ঈদে গাদীর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
→গাদীর উৎসব
W.Alhassan (আলোচনা | অবদান) |
W.Alhassan (আলোচনা | অবদান) |
||
১৬ নং লাইন: | ১৬ নং লাইন: | ||
==গাদীর উৎসব== | ==গাদীর উৎসব== | ||
খাসায়েসুল আইম্মা গ্রন্থের উল্লেখানুসারে, হাস্সান ইবনে সাবেত, ঈদে গাদীরের দিন মহানবি (স.)-এর সামনে গাদীরে খুমে উপস্থিত মুসলমানদের মাঝে উচ্চস্বরে কবিতাসমূহ আবৃত্তি করেন।[১৪] | [[খাসায়েসুল আইম্মা]] গ্রন্থের উল্লেখানুসারে, [[হাস্সান ইবনে সাবেত]], ঈদে গাদীরের দিন [[মহানবি (স.)]]-এর সামনে গাদীরে খুমে উপস্থিত মুসলমানদের মাঝে উচ্চস্বরে কবিতাসমূহ আবৃত্তি করেন।[১৪] | ||
এছাড়াও মিসবাহুল | এছাড়াও [[মিসবাহুল মুতাহাজ্জেদ]] গ্রন্থে বর্ণিত রেওয়ায়েত অনুসারে, [[ইমাম রেযা (আ.)]] গাদীর দিবসটিকে মজলিসের মাধ্যমে উদযাপন করতেন।[১৫] হিজরি চতুর্থ শতাব্দীর বিশিষ্ট ঐতিহাসিক [[আলী ইবনে হুসাইন মাসউদি]] [[আত-তানবিহ]] ওয়াল আশরাখ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, [[ইমাম আলী (আ.)]]-এর সন্তানগণ এবং শিয়ারা এই দিবসটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেন।[১৬] হিজরি চতুর্থ শতকের মুহাদ্দিস [[কুলাইনি|কুলাইনিও]] রেওয়ায়েতে শিয়াদের আনন্দ উদযাপনের কথা উল্লেখ করেছেন।[১৭] , হিজরি অষ্টম শতকের সুন্নি ঐতিহাসিক ইবনে কাসিরের দেওয়া তথ্য মতে, শিয়া শাসকদের মধ্যে [[আলে বুইয়া]] সরকারও ঈদে গাদীরে ছুটি এবং সার্বজনীন উৎসব হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠান ও জনগণকে আনন্দ উদযাপন এবং শহর সাজানোর জন্য উৎসাহিত করতেন।[১৮] তারা এই উৎসবে তাঁবু স্থাপন করতেন, পতাকা উত্তোলন করতেবন, উট কুরবানি করতেন এবং রাতের বেলা আগুর জ্বালিয়ে আনন্দ উৎসব করতেন।[১৯] হিজরি পঞ্চম শতাব্দীর বিশিষ্ট ঐতিহাসিক গারদিযিও এই দিনটিকে ইসলামের অন্যতম মহিমান্বিত দিন এবং শিয়াদের অন্যতম বড় ঈদ হিসেবে গণ্য করেছেন।[২০] | ||
মিশরে ফাতেমীয় খলিফারা ঈদে গাদীরে আনন্দ উদযাপন করতেন।[২১] ইরানে সাফাভিদের আমলে ঈদে গাদীর ছিল সরকারীভাবে ঘোষিত ঈদের দিন।[২২] ইরানে, ঈদে গাদীরের দিন সরকারী ছুটি ছিল।[২৩] | [[মিশর|মিশরে]] [[ফাতেমীয়]] খলিফারা ঈদে গাদীরে আনন্দ উদযাপন করতেন।[২১] ইরানে সাফাভিদের আমলে ঈদে গাদীর ছিল সরকারীভাবে ঘোষিত ঈদের দিন।[২২] ইরানে, ঈদে গাদীরের দিন সরকারী ছুটি ছিল।[২৩] | ||
ঈদে গাদীরের দিন ইরানে সরকারী ছুটি, ২০২৪ সালের ২২ মে ইরাকের পার্লামেন্ট এই দিনটিকে সরকারী ছুটির দিন হিসেবে সম্মতি জানিয়েছে।[২৪] ইতিপূর্বে, ঈদে গাদীরের দিন শুধুমাত্র ইরাকের কয়েকটি শহর যেমন: কারবালা, নাজাফ এবং যিকারে ছুটি থাকতো।[২৫] | ঈদে গাদীরের দিন ইরানে সরকারী ছুটি, ২০২৪ সালের ২২ মে ইরাকের পার্লামেন্ট এই দিনটিকে সরকারী ছুটির দিন হিসেবে সম্মতি জানিয়েছে।[২৪] ইতিপূর্বে, ঈদে গাদীরের দিন শুধুমাত্র ইরাকের কয়েকটি শহর যেমন: [[কারবালা]], [[নাজাফ]] এবং যিকারে ছুটি থাকতো।[২৫] | ||
শিয়ারা ঈদে গাদীরের রাতকেও মহিমান্বিত হিসেবে গণ্য করেন এবং | শিয়ারা ঈদে গাদীরের রাতকেও মহিমান্বিত হিসেবে গণ্য করেন এবং রাত্রি জাগরণ করেন।[২৬] | ||
==ঈদে গাদীরের আমলসমূহ== | ==ঈদে গাদীরের আমলসমূহ== |