বিষয়বস্তুতে চলুন

সাকীফার ঘটনা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
সাকীফার ঘটনা (আরবি: {{Arabic|واقعة سقيفة بني ساعدة}}) ; ১১ হিজরীতে মহানবির (স.) ইন্তিকাল ও কাফন-দাফনের সমসাময়িক ঘটনা; ঐ ঘটনায় আবুবকর ইবনে আবু কুহাফা মুসলমানদের খলিফা হিসেবে নির্বাচিত হন। হযরত মুহাম্মাদের (স.) ওফাতের পর হযরত আলী (আ.) এবং অপর কয়জন সাহাবা হযরতের (স.) গোসল, কাফন, জানাযা ও দাফনকার্যে ব্যস্ত ছিলেন; ঠিক সেই সময় খাযরাজ গোত্রপতি সা’দ বিন উবাদাহ’র নেতৃত্বে আনসারদের একটি দল মহানবির (স.) পরবর্তী মুসলমানদের নেতা নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্তে নিতে সাকীফা বনু সায়েদায় সমবেত হন।
'''সাকীফার ঘটনা''' (আরবি: {{Arabic|واقعة سقيفة بني ساعدة}}) ; ১১ হিজরীতে [[মহানবি (স.)|মহানবির (স.)]] ইন্তিকাল ও কাফন-দাফনের সমসাময়িক ঘটনা; ঐ ঘটনায় [[আবুবকর ইবনে আবু কুহাফা]] মুসলমানদের খলিফা হিসেবে নির্বাচিত হন। হযরত মুহাম্মাদের (স.) ওফাতের পর [[হযরত আলী (আ.)]] এবং অপর কয়জন [[সাহাবা]] হযরতের (স.) [[গোসল]], [[কাফন]], [[জানাযা]] [[দাফন|দাফনকার্যে]] ব্যস্ত ছিলেন; ঠিক সেই সময় [[খাযরাজ]] গোত্রপতি [[সা’দ বিন উবাদাহ|সা’দ বিন উবাদাহ’র]] নেতৃত্বে [[আনসার|আনসারদের]] একটি দল মহানবির (স.) পরবর্তী মুসলমানদের নেতা নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে [[সাকীফা বনু সায়েদা|সাকীফা বনু সায়েদায়]] সমবেত হন।


কিছু কিছু ঐতিহাসিকের মতে, আনসাররা শুরুতে শুধু মদিনার শাসক নির্বাচনের লক্ষ্যে বৈঠকে বসলেও মুহাজিরদের একটি দলের ঐ সমাবেশে প্রবেশের মধ্য দিয়ে বৈঠকের বিষয়বস্তু সমস্ত মুসলমানদের নেতৃত্বের লক্ষ্যে মহানবির (স.) স্থলাভিষিক্ত নির্বাচনের দিকে মোড় নেয় এবং পরিশেষে মুসলমানদের খলিফা হিসেবে আবুবকরের হাতে বাইয়াত করা হয়। মুহাজিরদের মুখপাত্র হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত হওয়া আবুবকর ছাড়াও ওমর ইবনে খাত্তাব ও আবু উবাইদাহ জাররাহও সেদিন সাকীফায় উপস্থিত ছিলেন।
কিছু কিছু ঐতিহাসিকের মতে, আনসাররা শুরুতে শুধু [[মদিনা|মদিনার]] শাসক নির্বাচনের লক্ষ্যে বৈঠকে বসলেও [[মুহাজির|মুহাজিরদের]] একটি দলের ঐ সমাবেশে প্রবেশের মধ্য দিয়ে বৈঠকের বিষয়বস্তু সমস্ত মুসলমানদের নেতৃত্বের লক্ষ্যে মহানবির (স.) স্থলাভিষিক্ত নির্বাচনের দিকে মোড় নেয় এবং পরিশেষে মুসলমানদের খলিফা হিসেবে আবুবকরের হাতে [[বাইয়াত]] করা হয়। মুহাজিরদের মুখপাত্র হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত হওয়া আবুবকর ছাড়াও [[ওমর ইবনে খাত্তাব]] [[আবু উবাইদাহ জাররাহ|আবু উবাইদাহ জাররাহও]] সেদিন সাকীফায় উপস্থিত ছিলেন।


