ঈদে গাদীর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
→ঈদে গাদীরের আমলসমূহ
W.Alhassan (আলোচনা | অবদান) |
W.Alhassan (আলোচনা | অবদান) |
||
২৭ নং লাইন: | ২৭ নং লাইন: | ||
==ঈদে গাদীরের আমলসমূহ== | ==ঈদে গাদীরের আমলসমূহ== | ||
*[[রোজা]] রাখা; আহলে সুন্নতের গ্রন্থে [[মহানবি (স.)]] হতে বর্ণিত রেওয়ায়েত অনুসারে, [[১৮ যিলহজ্ব]] তারিখে যে ব্যক্তি রোযা রাখবে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার জন্য ৬ মাসের রোযার [[সওয়াব]] লিপিবদ্ধ করবেন। | *[[রোজা]] রাখা; আহলে সুন্নতের গ্রন্থে [[মহানবি (স.)]] হতে বর্ণিত রেওয়ায়েত অনুসারে, [[১৮ যিলহজ্ব]] তারিখে যে ব্যক্তি রোযা রাখবে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার জন্য ৬ মাসের রোযার [[সওয়াব]] লিপিবদ্ধ করবেন।<ref>খতিব বাগদাদী, তারিখে বাগদাদ, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, খণ্ড ৮, পৃ. ২৮৪।</ref> | ||
*মু’মিনদের সাথে সাক্ষাতের সময় '''{{Arabic|اَلحمدُ لِلهِ الّذی جَعَلَنا مِنَ المُتَمَسّکینَ بِولایةِ اَمیرِالمؤمنینَ و الائمةِ علیهم السلام}}''' অর্থ আল্লাহর নিকট শুকরিয়া যে তিনি আমাদেরকে [[আমিরুল মু’মিনীন (উপাধি)|আমিরুল মু’মিনিন আলী (আ.)]] এবং [[শিয়া ইমামগণ|ইমামদের (আ.)]] বেলায়েত তথা অভিভাবকত্বকে আঁকড়ে ধরা ব্যক্তিদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন।” এই বাক্যটি বলা। | *মু’মিনদের সাথে সাক্ষাতের সময় '''{{Arabic|اَلحمدُ لِلهِ الّذی جَعَلَنا مِنَ المُتَمَسّکینَ بِولایةِ اَمیرِالمؤمنینَ و الائمةِ علیهم السلام}}''' অর্থ আল্লাহর নিকট শুকরিয়া যে তিনি আমাদেরকে [[আমিরুল মু’মিনীন (উপাধি)|আমিরুল মু’মিনিন আলী (আ.)]] এবং [[শিয়া ইমামগণ|ইমামদের (আ.)]] বেলায়েত তথা অভিভাবকত্বকে আঁকড়ে ধরা ব্যক্তিদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন।” এই বাক্যটি বলা।<ref>কুম্মি, মাফাতিহুল জিনান, যেইলে আ’মালে রুযে হিজদাহোম যিলহজ্ব।</ref> | ||
*[[ইমাম আলী (আ.)-এর মাযার]] [[যিয়ারত]] | *[[ইমাম আলী (আ.)-এর মাযার]] [[যিয়ারত]] | ||
*[[গোসল]] করা | *[[গোসল]] করা | ||
*[[যিয়ারতে আমিনুল্লাহ]] পাঠ করা | *[[যিয়ারতে আমিনুল্লাহ]] পাঠ করা | ||
*[[দোয়া-এ নুদবা]] পাঠ করা | *[[দোয়া-এ নুদবা]] পাঠ করা | ||
*[[যিয়ারতে গাদীরিয়া]] পাঠ করা। | *[[যিয়ারতে গাদীরিয়া]] পাঠ করা।<ref>শহীদ আউয়াল, আল-মাযার, ১৪১০ হি., পৃ. ৬৪।</ref> | ||
*ভাল পোষাক পরিধান করা | *ভাল পোষাক পরিধান করা | ||
*সুগন্ধি ব্যবহার করা | *সুগন্ধি ব্যবহার করা | ||
৪৭ নং লাইন: | ৪৭ নং লাইন: | ||
*মু’মিনদেরকে আপ্যায়ন করা | *মু’মিনদেরকে আপ্যায়ন করা | ||
*রোজাদার ব্যক্তিদেরকে [[ইফতার]] দেওয়া | *রোজাদার ব্যক্তিদেরকে [[ইফতার]] দেওয়া | ||
*ইদে গাদীরের নামায পড়া: [[ইমাম জাফার সাদিক আলাইহিস সালাম|ইমাম সাদিক (আ.)]] হতে বর্ণিত রেওয়ায়েত অনুসারে, দুই রাকাত বিশিষ্ট নামায রয়েছে যার প্রতি রাকাতে [[সূরা হামদ|সূরা হামদের]] পর ১০ বার [[সূরা ইখলাছ]], ১০ বার [[আয়াতুল কুরসি]] এবং ১০ বার [[সূরা ক্বদর]] পাঠ করতে হয়। এই নামাযের পুরস্কার ১০০ [[হজ্ব]], ১০০ [[উমরাহ]] এবং দুনিয়া ও আখেরাতের সকল হাজত পূরণের সমপরিমান মনে করা হয়েছে। | *ইদে গাদীরের নামায পড়া: [[ইমাম জাফার সাদিক আলাইহিস সালাম|ইমাম সাদিক (আ.)]] হতে বর্ণিত রেওয়ায়েত অনুসারে, দুই রাকাত বিশিষ্ট নামায রয়েছে যার প্রতি রাকাতে [[সূরা হামদ|সূরা হামদের]] পর ১০ বার [[সূরা ইখলাছ]], ১০ বার [[আয়াতুল কুরসি]] এবং ১০ বার [[সূরা ক্বদর]] পাঠ করতে হয়। এই নামাযের পুরস্কার ১০০ [[হজ্ব]], ১০০ [[উমরাহ]] এবং দুনিয়া ও আখেরাতের সকল হাজত পূরণের সমপরিমান মনে করা হয়েছে।<ref>তুসি, তাহযিবুল আহকাম, ১৩৬৫ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ১৪৬।</ref> যোহরের সময় এই নামায পড়তে হয়। [[জামাআতবদ্ধ|জামাআতবদ্ধভাবে]] এই নামায আদায় করা জায়েয কি জায়েয নয় সে ব্যাপারে ফিকাহবিদদের মধ্যে মতপার্থক্য বিদ্যমান।<ref>বাহরানি, আল-হাদায়েক্ব আল-নাযেরাহ, মুআসসাসাতুল নাশর আল-ইসলামি, খণ্ড ১১, পৃ. ৮৭।</ref> | ||
==প্রচলিত রীতি-নীতি== | ==প্রচলিত রীতি-নীতি== |