বিষয়বস্তুতে চলুন

সাকীফার ঘটনা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত
৯০ নং লাইন: ৯০ নং লাইন:
কিছু সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে, আবুবকরের সাথে আলীর (আ.) মৃদু কিন্তু খোলামেলা বিতর্ক হয়েছিল; সে সময় তিনি সাকীফার ঘটনায় নবির (সা.) আহলে বাইতের অধিকার উপেক্ষা ও লঙ্ঘন করার জন্য আবুবকরের নিন্দা জানিয়েছিলেন। [[আমিরুল মু’মিনীন|আমীরুল মু’মিনীনের]] (আ.) যুক্তি মেনে নিয়ে আবুবকর প্রভাবিত হন, এমনকি মহানবির উত্তরসূরি হিসাবে আলীর (আ.) হাতে বাইয়াতও করতে চেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু পরিশেষে তিনি তাঁর সাথীদের কারো কারো পরামর্শে এ কাজ থেকে বিরত থাকেন।<ref>দ্র: তাবারসি, আল-ইহতিজাজ, নাশরুল মুর্তাযা, খণ্ড ১, পৃ. ১১৫-১৩০।</ref>
কিছু সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে, আবুবকরের সাথে আলীর (আ.) মৃদু কিন্তু খোলামেলা বিতর্ক হয়েছিল; সে সময় তিনি সাকীফার ঘটনায় নবির (সা.) আহলে বাইতের অধিকার উপেক্ষা ও লঙ্ঘন করার জন্য আবুবকরের নিন্দা জানিয়েছিলেন। [[আমিরুল মু’মিনীন|আমীরুল মু’মিনীনের]] (আ.) যুক্তি মেনে নিয়ে আবুবকর প্রভাবিত হন, এমনকি মহানবির উত্তরসূরি হিসাবে আলীর (আ.) হাতে বাইয়াতও করতে চেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু পরিশেষে তিনি তাঁর সাথীদের কারো কারো পরামর্শে এ কাজ থেকে বিরত থাকেন।<ref>দ্র: তাবারসি, আল-ইহতিজাজ, নাশরুল মুর্তাযা, খণ্ড ১, পৃ. ১১৫-১৩০।</ref>


আলী (আ.) বিভিন্ন সময়ে তার কথা ও ভাষ্যে সাকীফার ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন এবং আল্লাহর নবির (স.) উত্তরাধিকারী হওয়া প্রসঙ্গে তার অধিকারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। ‘[[শিকশিকিয়া]]’ নামক খুতবায় তিনি তিনি এই ঘটনা উল্লেখ করেছেন। খোতবার শুরুতে তিনি বলেন: আল্লাহর কসম! আবু কুহাফার পুত্র (আবুবকর) নিজে নিজেই তা (খেলাফতের রিদা) পরিধান করেছিল। নিশ্চিতভাবেই সে জানত যে, খেলাফতের বিষয়ে আমার অবস্থান যাতার কেন্দ্রিয় শলাকার ন্যায়। জ্ঞানের ধারা বানের পানির মত আমা হতে প্রবাহিত হয় এবং পাখি আমার স্থানের উচ্চতা পর্যন্ত উড়ে আসতে পারে না।...।’<ref>ইবনে আবিল হাদীদ, শারহে নাহজুল বালাগাহ, মাক্তাবাতু আয়াতুল্লাহিল মারআশি, খণ্ড ১, পৃ. ১৫১।</ref>[[আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী|আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর]] ভাষায়, সাকীফাসহ সমগ্র জীবনে হযরত আলীর (আ.) মানদণ্ড ছিল মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন; কেবল ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থসিদ্ধ বিষয়গুলোকেই তিনি প্রাধান্য দিতেন ও বেছে নিতেন।<ref>https://farsi.khamenei.ir/speech-content?id=2438/بیانات در خطبه‌های نمازجمعه, দাফতার-এ হেফয ওয়া নাশর হযরত আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী।</ref>
আলী (আ.) বিভিন্ন সময়ে তার কথা ও ভাষ্যে সাকীফার ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন এবং আল্লাহর নবির (স.) উত্তরাধিকারী হওয়া প্রসঙ্গে তার অধিকারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। ‘[[শিকশিকিয়া]]’ নামক খুতবায় তিনি তিনি এই ঘটনা উল্লেখ করেছেন। খোতবার শুরুতে তিনি বলেন: আল্লাহর কসম! আবু কুহাফার পুত্র (আবুবকর) নিজে নিজেই তা (খেলাফতের রিদা) পরিধান করেছিল। নিশ্চিতভাবেই সে জানত যে, খেলাফতের বিষয়ে আমার অবস্থান যাতার কেন্দ্রিয় শলাকার ন্যায়। জ্ঞানের ধারা বানের পানির মত আমা হতে প্রবাহিত হয় এবং পাখি আমার স্থানের উচ্চতা পর্যন্ত উড়ে আসতে পারে না।...।’<ref>ইবনে আবিল হাদীদ, শারহে নাহজুল বালাগাহ, মাক্তাবাতু আয়াতুল্লাহিল মারআশি, খণ্ড ১, পৃ. ১৫১।</ref>[[আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী|আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর]] ভাষায়, সাকীফাসহ সমগ্র জীবনে হযরত আলীর (আ.) মানদণ্ড ছিল মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন; কেবল ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থসিদ্ধ বিষয়গুলোকেই তিনি প্রাধান্য দিতেন ও বেছে নিতেন।<ref>بیانات در خطبه‌های نمازجمعه, দাফতার-এ হেফয ওয়া নাশর হযরত আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী।</ref>


