আয দারিয়া, ১৩৮৯ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ৩৮৬।
- ↑ সাদর, তাকমিলাতু আমালিল আমেল, ১৪২৯ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৪৭৪।
- ↑ হাবিব আবাদী, মাকারেমুল আসার, ১৩৫১ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ৮০৪-৮০৬।
- ↑ তাবরিযি খিয়াবানী, উলামায়ে মাআসের, ১৩৬৬ ফার্সি সন, পৃ. ৬৮-৬৯।
- ↑ আমীন, আইয়ানুশ শিয়া, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১০, পৃ. ৪৩।
- ↑ আগা বুজুর্গ তেহরানী, আল-যারিয়াহ, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১৪, পৃ. ১০।
- ↑ আমীন, আইয়ানুশ শিয়া, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১০, পৃ. ৪৩।
- ↑ আমীন, আইয়ানুশ শিয়া, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১০, পৃ. ৪৩।
- ↑ সাদর, তাকমিলাতু আমালিল আমেল, ১৪২৯ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৪৭৪।
- ↑ আমীন, আইয়ানুশ শিয়া, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১০, পৃ. ১৫৪।
- ↑ সুলাইমানি বুরুজের্দী, “ফেহরেস্তি আয শাগরেদানে ছাহেবে উরওয়া”, পৃ. ২৪১।
- ↑ দ্র: সুলাইমানি বুরুজের্দী, “ফেহরেস্তি আয শাগরেদানে ছাহেবে উরওয়া”, পৃ. ২৪১।
- ↑ সুলাইমানি বুরুজের্দী, “ফেহরেস্তি আয শাগরেদানে ছাহেবে উরওয়া”, পৃ. ২৪৩-২৬৪।
- ↑ শুবেইরি যানজানি, জাররেই আয দারিয়া, ১৩৮৯ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ৩৮৭।
- ↑ আবুল হাসানি, ফারাতার আয রাভিশ “আযমুন ওয়া খাতা”, ১৩৮৯ ফার্সি সন, ৯৫-৯৬।
- ↑ আবুল হাসানি, ফারাতার আয রাভিশ “আযমুন ওয়া খাতা”, ১৩৮৯ ফার্সি সন, ১০২।
- ↑ দ্র: আল-উরওয়াতুল উসকা ফিমা তা’মু বিহিল বালওয়া (আল-মুহাশ্শা), ১৪২১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩-৪।
- ↑ আবুল হাসানি, ফারাতার আয রাভিশ “আযমুন ওয়া খাতা”, ১৩৮৯ ফার্সি সন, ১০৫।
- ↑ হাতেমী ওয়া বেহেশতী সেরেশত, “তাকাবুল ওয়া তাআমুল মোল্লা মুহাম্মাদ কাজিম খোরাসানী ওয়া সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজিম ইয়াজদী দার জারইয়ানে ইনকিলাবে মাশরুতে”, পৃ. ৭।
- ↑ হায়েরী, তাশাইয়্যু ওয়া মাশরুতিয়াত দার ইরান, ১৩৬৪ ফার্সি সন, পৃ. ১৩১।
- ↑ হায়েরী, তাশাইয়্যু ওয়া মাশরুতিয়াত দার ইরান, ১৩৬৪ ফার্সি সন, পৃ. ১৩১।
- ↑ হাতেমী ওয়া বেহেশতী সেরেশত, “তাকাবুল ওয়া তাআমুল মোল্লা মুহাম্মাদ কাজিম খোরাসানী ওয়া সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজিম ইয়াজদী দার জারইয়ানে ইনকিলাবে মাশরুতে”, পৃ. ১৫-১৬।
- ↑ আবুল হাসানি, ফারাতার আয রাভিশ “আযমুন ওয়া খাতা”, ১৩৮৯ ফার্সি সন, পৃ. ৬২৭।
- ↑ হাতেমী ওয়া বেহেশতী সেরেশত, “তাকাবুল ওয়া তাআমুল মোল্লা মুহাম্মাদ কাজিম খোরাসানী ওয়া সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজিম ইয়াজদী দার জারইয়ানে ইনকিলাবে মাশরুতে”, পৃ. ১৮।
- ↑ হায়েরী, তাশাইয়্যু ওয়া মাশরুতিয়াত দার ইরান, ১৩৬৪ ফার্সি সন, পৃ. ২০১।
- ↑ হাতেমী ওয়া বেহেশতী সেরেশত, “তাকাবুল ওয়া তাআমুল মোল্লা মুহাম্মাদ কাজিম খোরাসানী ওয়া সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজিম ইয়াজদী দার জারইয়ানে ইনকিলাবে মাশরুতে”, পৃ. ১৩।
- ↑ বাযরাফশান, সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজিম ইয়াজদী, ফাকীহ দুরান্দিশ, ১৩৮৬ ফার্সি সন, পৃ. ১৩০-১৩১।
