বিষয়বস্তুতে চলুন

তালুত

wikishia থেকে

তালুত (আরবি: طالوت) ছিলেন বনী ইসরাঈলের বাদশাহ , যিনি ইয়াকুব (আ.)-এর পুত্র বিনইয়ামিনের বংশধর ছিলেন। তালুতকে জ্ঞানী ও দৈহিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহর নির্দেশে তালূত বনী ইসরাঈলের বাদশাহ নির্বাচিত হন। তালূতের দ্বারা বনী ইসরাঈলের সৈন্যদের পরীক্ষার ঘটনা কুরআনে বর্ণিত হয়েছে। কিছু বর্ণনা অনুযায়ী, হযরত দাউদ (আ.) তালূতের জামাতা ছিলেন। গবেষকদের মতে, তালূতের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ওল্ড টেস্টামেন্টে 'শাউল' নামে উল্লিখিত হয়েছে; কিন্তু শাউলের জন্য বর্ণিত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলো কুরআনে বর্ণিত তালূতের চিত্র থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।

জীবনবৃত্তান্ত

তালুত, যাকে 'শাউল',[] 'শারক' ও 'সাভা'[] নামেও অভিহিত করা হয়, তিনি ছিলেন হযরত ইয়াকুব (আ.)-এর পুত্র বিনইয়ামিনের বংশধর। তাঁর পিতার নাম 'কায়েস'[৪] ও 'আমাল'[১] বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, দীর্ঘকায় শরীরের জন্য তাঁকে 'তালূত' নামে ডাকা হত।[১] তালুতের নাম পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারার ২৪৭ ও ২৪৯ নং আয়াতে উল্লেখিত হয়েছে এবং তাঁর কাহিনীও একই সূরার[] মোট ৬টি আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে।[] কুরআন তালুতকে জ্ঞানবান ও দৈহিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী হিসেবে চিত্রিত করে।[] তাওরাতও তাঁকে দীর্ঘকায় ও সুদর্শন হিসেবে বর্ণনা করে।[] তাওরাতে তালুতকে 'শাউল' নামে উল্লেখ করা হয়েছে।[] তালূত হযরত মুসা (আ.)-এর পরবর্তী সময়ে প্রায় পাঁচশত বছর জীবিত ছিলেন।[]

তালুতের পেশা সম্পর্কে বিভিন্ন মতবাদ প্রচলিত আছে। কারও কারও মতে, তিনি ছিলেন রাখাল[], একাংশের মতে, তিনি ছিলেন চামড়া প্রস্তুতকারক (দাব্বাগ)[১০], আবার কেউ কেউ মনে করেন, তিনি ছিলেন পানি বিক্রেতা।[১১] কিছু কিছু গবেষকের মতে, তিনি ছিলেন দরিদ্র[১২], তবে এই বিষয়ে মতবিরোধ বিদ্যমান রয়েছে।[১৩] তালুতের জামানায়, এক বিরাট যুদ্ধ শুরু হয়। তালুত প্রতিশ্রুতি প্রদান করে যে, যে কেউ শত্রু বাহিনীর সর্বশ্রেষ্ঠ বীর জালুতকে হত্যা করবে, তাকে তার সম্পদের অর্ধেক প্রদান করা হবে এবং তাকে তার মেয়েকে তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করা হবে।[১৪] সেই যুদ্ধে, হযরত দাউদ জালুতকে হত্যা করতে সক্ষম হন[১৫] এবং তালুতের অর্ধেক সম্পদ লাভ করেন এবং তার জামাতা হন।[১৬]

ইন্তেকাল

কিছু কিছু সূত্র অনুযায়ী, তালূত তার জীবনের শেষ দিকে হযরত দাউদ (আ.)-এর প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠেন এবং তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে কিছু ঘটনার পর তিনি তার এই সিদ্ধান্তের জন্য অনুতপ্ত হন এবং তওবা করেন। তালূত তার তওবা কবুল হওয়ার জন্য স্বীয় পুত্রদের সাথে জিহাদে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধে তার পুত্ররা নিহত হলে তিনি নিজেই যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হন এবং নিহত হন।[১৭] অপর কিছু সূত্র অনুসারে, তালূত স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যুবরণ করেন এবং ঘুমন্ত অবস্থায়ই তার ইন্তেকাল হয়।[১৮]

