বিষয়বস্তুতে চলুন

হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

২৬ নং লাইন: ২৬ নং লাইন:
মহানবি (সা.) [[শি’বে আবি তালিবে]]<ref>মাকরিযি, ইমতাউল আসমা, ১৪২০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৬; ফাইয কাশানি, আল-ওয়াফি, ১৪০৬ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৭২২।</ref> অবস্থিত একটি গৃহে জন্ম গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে যা [[আকীল ইবনে আবি তালিব|আকীল ইবনে আবি তালিবের]] তত্ত্বাবধানে ছিল। আকীলের সন্তানরা ঐ ঘরটিকে [[হাজ্জাজ বিন ইউসুফ|হাজ্জাজ বিন ইউসুফের]] ভাই মুহাম্মাদ বিন ইউসুফের কাছে বিক্রি করে দেয়।<ref>সাবকি, আদ্ দ্বীনুল খালিছ আও ইরশাদুল খালক্ব, ১৯৭৭ খ্রি., খণ্ড ৫, পৃ. ৬৪।</ref> সে ঐ স্থানে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করে। বনি আব্বাসের শাসনামলে [[আব্বাসীয় খলিফা]] [[হারুনুর রাশিদের]] মা আল-খাইযুরান ঐ ঘরটি ক্রয় করে তা মসজিদে রূপান্তরিত করেন।<ref>আমেলি, আস্ সাহিহ মিন সিরাতিন নাবি (সা.), ১৩৮৫ সৌরবর্ষ, খণ্ড ২, পৃ. ১৪৬-১৪৭।</ref> ১১ শতাব্দির বিশিষ্ট মুহাদ্দিস [[আল্লামা মাজলিসী]] বলেছেন: তার সময় এ নামে [[মক্কায়|মক্কা]] একটি স্থান ছিল এবং মানুষ ঐ স্থানটির [[যেয়ারত|যেয়ারতে]] যেত।<ref>মাজলিসী, মিরআতুল উকুল, ১৪০৪ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ১৭৪।</ref> আলে সউদের শাসনামল পর্যন্ত ঐ স্থাপনা অবশিষ্ট ছিল কিন্তু [[ওয়াহাবি আকিদা]] অনুযায়ী নবিগণের (আ.) সাথে সংশ্লিষ্ট স্থান থেকে বরকত নেয়া নিষিদ্ধ হওয়ায় তারা ঐ স্থানটি ধ্বংস ভেঙ্গে ফেলে।<ref>আমেলি, আস্ সাহিহ মিন সিরাতিন নাবি (সা.), ১৩৮৫ সৌরবর্ষ, খণ্ড ২, পৃ. ১৪৬-১৪৭।</ref>[নোট ১]
মহানবি (সা.) [[শি’বে আবি তালিবে]]<ref>মাকরিযি, ইমতাউল আসমা, ১৪২০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৬; ফাইয কাশানি, আল-ওয়াফি, ১৪০৬ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৭২২।</ref> অবস্থিত একটি গৃহে জন্ম গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে যা [[আকীল ইবনে আবি তালিব|আকীল ইবনে আবি তালিবের]] তত্ত্বাবধানে ছিল। আকীলের সন্তানরা ঐ ঘরটিকে [[হাজ্জাজ বিন ইউসুফ|হাজ্জাজ বিন ইউসুফের]] ভাই মুহাম্মাদ বিন ইউসুফের কাছে বিক্রি করে দেয়।<ref>সাবকি, আদ্ দ্বীনুল খালিছ আও ইরশাদুল খালক্ব, ১৯৭৭ খ্রি., খণ্ড ৫, পৃ. ৬৪।</ref> সে ঐ স্থানে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করে। বনি আব্বাসের শাসনামলে [[আব্বাসীয় খলিফা]] [[হারুনুর রাশিদের]] মা আল-খাইযুরান ঐ ঘরটি ক্রয় করে তা মসজিদে রূপান্তরিত করেন।<ref>আমেলি, আস্ সাহিহ মিন সিরাতিন নাবি (সা.), ১৩৮৫ সৌরবর্ষ, খণ্ড ২, পৃ. ১৪৬-১৪৭।</ref> ১১ শতাব্দির বিশিষ্ট মুহাদ্দিস [[আল্লামা মাজলিসী]] বলেছেন: তার সময় এ নামে [[মক্কায়|মক্কা]] একটি স্থান ছিল এবং মানুষ ঐ স্থানটির [[যেয়ারত|যেয়ারতে]] যেত।<ref>মাজলিসী, মিরআতুল উকুল, ১৪০৪ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ১৭৪।</ref> আলে সউদের শাসনামল পর্যন্ত ঐ স্থাপনা অবশিষ্ট ছিল কিন্তু [[ওয়াহাবি আকিদা]] অনুযায়ী নবিগণের (আ.) সাথে সংশ্লিষ্ট স্থান থেকে বরকত নেয়া নিষিদ্ধ হওয়ায় তারা ঐ স্থানটি ধ্বংস ভেঙ্গে ফেলে।<ref>আমেলি, আস্ সাহিহ মিন সিরাতিন নাবি (সা.), ১৩৮৫ সৌরবর্ষ, খণ্ড ২, পৃ. ১৪৬-১৪৭।</ref>[নোট ১]


