বিষয়বস্তুতে চলুন

সাকীফার ঘটনা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: হাতদ্বারা প্রত্যাবর্তন
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৯৪ নং লাইন: ৯৪ নং লাইন:
অপর কিছু সূত্র মারফত জানা যায়, সাকিফার ঘটনার পর আলী (আ.) রাতের আঁধারে নবিকন্যা [[হযরত ফাতেমা যাহরা (সা. আ.)|হজরত ফাতিমা যাহরাকে (সা. আ.)]] একটি সওয়ারিতে চড়িয়ে আনসারদের বাড়িতে বাড়িতে ও সভাস্থলে নিয়ে যেতেন এবং তাদের সহযোগিতা চাইতেন, এ সময় তারা উত্তরে বলত: হে নবিকন্যা! আমরা আবুবকরের নিকট বাইয়াত করেছি, যদি আলী এগিয়ে আসতেন তবে আমরা তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতাম না। আলী (আ.) উত্তরে বলতেন:  তবে কি আল্লাহর রাসূলের (স.) দাফনকার্য সম্পন্ন না করে খেলাফতের বিষয়ে বিবাদে লিপ্ত হতাম?<ref>ইবনে কুতাইবাহ, আল-ইমামাতু ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৯-৩০; ইবনে আবিল হাদীদ, শারহে নাহজুল বালাগাহ, মাক্তাবাতু আয়াতুল্লাহিল মারআশি, খণ্ড ৬, পৃ. ১৩।</ref>
অপর কিছু সূত্র মারফত জানা যায়, সাকিফার ঘটনার পর আলী (আ.) রাতের আঁধারে নবিকন্যা [[হযরত ফাতেমা যাহরা (সা. আ.)|হজরত ফাতিমা যাহরাকে (সা. আ.)]] একটি সওয়ারিতে চড়িয়ে আনসারদের বাড়িতে বাড়িতে ও সভাস্থলে নিয়ে যেতেন এবং তাদের সহযোগিতা চাইতেন, এ সময় তারা উত্তরে বলত: হে নবিকন্যা! আমরা আবুবকরের নিকট বাইয়াত করেছি, যদি আলী এগিয়ে আসতেন তবে আমরা তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতাম না। আলী (আ.) উত্তরে বলতেন:  তবে কি আল্লাহর রাসূলের (স.) দাফনকার্য সম্পন্ন না করে খেলাফতের বিষয়ে বিবাদে লিপ্ত হতাম?<ref>ইবনে কুতাইবাহ, আল-ইমামাতু ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৯-৩০; ইবনে আবিল হাদীদ, শারহে নাহজুল বালাগাহ, মাক্তাবাতু আয়াতুল্লাহিল মারআশি, খণ্ড ৬, পৃ. ১৩।</ref>


সাকীফার ঘটনায় ‘খেলাফত’ আলী বিন আবি তালিবের (আ.) হাতাছাড়া হয়ে যায়। অথচ মহানবির (স.) জীবনের শেষ দিনগুলিতে ‘খেলাফত’ যে, আলীর অধিকার বিষয়টি অনেকের নিকট স্বীকৃত ছিল এবং তা এক হাত থেকে অন্য হাতে হস্তান্তর হতে থাকে...।[৪৮]
সাকীফার ঘটনায় ‘খেলাফত’ আলী বিন আবি তালিবের (আ.) হাতাছাড়া হয়ে যায়। অথচ মহানবির (স.) জীবনের শেষ দিনগুলিতে ‘খেলাফত’ যে, আলীর অধিকার বিষয়টি অনেকের নিকট স্বীকৃত ছিল এবং তা এক হাত থেকে অন্য হাতে হস্তান্তর হতে থাকে...।<ref>যারিনকুব, বামদাদ ইসলাম, ১৩৬৯ ফার্সি সন, পৃ. ৭১।</ref>


