confirmed, ইন্টারফেস প্রশাসক, movedable, protected, প্রশাসক, templateeditor
৯২টি
সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
|||
১৯ নং লাইন: | ১৯ নং লাইন: | ||
শিয়া উলামাদের প্রসিদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গী হল তাঁর জন্ম তারিখ ১৭ রবিউল আওয়াল। পক্ষান্তরে সুন্নি আলেমদের মাঝে প্রসিদ্ধ হল তিনি [[১২ রবিউল আওয়াল]] জন্ম গ্রহণ করেছেন।<ref>সুবহানী, ফুরুগে আবাদিয়্যাত, ১৩৮০ সৌরবর্ষ, খণ্ড ১, পৃ. ১৫১।</ref> মুসলিম উম্মাহ’র মধ্যকার ঐক্যকে অটুট রাখতে এ দুই তারিখের মাঝের দিনগুলোকে ‘[[ইসলামি ঐক্য সপ্তাহ]]’ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে।<ref>ইমাম খোমেনি, সাহিফায়ে ইমাম, খণ্ড ১৫, পৃ. ৪৪০ ও ৪৫৫।</ref> | শিয়া উলামাদের প্রসিদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গী হল তাঁর জন্ম তারিখ ১৭ রবিউল আওয়াল। পক্ষান্তরে সুন্নি আলেমদের মাঝে প্রসিদ্ধ হল তিনি [[১২ রবিউল আওয়াল]] জন্ম গ্রহণ করেছেন।<ref>সুবহানী, ফুরুগে আবাদিয়্যাত, ১৩৮০ সৌরবর্ষ, খণ্ড ১, পৃ. ১৫১।</ref> মুসলিম উম্মাহ’র মধ্যকার ঐক্যকে অটুট রাখতে এ দুই তারিখের মাঝের দিনগুলোকে ‘[[ইসলামি ঐক্য সপ্তাহ]]’ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে।<ref>ইমাম খোমেনি, সাহিফায়ে ইমাম, খণ্ড ১৫, পৃ. ৪৪০ ও ৪৫৫।</ref> | ||
আল্লামা মাজলিসী বলেছেন, বেশীরভাগ শিয়া আলেমের মতে মহানবির (সা.) জন্ম তারিখ হল [[১৭ রবিউল আওয়াল]]।<ref>মাজলিসী, মিরআতুল উকুল, ১৪০৪ সৌরবর্ষ, খণ্ড ৫, পৃ. ১৭০।</ref> অবশ্য কিছু কিছু শিয়া আলেম তাঁর জন্ম তারিখ ১২ রবিউল আওয়াল বলেও উল্লেখ করেছেন। তবে ১২ রবিউল আওয়াল তারিখ প্রসঙ্গে আল্লামা মাজলিসী’র বিশ্লেষণ হল: ১২ রবিউল আওয়াল হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর জন্ম বলে যে মত রয়েছে তা মূলতঃ তাকিয়্যাহগত কারণে।<ref>মাজলিসী, মিরআতুল উকুল, ১৪০৪ সৌরবর্ষ, খণ্ড ৫, পৃ. ১৭০</ref> আবার এ সম্ভাবনাও রয়েছে যে, | আল্লামা মাজলিসী বলেছেন, বেশীরভাগ শিয়া আলেমের মতে মহানবির (সা.) জন্ম তারিখ হল [[১৭ রবিউল আওয়াল]]।<ref>মাজলিসী, মিরআতুল উকুল, ১৪০৪ সৌরবর্ষ, খণ্ড ৫, পৃ. ১৭০।</ref> অবশ্য কিছু কিছু শিয়া আলেম তাঁর জন্ম তারিখ ১২ রবিউল আওয়াল বলেও উল্লেখ করেছেন। তবে ১২ রবিউল আওয়াল তারিখ প্রসঙ্গে আল্লামা মাজলিসী’র বিশ্লেষণ হল: ১২ রবিউল আওয়াল হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর জন্ম বলে যে মত রয়েছে তা মূলতঃ তাকিয়্যাহগত কারণে।<ref>মাজলিসী, মিরআতুল উকুল, ১৪০৪ সৌরবর্ষ, খণ্ড ৫, পৃ. ১৭০</ref> আবার এ সম্ভাবনাও রয়েছে যে, (لإثنتی عشر لیلة بقیت من شهر ربیع الاول) বাক্যটিতে (بقیت) (অবশিষ্ট) শব্দটির স্থলে ভুলক্রমে (مَضَت) (অতিক্রান্ত) শব্দটি উল্লেখিত হয়েছে।[সূত্র] যেভাবে খতিব কাস্তালানী’র বর্ণনায় (بقیت) শব্দটি এসেছে।<ref>আল-মাওয়াহেবুদ দ্বীনিয়্যাহ, খণ্ড ১, পৃ. ২৫।</ref> | ||
