বিষয়বস্তুতে চলুন

পরকাল

wikishia থেকে

আখিরাত বা পরকাল; হচ্ছে মানুষের মৃত্যু পরবর্তী জগত। এ পৃথিবীর জীবনাবসনের পর মানুষ যে জগতের প্রবেশ করে, সে জগতই হচ্ছে পরকালের জগত। পরকালের প্রতি আকিদাপোষণ ইসলাম ধর্মের মৌলিক আকিদা তথা উসুলে দ্বীনের অংশবিশেষ। যদি কেউ পরকালের প্রতি আকিদাপোষণ না করে তবে সে মুসলমান হিসেবে গণ্য হবে না। পবিত্র কুরআনে পরকালের প্রতি আকিদাপোষণের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এছাড়া পরকালের বিষয়টি যুগে যুগে সমস্ত নবী-রাসূলদের মৌলিক দাওয়াতের অন্তর্ভূক্ত ছিল। বর্ণিত হয়েছে যে, পবিত্র কুরআনের এক তৃতীয়াংশ আয়াত হচ্ছে পরকাল বিষয়ক।

ইসলামের কালামশাস্ত্রের গ্রন্থাবলিতে পরকালকে মা’য়াদ হিসেবে অভিহিত এবং এ বিষয়টি প্রমাণে অনেক বুদ্ধিবৃত্তিকউদ্ধৃতিগত দলিলাদি উপস্থাপন করা হয়েছে। মুসলিম পণ্ডিতবর্গ পবিত্র কুরআনের আয়াতের উদ্ধৃতি তুলে ধরে পরকালের জগতকে এ দুনিয়ার জগত থেকে ব্যতিক্রমী হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তারা পরকালের অনেক বৈশিষ্ট্যও বর্ণনা করেছেন, যেমন: অবিনশ্বর, সৎকর্মশীলদের থেকে অসৎকর্মশীলদের পৃথককরণ, দুনিয়াতে কৃতকর্মের প্রতিফল গ্রহণের স্থান প্রভৃতি।  

অধিকাংশ মুসলিম মুনীষীবর্গের দৃষ্টিতে এ দুনিয়ার জীবনের সমাপ্তির পর পরকালের জীবনের সূচনা হবে। অবশ্য কোন কোন মনীষীর দৃষ্টিতে বর্তমান সময়েও পরকাল বহাল রয়েছে এবং এ দুনিয়ার উপর পরকালের বিশেষ প্রভাব বিদ্যমান।

সংজ্ঞা

পরকাল শব্দের অভিধানিক অর্থ হচ্ছে সমাপ্তি, শেষ এবং অন্য।[] এর অর্থ হচ্ছে দুনিয়ার জীবনাবসনের পর মানুষ যে জগতে প্রবেশ করে। পবিত্র কুরআনে মৃত্যু পরবর্তী জীবনকে পরকালের জীবন হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। কুরআনের আয়াতে পরকালকে কখনও দারুল আখিরাত (পরকালের জীবন), ইয়াউমুল আখিরাত (আখিরাতের দিবস), অন্য জগত প্রভৃতি নামে ইশারা করা হয়েছে।[]

পরকালের প্রতি ঈমানের গুরুত্ব

পরকালের প্রতি ঈমানপোষণ উসুলে দ্বীন বা ধর্মের মৌলিক স্তম্ভের অংশবিশেষ এবং মুসলমান হওয়ার পূর্বশর্ত। অর্থাৎ, যদি কেউ পরকালের প্রতি বিশ্বাস না রাখে তাহলে সে মুসলমান হিসেবে গণ্য হবে না।[] আয়াতুল্লাহ মুর্ত্তাজা মুতাহহারির বর্ণনা অনুযায়ী সমস্ত নবী-রাসূলগণ তাদের তাবলীগী কার্যক্রমে তওহীদের প্রচারের পর মানুষকে পরকালের প্রতি ঈমানপোষণের দাওয়াত দিয়েছেন।[]