== হযরত ফাতিমার প্রতিক্রিয়া ==
== হযরত ফাতিমার প্রতিক্রিয়া ==
[[হযরত ফাতিমা (সা. আ.)]] সাকীফার ঘটনায় গৃহীত সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে একে রাসূলের (সা.) আদেশ লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেন। তার বিরোধিতার কথা ঘোষণা তিনি ‘আলীর (আ.) নিকট হতে জোরপূর্বক বাইয়াত গ্রহণের চেষ্টা’ এবং ‘তাঁর গৃহ ঘেরাওয়ের সময়’ প্রকাশ করেছিলেন।<ref>ইবনে কুতাইবাহ, আল-ইমামাতু ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩০-৩১।</ref> এছাড়া, [[মসজিদে নববি|মসজিদে নববিতে]] প্রদত্ত ‘[[খোতবায়ে ফাদাকিয়া]]’ নামে বিখ্যাত খোতবাতেও তিনি এ বিষয়ে নিজের বিরোধিতা প্রকাশ করেছিলেন।[৫০]
[[হযরত ফাতিমা (সা. আ.)]] সাকীফার ঘটনায় গৃহীত সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে একে রাসূলের (সা.) আদেশ লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেন। তার বিরোধিতার কথা ঘোষণা তিনি ‘আলীর (আ.) নিকট হতে জোরপূর্বক বাইয়াত গ্রহণের চেষ্টা’ এবং ‘তাঁর গৃহ ঘেরাওয়ের সময়’ প্রকাশ করেছিলেন।<ref>ইবনে কুতাইবাহ, আল-ইমামাতু ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩০-৩১।</ref> এছাড়া, [[মসজিদে নববি|মসজিদে নববিতে]] প্রদত্ত ‘[[খোতবায়ে ফাদাকিয়া]]’ নামে বিখ্যাত খোতবাতেও তিনি এ বিষয়ে নিজের বিরোধিতা প্রকাশ করেছিলেন।<ref>তিজানী, মু’তামারুস সাকীফাহ, ১৪২৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৭৫।</ref>


বিভিন্ন সূত্রের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে, হযরত ফাতিমা যাহরা (সা. আ.) শয্যাশায়ী অবস্থায় জীবনের শেষ দিনগুলোতে তাকে দেখতে আসা আনসার ও মুহাজির নারীদের উদ্দেশে সাকিফার সিদ্ধান্তকে আল্লাহর রাসূলের (স.) নির্দেশ লঙ্ঘন আখ্যায়িত করে এর পরিণতিতে ইসলাম যে সকল ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে সে বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন।<ref>ইবনে আবিল হাদীদ, শারহে নাহজুল বালাগাহ, মাক্তাবাতু আয়াতুল্লাহিল মারআশি, খণ্ড ১৬, পৃ. ২৩৩-২৩৪; ইরবিলি, কাশফুল গুম্মাহ, ১৩৮১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৪৯২।</ref>
বিভিন্ন সূত্রের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে, হযরত ফাতিমা যাহরা (সা. আ.) শয্যাশায়ী অবস্থায় জীবনের শেষ দিনগুলোতে তাকে দেখতে আসা আনসার ও মুহাজির নারীদের উদ্দেশে সাকিফার সিদ্ধান্তকে আল্লাহর রাসূলের (স.) নির্দেশ লঙ্ঘন আখ্যায়িত করে এর পরিণতিতে ইসলাম যে সকল ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে সে বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন।<ref>ইবনে আবিল হাদীদ, শারহে নাহজুল বালাগাহ, মাক্তাবাতু আয়াতুল্লাহিল মারআশি, খণ্ড ১৬, পৃ. ২৩৩-২৩৪; ইরবিলি, কাশফুল গুম্মাহ, ১৩৮১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৪৯২।</ref>