মহানবির (সা.) জন্ম তারিখ নিয়ে সুন্নি আলেমগণের মাঝে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ তাঁর জন্ম আমুল ফীলে (হস্তিবর্ষে)<ref>বায়হাকি, দালায়েলুন নুবুওয়্যাহ, ১৪০৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৭৫।</ref> বলে উল্লেখ করেছেন। আবার কারো কারো মতে আমুল ফীলের ১০ বছর পর।[<ref>বায়হাকি, দালায়েলুন নুবুওয়্যাহ, ১৪০৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৭৯।</ref>] আর যেহেতু মহানবি (সা.) ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে ৬৩ বছর বয়সে ওফাত লাভ করেছেন বলে উল্লেখ রয়েছে তাই আমুল ফীল ৫৬৯-৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের মাঝে হতে পারে বলে ধারণা করা হয়।<ref>শাহিদী, তারিখে তাহলিলীয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৩৭।</ref> | মহানবির (সা.) জন্ম তারিখ নিয়ে সুন্নি আলেমগণের মাঝে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ তাঁর জন্ম আমুল ফীলে (হস্তিবর্ষে)<ref>বায়হাকি, দালায়েলুন নুবুওয়্যাহ, ১৪০৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৭৫।</ref> বলে উল্লেখ করেছেন। আবার কারো কারো মতে আমুল ফীলের ১০ বছর পর।[<ref>বায়হাকি, দালায়েলুন নুবুওয়্যাহ, ১৪০৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৭৯।</ref>] আর যেহেতু মহানবি (সা.) ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে ৬৩ বছর বয়সে ওফাত লাভ করেছেন বলে উল্লেখ রয়েছে তাই আমুল ফীল ৫৬৯-৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের মাঝে হতে পারে বলে ধারণা করা হয়।<ref>শাহিদী, তারিখে তাহলিলীয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৩৭।</ref> | ||
মহানবির (সা.) জন্মের দিনের বিষয়ে আহলে সুন্নাতের মাঝে ব্যাপক মতভেদ পরিলক্ষিত; যেগুলোর মধ্যে ১২ রবিউল আওয়াল,<ref>সীরাতুন নাভাভিয়্যাহ, খণ্ড ১, পৃ. ১৫৮; বায়হাকি, দালায়েলুন নুবুওয়্যাহ, ১৪০৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৭৪।</ref> ২ রবিউল আওয়াল,<ref>ইবনে হাবিব, আল-মুহাব্বার, বৈরুত, পৃ, ৮-৯।</ref> ৮ রবিউল আওয়াল,<ref>মুকাদ্দেসী, আল-বাদভ’ ওয়াত তারিখ, বুর সাঈদ, খণ্ড ৪, পৃ. ১৩২।</ref> ১০ রবিউল আওয়াল ও [<ref>ইবনুল ওয়ারদি, তারিখে ইবনুল ওয়ারদি, ১৯৯৬ হি., খণ্ড ১, পৃ ৯৩।</ref> রমজান মাসে<ref>মাকরিযি, ইমতাউল আসমা, ১৪২০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৬।</ref> ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। | মহানবির (সা.) জন্মের দিনের বিষয়ে আহলে সুন্নাতের মাঝে ব্যাপক মতভেদ পরিলক্ষিত; যেগুলোর মধ্যে ১২ রবিউল আওয়াল,<ref>সীরাতুন নাভাভিয়্যাহ, খণ্ড ১, পৃ. ১৫৮; বায়হাকি, দালায়েলুন নুবুওয়্যাহ, ১৪০৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৭৪।