আয়াতুল্লাহ মুহাম্মাদ তাকী মিসবাহ ইয়াজদি উল্লেখ করেছেন যে, পবিত্র কুরআনের এক তৃতীয়াংশের বেশি আয়াত পরকাল সম্পর্কিত।[] আল কুরআনের বর্ণনা অনুযায়ী পরকালের প্রতি ঈমান মহান আল্লাহর তওহীদের প্রতি ঈমান এবং নবুয়্যাতের প্রতি ঈমানের পর ইসলামের তৃতীয় রুকন বা স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত।[] ইসলামের সমস্ত মাযহাবের অনুসারীদের আকিদা অনুযায়ী পরকালের প্রতি ঈমানপোষণ হচ্ছে ইসলামের মৌলিক আকিদার অন্তর্ভূক্ত এবং যদি কেউ এ বিষয়ের প্রতি আস্থা না রাখে তবে সে মুসলিম নয়।[]

কালামশাস্ত্রের পুস্তকসমূহে পরকালকে মা’য়াদ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বারজাখ, কিয়ামত, সিরাত, আমলনামা, শাফায়াত, বেহেশতদোজখ হচ্ছে পরকালের সাথে সম্পৃক্ত; পবিত্র কুরআন, হাদীস এবং মুসলিম মনীষীবর্গের বর্ণনায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে।[] কুরআনের আদেশ অনুযায়ী পরকালের প্রতি আকিদাপোষণ প্রত্যেকের উপর ফরজ।[]

পরকালের দলিলাদি

মুসলিম মনীষীবর্গ পরকালের অস্তিত্ব প্রমাণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দলিলাদি হিসেবে উদ্ধৃতিগত দলিল বিশেষত পবিত্র কুরআনের আয়াতসমূহকে উত্থাপন করেছেন। এছাড়া নবী-রাসূলগণ হলেন মাসুম; তাই তারা যখন মানুষকে পরকালের অস্তিত্বের খবর দেন এবং সবাইকে তার প্রতি বিশ্বাসপোষনের আহ্বান জানান, তখন পরকালের অস্তিত্বের বিষয়টি আমাদের নিকট সুস্পষ্ট হয়ে যায়।[১০] যেমন উদ্ধৃতিগত দলিল হচ্ছে- পবিত্র কুরআনের সূরা তাগাবুনের ৭ নং আয়াতে বর্ণিত হয়েছে: তুলি বল, হ্যাঁ, আমার প্রতিপালকের শপথ! তোমরা অবশ্যই পুনরুত্থিত হবে। অতঃপর তোমরা যা করেছ সে সম্বন্ধে তোমাদের অবহিত করা হবে।[১১]

শহীদ মুর্ত্তাজা মুতাহহারির বর্ণনামতে উদ্ধৃতিগত দলিল ছাড়াও পরকালের অস্তিত্ব প্রমাণে অনেক কার্যকর পন্থা রয়েছে। এক্ষেত্রে তিনটি পন্থা হচ্ছে যথাক্রমে ১- খোদা পরিচিত, ২- সৃষ্টিজগতেরর পরিচিতি, ৩- মানুষের প্রাণ ও আত্মা পরিচিতি। অর্থাৎ, এসব পরিচিতির মাধ্যমে মানুষ পরকালের অস্তিত্বে উপনীত হতে পারে।[১২]

এছাড়া হিকমত ও আদালতের বোরহান তথা দলিলও পরকালের অস্তিত্ব বিদ্যমানের বুদ্ধিবৃত্তিক যুক্তি; যা এ বিষয়টি প্রমাণের ক্ষেত্রে কালামশাস্ত্রবিদগণ ব্যবহার করে থাকেন।[১৩]

