বিষয়বস্তুতে চলুন

দোয়া-ই-হুজ্জাত

wikishia থেকে

দোয়া-ই-হুজ্জাত (আরবি: دعاء اللهم كن لوليك); বা দোয়ায়ে সালামতিয়ে ইমামে যামান (আ.) এমন একটি দোয়া, যা শিয়া মুসলমানদের দ্বাদশ ইমাম হযরত ইমাম মাহদী (আ.)-এর সুস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার জন্য পড়া হয়। এই দোয়াটি "আল্লাহুম্মা কুন লি-ওয়ালিয়্যিকা" বাক্যাংশ দিয়ে শুরু হয় এবং তা 'তাহযিবুল আহকাম' গ্রন্থে ইমাম বাকির (আ.) ও ইমাম সাদিক (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে।

এই দোয়ায় ইমাম মাহদী (আ.)-এর জন্য বিভিন্ন শব্দ ও বাক্যাংশ ব্যবহারের মাধ্যমে দোয়া করা হয়েছে। দোয়াটি শবে কদর (২৩শে রমজান)-এর আমলের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে বর্ণিত হলেও যেকোনো সময় এটি পড়া যায়। দোয়াটির সনদ 'মুরসাল' (নির্দিষ্ট সূত্রবিহীন) হলেও, এটি নির্ভরযোগ্য হাদীসের উৎস ও দোয়ার কিতাবসমূহে বর্ণিত হওয়ায় এর সত্যতা ও নির্ভরযোগ্যতা স্বীকৃত।

অধিকাংশ সূত্রে এই দোয়া বর্ণনার সময় ইমাম মাহদী (আ.)-এর নামের স্থলে 'ফুলানিবনি ফুলান' (অমুকের ছেলে অমুক) শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। এ কারণে কিছু গবেষকের ধারণা যে, এই দোয়া শুধুমাত্র ইমাম মাহদী (আ.)-এর জন্যই নির্দিষ্ট নয়; বরং প্রত্যেক ইমামেরই তাঁর ইমামতের সময়ের জন্য প্রযোজ্য।

এই দোয়ার ওপর লিখিত 'শারহে দোয়ায়ে সালামতিয়ে ইমামে জামান (আ.)' নামক গ্রন্থটি মোহসেন কারাআতী কর্তৃক রচিত।

দোয়াটির টেক্সট

দোয়ায়ে 'দোয়া-ই-হুজ্জাত' বিভিন্ন সূত্রে বিভিন্ন শব্দে বর্ণিত হয়েছে। শেখ তুসীর 'মিসবাহুল মুতাহাজ্জাদ' গ্রন্থে দোয়াটি নিম্নরূপ এসেছে:

اللَّهُمَ کُنْ لِوَلِیکَ فُلَانِ بْنِ فُلَانٍ فِی هَذِهِ السَّاعَةِ وَ فِی کُلِّ سَاعَةٍ وَلِیاً وَ حَافِظاً وَ قَائِداً وَ نَاصِراً وَ دَلِیلًا وَ عَیناً حَتَّی تُسْکِنَهُ أَرْضَکَ طَوْعاً وَ تُمَتِّعَهُ فِیهَا طَوِیلًا

(হে আল্লাহ! তোমার অমুক ইবনে অমুক ওলীর জন্য এই সময়ে ও প্রতিটি সময়ে অভিভাবক, সংরক্ষক, নেতা, সাহায্যকারী, পথপ্রদর্শক ও প্রহরী হও, যাতে তুমি তাকে স্বেচ্ছায় তোমার পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করো এবং সেখানে দীর্ঘকাল তাকে উপকৃত করাও)।[]

দোয়াটি 'ইকবালুল আ'মাল' গ্রন্থে কিছু সংযোজনের সাথে বর্ণিত হয়েছে। []

'তাহযিবুল আহকাম' গ্রন্থে এই দোয়া ইমাম বাকির (আ.) ও ইমাম সাদিক (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে।[] তবে অন্যান্য সূত্রে 'আস-সালিহীন' (সৎকর্মশীলদের) শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে এবং কোন নির্দিষ্ট ইমাম থেকে বর্ণিত হয়েছে তা উল্লেখ নেই।[]