</ref> ২ রবিউল আওয়াল,<ref>ইবনে হাবিব, আল-মুহাব্বার, বৈরুত, পৃ, ৮-৯।</ref> ৮ রবিউল আওয়াল,<ref>মুকাদ্দেসী, আল-বাদভ’ ওয়াত তারিখ, বুর সাঈদ, খণ্ড ৪, পৃ. ১৩২।</ref> ১০ রবিউল আওয়াল ও [<ref>ইবনুল ওয়ারদি, তারিখে ইবনুল ওয়ারদি, ১৯৯৬ হি., খণ্ড ১, পৃ ৯৩।</ref> রমজান মাসে<ref>মাকরিযি, ইমতাউল আসমা, ১৪২০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৬।</ref> ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। | ||
৮৩ নং লাইন: | ৮৩ নং লাইন: | ||
: ''মূল নিবন্ধ: [[বে’সাত বা নবুয়তের ঘোষণা]]'' | : ''মূল নিবন্ধ: [[বে’সাত বা নবুয়তের ঘোষণা]]'' | ||
ইমামিয়াগণের মাঝে প্রসিদ্ধ হল মহানবির (সা.) নবুয়্যত ঘোষণার দিনটি ছিল [[২৭শে রজব]]।<ref>আয়াতি, তারিখে পায়াম্বারে ইসলাম, ১৩৭৮ সৌরবর্ষ, পৃ. ৬৭।</ref> [[হেরা গুহা]]’তে তিনি (সা.) ইবাদতরত অবস্থায় থাকাকালে [[হযরত জীবরাইল]] আগমন করেন এবং তাঁর নবুয়্যতের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার কথা জানান। বে’সাতের (নবুয়্যত ঘোষণা) কাছাকাছির বছরগুলোতে প্রতিবছর তিনি লোকালয় থেকে দূরে এক মাসের জন্য হেরা গুহাতে মহান আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন হতেন।<ref>শাহিদী, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৪১।</ref> এ সম্পর্কে তিনি বলেন: জীবরাইল আমার কাছে এসে বলল: পড়! আমি বললাম: আমি পড়তে পারি না। তিনি আবার বললেন: পড়! আমি বললাম: কি পড়ব? তিনি বললেন: | ইমামিয়াগণের মাঝে প্রসিদ্ধ হল মহানবির (সা.) নবুয়্যত ঘোষণার দিনটি ছিল [[২৭শে রজব]]।<ref>আয়াতি, তারিখে পায়াম্বারে ইসলাম, ১৩৭৮ সৌরবর্ষ, পৃ. ৬৭।</ref> [[হেরা গুহা]]’তে তিনি (সা.) ইবাদতরত অবস্থায় থাকাকালে [[হযরত জীবরাইল]] আগমন করেন এবং তাঁর নবুয়্যতের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার কথা জানান। বে’সাতের (নবুয়্যত ঘোষণা) কাছাকাছির বছরগুলোতে প্রতিবছর তিনি লোকালয় থেকে দূরে এক মাসের জন্য হেরা গুহাতে মহান আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন হতেন।<ref>শাহিদী, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৪১।</ref> এ সম্পর্কে তিনি বলেন: জীবরাইল আমার কাছে এসে বলল: পড়! আমি বললাম: আমি পড়তে পারি না। তিনি আবার বললেন: পড়! আমি বললাম: কি পড়ব? তিনি বললেন: (اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّک الَّذِی خَلَقَ) (পড়! তোমার প্রতিপালকের নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন’।<ref>আলাক্ব : ০১</ref> প্রসিদ্ধ হল ৪০ বছর বয়সে তাঁর নবুয়্যতের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা প্রদান করা হয়।<ref>শাহিদী, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৪১।</ref> | ||
