বিষয়বস্তুতে চলুন

সূরা নাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

 
৩০ নং লাইন: ৩০ নং লাইন:


== '''শানে নুযুল''' ==
== '''শানে নুযুল''' ==
সূরা নাসের [[শানে নুযুল]] সম্পর্কে [[সুন্নী]] মাযহাবে কিছু রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে; কিন্তু শিয়া মাযহাবের দৃষ্টিতে তা গৃহীত হয়নি।<ref>মুহাম্মাদ খামেগার, সুরেহায়ে কুরআন, পৃ. ৯২।</ref> যেমন: সুন্নী মাযহাবের শীর্ষ তাফসীর গ্রন্থ ‘দুররুল মানসুরে’ বর্ণিত হয়েছে- জনৈক [[ইহুদি]] রাসূলকে (সা.) জাদুমন্ত্র করে। ফলে সেই জাদুর কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অতঃপর জিবরাঈল (আ.) মাউজ্জাতাঈন সূরা তথা সূরা নাস ও সূরা ফালাক নিয়ে নাযিল হন এবং রাসূলকে বলেন যে, অমুক ইহুদি আপনাকে জাদু করেছে এবং তা অমুক কুয়াতে আবদ্ধ রেখেছে। [[হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি|রাসূল (সা.)]] আমিরুল মু’মিনিন আলীকে (আ.) কে কুয়ার নিকট প্রেরণ করেন এবং সে জাদুমন্ত্র আনতে বলেন। উক্ত জাদুমন্ত্র রাসূলের (সা.) নিকট আনার পর তিনি সেটির প্রতিটি গিট উম্মুক্ত করেন এবং এ সময় সূরা নাস ও সূরা ফালাকের আয়াতসমূহ পাঠ করেন। ফলে সে জাদুমন্ত্রের কার্যকারিতা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় এবং তিনি সুস্থতা লাভ করেন। <ref>সিয়ুতি, তাফসীরে দুররুল মানসুর, খণ্ড ৬, পৃ. ৪১৭।</ref>
সূরা নাসের [[শানে নুযুল]] সম্পর্কে [[সুন্নী]] মাযহাবে কিছু রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে; কিন্তু শিয়া মাযহাবের দৃষ্টিতে তা গৃহীত হয়নি।<ref>মুহাম্মাদ খামেগার, সুরেহায়ে কুরআন, পৃ. ৯২।</ref> যেমন: সুন্নী মাযহাবের শীর্ষ তাফসীর গ্রন্থ ‘দুররুল মানসুরে’ বর্ণিত হয়েছে- জনৈক [[ইহুদি]] রাসূলকে (সা.) জাদুমন্ত্র করে। ফলে সেই জাদুর কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অতঃপর জিবরাঈল (আ.) মাউজ্জাতাঈন সূরা তথা সূরা নাস ও সূরা ফালাক নিয়ে নাযিল হন এবং রাসূলকে বলেন যে, অমুক ইহুদি আপনাকে জাদু করেছে এবং তা অমুক কুয়াতে আবদ্ধ রেখেছে। [[হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি|রাসূল (সা.)]] আমিরুল মু’মিনিন আলীকে (আ.) কে কুয়ার নিকট প্রেরণ করেন এবং সে জাদুমন্ত্র আনতে বলেন। উক্ত জাদুমন্ত্র রাসূলের (সা.) নিকট আনার পর তিনি সেটির প্রতিটি গিট উম্মুক্ত করেন এবং এ সময় সূরা নাস ও সূরা ফালাকের আয়াতসমূহ পাঠ করেন। ফলে সে জাদুমন্ত্রের কার্যকারিতা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় এবং তিনি সুস্থতা লাভ করেন। <ref>সুয়ুতি, তাফসীরে দুররুল মানসুর, খণ্ড ৬, পৃ. ৪১৭।</ref>


কিন্তু [[শিয়া মাযহাব|শিয়া মাযহাবের]] শীর্ষ মুফাসসির আল্লামা তাবাতাবায়ী এমন সম্ভাবণাকে প্রত্যাখ্যান করে উল্লেখ করেছেন: রাসূলের (সা.) উপর কোন জাদুমন্ত্র প্রভাব বিস্তারে অক্ষম এবং তিনি এর নেতিবাচক প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। কোন জাদুমন্ত্র তাঁকে অসুস্থ করতে পারবে না। বরং আল কুরআনের ভাষ্যমতে রাসূলুল্লাহর (সা.) শরীর, মন ও অন্তর সব ধরনের জাদুমন্ত্র ও শয়তানি প্ররোচনার উর্দ্ধে এবং এগুলো তাঁকে আদৌ স্পর্শ করতে সক্ষম নয়।<ref>আল্লামা তাবাতাবায়ী, তাফসীরে আল-মিযান, খণ্ড ২০, পৃ. ৩৯৪।</ref>
কিন্তু [[শিয়া মাযহাব|শিয়া মাযহাবের]] শীর্ষ মুফাসসির আল্লামা তাবাতাবায়ী এমন সম্ভাবণাকে প্রত্যাখ্যান করে উল্লেখ করেছেন: রাসূলের (সা.) উপর কোন জাদুমন্ত্র প্রভাব বিস্তারে অক্ষম এবং তিনি এর নেতিবাচক প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। কোন জাদুমন্ত্র তাঁকে অসুস্থ করতে পারবে না। বরং আল কুরআনের ভাষ্যমতে রাসূলুল্লাহর (সা.) শরীর, মন ও অন্তর সব ধরনের জাদুমন্ত্র ও শয়তানি প্ররোচনার উর্দ্ধে এবং এগুলো তাঁকে আদৌ স্পর্শ করতে সক্ষম নয়।<ref>আল্লামা তাবাতাবায়ী, তাফসীরে আল-মিযান, খণ্ড ২০, পৃ. ৩৯৪।</ref>
confirmed, templateeditor
২,২৭৬টি

সম্পাদনা