রাজত্ব

বনী ইসরাঈল তাদের যুগের নবীর নিকট আবেদন জানায় যে, তিনি যেন তাদের জন্য একজন রাজা নির্ধারণ করেন, যাতে তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করতে পারে।[১৯] ঐ নবী আল্লাহর নির্দেশে তালূতকে রাজা হিসেবে নির্বাচিত করেন।[২০] বনী ইসরাঈল এই নির্বাচনের বিরুদ্ধে আপত্তি জানায়।[২১] কিন্তু শেষ পর্যন্ত তালূত বনী ইসরাঈলের রাজা হন।[২২] কেউ কেউ তালূতকে বনী ইসরাঈলের প্রথম রাজা হিসেবে উল্লেখ করেছে।[২৩] তিনি বনী ইসরাঈলের উপর বিশ বছর[২৪]বা চল্লিশ বছর[২৫] রাজত্ব করেন। মাসুদীর বর্ণনা অনুযায়ী, তালূতের রাজত্বকাল ছিল মূসা ও বনী ইসরাঈলের মিসর থেকে বের হওয়ার ৫৭২ বছর পর।[২৬]

বনী ইসরাঈলের আপত্তি

তালুতের নির্বাচন সম্পর্কে বনী ইসরাঈলের দুটি আপত্তি ছিল।

  • কুরআন প্রথম আপত্তিটি সাধারণভাবে উল্লেখ করেছে যে, বনী ইসরাঈলের কেউ কেউ বিশ্বাস করত যে, রাজত্বের জন্য তারা তালুতের চেয়ে অধিক যোগ্য ছিল।[২৭] তাফসিরবিদগণ এই কথার কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন যে, বনী ইসরাঈলের নবীগণ ছিলেন ইয়াকুব (আ.)-এর পুত্র লেভির বংশধর এবং বাদশাহগণ ছিলেন ইয়াকুব (আ.)-এর পুত্র ইয়াহুদার বংশধর। তালুত বিনইয়ামিনের বংশধর হওয়ায়, স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী তিনি রাজা হতে পারতেন না এবং এটিই কিছু মানুষের আপত্তির কারণ হয়।[২৮] ইমাম বাকির (আ.)-এর একটি বর্ণনাও এই বিষয়টি নিশ্চিত করে।[২৯]
  • বনী ইসরাঈল বিশ্বাস করত যে তালুতের আর্থিক সামর্থ্য তেমন নেই এবং এই ব্যাপারটিই তাদের মধ্যে তালুতের নির্বাচন নিয়ে আপত্তির সৃষ্টি করেছিল।[৩০]

এই আপত্তিগুলোর বিপরীতে, আল্লাহর নবী তালুতকে রাজত্বের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে মনোনীত হিসেবে মনে করেন এবং তার জ্ঞান ও শারীরিক শক্তিকে এই নির্বাচনের কারণ হিসাবে উল্লেখ করেন।[৩১] তার রাজত্বের নিদর্শন হিসেবে বনী ইসরাঈলের কাছে রহস্যময় চুক্তির সিন্দুকের (তাবুতে সাকিনা) আগমনকে জ্ঞান করা হয়েছে।[৩২]

তালুতের সৈন্যদের পানি পান করার মাধ্যমে পরীক্ষা

যখন তালুত বনী ইসরাঈলের সৈন্যবাহিনী নিয়ে যুদ্ধের জন্য অগ্রসর হচ্ছিলেন, তখন আল্লাহর নির্দেশে তিনি তাঁর সৈন্যদের পরীক্ষা করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।[৩৩] তালুত তৃষ্ণার্ত সৈন্যদেরকে নির্দেশ দিলেন: "যখন তোমরা নদীর কাছে পৌঁছাবে,[৩৪] তখন এক মুঠোর বেশি পানি পান করো না। যে ব্যক্তি এর বেশি পান করবে, সে আমার সৈন্যবাহিনীর সাথে থাকার অনুমতি হারাবে।" অধিকাংশ সৈন্য এই নির্দেশ অমান্য করল[৩৫] এবং তালুত -এর সাথে থাকা শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকল।[৩৬] কিছু কিছু মুফাসসির এই অবাধ্য সৈন্যদের সংখ্যা কয়েক হাজার বলে উল্লেখ করেছেন।[৩৭]

ইমাম বাকের (আ.) বর্ণনা করেছেন যে, যারা এই ইলাহী পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছিল, তাদের সংখ্যা ছিল তিনশত তেরোজন।[৩৮] এই পরীক্ষার পেছনে অনেক বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে।[৩৯]