[[তাওহিদ|তাওহিদের]] প্রতি আমন্ত্রণকে মহানবি (সা.) সর্বপ্রথম নিজের পরিবার থেকেই শুরু করেন। নারীদের মধ্যে তাঁর প্রতি সর্বপ্রথম ঈমান এনেছিলেন হযরত খাদিজা (সা. আ.) এবং পুরুষদের মধ্যে [[হযরত আলীর (আ.) ফজিলত|হযরত আলী ইবনে আবি তালিব (আ.)]]।<ref>ইবনে ইসহাক, সিরাতু ইবনে ইসহাক, ১৩৯৮ হি., পৃ, ১৩২, ১৩৮ ও ১৩৯; ইবনে হিশাম, সিরাতুন নাবাভিয়্যাহ, দারু ইহইয়াইত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ১, পৃ. ২৬২</ref> অবশ্য কিছু কিছু সূত্রে, প্রথম ঈমান আনয়নকারী হিসেবে [[আবু বকর বিন আবু কুহাফা]] ও [[যাইদ বিন হারেসা]]’র নাম উল্লিখিত হয়েছে।<ref>ইবনে হিশাম, সিরাতুন নাবাভিয়্যাহ, দারু ইহইয়াইত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ১, পৃ. ২৬৪ ও ২৬৬।</ref> | [[তাওহিদ|তাওহিদের]] প্রতি আমন্ত্রণকে মহানবি (সা.) সর্বপ্রথম নিজের পরিবার থেকেই শুরু করেন। নারীদের মধ্যে তাঁর প্রতি সর্বপ্রথম ঈমান এনেছিলেন হযরত খাদিজা (সা. আ.) এবং পুরুষদের মধ্যে [[হযরত আলীর (আ.) ফজিলত|হযরত আলী ইবনে আবি তালিব (আ.)]]।<ref>ইবনে ইসহাক, সিরাতু ইবনে ইসহাক, ১৩৯৮ হি., পৃ, ১৩২, ১৩৮ ও ১৩৯; ইবনে হিশাম, সিরাতুন নাবাভিয়্যাহ, দারু ইহইয়াইত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ১, পৃ. ২৬২</ref> অবশ্য কিছু কিছু সূত্রে, প্রথম ঈমান আনয়নকারী হিসেবে [[আবু বকর বিন আবু কুহাফা]] ও [[যাইদ বিন হারেসা]]’র নাম উল্লিখিত হয়েছে।<ref>ইবনে হিশাম, সিরাতুন নাবাভিয়্যাহ, দারু ইহইয়াইত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ১, পৃ. ২৬৪ ও ২৬৬।</ref> | ||
৮৯ নং লাইন: | ৮৯ নং লাইন: | ||
==প্রকাশ্যে দাওয়াত== | ==প্রকাশ্যে দাওয়াত== | ||
নবুয়্যতের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর তিনি ৩ বছর যাবত গোপনে মানুষকে দাওয়াত দিতে থাকেন। শুরুর দিনগুলোতে তিনি (সা.) জনগণকে মূর্তিপূজা ত্যাগ করে আল্লাহর উপাসনার প্রতি আহবান জানাতেন। মুসলমানরা নামাজ ও ইবাদতের সময় জনসাধারণের দৃষ্টির আড়ালে লোকালয় থেকে দূরের কোন স্থানে সমবেত হয়ে নামাজ আদায় করতেন।<ref>শাহিদী, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৪১-৪৪।</ref> প্রসিদ্ধি রয়েছে যে, বে’সাতের (আনুষ্ঠানিক নবুয়্যত ঘোষণা) ৩ বছর পর তিনি (সা.) প্রকাশ্যে দাওয়াতের জন্য নির্দেশিত হন। ইবনে ইসহাক লিখেছেন ‘ইনযারের আয়াত’ - | নবুয়্যতের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর তিনি ৩ বছর যাবত গোপনে মানুষকে দাওয়াত দিতে থাকেন। শুরুর দিনগুলোতে তিনি (সা.) জনগণকে মূর্তিপূজা ত্যাগ করে আল্লাহর উপাসনার প্রতি আহবান জানাতেন। মুসলমানরা নামাজ ও ইবাদতের সময় জনসাধারণের দৃষ্টির আড়ালে লোকালয় থেকে দূরের কোন স্থানে সমবেত হয়ে নামাজ আদায় করতেন।<ref>শাহিদী, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৪১-৪৪।</ref> প্রসিদ্ধি রয়েছে যে, বে’সাতের (আনুষ্ঠানিক নবুয়্যত ঘোষণা) ৩ বছর পর তিনি (সা.) প্রকাশ্যে দাওয়াতের জন্য নির্দেশিত হন। ইবনে ইসহাক লিখেছেন ‘ইনযারের আয়াত’ -(وَأَنذِرْ عَشِیرَتَک الْأَقْرَبِینَ ..) ‘তোমার নিকটত্মীয়দেরকে সতর্ক কর’<ref>আশ-শোআরা : ২১৪-২১৬।