- ↑ গারাভী, মাআ উলামায়িন নাজাফিল আশরাফ, ১৪২০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫২।
- ↑ শুবেইরি যানজানি, জাররেই আয দারিয়া, খণ্ড ২, পৃ. ৪৫৫।
- ↑ শুবেইরি যানজানি, জাররেই আয দারিয়া, ১৩৮৯ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ৩৮৫।
- ↑ https://hawzah.net/fa/Magazine/View/6435/7877/102248/
গ্রন্থপঞ্জি
- আগা বুজুর্গ তেহরানী, মুহাম্মাদ মুহসিন, আল-যারিয়াহ ইলা তাছানিফিশ শিয়া, বৈরুত, দারুল আদ্বওয়াহ, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৩ হি.।
- আগা বুজুর্গ তেহরানী, মুহাম্মাদ মুহসিন, তাবাকাতু আ’লামুশ শিয়া, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, ১৪৩০ হি./২০০৯ খ্রি.।
- আবুল হাসানি, আলী, ফারাতার আয রাভিশ “আযমুন ওয়া খাতা”; যামানে ওয়া করনামে আয়াতুল্লাহিল উযমা আগা সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজিম তাবাতাবায়ী ইয়াজদী, “সাহেবে উরওয়া”, তেহরান, মুআসসেসেয়ে মুতালেআতে তারিখে মাআছেরে ইরা, ১৩৮৯ ফার্সি সন।
- আমীন, সাইয়েদ মুহসিন, আইয়ানুশ শিয়া, বৈরুত, দারুত তাআরেফ লিল মাতবুআত, ১৪০৬ হি./১৯৮৬ খ্রি.।
- বাযারাফশান, মুর্তাযা, সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজিম ইয়াজদী ফাকীহ দুরান্দিশ, কোম, মারকাযে ইন্তেশারাতে দাফতারে তাবলীগাতে ইসলামী হাওযা ইলমিয়্যাহ কোম, প্রথম সংস্করণ, ১৩৭৬ ফার্সি সন।
- তাবরিযি খিয়াবানী, আলী, ওলামায়ে মাআসের, তেহরান, চাপে সাঙ্গি, ১৩৬৬ ফার্সি সন।
- হাতেমী, হুসাইন ওয়া হাসান বেহেশতি সেরেশত, و تعامل آخوند ملا محمد کاظم خراسانی و سید محمد کاظم یزدی در جریان انقلاب مشروطه, দার ফাসল নামেয়ে ইলমি পেঝুহেশিয়ে উলুমে ইনসানি দানেশগাহ আয যাহরা (সা.আ.), ১৩৮৭ ফার্সি সন, সংখ্যা ৭১।
- হায়েরী, আব্দুল হাদী, তাশাইয়্যু ওয়া মাশরুতিয়াত দার ইরান, তেহরান, আমীর কাবীর, ১৩৬৪ ফার্সি সন।
- হাবিব আবাদী, মুহাম্মাদ আলী, মাকারেমুল আসার, ইসফাহান, ১৩৫১ ফার্সি সন।
- সুলাইমানি বুরুজের্দী, মির্জা আলী, “ফেহরেস্তি আয শাগরেদানে ছাহেবে উরওয়া”, দার নাকদে কিতাবে ফিকহ ওয়া হুকুক, সংখ্যা ৯ ও ১০, ১৩৯৬ ফার্সি সনের বাহার ও তাবেস্তান।
- শুবেইরি যানজানি, সাইয়েদ মুসা, জাররেয়ী আয দারিয়া, কোম, মুআসসেসেয়ে কিতাব শেনাছি, ১৩৮৯ ফার্সি সন।
- শারাফুদ্দীন, আব্দুল্লাহ, মাআ মাওসুআতুন রিজাল আল-শিয়া, লন্ডন, আল-ইরশাদ, প্রথম সংস্করণ, ১৪১১ হি.।
- শারীফ রাযী, মুহাম্মাদ, গাঞ্জিদেয়ে দানেশমান্দান, কোম, ১৩৭০ ফার্সি সন।
- সাদর, হাসান, তাকমিলাতু আমালিল আমেল, বৈরুত, দারুল মুআরিখ আল-আরাবি, প্রথম সংস্করণ, ১৪২৯ হি.।
- গারভি, মুহাম্মাদ, মাআ ওলামাউল নাজাফ আল-আশরাফ, বৈরুত, দারুস সাকালাইন, প্রথম সংস্করণ, ১৪২০ হি.।
- মোদাররেস তাবরিযি, মুহাম্মাদ আলী, রেইহানাতুল আদাব, তেহরান, কিতাব ফুরুশিয়ে খাইয়াম, ১৩৬৯ ফার্সি সন।
- মুসাভি দরূদী, যাহরা সাদাত, “যেন্দেগীনামে মুখতাসার ওয়া সাল শুমারে ফাআলিয়্যাতহায়ে ইলমিয়ে আয়াতুল্লাহিল উযমা তাবাতাবায়ী ইয়াজদী, ছাহেবে উরওয়াতুল উসকা”, দার মাজাল্লেয়ে নাকদে কিতাবে ফিকহ ওয়া হুকুক, সংখ্যা ৯ ও ১০, ১৩৯৬ ফার্সি সনের বাহার ওয়া তাবেস্তান।
- ইয়াজদী, সাইয়েদ মুহাম্মাদ কাজিম, আল-উরওয়াতুল উসকা (মোহাশ্শা), কোম, জামেয়ে মুদাররেসীন হাওযা ইলমিয়া কোম, ইন্তেশারাতে ইসলামী, ১৪২১ হি.।