আবুবকরের খেলাফত ও কর্তৃত্বের বৈধতা প্রদানের লক্ষ্যে আহলে সুন্নাত প্রমাণ হিসেবে ‘ইজমা’র বিষয়টিকে উত্থাপন করেছেন। অথচ ইতিহাসবিদদের মতে, আবুবকরের নির্বাচন সর্বসাধারণের পক্ষ থেকে গৃহীত হয়নি। এ ঘটনার পর হযরত আলী (আ.), ফাতিমা যাহরা (সা. আ.), মহানবির (স.) চাচা আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র ফজল ও আব্দুল্লাহসহ নবীর (স.) বেশ কয়েকজন বিখ্যাত সাহাবী যেমন: সালমান ফারসি, আবুযার গিফারী, মিকদাদ ইবনে আমর, জুবায়ের ইবনে আওয়াম ও হুযাইফা ইবনে ইয়ামান সাকিফায় অনুষ্ঠিত শুরা (পরামর্শসভা) এবং এর ফলাফলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। শিয়ারা সাকীফার ঘটনা এবং এর ফলাফলকে ইমাম আলীর (আ.) স্থলাভিষিক্ত হওয়া প্রসঙ্গে আল্লাহর রাসূলের (স.) বাণীর বিরোধী বলে জ্ঞান করেন, বিশেষ করে গাদিরে খুমে তাঁর ঘোষণার।
আবুবকরের খেলাফত ও কর্তৃত্বের বৈধতা প্রদানের লক্ষ্যে [[আহলে সুন্নাত]] প্রমাণ হিসেবে ‘[[ইজমা]]’র বিষয়টিকে উত্থাপন করেছেন। অথচ ইতিহাসবিদদের মতে, আবুবকরের নির্বাচন সর্বসাধারণের পক্ষ থেকে গৃহীত হয়নি। এ ঘটনার পর হযরত আলী (আ.), [[হযরত ফাতেমা যাহরা (সা. আ.)|ফাতিমা যাহরা (সা. আ.)]], মহানবির (স.) চাচা আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র [[ফজল]] [[আব্দুল্লাহ|আব্দুল্লাহসহ]] নবীর (স.) বেশ কয়েকজন বিখ্যাত সাহাবী যেমন: [[সালমান ফারসি]], [[আবুযার গিফারী]], [[মিকদাদ ইবনে আমর]], [[জুবায়ের ইবনে আওয়াম]] [[হুযাইফা ইবনে ইয়ামান]] সাকিফায় অনুষ্ঠিত শুরা (পরামর্শসভা) এবং এর ফলাফলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। [[শিয়া|শিয়ারা]] সাকীফার ঘটনা এবং এর ফলাফলকে ইমাম আলীর (আ.) স্থলাভিষিক্ত হওয়া প্রসঙ্গে আল্লাহর রাসূলের (স.) বাণীর বিরোধী বলে জ্ঞান করেন, বিশেষ করে [[গাদীরে খুম|গাদিরে খুমে]] তাঁর ঘোষণার।


বিভিন্ন ইতিহাস গ্রন্থে সাকিফার ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। এছাড়াও, ঘটনাটির পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণে রচিত হয়েছে বিভিন্ন গ্রন্থও। হেনরি ল্যামেন্স (Henry Lammens), লিওন কাইতানি (Leone Caetani), উইলফার্ড ফার্ডিনান্ড মাদেলুঙ্গের (Wilferd Ferdinand Madelung) মত প্রাচ্যবিদরাও ঘটনাটির বর্ণনা ও বিশ্লেষণে স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচনা করেছেন। মাদেলুঙ্গ রচিত The succession to Muhammad গ্রন্থটি এবং হেনরি ল্যামেন্স রচিত ‘ত্রিমুখী শক্তি তত্ত্ব’ গ্রন্থটি সবচেয়ে প্রসিদ্ধ।
বিভিন্ন ইতিহাস গ্রন্থে সাকিফার ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। এছাড়াও, ঘটনাটির পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণে রচিত হয়েছে বিভিন্ন গ্রন্থও। হেনরি ল্যামেন্স (Henry Lammens), লিওন কাইতানি (Leone Caetani), [[উইলফার্ড ফার্ডিনান্ড মাদেলুঙ্গ|উইলফার্ড ফার্ডিনান্ড মাদেলুঙ্গের]] (Wilferd Ferdinand Madelung) মত প্রাচ্যবিদরাও ঘটনাটির বর্ণনা ও বিশ্লেষণে স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচনা করেছেন। মাদেলুঙ্গ রচিত [[The succession to Muhammad]] গ্রন্থটি এবং হেনরি ল্যামেন্স রচিত ‘ত্রিমুখী শক্তি তত্ত্ব’ গ্রন্থটি সবচেয়ে প্রসিদ্ধ।


== ঘটনার স্থান ==
== ঘটনার স্থান ==
confirmed, templateeditor
১,৯৬২টি

সম্পাদনা