বিষয়বস্তুতে চলুন

গীবতের আয়াত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
১২ নং লাইন: ১২ নং লাইন:
==শানে নুযুল==
==শানে নুযুল==
গীবতের আয়াত সম্পর্কে, যা [[মদীনা|মদীনায়]] অবতীর্ণ হয়েছে,<ref>তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি., খণ্ড ১৮, পৃ. ৩০৫।</ref>দু’টো [[শানে নুযুল]] বর্ণিত হয়েছে:
গীবতের আয়াত সম্পর্কে, যা [[মদীনা|মদীনায়]] অবতীর্ণ হয়েছে,<ref>তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি., খণ্ড ১৮, পৃ. ৩০৫।</ref>দু’টো [[শানে নুযুল]] বর্ণিত হয়েছে:
*[[মাজমাউল বায়ান|মাজমাউল বায়ানে]] [[তাবারসি|তাবারসি’র]] (মৃত্যু: ৫৪৮ হি.) বক্তব্য অনুসারে, এই আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে রাসূল (স.)-এর দু’জন সাহাবী সম্পর্কে, যারা [[সালমান ফারসী|সালমান ফারসী’র]] গীবত করেছিলেন। ঐ দুই ব্যক্তি তাদের জন্য খাবার আনতে সালমানকে [[মহানবী (স.)]]-এর নিকট পাঠিয়েছিলেন। মহানবী (স.), সালমান ফারসীকে গুদাম রক্ষকের দায়িত্ব পালনকারী [[উসামা ইবনে যায়েদ]] এর নিকট প্রেরণ করেন। উসামা সালমানকে বলেন খাদ্য শেষ হয়ে গেছে। সালমান খালি হাতে ফিরে আসে। ঐ দুই ব্যক্তি, উসামাকে [[কৃপণ]] বলে আখ্যায়িত করে এবং সালমান সম্পর্কে বলে, যদি তাকে সামিহা কুয়াতেও (পানি ভর্তি একটি কুয়ার নাম) পাঠাই, তবে তা শুকিয়ে যাবে। অতঃপর তারা উসামার নিকট আসার জন্য এবং বিষয়টি সম্পর্কে অনুসন্ধান করার লক্ষ্যে নিজেরাই যাত্রা শুরু করে। মহানবী (স.) তাদেরকে বললেন: কি হয়েছে যে গোশতের প্রভাব তোমাদের মুখে দেখতে পাচ্ছি। তারা দু’জন বললেন: হে আল্লাহর রাসূল (স.) আমরা আজ গোশত খাই নি। মহানবী (স.) বললেন: তোমরা সালমান ও উসামা’র গোশত খাচ্ছ! তারপর গীবতের আয়াত অবতীর্ণ হয়।[৩]
*[[মাজমাউল বায়ান|মাজমাউল বায়ানে]] [[তাবারসি|তাবারসি’র]] (মৃত্যু: ৫৪৮ হি.) বক্তব্য অনুসারে, এই আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে রাসূল (স.)-এর দু’জন সাহাবী সম্পর্কে, যারা [[সালমান ফারসী|সালমান ফারসী’র]] গীবত করেছিলেন। ঐ দুই ব্যক্তি তাদের জন্য খাবার আনতে সালমানকে [[মহানবী (স.)]]-এর নিকট পাঠিয়েছিলেন। মহানবী (স.), সালমান ফারসীকে গুদাম রক্ষকের দায়িত্ব পালনকারী [[উসামা ইবনে যায়েদ]] এর নিকট প্রেরণ করেন। উসামা সালমানকে বলেন খাদ্য শেষ হয়ে গেছে। সালমান খালি হাতে ফিরে আসে। ঐ দুই ব্যক্তি, উসামাকে [[কৃপণ]] বলে আখ্যায়িত করে এবং সালমান সম্পর্কে বলে, যদি তাকে সামিহা কুয়াতেও (পানি ভর্তি একটি কুয়ার নাম) পাঠাই, তবে তা শুকিয়ে যাবে। অতঃপর তারা উসামার নিকট আসার জন্য এবং বিষয়টি সম্পর্কে অনুসন্ধান করার লক্ষ্যে নিজেরাই যাত্রা শুরু করে। মহানবী (স.) তাদেরকে বললেন: কি হয়েছে যে গোশতের প্রভাব তোমাদের মুখে দেখতে পাচ্ছি। তারা দু’জন বললেন: হে আল্লাহর রাসূল (স.) আমরা আজ গোশত খাই নি। মহানবী (স.) বললেন: তোমরা সালমান ও উসামা’র গোশত খাচ্ছ! তারপর গীবতের আয়াত অবতীর্ণ হয়।<ref>তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ৯, পৃ. ২০৩।</ref>


*বর্ণিত হয়েছে «وَلایَغْتَبْ بَعْضُکُمْ بَعْضاً» [[হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি|মহানবী’র (স.)]] একজন খেদমতকারীর সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়। সাহাবীরা যখন মহানবী (স.)-এর সাথে সাক্ষাতে আসতেন, তাদের নিকট খাবার চাইতো এবং অতঃপর তাদের সাক্ষাতের অন্তরায় হতো। এই জন্য তারা তাকে মৃদুভাষী কৃপণ বলেন এবং আয়াতটি ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়।[৪]
*বর্ণিত হয়েছে «وَلایَغْتَبْ بَعْضُکُمْ بَعْضاً» [[হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি|মহানবী’র (স.)]] একজন খেদমতকারীর সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়। সাহাবীরা যখন মহানবী (স.)-এর সাথে সাক্ষাতে আসতেন, তাদের নিকট খাবার চাইতো এবং অতঃপর তাদের সাক্ষাতের অন্তরায় হতো। এই জন্য তারা তাকে মৃদুভাষী কৃপণ বলেন এবং আয়াতটি ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়।<ref>ইবনে আবি হাতেম, তাফসীরুল কুরআনিল আযীম, ১৪০৯ হি., খণ্ড ১০, পৃ. ৩৩০৬।</ref>


==তাফসীর ভিত্তিক নোট==
==তাফসীর ভিত্তিক নোট==
confirmed, templateeditor
২,৩০০টি

সম্পাদনা