হিকমতের বোরহানে বলা হয়- আল্লাহর হিকমতের সাথে এ বিষয়টি মোটেও সামঞ্জস্যতা রাখে না যে মানুষের জীবনকে শুধুমাত্র দুনিয়ার জীবনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবেন। কেননা আল্লাহ মানব জাতীকে ‍সৃষ্টি করেছেন যাতে তাদেরকে পূর্ণতা দান করবেন, আর এ পৃথিবীর জীবনে চুড়ান্ত পূর্ণতা লাভ সম্ভব নয়। কেননা দুনিয়ার এ ক্ষণস্থায়ী পূর্ণতা কোন অবস্থাতে পরকালের চিরন্তন পূর্ণতার সাথে তুলনাযোগ্য নয়।[১৪]

বোরহানে আদালতে উল্লেখ করা হয়েছে: যেহেতু এ পৃথিবীতে সৎকর্মশীলরা তাদের নেক কর্মসমূহের উপযুক্ত প্রতিদান পরিপূর্ণভাবে গ্রহণ করে না এবং অসৎকর্মশীলরা তাদের মন্দ কর্মসমূহের শাস্তি যথাযথভাবে ভোগ করে না; সেহেতু সুবিচার নিশ্চিতকরণের নিমিত্তে সহজাতভাবেই পরকাল থাকা জরুরী যাতে সেখানে মানুষ প্রতিটি কর্মের যথাযথ প্রতিদান প্রাপ্ত হয়।[১৫]

পরকালের বৈশিষ্ট্যাবলি এবং দুনিয়ার সাথে তারতম্য

বিশিষ্ট মনীষী হযরত আয়াতুল্লাহ মুর্ত্তাজা মোতাহহারি উল্লেখ করেছেন: পবিত্র কুরআনে শত শত আয়াত পরকাল, মৃত্যু পরবর্তী জীবন, কিয়ামত, মৃত্যুর পর বিচারকার্যের ধরণ, মিযান, আমল নামা, বেহেশত, দোজখ এবং পরকালের চিরন্তনতা প্রভৃতি সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে।[১৬] মুসলিম মনীষীবর্গ পবিত্র কুরআনের বর্ণনার ভিত্তিতে পরকালকে এ পৃথিবীর জীবন থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত ও ব্যতিক্রম হিসেবে অভিহিত করেছেন।[১৭]

বস্তুত সৃষ্টিজগতের শুরু থেকে শেষাবধি পর্যন্ত যত মানুষ এ দুনিয়াতে আসবে তারা সবাই পরকালে একত্রে বসবাস করবে।[১৮] সেখানে মানুষ (সৎকর্মশীলরা) হয় চরম সুখ-শান্তিতে বসবাস করবে, তারা যা কিছু চাইবে তাই তাদের জন্য বন্দোবস্ত থাকবে; নতুবা অসৎকর্মশীলরা কঠোর শাস্তি ও আযাবের মধ্যে বসবাস করবে। কিন্তু দুনিয়ার জীবন সুখ-দুঃখ, রোগ-সুস্থতা কিংবা শান্তি-অশান্তি প্রভৃতিতে একাকার হয়ে আছে।[১৯]

কুরআনের আয়াত ও রেওয়ায়েতের আলোকে পরকালে কিছু বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ-