বেশিরভাগ সূত্রে দোয়াটি বর্ণনাকালে 'ফুলানিবনি ফুলান' শব্দই ব্যবহৃত হয়েছে।[] ষষ্ঠ ও সপ্তম হিজরীর শিয়া মুহাদ্দিস সৈয়েদ ইবনে তাউস তার 'ইকবাল' গ্রন্থে 'ফুলানিবনি ফুলান'-এর স্থলে এভাবে উল্লেখ করেছেন: (اللَّهُمَ کُنْ لِوَلِیکَ الْقَائِمِ بِأَمْرِکِ الْحُجَّةِ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ الْمَهْدِی عَلَیهِ وَ عَلَی آبَائِهِ أَفْضَلُ الصَّلَاةِ وَ السَّلَامِ)। [] 'মিসবাহ' নামক গ্রন্থে কাফআমীও (مُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ الْمَهْدِی) শব্দ ব্যবহার করেছেন।[] একাদশ হিজরীর শিয়া মুহাদ্দিস মুহাম্মাদ তাকী মাজলিসী বলেছেন যে, দোয়ার বাহ্যিক শব্দাবলি প্রমাণ করে যে, 'ফুলানিবনি ফুলান'-এর স্থলে ইমাম মাহদী (আ.)-এর নাম বলা জায়েয; অবশ্য তাঁর উপাধি ব্যবহার করাই উত্তম।[] 'মাফাতীহুল জিনান' গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, 'ফুলানিবনি ফুলান'-এর স্থলে (الحُجَّةِ بْنِ الحَسَنِ) বলবে।[] কিছু ব্যক্তি এই কারণে যে, দোয়ায় 'ফুলানিবনি ফুলান' শব্দ রয়েছে, ধারণা করেন যে, এই দোয়া প্রত্যেক যুগের ইমামের জন্যই, শুধুমাত্র ইমাম মাহদী (আ.)-এর জন্য নির্দিষ্ট নয়।[১০]

পাঠের সময়

হাদিস অনুসারে, যদিও এই দোয়াটি ২৩শে রমজানের রাতের জন্য নির্দিষ্ট, এটি যেকোনো সময় এবং যেকোনো অবস্থায় পাঠ করা যেতে পারে; কারণ ২৩শে রমজানের রাতে যেকোনো অবস্থায় (দাঁড়িয়ে, বসে এবং সিজদায়) এই দোয়াটি পুনরাবৃত্তি করার কথা বলা হয়েছে, এবং প্রকৃতপক্ষে পুরো রমজান মাস জুড়ে এবং জীবনের প্রতিটি ‍মুহুর্তে।[১১] অতএব বলা হয়েছে যে, প্রতিদিন এবং নামাজের সময় এই দোয়াটি পুনরাবৃত্তি করা উচিত।[১২] আল্লাহর প্রশংসা এবং মহানবী (সাঃ) এর উপর দরুদ পাঠ করার পরে এই দোয়াটি পাঠ করার ব্যাপারে তাকিদ রয়েছে।[১৩]

বিষয়বস্তু

দোয়ায়ে 'আল্লহুম্মা কুন লি-ওয়ালীয়িকা'-তে বিভিন্ন বাক্যাংশে ইমামের সুস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করা হয়েছে।[১৪] এই দোয়ায় (ولیاً) অভিভাবক, (حافظاً) সংরক্ষক, (قائداً) নেতা, (ناصراً) সাহায্যকারী, (دلیلاً) পথপ্রদর্শক ও (عیناً) প্রহরী -এই ছয়টি শব্দের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে প্রার্থণা করা হয়েছে যে, তিনি যেন ইমামের অভিভাবক হন এবং তাকে তাঁর হিফাজত, নেতৃত্ব, সাহায্য ও তত্ত্বাবধানের অন্তর্ভুক্ত করেন।[১৫]

(فی هذه الساعة) এই মুহূর্তে, বাক্যাংশটি শবে কদর (২৩ রমজান)-এর দিকে ইঙ্গিত করে, আর (فی کل ساعة) (প্রতিটি সময়ে) বাক্যাংশটি ইমাম মাহদী (আ.)-এর জন্য সর্বদা দোয়া ও মনোযোগের প্রকাশক।[১৬]

