বিষয়বস্তুতে চলুন

হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

১৮৭ নং লাইন: ১৮৭ নং লাইন:
খায়বারের যুদ্ধে একটি দূর্গ বিজয় করা কঠিন হয়ে গেল। আল্লাহর রাসূল (সা.) যথাক্রমে [[আবু বকর ইবনে আবি কুহাফা]] ও [[উমার ইবনে খাত্তাব]]কে ঐ দূর্গ বিজয়ের জন্য পাঠালেন কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসেন। অবশেষে আলীর (আ.) হাতে পতাকা তুলে দিলেন। হযরত আলী (আ.) নজীরবিহীন লড়াই এবং অলৌকিক ক্ষমতা প্রদর্শন করে ঐ দূর্গ জয় করেন।<ref>আয়াতি, তারিখে পায়াম্বারে ইসলাম (সা.), ১৩৭৮, পৃ. ৪১০-৪১১।</ref>
খায়বারের যুদ্ধে একটি দূর্গ বিজয় করা কঠিন হয়ে গেল। আল্লাহর রাসূল (সা.) যথাক্রমে [[আবু বকর ইবনে আবি কুহাফা]] ও [[উমার ইবনে খাত্তাব]]কে ঐ দূর্গ বিজয়ের জন্য পাঠালেন কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসেন। অবশেষে আলীর (আ.) হাতে পতাকা তুলে দিলেন। হযরত আলী (আ.) নজীরবিহীন লড়াই এবং অলৌকিক ক্ষমতা প্রদর্শন করে ঐ দূর্গ জয় করেন।<ref>আয়াতি, তারিখে পায়াম্বারে ইসলাম (সা.), ১৩৭৮, পৃ. ৪১০-৪১১।</ref>


=হুদায়বিয়ার সন্ধি=
==হুদায়বিয়ার সন্ধি==
খন্দকের যুদ্ধ, বনি কুরাইযার ইহুদিদের আত্মসমার্পন এবং ৬ষ্ঠ হিজরীর সব কয়টি যুদ্ধের ফল মুসলমানদের পক্ষে যায় পাশাপাশি যুদ্ধগুলো থেকে লব্ধ গনিমত ইসলামের শক্তিকে আরব উপদ্বীপের মানুষের চোখে বহুগুণে বাড়িয়ে দিল। এর ধারাবাহিকতায় বহু গোত্র ইসলামে দীক্ষিত হয় আবার কোন কোন গোত্র মুসলমানদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়।[৮২]
খন্দকের যুদ্ধ, [[বনি কুরাইযা]]র ইহুদিদের আত্মসমার্পন এবং ৬ষ্ঠ হিজরীর সব কয়টি যুদ্ধের ফল মুসলমানদের পক্ষে যায় পাশাপাশি যুদ্ধগুলো থেকে লব্ধ গনিমত ইসলামের শক্তিকে আরব উপদ্বীপের মানুষের চোখে বহুগুণে বাড়িয়ে দিল। এর ধারাবাহিকতায় বহু গোত্র ইসলামে দীক্ষিত হয় আবার কোন কোন গোত্র মুসলমানদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়।[৮২]
৬ষ্ঠ হিজরীর যিলক্বদ মাসে মহানবি (সা.) ১৫০০ মুসলমানকে সঙ্গে নিয়ে উমরাহ পালনের লক্ষ্যে মক্কা অভিমুখে রওনা হলেন। তাঁর (সা.) উদ্দেশ্যে সম্পর্কে অবগত হয়ে কুরাইশ তাঁকে (সা.) বাধা দিতে প্রস্তুতি নেয়। মুসলমানদের মক্কায় প্রবেশ রুখতে প্রথমে খালিদ বিন ওয়ালিদ ও আকরামাহ বিন আবু জাহলকে প্রেরণ করে। হুদায়বিয়া নামক স্থানে -যেখান থেকে হারাম এলাকা শুরু হয়- মহানবি (সা.) অবতরণ করলেন। তিনি মক্কার উদ্দেশ্যে বার্তা পাঠালেন; আমরা যুদ্ধের জন্য নয়, যিয়ারত করতে এসেছি। কিন্তু কুরাইশ মহানবির (সা.) উমরাহ পালনে বাধা দিল এবং অবশেষে তাঁর ও মক্কার প্রতিনিধিদের মাঝে এ মর্মে চুক্তি স্বাক্ষরিত হল যে, আগামী ১০ বছর পর্যন্ত ২ পক্ষের মাঝে কোন যুদ্ধ হবে না এবং এ সময়ে মুসলমানরা মক্কায় প্রবেশ করতে পারবে না। কিন্তু আগামী বছর এ সময় মক্কার জনগণ ৩ দিনের জন্য শহরের বাইরে চলে যাবে এবং শহরকে মুসলমানদের যিয়ারতের জন্য খালি করে দেবে। ঐ চুক্তির অপর শর্ত ছিল, যদি মক্কার কোন লোক মহানবির (সা.) কাছে যায় তবে তাকে ফেরত পাঠাতে হবে, পক্ষান্তরে যদি কেউ মদিনা থেকে মক্কায় যায় কুরাইশ তাকে ফেরত পাঠাতে বাধ্য নয়। প্রত্যেকটি গোত্র মুসলমান বা কুরাইশের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবে।<ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম,  ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৯০-৯১।</ref> পরবর্তীতে কুরাইশ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে মক্কা বিজয়ের ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়।<ref>দেখুন; শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম,  ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৯১।</ref>  
৬ষ্ঠ হিজরীর [[যিলক্বদ]] মাসে মহানবি (সা.) ১৫০০ মুসলমানকে সঙ্গে নিয়ে [[উমরাহ]] পালনের লক্ষ্যে মক্কা অভিমুখে রওনা হলেন। তাঁর (সা.) উদ্দেশ্যে সম্পর্কে অবগত হয়ে [[কুরাইশ]] তাঁকে (সা.) বাধা দিতে প্রস্তুতি নেয়। মুসলমানদের মক্কায় প্রবেশ রুখতে প্রথমে খালিদ বিন ওয়ালিদ ও [[আকরামাহ বিন আবু জাহল]]কে প্রেরণ করে। [[হুদায়বিয়া]] নামক স্থানে -যেখান থেকে [[হারাম]] এলাকা শুরু হয়- মহানবি (সা.) অবতরণ করলেন। তিনি মক্কার উদ্দেশ্যে বার্তা পাঠালেন; আমরা যুদ্ধের জন্য নয়, যিয়ারত করতে এসেছি। কিন্তু কুরাইশ মহানবির (সা.) উমরাহ পালনে বাধা দিল এবং অবশেষে তাঁর ও মক্কার প্রতিনিধিদের মাঝে এ মর্মে [[হুদায়বিয়া চুক্তি|চুক্তি]] স্বাক্ষরিত হল যে, আগামী ১০ বছর পর্যন্ত ২ পক্ষের মাঝে কোন যুদ্ধ হবে না এবং এ সময়ে মুসলমানরা মক্কায় প্রবেশ করতে পারবে না। কিন্তু আগামী বছর এ সময় মক্কার জনগণ ৩ দিনের জন্য শহরের বাইরে চলে যাবে এবং শহরকে মুসলমানদের যিয়ারতের জন্য খালি করে দেবে। ঐ চুক্তির অপর শর্ত ছিল, যদি মক্কার কোন লোক মহানবির (সা.) কাছে যায় তবে তাকে ফেরত পাঠাতে হবে, পক্ষান্তরে যদি কেউ মদিনা থেকে মক্কায় যায় কুরাইশ তাকে ফেরত পাঠাতে বাধ্য নয়। প্রত্যেকটি গোত্র মুসলমান বা কুরাইশের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবে।<ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম,  ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৯০-৯১।</ref> পরবর্তীতে কুরাইশ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে [[মক্কা বিজয়|মক্কা বিজয়ের]] ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়।<ref>দেখুন; শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম,  ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৯১।</ref>  