== প্রাচ্যবিদদের দৃষ্টিতে সাকিফা ==
== প্রাচ্যবিদদের দৃষ্টিতে সাকিফা ==
'''Henry Lammens''' (১৮৬২-১৯৩৭): একজন বেলজিয়ান গবেষক ১৯১০ সালে তার ‘Triumvirate of Abu Bakr, 'Umar, and Abu 'Ubayda’ শীর্ষক প্রবন্ধে দাবি করেছেন যে, এই তিনজনের যৌথ লক্ষ্য অনুসরণ এবং পারস্পারিক ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা [[মহানবি (স.)|মহানবির (স.)]] জীবদ্দশা থেকেই শুরু হয়েছিল। আর এই ত্রিমুখী জোট আবুবকর ও ওমরের খেলাফত প্রতিষ্ঠার ক্ষমতা তাদের জন্য প্রস্তুত করেছিল। যদি আবু উবায়দা ওমরের যুগে মারা না যেতেন, তবে নিশ্চিতভাবে ওমর কর্তৃক নিযুক্ত পরবর্তী খলিফা ছিলেন তিনি। একটি দাবির ভিত্তিতে তার বিশ্বাস ছিল, আবুবকর ও ওমরের কন্যা [[আয়েশা]] ও [[হাফসা]] -যারা [[নবীর স্ত্রী]] ছিলেন- তাদের স্বামীর প্রতিটি গোপন চিন্তাভাবনা ও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তাদের পিতাদেরকে অবগত করতেন এবং তারা উভয়েই তাঁর (স.) উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছিল। আর এ পদ্ধতিতেই তারা ক্ষমতা লাভের চেষ্টা করেছিলেন।[৫২]
'''Henry Lammens''' (১৮৬২-১৯৩৭): একজন বেলজিয়ান গবেষক ১৯১০ সালে তার ‘Triumvirate of Abu Bakr, 'Umar, and Abu 'Ubayda’ শীর্ষক প্রবন্ধে দাবি করেছেন যে, এই তিনজনের যৌথ লক্ষ্য অনুসরণ এবং পারস্পারিক ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা [[মহানবি (স.)|মহানবির (স.)]] জীবদ্দশা থেকেই শুরু হয়েছিল। আর এই ত্রিমুখী জোট আবুবকর ও ওমরের খেলাফত প্রতিষ্ঠার ক্ষমতা তাদের জন্য প্রস্তুত করেছিল। যদি আবু উবায়দা ওমরের যুগে মারা না যেতেন, তবে নিশ্চিতভাবে ওমর কর্তৃক নিযুক্ত পরবর্তী খলিফা ছিলেন তিনি। একটি দাবির ভিত্তিতে তার বিশ্বাস ছিল, আবুবকর ও ওমরের কন্যা [[আয়েশা]] ও [[হাফসা]] -যারা [[নবীর স্ত্রী]] ছিলেন- তাদের স্বামীর প্রতিটি গোপন চিন্তাভাবনা ও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তাদের পিতাদেরকে অবগত করতেন এবং তারা উভয়েই তাঁর (স.) উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছিল। আর এ পদ্ধতিতেই তারা ক্ষমতা লাভের চেষ্টা করেছিলেন।<ref>ল্যামেন্স, মোসাল্লাস কুদরাত: আবুবকর, ওমর ওযা আবু উবায়দা, পৃ. ১২৬; বে-নাকল আয: মাদেলুঙ্গ, জা-নশীনী মুহাম্মাদ, ১৩৭৭ ফার্সি সন, পৃ. ১৭-১৮।</ref>


'''Leon Caetani:''' ইতালীয় প্রাচ্যবিদ লিওন কায়তানি তার ইসলামি ইতিহাস গ্রন্থের ভূমিকায় [[আবুবকর]] ও [[বনু হাশিম|বনু হাশিমের]] মধ্যকার গভীর বিরোধের কথা উল্লেখ করে আল্লাহর রাসূলের (স.) ইন্তিকালের কয়েক ঘন্টা পার না হতেই সাকীফায় আনসারদের সমাবেশে আবুবকরের খেলাফতের দাবি’র বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
'''Leon Caetani:''' ইতালীয় প্রাচ্যবিদ লিওন কায়তানি তার ইসলামি ইতিহাস গ্রন্থের ভূমিকায় [[আবুবকর]] ও [[বনু হাশিম|বনু হাশিমের]] মধ্যকার গভীর বিরোধের কথা উল্লেখ করে আল্লাহর রাসূলের (স.) ইন্তিকালের কয়েক ঘন্টা পার না হতেই সাকীফায় আনসারদের সমাবেশে আবুবকরের খেলাফতের দাবি’র বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
১২৪ নং লাইন: ১২৪ নং লাইন:
গবেষকগণ, আল্লাহর রাসূলের (স.) ইন্তিকালের পর সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনা সাকীফার ঘটনার ফল হিসেবে সংঘটিত হয়েছে বলে মনে করেন। ঐ ঘটনাগুলোর কয়েকটি নিম্নরূপ:
গবেষকগণ, আল্লাহর রাসূলের (স.) ইন্তিকালের পর সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনা সাকীফার ঘটনার ফল হিসেবে সংঘটিত হয়েছে বলে মনে করেন। ঐ ঘটনাগুলোর কয়েকটি নিম্নরূপ:


হযরত ফাতেমার (সা. আ.) বাড়িতে হামলা: আবুবকরের খেলাফতের সমর্থকদের থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, সাকীফার ঘটনা এবং ইমাম আলীসহ (আ.) বেশ কয়েকজন সাহাবা কর্তৃক আবুবকরের হাতে বাইয়াত করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর, খলিফার সমর্থকরা হযরত আলী (আ.) থেকে বাইয়াত গ্রহণের উদ্দেশ্যে হযরত ফাতেমার (সা. আ.) গৃহে হামলা চালায়।[৬৫] ঐ হামলায় হযরত ফাতেমা যাহরা (সা. আ.) যে আঘাত পেয়েছিলেন তাতেই তিনি শহীদ হন।<ref>তাবারী ইমামি, দালায়েলুল ইমামাহ, ১৪১৩ হি., পৃ. ১৩৪।</ref>
হযরত ফাতেমার (সা. আ.) বাড়িতে হামলা: আবুবকরের খেলাফতের সমর্থকদের থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, সাকীফার ঘটনা এবং ইমাম আলীসহ (আ.) বেশ কয়েকজন সাহাবা কর্তৃক আবুবকরের হাতে বাইয়াত করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর, খলিফার সমর্থকরা হযরত আলী (আ.) থেকে বাইয়াত গ্রহণের উদ্দেশ্যে হযরত ফাতেমার (সা. আ.) গৃহে হামলা চালায়।<ref>ইবনে আবদ রাব্বিহ, আল-ইকদুল ফারিদ, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, খণ্ড ৫, পৃ. ১৩।</ref> ঐ হামলায় হযরত ফাতেমা যাহরা (সা. আ.) যে আঘাত পেয়েছিলেন তাতেই তিনি শহীদ হন।<ref>তাবারী ইমামি, দালায়েলুল ইমামাহ, ১৪১৩ হি., পৃ. ১৩৪।</ref>


ফাদাক কেড়ে নেয়া: কিছু কিছু ইতিহাস বিশ্লেষক মনে করেন, সাকিফার ঘটনার পর ফাতিমা (সা. আ.) কাছ থেকে ফাদাক কেড়ে নেয়া ছিল মূলতঃ আহলে বাইতের (আ.) উপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির নিমিত্তে। এই পদক্ষেপ একদিকে যেমন আবুবকরের সরকারের ভিতকে মজবুত করত, অপরদিকে আল্লাহর রাসূলের (স.) আহলে বাইতের (আ.) পক্ষ থেকে বিরোধিতা ও সংগ্রামের পথকেও রুদ্ধ করে দিত।<ref>আসকারী, সাকীফা: বাররাসি নাহভে শেকলগিরি হুকুমাত পাস আয রেহলাত পায়াম্বার, ১৩৮৭ ফার্সি সন, পৃ. ১১৫।</ref>
ফাদাক কেড়ে নেয়া: কিছু কিছু ইতিহাস বিশ্লেষক মনে করেন, সাকিফার ঘটনার পর ফাতিমা (সা. আ.) কাছ থেকে ফাদাক কেড়ে নেয়া ছিল মূলতঃ আহলে বাইতের (আ.) উপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির নিমিত্তে। এই পদক্ষেপ একদিকে যেমন আবুবকরের সরকারের ভিতকে মজবুত করত, অপরদিকে আল্লাহর রাসূলের (স.) আহলে বাইতের (আ.) পক্ষ থেকে বিরোধিতা ও সংগ্রামের পথকেও রুদ্ধ করে দিত।<ref>আসকারী, সাকীফা: বাররাসি নাহভে শেকলগিরি হুকুমাত পাস আয রেহলাত পায়াম্বার, ১৩৮৭ ফার্সি সন, পৃ. ১১৫।</ref>


সাকীফার সিদ্ধান্তে মুনাফিকদের সমর্থন: আয়াতুল্লাহ জাওয়াদি আমুলি’র ভাষ্যানুযায়ী, আল্লাহর রাসূলের (স.) ওফাতের পর মদিনার মুনাফিকদের পক্ষ থেকে সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতারও সমাপ্তি ঘটে। বিষয়টির বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, একদিনেই তো মুনাফিকরা হারিয়ে যায় নি, আবার তারা তো সালমান ও আবুযারের মত মু’মিনও হয়ে যায় নি; বরং তারা আহলে সাকীফার সাথে সমঝোতা করে নেয়, আর এ কারণে সাকীফার শুরা অনুষ্ঠিত হওয়ার (ও সরকার গঠনের) পর মদিনায় আর কোন মুনাফিক ছিল না।[৬৮]
সাকীফার সিদ্ধান্তে মুনাফিকদের সমর্থন: আয়াতুল্লাহ জাওয়াদি আমুলি’র ভাষ্যানুযায়ী, আল্লাহর রাসূলের (স.) ওফাতের পর মদিনার মুনাফিকদের পক্ষ থেকে সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতারও সমাপ্তি ঘটে। বিষয়টির বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, একদিনেই তো মুনাফিকরা হারিয়ে যায় নি, আবার তারা তো সালমান ও আবুযারের মত মু’মিনও হয়ে যায় নি; বরং তারা আহলে সাকীফার সাথে সমঝোতা করে নেয়, আর এ কারণে সাকীফার শুরা অনুষ্ঠিত হওয়ার (ও সরকার গঠনের) পর মদিনায় আর কোন মুনাফিক ছিল না।<ref>https://javadi.esra.ir/fa/w/%D8%AA%D9%81%D8%B3%DB%8C%D8%B1-%D8%B3%D9%88%D8%B1%D9%87-%D9%85%D9%86%D8%A7%D9%81%D9%82%D9%88%D9%86-%D8%AC%D9%84%D8%B3%D9%87-1-1397/01/29, ইসরা ওয়েবসাইট।</ref>