</ref>- অবতীর্ণ হলে মহানবি (সা.) একটি ভোজের আয়োজন করলেন এবং ঐ ভোজে [[আব্দুল মুত্তালিব|আব্দুল মুত্তালিবের]] সন্তানদের ৪০ জনকে আমন্ত্রণ জানালেন। আপ্যায়নের পর্ব শেষে মহানবি (সা.) কিছু বলতে চাইলেন; কিন্তু [[আবু লাহাব]] তাঁকে (সা.) জাদুকর আখ্যায়িত করল এবং হট্টগোল করে সভা ভেঙ্গে দিল। মহানবি (সা.) আবারও তাদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করলেন এবং তাদের নিকট ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিলেন।<ref>ইবনে ইসহাক, সিরাতু ইবনে ইসহাক, ১৩৯৮ হি., পৃ. ১৪৫ ও ১৪৬।</ref> | ||
তাবারীর বর্ণনার ভিত্তিতে, আল্লাহর রাসূল (সা.) আত্মীয়দের কাছে দাওয়াত পৌঁছে দেবার পর বললেন: তোমাদের মধ্য থেকে কে আমাকে এ কাজে সাহায্য করবে যাতে তোমাদের মাঝে সে আমার ভাই, [[ওয়াছি]] (নির্বাহী), [[খলিফা]] ও স্থলাভিষিক্ত হতে পারে? সকলেই চুপ করে রইল, কিন্তু আলী (আ.) বললেন: হে আল্লাহর রাসূল! আমি (আপনাকে সহযোগিতা করব)। মহানবি (সা.) বললেন: এ হল তোমাদের মাঝে আমার ওয়াছি ও খলিফা। তাঁর কথা শোন এবং তাঁর আনুগত্য কর।<ref>তাবারি, তারিখুত তাবারি, খণ্ড ৩, পৃ. ১১৭২।</ref> | তাবারীর বর্ণনার ভিত্তিতে, আল্লাহর রাসূল (সা.) আত্মীয়দের কাছে দাওয়াত পৌঁছে দেবার পর বললেন: তোমাদের মধ্য থেকে কে আমাকে এ কাজে সাহায্য করবে যাতে তোমাদের মাঝে সে আমার ভাই, [[ওয়াছি]] (নির্বাহী), [[খলিফা]] ও স্থলাভিষিক্ত হতে পারে? সকলেই চুপ করে রইল, কিন্তু আলী (আ.) বললেন: হে আল্লাহর রাসূল! আমি (আপনাকে সহযোগিতা করব)। মহানবি (সা.) বললেন: এ হল তোমাদের মাঝে আমার ওয়াছি ও খলিফা। তাঁর কথা শোন এবং তাঁর আনুগত্য কর।<ref>তাবারি, তারিখুত তাবারি, খণ্ড ৩, পৃ. ১১৭২।</ref> | ||
১০৭ নং লাইন: | ১০৭ নং লাইন: | ||
মক্কায় ইসলামের প্রসার এবং নব দীক্ষিত মুসলিমদেরকে ফেরত পাঠাতে নাজ্জাশী অস্বীকৃতি জানানোর পর কুরাইশরা মুহাম্মাদ (সা.) ও বনি হাশিমের উপর সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবরোধ চাপিয়ে দিল। তারা একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর পূর্বক এ মর্মে অঙ্গীকারাবদ্ধ হল যে, মক্কার কোন ব্যক্তি বনি হাশেম ও বনি মুত্তালিব গোত্রের সাথে আত্মীয়তা করবে না। তাঁদের কাছে কিছু বিক্রি করবে না এবং তাঁদের থেকে কিছু ক্রয়ও করবে না। তারা এই চুক্তিনামা কা’বার দরজায় টাঙিয়ে দিল। | মক্কায় ইসলামের প্রসার এবং নব দীক্ষিত মুসলিমদেরকে ফেরত পাঠাতে নাজ্জাশী অস্বীকৃতি জানানোর পর কুরাইশরা মুহাম্মাদ (সা.) ও বনি হাশিমের উপর সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবরোধ চাপিয়ে দিল। তারা একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর পূর্বক এ মর্মে অঙ্গীকারাবদ্ধ হল যে, মক্কার কোন ব্যক্তি বনি হাশেম ও বনি মুত্তালিব গোত্রের সাথে আত্মীয়তা করবে না। তাঁদের কাছে কিছু বিক্রি করবে না এবং তাঁদের থেকে কিছু ক্রয়ও করবে না। তারা এই চুক্তিনামা কা’বার দরজায় টাঙিয়ে দিল। | ||