==মহানবির (সা.) জন্মের রাতের অলৌকিক ঘটনাবলি==
===মহানবির (সা.) জন্মের রাতের অলৌকিক ঘটনাবলি===
মহানবির (সা.) জন্মের রাতে বেশ কিছু অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল যেগুলো ‘[[ইহরাসাত]]’ নামে প্রসিদ্ধ।<ref>রাসুলি মাহাল্লাতি, দারহায়ী আয তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৭১ সৌরবর্ষ, খণ্ড ১, পৃ. ১৪৫ ও ১৪৬।</ref> ঐ রাতে পারস্যের সম্রাটের বিশাল প্রাসাদের বারান্দা কেঁপে ওঠে এবং ছাদের ১৪টি প্রাচীর ধ্বসে পড়ে, ১০০০ বছর ধরে প্রজ্বলিত পারস্যের অগ্নি উপাসনালয়ের আগুন নিভে যায়, পারস্যের সাভে হ্রদ শুকিয়ে যায়, [[হিজাজ]] থেকে একটি আলো দৃশ্যমান হয় যা পূর্বাঞ্চলসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে, অগ্নি উপাসকদের ধর্মযাজক ও সাসানি বাদশাহ দুঃস্বপ্ন দেখেন ইত্যাদি।<ref>আবু নাঈম ইসফাহানি, দালায়েলুন নুবুওয়্যাহ, ১৪১২ হি. খণ্ড ১, পৃ. ১৩৯।; বায়হাকি, দালায়েলুন নুবুওয়্যাহ, ১৪০৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১২৬ ও ১২৭।</ref>
মহানবির (সা.) জন্মের রাতে বেশ কিছু অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল যেগুলো ‘[[ইহরাসাত]]’ নামে প্রসিদ্ধ।<ref>রাসুলি মাহাল্লাতি, দারহায়ী আয তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৭১ সৌরবর্ষ, খণ্ড ১, পৃ. ১৪৫ ও ১৪৬।</ref> ঐ রাতে পারস্যের সম্রাটের বিশাল প্রাসাদের বারান্দা কেঁপে ওঠে এবং ছাদের ১৪টি প্রাচীর ধ্বসে পড়ে, ১০০০ বছর ধরে প্রজ্বলিত পারস্যের অগ্নি উপাসনালয়ের আগুন নিভে যায়, পারস্যের সাভে হ্রদ শুকিয়ে যায়, [[হিজাজ]] থেকে একটি আলো দৃশ্যমান হয় যা পূর্বাঞ্চলসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে, অগ্নি উপাসকদের ধর্মযাজক ও সাসানি বাদশাহ দুঃস্বপ্ন দেখেন ইত্যাদি।<ref>আবু নাঈম ইসফাহানি, দালায়েলুন নুবুওয়্যাহ, ১৪১২ হি. খণ্ড ১, পৃ. ১৩৯।; বায়হাকি, দালায়েলুন নুবুওয়্যাহ, ১৪০৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১২৬ ও ১২৭।</ref>


Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭৬২টি

সম্পাদনা