ওল্ড টেস্টামেন্টে তালূত

গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে কুরআনে উল্লিখিত তালুত হচ্ছেন ওল্ড টেস্টামেন্টের শাউল।[৪০] এছাড়াও, ইহুদিদের পবিত্র গ্রন্থ সম্পর্কিত বিচারকদের বইয়ে একটি গল্প বর্ণনা করা হয়েছে যা এই কুরআনের গল্পের সাথে অত্যন্ত সাদৃশ্যপূর্ণ। তবে, এই গল্পটি জিদিয়োন নামক এক ব্যক্তির সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। [৪১]

কুরআনে তালুত ও ওল্ড টেস্টামেন্টে শাউলের মধ্যে সঙ্গতি

ওল্ড টেস্টামেন্টের বর্ণনা অনুসারে, স্যামুয়েল (اشموئیل) তার জীবনের শেষ দিকে তার পুত্রদেরকে তার উত্তরসূরি হিসেবে ঘোষণা করেন; কিন্তু তারা মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার করত এবং তাদের কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণ করতো।[৪২] এই কারণে, বনি ইসরাঈল তাকে তাদের জন্য একজন রাজার নাম ঘোষণা করতে অনুরোধ করে।[৪৩] এই গবেষকদের মতে, ওল্ড টেস্টামেন্টের বর্ণনা অনুসারে, আল্লাহ্ বনি ইসরাঈলের একজন রাজা নিয়োগের অনুরোধে অসন্তুষ্ট ছিলেন এবং এটিকে তাঁর রাজত্বের পরিধি থেকে বনি ইসরাঈলের প্রস্থান হিসাবে বিবেচনা করতেন।[৪৪]

কুরআন ও ওল্ড টেস্টামেন্টের বর্ণনায় তালূতের আচরণের পার্থক্য

যদিও ওল্ড টেস্টামেন্টে শাঊলকে একজন নবী হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও এর বর্ণনানুসারে, তিনি মাঝে মাঝে এমন কিছু কাজে লিপ্ত হন যা আল্লাহর নিকট পছন্দনীয় নয়।[৪৫]উদাহরণস্বরূপ, তিনি আল্লাহর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জালুতীদের বাড়ি-ঘর ধ্বংস ও আগুনে পোড়ানো থেকে বিরত থাকেন।[৪৬] এছাড়াও আল্লাহ যখন দাউদকে বনি ইসরাঈলের রাজা হিসেবে মনোনীত করেন, তখন তালূত তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হন এবং মূলত এই কারণেই তাকে যুদ্ধের ময়দানে সামনের কাতারে প্রেরণ করেন।[৪৭] পরিণামে শাঊল ফিলিস্তিনীদের নিকট পরাজিত হন এবং আত্মহত্যা করেন।[৪৮] গবেষকদের দৃষ্টিতে, ওল্ড টেস্টামেন্টের বিপরীতে কুরআন কখনোই আল্লাহর নির্বাচিত ব্যক্তিদের প্রতি দোষারোপ করে না; বরং তাদেরকে 'ইসমাত' বা নিষ্পাপতার মর্যাদায় ভূষিত করে।[৪৯]এছাড়াও, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনে সেনাপতির অনুরোধকে অপ্রীতিকর হিসেবে গণ্য করেন না।[৫০] অতএব, কুরআনের বিবরণ অনুযায়ী, তালুত সমগ্র মানবজাতির জন্য আল্লাহর একটি ঐশ্বরিক উপহার এবং ওল্ড টেস্টামেন্টের বর্ণনার বিপরীতে, ফিলিস্তিনী ভূখণ্ড ধ্বংস করার কোনো নির্দেশ নেই।[৫১] এই ভিত্তিতে, কুরআনের তালূতকে স্থান-কাল নির্বিশেষে একজন প্রজ্ঞাবান ও কল্যাণকামী ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। অথচ ওল্ড টেস্টামেন্টের বর্ণনা অনুসারে, তিনি একটি ঐতিহাসিক আদর্শ হতে পারেন না।[৫২]