অষ্টম হিজরীর শিয়া আলেম হাসান ইবনে সুলাইমান হিল্লীর মতে, "হাত্তা তুসকিনাহু আরদাকা তাও'আন" বাক্যাংশের উদ্দেশ্য হলো ইমাম মাহদী (আ.)-এর যুগে প্রকাশ ও তাঁর ক্ষমতায়নের সময়; কারণ গায়বাতের সময় তাঁর হক্ব বা অধিকার পদদলিত হয়েছে এবং মানুষের মধ্যে তিনি তাঁর হক্ব প্রকাশ করতে সক্ষম হন না।[১৭] তাঁর মতে, (تُمَتِّعَهُ فِیهَا طَوِیلًا) বাক্যাংশের উদ্দেশ্য হলো রাজ'আত (পুনরাগমন) এবং ইমাম মাহদী (আ.)-এর শাহাদাতের পর। মুহসিন কারাআতির মতে, (تُمَتِّعَهُ فِیهَا طَوِیلًا)-এর উদ্দেশ্য হলো ইমাম মাহদী (আ.)-এর বৈশ্বিক হুকুমাত দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কামনা।[১৮]

সনদ ও নির্ভরযোগ্যতা

দোয়ায়ে 'আল্লহুম্মা কুন লি-ওয়ালীয়িকা' হাদীসের উৎস ও দোয়ার কিতাবসমূহে শুধুমাত্র মুহাম্মাদ ইবনে ঈসা ইবনে উবাইদের সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।[১৯] তাঁর নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে হাদিস বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।[২০] নাজ্জাশী[২১] তাঁকে 'সিক্বা' (নির্ভরযোগ্য) বলেছেন এবং শেখ তুসী[২২] তাঁকে 'যাইফ' (দুর্বল) বলেছেন। আল্লামা হিল্লীর মতে, শক্তিশালি মত হলো, মুহাম্মাদ ইবনে ঈসার নির্ভরযোগ্যতা গ্রহণ করা।[২৩]

আল্লামা মাজলিসীর মতে, দোয়াটির সনদ 'মুরসাল'।[২৪] তবে মোহসেন কারাআতীর মতে, কিছু প্রমাণ যেমন: দোয়াটির 'আল-কাফী'[২৫] ও 'তাহযিবুল আহকাম'[২৬]-এ এবং 'আল-মাযারুল কাবীর' (ইবনে মাশহাদী), [২৭] 'আল-মিসবাহ' (কাফআমী)[২৮] ও 'ইকবালুল আ'মাল' (সৈয়েদ ইবনে তাউস)[২৯]-এর মতো নির্ভরযোগ্য কিতাবে বিদ্যমান থাকা, দোয়াটির বিষয়বস্তুর যৌক্তিক ও হাদীসভিত্তিক দিক দিয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া এবং এই দোয়ার সকল বাক্যাংশ অন্যান্য দোয়ায় বিদ্যমান থাকা—এসবই দোয়াটির নির্ভরযোগ্যতা ও সত্যতার দলিল।[৩০]

ইমামে যামান (আ.)-এর সুস্বাস্থ্যের জন্য দোয়া করার কারণ

মুহসিন কারাআতীর মতে, দ্বাদশ ইমাম অন্যান্য মা'সুম ইমাম (আ.)-এর মতোই প্রাকৃতিক জীবনযাপন করেন এবং তিনি রোগ-ব্যাধি ও সমস্যার সম্মুখীন হন। তাই তাঁর সুস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া ও সদকা করা উচিত।[৩১] তিনি দোয়া করার আরেকটি দিক এভাবে উল্লেখ করেছেন যে, ইমাম মাহদী (আ.)-কে হেফাযত ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করা তাঁর রিসালাতের পথ অব্যাহত রাখা ও ইমামতের কঠিন দায়িত্ব পালনের জন্য —তা গায়বাতের সময় হোক বা আবির্ভাবের সময়— প্রয়োজন; কারণ এতবড় দায়িত্ব বহন করতে বিশেষ হেফাযত ও আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহের প্রয়োজন।[৩২] এছাড়াও, ইমামগণ (আ.) থেকে বর্ণিত দোয়াসমূহেও ইমামে জামান (আ.)-এর সুস্বাস্থ্যের জন্য দোয়া করা হয়েছে।[৩৩]

স্বতন্ত্র গ্রন্থাবলি

মুহসিন কারাআতি এবং হাসান সালমাবাদীর প্রচেষ্টায় রচিত "শারহে দোয়ায়ে সালামাতিয়ে ইমামে যামান (আ.)" বইটিতে ইমাম যামান (আ.)-এর সুস্থতার জন্য দোয়-প্রার্থণার দলিল ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা হয়েছে। অতঃপর, লেখক দোয়ার শব্দ এবং বাক্যাংশগুলি ব্যাখ্যা করেছেন।[৩৪] বইটির শেষে, ইমাম (আ.)-এর সুস্থতার জন্য দোয়া পাঠের উপকারিতা এবং দোয়া কবুল হওয়ার শর্তাবলীও উল্লেখ করা হয়েছে।[৩৫] বইটির লেখক বিশ্বাস করেন যে, এই দোয়া ভুলক্রমে দোয়া-ই-ফারাজ নামে পরিচিত পেয়েছে।[৩৬] এই বইটি কোম শহরের প্রতিশ্রুত মাহদী (আ.)-এর সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