  • চিরন্তনতা: পবিত্র কুরআনের আয়াতের বর্ণনা অনুযায়ী পরকাল অবিনশ্বর ও চিরস্থায়ী। যেমন: সূরা ক্বাফ এর ৩৪নং আয়াতে বর্ণিত হয়েছে: পরকালে বেহেশতবাসীদের উদ্দেশ্যে বলা হবে- তোমরা নিরাপত্তা ও শান্তির সাথে বেহেশতে প্রবেশ কর; এটা চিরস্থায়িত্বের দিবস। অনুরূপভাবে গুরারুল হিকাম কিতাবে আমিরুল মু’মিনিন আলী (আ.) হতে বর্ণিত হয়েছে- দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী এবং পরকাল চিরস্থায়ী।[২০]
  • সৎকর্মশীল ও অসৎকর্মশীলদের মধ্যে ব্যবধান: পবিত্র কুরআনের বর্ণনা অনুযায়ী পরকালে সৎকর্মশীল ও অসৎকর্মশীলরা পরস্পর থেকে আলাদা থাকবে। যেমনঃ আর (এক আওয়াজ আসবে,) ‘হে অপরাধীরা! তোমরা আজ পৃথক হয়ে যাও।’[২১] ‘নিশ্চয় যারা অবিশ্বাস করেছে তারা নিজেদের ধনসম্পদ খরচ করে যাতে (লোকদের) আল্লাহর পথ থেকে নিবৃত্ত করতে পারে; তারা অচিরেই তা খরচ করবে, অতঃপর তা তাদের আক্ষেপের কারণ হবে; অতঃপর তারা পরাজিত হবে। এবং যারা অবিশ্বাস করেছে তাদের জাহান্নামের দিকে সমবেত করা হবে।’ [২২] ‘যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করত তাদের দলে দলে বেহেশতের দিকে পরিচালিত করা হবে।’[২৩]
  • আমলের প্রতিফল: মানুষ এ দুনিয়ার জীবনে কৃত আমলের প্রতিফল পরকালে ভোগ করবে। যেমন: আল কুরআনে বর্ণিত হয়েছে- তার প্রয়াস অনতিবিলম্বে প্রত্যক্ষ করা হবে; ‘অতঃপর তাকে পূর্ণ প্রতিদান দেওয়া হবে।’[২৪] এবং অপর আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে- ‘সুতরাং কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা সে দেখবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎ কর্ম করলে তাও সে দেখবে।’[২৫]
  • উপযুক্ততার ভিত্তিতে মূল্যায়ন: দুনিয়ার প্রচলিত প্রথার ব্যতিক্রমে পরকালে প্রত্যেককে তার উপযুক্ততার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। ইমাম আলী (আ.) হতে বর্ণিত একটি হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে- ‘দুনিয়ার হিসাব সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে; কিন্তু পরকালে মানুষকে উপযুক্ততার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।’[২৬]

পরকালের পরিসীমা

পরকালের পরিসীমা সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে; কেউ কেউ ধারণা করেন যে, মানুষের মৃত্যুর পর বারজাখে (কবরে শায়িত হওয়ার পর থেকে কিয়ামতের বিচার দিবস পর্যন্ত) প্রবেশের পর থেকে পরকালের সূচনা হয়। কিন্তু কারও কারও মতে বারজাখ পরকালের অংশ নয়; বরং তারা বিশ্বাস করেন যে, বারজাখের সময়ের পর থেকে পরকালের সূচনা হবে।[২৭] অপরদিকে কালামশাস্ত্রবিদগণ ধারণা করেন যে, দুনিয়ার জীবন সমাপ্তির পর পরকাল শুরু হয়। কিন্তু দার্শনিকদের ধারণা মতে দুনিয়ার জীবনেও পরকাল বিদ্যমান। অবশ্য এক্ষেত্রে ক্রমধারা ও স্তরভেদ রয়েছে। তাদের এ ধারণার সপক্ষে দলিল হিসেবে সূরা তওবার ৪৯নং আয়াতকে তুলে ধরা হয়:

«وَ إِنَّ جَهَنَّمَ لَمُحِيطَةٌ بِالْكَفِرِين»

অর্থাৎ, নিশ্চয়ই জাহান্নাম কাফিরদেরকে পরিবেষ্টন করে রেখেছে।[২৮]

পরকাল সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসের সুপারিশ

পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে এবং অনেক হাদীসে পরকাল সম্পর্কে নানাবিধ সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে; এখানে আমরা সেগুলোর মধ্যে কয়েকটির প্রতি ইশারা করছি-