ফলে হযরত আবু তালিব বাধ্য হয়ে বাড়ি ঘর ছেড়ে মহানবিসহ (সা.) বনি হাশিম ও বনি মুত্তালিব গোত্রের নারী, পুরুষ ও শিশু সবাইকে সঙ্গে নিয়ে শি’বে আবি ইউসুফ উপত্যকায় পরবর্তীতে যা [[শিবে আবু তালিব]] নাম ধারণ করে আত্মনির্বাসিত হলেন।<ref>শাহিদী, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৫৩</ref> | ফলে হযরত আবু তালিব বাধ্য হয়ে বাড়ি ঘর ছেড়ে মহানবিসহ (সা.) বনি হাশিম ও বনি মুত্তালিব গোত্রের নারী, পুরুষ ও শিশু সবাইকে সঙ্গে নিয়ে শি’বে আবি ইউসুফ উপত্যকায় পরবর্তীতে যা [[শিবে আবু তালিব]] নাম ধারণ করে আত্মনির্বাসিত হলেন।<ref>শাহিদী, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৫৩</ref> | ||
বনি [[হাশিম]] ৩ বছরের জন্য অবরুদ্ধ এবং সমাজ থেকে বিচ্ছিন্নতা হল। চরম খাদ্য সংকটের মাঝে তাদের জীবন কাটছিল। এ সময় তাঁদের কয়েকজন আত্মীয় মাঝে মাঝে তাঁদের কাছে গম পৌঁছে দিত। একরাতে মহানবি (সা.) ও বনি হাশিমের ঘোরশত্রু [[আবু জাহল]] বিষয়টি সম্পর্কে জেনে যায় এবং হযরত খাদিজার নিকট গম পৌঁছে দিতে [[হাকিম বিন হিযাম]]কে বাধা দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি দল অনুতপ্ত ও বনি হাশিমের সমর্থনে আওয়াজ তোলে। তারা বলল: কেন [[বনি মাখযুম]] আরাম-আয়েশের মধ্যে দিনাতিপাত করবে এবং বনি হাশিম ও বনি আব্দুল মুত্তালিব এত কষ্ট করবে! অবশেষে তারা ঐ চুক্তিপত্র বাতিলের দাবী তুলল। ঐ চুক্তিতে সাক্ষরকারীদের একটি দল সেটি ছিঁড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল। মহানবির (সা.) জীবনীর প্রথম লেখক ইবনে ইসহাকের (৮০-১৫১ হি.) বর্ণনার ভিত্তিতে, তারা সেই চুক্তিপত্র বের করে দেখল তা উঁইপোকায় খেয়ে ফেলেছে এবং শুধুমাত্র | বনি [[হাশিম]] ৩ বছরের জন্য অবরুদ্ধ এবং সমাজ থেকে বিচ্ছিন্নতা হল। চরম খাদ্য সংকটের মাঝে তাদের জীবন কাটছিল। এ সময় তাঁদের কয়েকজন আত্মীয় মাঝে মাঝে তাঁদের কাছে গম পৌঁছে দিত। একরাতে মহানবি (সা.) ও বনি হাশিমের ঘোরশত্রু [[আবু জাহল]] বিষয়টি সম্পর্কে জেনে যায় এবং হযরত খাদিজার নিকট গম পৌঁছে দিতে [[হাকিম বিন হিযাম]]কে বাধা দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি দল অনুতপ্ত ও বনি হাশিমের সমর্থনে আওয়াজ তোলে। তারা বলল: কেন [[বনি মাখযুম]] আরাম-আয়েশের মধ্যে দিনাতিপাত করবে এবং বনি হাশিম ও বনি আব্দুল মুত্তালিব এত কষ্ট করবে! অবশেষে তারা ঐ চুক্তিপত্র বাতিলের দাবী তুলল। ঐ চুক্তিতে সাক্ষরকারীদের একটি দল সেটি ছিঁড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল। মহানবির (সা.) জীবনীর প্রথম লেখক ইবনে ইসহাকের (৮০-১৫১ হি.) বর্ণনার ভিত্তিতে, তারা সেই চুক্তিপত্র বের করে দেখল তা উঁইপোকায় খেয়ে ফেলেছে এবং শুধুমাত্র (باسمک اللهم) বাক্যটি অক্ষত রয়েছে।<ref>ইবনে ইসহাক, সিরাতু ইবনে ইসহাক, ১৩৯৮ হি., পৃ. ১৬৬ ও ১৬৭; শাহিদী, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৫৩।</ref> | ||