তথ্যসূত্র

  1. তুসি, মিসবাহুল-মুতাহাজ্জাদ, ১৪১১ হি., খ: ২, পৃ: ৬৩০-৬৩১।
  2. সাইয়্যেদ ইবনে তাউস, ইকবালুল আমাল, ১৪১৯ হি., খ; ১, পৃ; ৮৫।
  3. তুসি, তাহযিবুল আহকাম, ১৪০৭ হি., খ: ৩, পৃ; ১০২-১০৩।
  4. তুসি, মিসবাহুল-মুতাহাজ্জাদ, ১৪১১ হি., খ: ২, পৃ: ৬৩০-৬৩১ ও কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খ: ৬, পৃ: ১৬২।
  5. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খ: ৪, পৃ: ১৬২; তুসি, তাহযিবুল আহকাম, ১৪০৭ হি., খ: ৩, পৃ; ১০৩ ও তুসি, মিসবাহুল-মুতাহাজ্জাদ, ১৪১১ হি., খ: ২, পৃ: ৬৩০-৬৩১।
  6. সাইয়্যেদ ইবনে তাউস, ইকবালুল আমাল, ১৪১৯ হি., খ; ১, পৃ; ৮৫।
  7. কাফআমি, আল-মিসবাহ, ১৪০৫ হি., পৃ: ৫৮৬।
  8. মাজলিসি, রাওযাতুল-মুত্তাকিন ফি শারহি মান লা ইয়াহযুরুহুল ফাকিহ, ১৪০৬ হি., খ: ৩, পৃ; ৪৪৯।
  9. কুম্মী, মাফাতিহুল-জিনান, মাজমায়ে ইহইয়ায়ে আস্-মিকাফাতুল ইসলামিয়া, পৃ: ৩০৭।
  10. কারাআতি, শারহে দোয়া-ই সালামতিয়ে ইমামে জামান (আজ.), ১৩৯৩(ফার্সি সন), পৃ; ৪৮।
  11. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খ: ৪, পৃ; ১৬২; তুসি, তাহযিবুল আহকাম, ১৪০৭ হি., খ: ৩, পৃ: ১০২-১০৩; তুসি, মিসবাহুল-মুতাহাজ্জাদ, ১৪১১ হি., খ: ২, পৃ; ৬৩০; ইবনে মাশহাদি, আল-মাযারুল কাবির, ১৪১৯ হি., পৃ: ৬১২; কাফআমি, আল-মিসবাহ, ১৪০৫ হি., পৃ; ৬১২ ও সাইয়্যেদ ইবনে তাউস, ইকবালুল আমাল, ১৪১৯ হি., খ: ১, পৃ: ৮৫।
  12. কারাআতি, শারহে দোয়া-ই সালামতিয়ে ইমামে জামান (আজ.), ১৩৯৩(ফার্সি সন), পৃ: ৩৫-৩৬।
  13. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খ: ৪, পৃ; ১৬২; তুসি, তাহযিবুল আহকাম, ১৪০৭ হি., খ: ৩, পৃ: ১০২-১০৩; তুসি, মিসবাহুল-মুতাহাজ্জাদ, ১৪১১ হি., খ: ২, পৃ; ৬৩০; ইবনে মাশহাদি, আল-মাযারুল কাবির, ১৪১৯ হি., পৃ: ৬১২; কাফআমি,বালাদুল আমিন ওয়া দুরাউল হাসিন, ১৪১৮ হি., পৃ: ২০৩ ও সাইয়্যেদ ইবনে তাউস, ইকবালুল আমাল, ১৪১৯ হি., খ: ১, পৃ: ৮৫।
  14. কারাআতি, শারহে দোয়া-ই সালামতিয়ে ইমামে জামান (আজ.), ১৩৯৩(ফার্সি সন), পৃ: ৬১।
  15. কারাআতি, শারহে দোয়া-ই সালামতিয়ে ইমামে জামান (আজ.), ১৩৯৩(ফার্সি সন), পৃ: ৬১।