  • এ পার্থিব জীবন ক্রীড়া—কৌতুক এবং আমোদ—প্রমোদ ব্যতীত আর কিছু নয়, আর পরকালের জীবন সাবধানীদের জন্য সর্বোত্তম; তোমরা কি বিচার—বুদ্ধি প্রয়োগ কর না?[২৯]
  • এ পরকালের গৃহ, যা আমরা তাদের জন্য নির্দিষ্ট করেছি যারা পৃথিবীতে না উদ্ধত হতে চায়, আর না বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চায়।[৩০]
  • যে ব্যক্তি পরকালকে অধিক স্মরণ করবে; তার গুনাহ হ্রাস পাবে।[৩১]
  • দুনিয়া পরকালের চাষক্ষেত্র। {দ্র: ইবনে আবি জামহুর, আওয়ালি লিল লায়ালি, খণ্ড ১, পৃ. ২৬৭}
  • যদি কেউ দিবারাত্রের অধিকাংশ সময় পরকাল নিয়ে ভাবে, তাহলে আল্লাহ তার অন্তরে অমুখাপেক্ষীতার সঞ্চার করবেন এবং তার জীবনকে করবেন সমৃদ্ধ। সে পরিপূর্ণ রিজিক প্রাপ্তির পূর্বে ইহধাম ত্যাগ করবে না।[৩২]

গ্রন্থ পরিচিতি

পরকাল সম্পর্কে একটি অতীব মূল্যবান গ্রন্থ হচ্ছে ‘মানাজিলুল আখিরাত’। এ গ্রন্থটি চতুর্দশ শতাব্দির খ্যাতনামা মুসলিম মনীষী শেখ আব্বাস কুম্মী কর্তৃক প্রণীত। তিনি তার এ কিতাবে পরকালের বিভিন্ন পর্যায়ের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন; যেমন: মৃত্যু, কবর, বারজাখ, কিয়ামত, সিরাত। এ কিতাবে মিযান, পরকালের হিসাব-কিতাব, জাহান্নামের আযাব ও বেহেশতের পুরুস্কারের বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া পরকালের বিভিন্ন পর্যায় সহজে অতিক্রম করণের নিমিত্তে মানুষের জন্য কিছু ব্যবহারিক আমল ও নৈতিক কর্মপদ্ধতির দিকনির্দেশনা দান করা হয়েছে।

উল্লেখ ‘মানাজিলুল আখিরাত’ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাতে যেমন: আরবী, ইংরেজি, উর্দূ প্রভৃতিতে অনুবাদ সম্পন্ন হয়েছে।