হিজরী ২য় শতাব্দির বিশিষ্ট মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিক [[ইবনে হিশাম]] (মৃত্যুকাল ২১২ বা ২১৮ হি.) লিখেছেন, আবু তালিব কুরাইশের সভায় উপস্থিত হয়ে বললেন: আমার ভ্রাতুষ্পুত্র বলছে, তোমরা যে চুক্তিপত্রতে স্বাক্ষর করেছিলে তা উঁইপোকা খেয়ে ফেলেছে এবং শুধু আল্লাহর নাম অক্ষত রয়েছে। তোমরা চুক্তিপত্রের কাছে গিয়েে এর সত্যতা যাচাই কর, যদি তাঁর কথা সত্য হয় তবে তোমরা অবরোধ তুলে নেবে, আর যদি সে মিথ্যা বলে থাকে তাহলে আমি তাঁকে তোমাদের নিকট সোপর্দ করব। তারা দ্রুত ঐ চুক্তিপত্র যাচাই করল এবং দেখল যে আল্লাহর নাম ব্যতীত সবকিছুই উঁইপোকা খেয়ে ফেলেছে। আর এভাবেই বনি হাশিম বিরোধী অবরোধ ভেঙ্গে গেল।[৫২] | হিজরী ২য় শতাব্দির বিশিষ্ট মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিক [[ইবনে হিশাম]] (মৃত্যুকাল ২১২ বা ২১৮ হি.) লিখেছেন, আবু তালিব কুরাইশের সভায় উপস্থিত হয়ে বললেন: আমার ভ্রাতুষ্পুত্র বলছে, তোমরা যে চুক্তিপত্রতে স্বাক্ষর করেছিলে তা উঁইপোকা খেয়ে ফেলেছে এবং শুধু আল্লাহর নাম অক্ষত রয়েছে। তোমরা চুক্তিপত্রের কাছে গিয়েে এর সত্যতা যাচাই কর, যদি তাঁর কথা সত্য হয় তবে তোমরা অবরোধ তুলে নেবে, আর যদি সে মিথ্যা বলে থাকে তাহলে আমি তাঁকে তোমাদের নিকট সোপর্দ করব। তারা দ্রুত ঐ চুক্তিপত্র যাচাই করল এবং দেখল যে আল্লাহর নাম ব্যতীত সবকিছুই উঁইপোকা খেয়ে ফেলেছে। আর এভাবেই বনি হাশিম বিরোধী অবরোধ ভেঙ্গে গেল।[৫২] | ||
৩৩৭ নং লাইন: | ৩৩৭ নং লাইন: | ||
==অমীয়বাণী== | ==অমীয়বাণী== | ||
*প্রতিবেশীকে ক্ষুধার্ত রেখে পেট ভর্তি করে মু’মিন খায় না।<ref> | *প্রতিবেশীকে ক্ষুধার্ত রেখে পেট ভর্তি করে মু’মিন খায় না।<ref>(لایشبع المؤمن دون جاره) পায়ান্দেহ, নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ৬৮৩, হা. নং ২৫৪৫।</ref> | ||
*মু’মিন ওঁৎপেতে থেকে কারও রক্ত ঝরায় না।<ref> | *মু’মিন ওঁৎপেতে থেকে কারও রক্ত ঝরায় না।<ref>(لایفتک مؤمن) নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ৬৮৩, হা. নং ২৫৫০।</ref> | ||
*ঈমানহীন আমল এবং আমল হীন ঈমান গ্রহণযোগ্য নয়।<ref>নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ৬৮৪, হা. নং ২৫৫৩।</ref> | *ঈমানহীন আমল এবং আমল হীন ঈমান গ্রহণযোগ্য নয়।<ref>নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ৬৮৪, হা. নং ২৫৫৩।</ref> | ||