==আল্লাহর গৃহের যেয়ারত==
===আল্লাহর গৃহের যেয়ারত===
৭ম হিজরীর যিলক্বদ মাসে হুদায়বিয়ার চুক্তি অনুসারে মহানবি (সা.) [[উমরাতুল কাযা|উমরাহ]] পালনের লক্ষ্যে মক্কা অভিমুখে রওনা হলেন। মহানবি (সা.) ও মুসলমানদের মসজিদুল হারামে প্রবেশ, বিশেষ ভাব গাম্ভির্যের সাথে তাঁদের উমরাহ পালন এবং মহানবিকে (সা.) যে সম্মান মুসলমান প্রদর্শন করছিল তা দেখে কুরাইশ নিশ্চিত হল মুহাম্মাদের (সা.) বিরোধিতার শক্তি আর তাদের নেই। এ কারণে মুশরিক কুরাইশের ২ বিশিষ্ট ব্যক্তি খালিদ বিন ওয়ালিদ ও আমর বিন আস মদিনায় যায় এবং ইসলাম গ্রহণ করে।<ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম,  ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৯২।</ref>
৭ম হিজরীর যিলক্বদ মাসে হুদায়বিয়ার চুক্তি অনুসারে মহানবি (সা.) [[উমরাতুল কাযা|উমরাহ]] পালনের লক্ষ্যে মক্কা অভিমুখে রওনা হলেন। মহানবি (সা.) ও মুসলমানদের [[মসজিদুল হারাম|মসজিদুল হারামে]] প্রবেশ, বিশেষ ভাব গাম্ভির্যের সাথে তাঁদের উমরাহ পালন এবং মহানবিকে (সা.) যে সম্মান মুসলমান প্রদর্শন করছিল তা দেখে কুরাইশ নিশ্চিত হল মুহাম্মাদের (সা.) বিরোধিতার শক্তি আর তাদের নেই। এ কারণে মুশরিক কুরাইশের ২ বিশিষ্ট ব্যক্তি খালিদ বিন ওয়ালিদ ও [[আমর বিন আস]] মদিনায় যায় এবং ইসলাম গ্রহণ করে।<ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম,  ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৯২।</ref>


=বিভিন্ন অঞ্চলের শাসকদের উদ্দেশ্যে পত্র প্রেরণ=
=বিভিন্ন অঞ্চলের শাসকদের উদ্দেশ্যে পত্র প্রেরণ=
Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭৬৭টি

সম্পাদনা