তথ্যসূত্র

  1. মুজতাহেদ শাবেস্তারী, আখেরাত, পৃ:১৩৩।
  2. মুজতাহেদ শাবেস্তারী, আখেরাত, পৃ:১৩৩।
  3. মুতাহারী, মুর্তজা, মাজমুয়ে আসার, ১৪১৮ হি., খ:২, পৃ:৫০১।
  4. মুতাহারী, মাজমুয়ে আসার, ১৪১৮ হি., খ:২, পৃ:৫০১।
  5. মিসবাহ ইয়াযদী, আমুযেশে আকাইদ, ১৩৮৪ (সৌরবর্ষ), পৃ: ৩৪১।
  6. মুজতাহেদ শাবেস্তারী, আখেরাত, পৃ:১৩৩।
  7. মুজতাহেদ শাবেস্তারী, আখেরাত, পৃ:১৩৩।
  8. মুতাহারী, মাজমুয়ে আসার, ১৪১৮ হি., খ:২, পৃ:৫০১।
  9. মুজতাহেদ শাবেস্তারী, আখেরাত, পৃ:১৩৩।
  10. মুতাহারী, মাজমুয়ে আসার, ১৪১৮ হি., খ:২, পৃ:৫০২ ও ৫০৩।
  11. মিসবাহ ইয়াযদী, আমুযেশে আকাইদ, ১৩৮৪ (সৌরবর্ষ), পৃ: ৩৮৯।
  12. মুতাহারী, মাজমুয়ে আসার, ১৪১৮ হি., খ:২, পৃ: ৫০৩।
  13. মিসবাহ ইয়াযদী, আমুযেশে আকাইদ, ১৩৮৪ (সৌরবর্ষ), পৃ: ৩৬৪ ও ৩৬৬।
  14. মিসবাহ ইয়াযদী, আমুযেশে আকাইদ, ১৩৮৪ (সৌরবর্ষ), পৃ: ৩৬৪।
  15. মিসবাহ ইয়াযদী, আমুযেশে আকাইদ, ১৩৮৪ (সৌরবর্ষ), পৃ: ৩৬৫।
  16. মুতাহারী, মুর্তজা, মাজমুয়ে আসার, ১৪১৮ হি., খ:২, পৃ:৫০১।
  17. মিসবাহ ইয়াযদী, আমুযেশে আকাইদ, ১৩৮৪ (সৌরবর্ষ), পৃ: ৪১১ ও তাবাতাবায়ী, তাফসিরে আল-মিযান, ১৪১৭ হি., খ:২০, পৃ:১৪৮।
  18. মিসবাহ ইয়াযদী, আমুযেশে আকাইদ, ১৩৮৪ (সৌরবর্ষ), পৃ: ৪১১।
  19. তাবাতাবায়ী, তাফসিরে আল-মিযান, ১৪১৭ হি., খ:২০, পৃ:১৪৮।
  20. আমাদী, তাসনিফু গুরারুল হিকাম ওয়া দুরারুল কালেম, ১৩৬৬ (সৌরবর্ষ), পৃ:১৩৪।
  21. সূরা ইয়াসিন: ৫৯।
  22. সূরা আনফাল: ৩৬।
  23. সূরা যুমার: ৭৩।
  24. সূরা নাজম: ৪০-৪১।
  25. সূরা যিলযাল: ৭ ও ৮।
  26. আমাদী, তাসনিফু গুরারুল হিকাম ওয়া দুরারুল কালেম, ১৩৬৬ (সৌরবর্ষ), পৃ: ১৪৮ ।
  27. খোরাসানী, আখেরাত, পৃ: ৯৮।
  28. খোরাসানী, আখেরাত, পৃ: ৯৮ ও ৯৯।
  29. সূরা আনআম: ৩২।
  30. সূরা কাসাস: ৮৩।
  31. আমাদী, তাসনিফু গুরারুল হিকাম ওয়া দুরারুল কালেম, ১৩৬৬ (সৌরবর্ষ), পৃ:১৪৬।
  32. ইবনে শোবা হুররানী, তুহাফুল উক্বুল, ১৪০৪ হি., পৃ: ৪৮।

গ্রন্থপঞ্জি

  • কুরআন কারিম,
  • ইবনে শোবা হুররানী, হাসান বিন আলী, তুহাফুল উক্বুল; সম্পদনায়-আলী আকবার গাফফারী, কোম, জামেয়ে মুদাররেসিন, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৪ হি.,
  • আমাদী, আব্দুল ওয়াহিদ, তাসনিফু গুরারুল হিকাম ওয়া দুরারুল কালেম; সম্পদনায়- মুস্তাফা দিরায়াতী, কোম, দাফতারে তাবলিগাতে ইসলামী, প্রথম সংস্করণ, ১৩৬৬ (সৌরবর্ষ),
  • তাবাতাবায়ী, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হোসাইন, তাফসিরে আল-মিযান, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামী, পঞ্চম সংস্করণ, ১৪১৭ হি.,
  • মিসবাহ ইয়াযদী, মুহাম্মাদ তাকী, আমুযেশে আকাইদ, তেহরান, আমির কাবির, ১৮তম সংস্করণ, ১৩৮৪ (সৌরবর্ষ),
  • মুতাহারী, মুর্তজা, মাজমুয়ে আসার, তেহরান, ইন্তেশারাতে সাদরা, সপ্তম সংস্করণ, ১৪১৮ হি.,
  • মাকারেম শিরাজী, নাসের, তাফসিরে নেমুনেহ, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামী, প্রথম সংস্করণ, ১৩৭৪ (সৌরবর্ষ)।