কারবালা ট্রাজেডি: কারো কারো মতে, সাকিফায় মহানবির (স.) জা-নশীন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন হওয়ায় খলিফা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন বিশেষ নিয়ম ও মানদণ্ড আর অবশিষ্ট থাকে নি। এ কারণে মুসলমানদের খলিফা একদিন আনসার ও কয়েকজন কুরাইশের মধকার দ্বন্দ্বের মাধ্যমে, আরেকদিন প্রথম খলিফার ওসিয়তের মাধ্যমে, তৃতীয় দফায় ৬ জনের শুরা’র ভোটে, আরেক দফায় মুয়াবিয়া কর্তৃক তার পুত্রের জন্য বাইয়াত গ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচিত হলো। আর এই ইয়াযিদই কারবালা ট্রাজেডির মূল হোতা।[৬৯] বিশিষ্ট শিয়া আলেম সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন তেহরানি (মৃত্যু ১৪১৬ হি.), আলীর (আ.) সম্পর্কে কাযী আবি বাকর ইবনে আবি কারিয়াহ রচিত কবিতা উল্লেখ পূর্বক কবিতার  و اَریتکم ان الحسین اصیب فی یوم السقیفة -এ পংতির ব্যাখ্যায় লিখেছেন, যদি আলীর খেলাফতকে জবরদখল করা না হত, তাহলে হারমালাহ’র তীর আলী আসগারের গলায় বিঁধতো না’।[৭০] এছাড়া মুহাম্মাদ হুসাইন গারাভি ইসফাহানি (১২৯৬-১৩৬১ হি.) এক কবিতায় উল্লিখিত বিষয়টি উল্লেখ করেছেন:  
কারবালা ট্রাজেডি: কারো কারো মতে, সাকিফায় মহানবির (স.) জা-নশীন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন হওয়ায় খলিফা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন বিশেষ নিয়ম ও মানদণ্ড আর অবশিষ্ট থাকে নি। এ কারণে মুসলমানদের খলিফা একদিন আনসার ও কয়েকজন কুরাইশের মধকার দ্বন্দ্বের মাধ্যমে, আরেকদিন প্রথম খলিফার ওসিয়তের মাধ্যমে, তৃতীয় দফায় ৬ জনের শুরা’র ভোটে, আরেক দফায় মুয়াবিয়া কর্তৃক তার পুত্রের জন্য বাইয়াত গ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচিত হলো। আর এই ইয়াযিদই কারবালা ট্রাজেডির মূল হোতা।[৬৯] বিশিষ্ট শিয়া আলেম সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন তেহরানি (মৃত্যু ১৪১৬ হি.), আলীর (আ.) সম্পর্কে কাযী আবি বাকর ইবনে আবি কারিয়াহ রচিত কবিতা উল্লেখ পূর্বক কবিতার  و اَریتکم ان الحسین اصیب فی یوم السقیفة -এ পংতির ব্যাখ্যায় লিখেছেন, যদি আলীর খেলাফতকে জবরদখল করা না হত, তাহলে হারমালাহ’র তীর আলী আসগারের গলায় বিঁধতো না’।[৭০] এছাড়া মুহাম্মাদ হুসাইন গারাভি ইসফাহানি (১২৯৬-১৩৬১ হি.) এক কবিতায় উল্লিখিত বিষয়টি উল্লেখ করেছেন:  
confirmed, templateeditor
১,৯৬২টি

সম্পাদনা