  16. কারাআতি, শারহে দোয়া-ই সালামতিয়ে ইমামে জামান (আজ.), ১৩৯৩(ফার্সি সন), পৃ: ৫৭।
  17. হিল্লি, মুখতাসার আল-বাসাইর, ১৪২১ হি., পৃ; ৪৬০।
  18. কারাআতি, শারহে দোয়া-ই সালামতিয়ে ইমামে জামান (আজ.), ১৩৯৩(ফার্সি সন), পৃ: ৭৮-৯১।
  19. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খ: ৪, পৃ; ১৬২; তুসি, তাহযিবুল আহকাম, ১৪০৭ হি., খ: ৩, পৃ: ১০২-১০৩; তুসি, মিসবাহুল-মুতাহাজ্জাদ, ১৪১১ হি., খ: ২, পৃ; ৬৩০; ইবনে মাশহাদি, আল-মাযারুল কাবির, ১৪১৯ হি., পৃ: ৬১২ ও সাইয়্যেদ ইবনে তাউস, ইকবালুল আমাল, ১৪১৯ হি., খ: ১, পৃ: ৮৫।
  20. আল্লামা হিল্লি, রিজালে আল্লামা হিল্লি, ১৪১১ হি., পৃ; ১৪২।
  21. নাজ্জাশী, রিজালে নাজ্জাশী, ১৩৬৫ (ফার্সি সন), পৃ: ৩৩৩।
  22. তুসী, রিজালে তুসি, ১৩৭৩ (ফার্সি সন), পৃ: ৩৯১।
  23. আল্লামা হিল্লি, রিজালে আল্লামা হিল্লি, ১৪১১ হি., পৃ; ১৪২।
  24. মাজলিসি, মালাযুল আখইয়ার ফি ফাহমি তাহজিবুল আখবার, ১৪০৬ হি., খ: ৫, পৃ; ১০৬ ও মাজলিসি, মিরআতুল উকুল ফি শারহি আখবারি আলি রাসুল, ১৪০৪ হি., খ: ১৬, পৃ; ৩৯৪।
  25. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খ: ৪, পৃ; ১৬২।
  26. তুসি, তাহজিবুল আহকাম, ১৪০৭ হি., খ: ৩, পৃ; ১০২।
  27. ইবনে মাশহাদি, আল-মাযার আল-কাবির, ১৪১৯ হি., পৃ: ৬১২।
  28. কাফআমী, আল-মিসবাহ, ১৪০৫ হি., পৃ: ৫৮৬।
  29. সাইয়্যেদ ইবনে তাউস, ইকবালুল আমাল, ১৪১৯ হি. খ: ১, পৃ; ৮৫।
  30. কারাআতি, শারহে দোয়া-ই সালামতিয়ে ইমামে জামান (আজ.), ১৩৯৩(ফার্সি সন), পৃ; ২৬-২৯।
  31. কারাআতি, শারহে দোয়া-ই সালামতিয়ে ইমামে জামান (আজ.), ১৩৯৩(ফার্সি সন), পৃ; ৬২।
  32. কারাআতি, শারহে দোয়া-ই সালামতিয়ে ইমামে জামান (আজ.), ১৩৯৩(ফার্সি সন), পৃ; ৬৭।
  33. তুসী, মিসবাহুল-মুতাহাজ্জাদ, ১৪১১ হি., খ: ১, পৃ: ৪০৯ ও ৪১৩ এবং খ: ২, পৃ: ৪০৫।
  34. কারাআতি, শারহে দোয়া-ই সালামতিয়ে ইমামে জামান (আজ.), ১৩৯৩(ফার্সি সন), পৃ; ৫ ও ৬।
  35. কারাআতি, শারহে দোয়া-ই সালামতিয়ে ইমামে জামান (আজ.), ১৩৯৩(ফার্সি সন), পৃ; ৯৩-১০৩।
  36. কারাআতি, শারহে দোয়া-ই সালামতিয়ে ইমামে জামান (আজ.), ১৩৯৩(ফার্সি সন), পৃ; ৭।