অপর কিছু সূত্র মারফত জানা যায়, সাকিফার ঘটনার পর আলী (আ.) রাতের আঁধারে নবিকন্যা [[হযরত ফাতেমা যাহরা (সা. আ.)|হজরত ফাতিমা যাহরাকে (সা. আ.)]] একটি সওয়ারিতে চড়িয়ে আনসারদের বাড়িতে বাড়িতে ও সভাস্থলে নিয়ে যেতেন এবং তাদের সহযোগিতা চাইতেন, এ সময় তারা উত্তরে বলত: হে নবিকন্যা! আমরা আবুবকরের নিকট বাইয়াত করেছি, যদি আলী এগিয়ে আসতেন তবে আমরা তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতাম না। আলী (আ.) উত্তরে বলতেন:  তবে কি আল্লাহর রাসূলের (স.) দাফনকার্য সম্পন্ন না করে খেলাফতের বিষয়ে বিবাদে লিপ্ত হতাম?<ref>ইবনে কুতাইবাহ, আল-ইমামাতু ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৯-৩০; ইবনে আবিল হাদীদ, শারহে নাহজুল বালাগাহ, মাক্তাবাতু আয়াতুল্লাহিল মারআশি, খণ্ড ৬, পৃ. ১৩।</ref>
অপর কিছু সূত্র মারফত জানা যায়, সাকিফার ঘটনার পর আলী (আ.) রাতের আঁধারে নবিকন্যা [[হযরত ফাতেমা যাহরা (সা. আ.)|হজরত ফাতিমা যাহরাকে (সা. আ.)]] একটি সওয়ারিতে চড়িয়ে আনসারদের বাড়িতে বাড়িতে ও সভাস্থলে নিয়ে যেতেন এবং তাদের সহযোগিতা চাইতেন, এ সময় তারা উত্তরে বলত: হে নবিকন্যা! আমরা আবুবকরের নিকট বাইয়াত করেছি, যদি আলী এগিয়ে আসতেন তবে আমরা তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতাম না। আলী (আ.) উত্তরে বলতেন:  তবে কি আল্লাহর রাসূলের (স.) দাফনকার্য সম্পন্ন না করে খেলাফতের বিষয়ে বিবাদে লিপ্ত হতাম?<ref>ইবনে কুতাইবাহ, আল-ইমামাতু ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৯-৩০; ইবনে আবিল হাদীদ, শারহে নাহজুল বালাগাহ, মাক্তাবাতু আয়াতুল্লাহিল মারআশি, খণ্ড ৬, পৃ. ১৩।</ref>
confirmed, templateeditor
১,৯৬২টি

সম্পাদনা