*৩টি জিনিস যদি কারো মাঝে না থাকে তাহলে তার কাজ সমাধা হবে না; এমন তাক্বওয়া যা তাকে পাপ থেকে বিরত রাখে, এমন আখলাক যা তাকে জনগণের সাথে সহনশীল হতে শেখায়, এমন সহিষ্ণুতা যার মাধ্যমে সে তুচ্ছতাচ্ছিল্যকারীদের তুচ্ছতাচ্ছিল্যকে প্রতিহত করতে পারে।<ref>নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ৪২৪, হা. নং ১২৮৮।</ref> | *৩টি জিনিস যদি কারো মাঝে না থাকে তাহলে তার কাজ সমাধা হবে না; এমন তাক্বওয়া যা তাকে পাপ থেকে বিরত রাখে, এমন আখলাক যা তাকে জনগণের সাথে সহনশীল হতে শেখায়, এমন সহিষ্ণুতা যার মাধ্যমে সে তুচ্ছতাচ্ছিল্যকারীদের তুচ্ছতাচ্ছিল্যকে প্রতিহত করতে পারে।<ref>নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ৪২৪, হা. নং ১২৮৮।</ref> | ||
অসহায়ের উপকার সাধন ও আত্মীয়তার বন্ধন জোড়া লাগানোর প্রতিদান অন্য সৎকাজ অপেক্ষা দ্রুত পৌঁছায় এবং জুলুম ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার শাস্তি অন্যান্য মন্দ কর্ম অপেক্ষা দ্রুত পৌঁছায়।<ref>নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ২১১, হা. নং ২৯৩।</ref> | অসহায়ের উপকার সাধন ও আত্মীয়তার বন্ধন জোড়া লাগানোর প্রতিদান অন্য সৎকাজ অপেক্ষা দ্রুত পৌঁছায় এবং জুলুম ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার শাস্তি অন্যান্য মন্দ কর্ম অপেক্ষা দ্রুত পৌঁছায়।<ref>নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ২১১, হা. নং ২৯৩।</ref> | ||
*৩টি জিনিস ধর্মের জন্য ক্ষতিকর; অসৎকর্মশীল জ্ঞানী ব্যক্তি, অত্যাচারী শাসক এবং মূর্খ পরিশ্রমী ও চেষ্টাকারী।<ref> | *৩টি জিনিস ধর্মের জন্য ক্ষতিকর; অসৎকর্মশীল জ্ঞানী ব্যক্তি, অত্যাচারী শাসক এবং মূর্খ পরিশ্রমী ও চেষ্টাকারী।<ref>(آفة الدین ثلاثة: فقیه فاجر و امام جائر و مجتهد جاهل) নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ২১১, হা. নং ২৯১।</ref> | ||
*মহান আল্লাহর নিকট সর্বনিকৃষ্ট হালাল হচ্ছে ‘তালাক’।<ref> | *মহান আল্লাহর নিকট সর্বনিকৃষ্ট হালাল হচ্ছে ‘তালাক’।<ref>(ابغض الحلال الی الله الطلاق) পায়ান্দেহ, নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ১৫৭, হা. নং ১৬।</ref> | ||
*দুস্থ ও অভাবীদের সাথে বন্ধুত্ব করো, কারণ কিয়ামতের দিন তারা বড় সম্পদের অধিকারী হবে।<ref>পায়ান্দেহ, নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ১৬০, হা. নং ২৯।</ref> | *দুস্থ ও অভাবীদের সাথে বন্ধুত্ব করো, কারণ কিয়ামতের দিন তারা বড় সম্পদের অধিকারী হবে।<ref>পায়ান্দেহ, নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ১৬০, হা. নং ২৯।</ref> | ||
মহান আল্লার নিকট তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে সবচেয়ে প্রিয় বান্দা হল সে যে আল্লাহর বান্দাদের জন্য অধিক উপকারী ও কাজের সাব্যস্ত হয়।<ref>পায়ান্দেহ, নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ১৬৩, হা. নং ৮৬।</ref> | মহান আল্লার নিকট তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে সবচেয়ে প্রিয় বান্দা হল সে যে আল্লাহর বান্দাদের জন্য অধিক উপকারী ও কাজের সাব্যস্ত হয়।<ref>পায়ান্দেহ, নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ১৬৩, হা. নং ৮৬।</ref> |