গ্রন্থপঞ্জি

  • ইবনে মাশহাদি, মুহাম্মাদ ইবনে জাফর, আল-মাযার আল-কাবির, তাহকিক ও তাসহিহ: জাওয়াদ কাইয়্যুমি ইস্পাহানি, কোম, দাফতারে নাশরে ইসলামি, প্রথম প্রকাশ, ১৪১৯ হি.,
  • হিল্লি, হাসান সুলাইমান ইবনে মুহাম্মাদ, মুখতাসার আল-বাসাইর, তাহকিক ও তাসহিহ: মুযাফ্ফার, কোম, দাফতারে নাশরে ইসলামি, প্রথম প্রকাশ, ১৪২১ হি.,
  • সাইয়্যেদ ইবনে তাউস, আলি ইবনে মুসা, ইকবালুল আমাল, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়া, দ্বিতীয় প্রকাশ, ১৪১৯ হি.,
  • তুসী, মুহাম্মাদ ইবন হাসান, তাহযিবুল আহকাম, তাহকিক ও তাসহিহ: হাসান মুসাভী খুরসান, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়া, চতুর্থ প্রকাশ, ১৪০৭ হি.,
  • তুসী, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, রিজালে তুসি, তাহকিক ও তাসহিহ: জাওয়াদ কাইয়্যুমি ইস্পাহানি, কোম, দাফতারে নাশরে ইসলামি, তৃতীয় প্রকাশ, ১৩৭৩ (ফার্সি সন),
  • তুসী, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, মিসবাহুল-মুতাহাজ্জাদ, বৈরুত, মুয়াসসেসেয়ে ফিকহে শিয়া, প্রথম প্রকাশ, ১৪১১ হি.,
  • আল্লামা হিল্লি, হাসান ইবনে ইউসুফ ইবনে মুতাহহার, রিজালে আল্লামা হিল্লি, তাহকিক ও তাসহিহ: মুহাম্মাদ সাদিক বাহরুল-উলুম, নাজাফ, দারু আয্-যাখাইর, তৃতীয় প্রকাশ, ১৪১১ হি.,
  • কারাআতি, মুহসিন, শারহে দোয়া-ই সালাোতিয়ে ইমামে জামান (আজ.), বেকুশেশে হাসান সালামআবাদি, কোম, বুনিয়াদে ফারহাঙ্গে হযরত মাহদী মাওউদ (আজ.), ১৩৯৩(ফার্সি সন),
  • কাফআমী, ইবরাহিম ইবনে আলি আমেলী, আল-বালাদুল আমিন ওয়া দুরাউল হাসিন, বৈরুত, মুয়াসসাসাতুল আলামি, প্রথম প্রকাশ, ১৪১৮ হি.,
  • কাফআমী, ইবরাহিম ইবনে আলি আমেলী, আল-মিসবাহ, কোম, দারু আল-রিযা, দ্বিতীয় প্রকাশ, ১৪০৫ হি.,
  • কুলাইনি, মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব, আল-কাফি; তাহকিক ও তাসহিহ: আলি আকবর গাফ্ফারি ও মুহাম্মাদ আখুন্দী, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়া, চতুর্থ প্রকাশ, ১৪০৭ হি.,
  • মাজলিসি, মুহাম্মাদ বাকির, মিরআতুল উকুল ফি শারহি আখবারি আলি রাসুল; তাহকিক: সাইয়্যেদ হাশেম রাসুলি মাহাল্লাতী, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়া, দ্বিতীয় প্রকাশ, ১৪০৪ হি.,
  • মাজলিসি, মুহাম্মাদ বাকির, মালাযুল আখইয়ার ফি ফাহমি তাহজিবুল আখবার; তাহকিক: মাহদী রাজাঈ, কোম, কিতাবখানায়ে আয়াতুল্লাহ মারআশি নাজাফি, প্রথম প্রকাশ, ১৪০৬ হি.,
  • মাজলিসি, মুহাম্মাদ তাকি, রাওযাতুল-মুত্তাকিন ফি শারহি মান লা ইয়াহযুরুহুল ফাকিহ; তাহকিক ও তাসহিহ: হুসাইন মুসাভী কেরমানি ও আলিপানাহ ইশতিহারদী, কোম, মুয়াসসেসেয়ে ফারহাঙ্গিয়ে ইসলামি কুশানপুর, দ্বিতীয় প্রকাশ, ১৪০৬ হি.,
  • নাজ্জাশী, আহমাদ ইবনে আলি, রিজালে নাজ্জাশী, কোম, দাফতারে নাশরে ইসলামি, ষষ্ঠ প্রকাশ, ১৩৬৫ (ফার্সি সন),
  • কুম্মী, শেইখ আব্বাস, মাফাতিহুল-জিনান, মাজমায়ে ইহইয়ায়ে আস্-মিকাফাতুল ইসলামিয়া...।