বিষয়বস্তুতে চলুন

গীবতের আয়াত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৭ নং লাইন: ১৭ নং লাইন:


==তাফসীর ভিত্তিক নোট==
==তাফসীর ভিত্তিক নোট==
[[ইবনে আব্বাস]] আয়াতটির [[তাফসীর|তাফসীরে]] বলেছেন, [[আল্লাহ রাব্বুল আলামীন]] যেভাবে [[মৃত|মৃতের]] গোশতকে [[হারাম]] করেছেন, [[গীবত|গীবতকেও]] হারাম হিসেবে গণ্য করেছেন।<ref>ইবনে আবি হাতেম, তাফসীরুল কুরআনিল আযীম, ১৪০৯ হি., খণ্ড ১০, পৃ. ৩৩০৬।</ref> উক্ত আয়াত অনুসারে, মৃতের গোশত খাওয়া যেমন মানুষের নিকট অপছন্দনীয়, তেমনি জীবিত ব্যক্তির গীবতের ক্ষেত্রেও ঘৃণা থাকা আবশ্যক।[] প্রথমটি মানব প্রকৃতির পরিপন্থী এবং দ্বিতীয়টি [[আকল]] তথা বুদ্ধিবৃত্তি ও শরীয়ত পরিপন্থী।[৭] [[আল্লামা তাবাতাবায়ী|আল্লামা তাবাতাবায়ী’র]] ভাষ্য মতে, «فَكَرِ‌هْتُمُوه»  
[[ইবনে আব্বাস]] আয়াতটির [[তাফসীর|তাফসীরে]] বলেছেন, [[আল্লাহ রাব্বুল আলামীন]] যেভাবে [[মৃত|মৃতের]] গোশতকে [[হারাম]] করেছেন, [[গীবত|গীবতকেও]] হারাম হিসেবে গণ্য করেছেন।<ref>ইবনে আবি হাতেম, তাফসীরুল কুরআনিল আযীম, ১৪০৯ হি., খণ্ড ১০, পৃ. ৩৩০৬।</ref> উক্ত আয়াত অনুসারে, মৃতের গোশত খাওয়া যেমন মানুষের নিকট অপছন্দনীয়, তেমনি জীবিত ব্যক্তির গীবতের ক্ষেত্রেও ঘৃণা থাকা আবশ্যক।<ref>তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ৯, পৃ. ২০৬; তাবরানি, আত-তাফসীরুল কাবির, ২০০৮ খ্রি., খণ্ড , পৃ. ৮৭; তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি., খণ্ড ১৮, পৃ. ৩২৩।</ref> প্রথমটি মানব প্রকৃতির পরিপন্থী এবং দ্বিতীয়টি [[আকল]] তথা বুদ্ধিবৃত্তি ও শরীয়ত পরিপন্থী।<ref>তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ৯, পৃ. ২০৬; তাবরানি, আত-তাফসীরুল কাবির, ২০০৮ খ্রি., খণ্ড ৬, পৃ. ৮৭।</ref> [[আল্লামা তাবাতাবায়ী|আল্লামা তাবাতাবায়ী’র]] ভাষ্য মতে, «فَكَرِ‌هْتُمُوه»  
ইঙ্গিত করে যে, মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়াকে ঘৃণা করা একটি সুনির্দিষ্ট ও প্রতিষ্ঠিত বিষয় এবং নিঃসন্দেহে কেউ এমন কাজ করে না। সুতরাং মু’মিন ভাইয়ের গীবত করাটাও ঘৃণার বিষয় হওয়া আবশ্যক; কেননা এটাও মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার ন্যায়।<ref>তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি., খণ্ড ১৮, পৃ. ৩২৪।</ref> [[ইমাম খোমেনী (রহ.)]] [[শারহে চেহেল হাদীস]] গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন: মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া হচ্ছে গীবতের বাতেনী (অভ্যন্তরীণ) রূপ এবং পরকালে গীবত এভাবেই প্রকাশিত হবে।[৯]
ইঙ্গিত করে যে, মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়াকে ঘৃণা করা একটি সুনির্দিষ্ট ও প্রতিষ্ঠিত বিষয় এবং নিঃসন্দেহে কেউ এমন কাজ করে না। সুতরাং মু’মিন ভাইয়ের গীবত করাটাও ঘৃণার বিষয় হওয়া আবশ্যক; কেননা এটাও মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার ন্যায়।<ref>তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি., খণ্ড ১৮, পৃ. ৩২৪।</ref> [[ইমাম খোমেনী (রহ.)]] [[শারহে চেহেল হাদীস]] গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন: মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া হচ্ছে গীবতের বাতেনী (অভ্যন্তরীণ) রূপ এবং পরকালে গীবত এভাবেই প্রকাশিত হবে।<ref>ইমাম খোমেনী, শারহে চেহেল হাদীস, ১৩৮০ ফার্সি সন, পৃ. ৩০৩।</ref>


মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সাথে গীবতের তুলনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, যেমনভাবে কেউ মৃতের গোশত খেলেও মৃত ব্যক্তি কোন কিছুই অনুভব করে না, গীবতের ক্ষেত্রেও যদি কারও  অনুপস্থিতিতে তার দোষ-ত্রুটি বলা হয়, তবে সেই ব্যক্তি (যার গীবত করা হয়) তা অনুভব করে না।[১০]
মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সাথে গীবতের তুলনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, যেমনভাবে কেউ মৃতের গোশত খেলেও মৃত ব্যক্তি কোন কিছুই অনুভব করে না, গীবতের ক্ষেত্রেও যদি কারও  অনুপস্থিতিতে তার দোষ-ত্রুটি বলা হয়, তবে সেই ব্যক্তি (যার গীবত করা হয়) তা অনুভব করে না।<ref>তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ৯, পৃ. ২০৬; তাবরানি, আত-তাফসীরুল কাবির, ২০০৮ খ্রি., খণ্ড ৬, পৃ. ৮৭।</ref>
[[আল্লামা তাবাতাবায়ী|আল্লামা তাবাতাবায়ীর]] দৃষ্টিতে, আয়াতে ভাইয়ের উল্লেখ এই দৃষ্টিকোন থেকে যে, পূর্বের দুই আয়াতে (সূরা হুজরাতের ১০ নং আয়াত), মু’মিনদেরকে পরস্পরের ভাই বলা হয়েছে। মৃতের ব্যাখ্যাও এই দৃষ্টিকোন থেকে যে গীবতের শিকার হওয়া ব্যক্তি জানে না যে তার অনুপস্থিতিতে গীবত করা হচ্ছে।<ref>তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি., খণ্ড ১৮, পৃ. ৩২৪।</ref>
[[আল্লামা তাবাতাবায়ী|আল্লামা তাবাতাবায়ীর]] দৃষ্টিতে, আয়াতে ভাইয়ের উল্লেখ এই দৃষ্টিকোন থেকে যে, পূর্বের দুই আয়াতে (সূরা হুজরাতের ১০ নং আয়াত), মু’মিনদেরকে পরস্পরের ভাই বলা হয়েছে। মৃতের ব্যাখ্যাও এই দৃষ্টিকোন থেকে যে গীবতের শিকার হওয়া ব্যক্তি জানে না যে তার অনুপস্থিতিতে গীবত করা হচ্ছে।<ref>তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি., খণ্ড ১৮, পৃ. ৩২৪।</ref>


confirmed, templateeditor
২,৩০০টি

সম্পাদনা