তথ্যসূত্র

  1. ইবনে আসাকির, তারিখ মাদীনাতি দামেস্ক, ১৪১৫ হি. খণ্ড ২৪, পৃ. ৪৩৬।
  2. নূরীহা, “তালুত”, ১৩৯৬ ফার্সি সন, পৃ. ৮৮৬।
  3. সূরা বাকারা, আয়াত ২৪৭-২৫১।
  4. নূরীহা, “তালুত”, ১৩৯৬ ফার্সি সন, পৃ. ৮৮৭।
  5. সূরা বাকার, আয়াত ২৪৭।
  6. স্যামুয়েল১, ৯:২।
  7. নূরীহা, “তালুত”, ১৩৯৬ ফার্সি সন, পৃ. ৮৮৭।
  8. মাসউদি, মুরুজুয যাহাব, ১৪০৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৬৭।
  9. ইবনে কুতাইবা, আল-মাআরেফ, ১৯৯২ খ্রি., পৃ. ৪৫।
  10. মাসউদি, মুরুজুয যাহাব, ১৪০৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৬৭।
  11. তারিখ মাদীনাতি দামেস্ক, ১৪১৫ হি. খণ্ড ২৪, পৃ. ৪৪০।
  12. ইবনে কুতাইবা, আল-মাআরেফ, ১৯৯২ খ্রি., পৃ. ৪৫।
  13. রশিদ রেযা, তাফসীরুল মানার, ১৯৯০ খ্রি., খণ্ড ২, পৃ. ৩৭৮।
  14. ইবনে আসাকির, তারিখ মাদীনাতি দামেস্ক, ১৪১৫ হি. খণ্ড ১৭, পৃ. ৮১।
  15. সূরা বাকারা, আয়াত ২৫১।
  16. ইবনে আসাকির, তারিখ মাদীনাতি দামেস্ক, ১৪১৫ হি. খণ্ড ১৭, পৃ. ৮৩।
  17. ইবনে আসির, আল-কামিল, ১৩৮৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২২১।
  18. মাসউদি, মুরুজুয যাহাব, ১৪০৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৬৯।
  19. সূরা বাকারা, আয়াত ২৪৬।
  20. মুস্তাফাভি, আত তাহকিক, ১৩৬০ ফার্সি সন, খণ্ড ৭, পৃ. ১০২।
  21. সূরা বাকারা, আয়াত ২৪৭।
  22. তাওফিকি, অশনায়ী বা আদইয়ানে বুযুর্গ, ১৩৮৬ ফার্সি সন, পৃ. ৮৬।
  23. বালাগি, হুজ্জাতুত তাফাসীর ওয়া বালাগুল ইকসির, ১৩৮৬ হি., পৃ. ৪১৯।
  24. মাসউদি, মুরুজুয যাহাব, ১৪০৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৬৯।
  25. ইবনে আসির, আল-কামিল, ১৩৮৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২২২।
  26. মাসউদি, মুরুজুয যাহাব, ১৪০৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৬৭।
  27. সূরা বাকারা, আয়াত ২৪৭।
  28. ফাখরে রাযি, মাফাতিহুল গায়েব, ১৪২০ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ৫০৪।
  29. আইয়াশি, আত তাফসীর, ১৩৮০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৩৩।
  30. সূরা বাকারা, আয়াত ২৪৭।
  31. মাকারেম শিরাজী, তাফসীরে নেমুনে, ১৩৭৪ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ২৩৮।
  32. সূরা বাকারা, আয়াত ২৪৮।
  33. মাকারেম শিরাজী, তাফসীরে নেমুনে, ১৩৭৪ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ২৪৩।
  34. তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ৬১৭।
  35. সূরা বাকারা, আয়াত ২৪৯।
  36. তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৪১৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২৯৩।
  37. শুব্বার, তাফসীরুল কুরআনিল কারিম, ১৪১২ হি., পৃ. ৭৮।
  38. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ৩১৬।
  39. ফাখরে রাযি, মাফাতিহুল গায়েব, ১৪২০ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ৫০৯।
  40. নে’মাতি পীর আলী, দেল আরা “বাররাসিয়ে তাতবিকি দাস্তানে তালুত দার কুরআন ওয়া আহাদে আতিক”, পৃ. ৯।
  41. কিতাবে মুকাদ্দাস, দাভারান, অধ্যায় ৭, ৫-৭।
  42. কাদকানি ও মেইবদি, “বাররাসিয়ে তাতবিকি ইন্তেখাবে তালুত...”, পৃ. ১৬৬।
  43. কাদকানি ও মেইবদি, “বাররাসিয়ে তাতবিকি ইন্তেখাবে তালুত...”, পৃ. ১৬৬।
  44. নে’মাতি পীর আলী, দেল আরা “বাররাসিয়ে তাতবিকি দাস্তানে তালুত দার কুরআন ওয়া আহাদে আতিক”, পৃ. ২১।
  45. নে’মাতি পীর আলী, দেল আরা “বাররাসিয়ে তাতবিকি দাস্তানে তালুত দার কুরআন ওয়া আহাদে আতিক”, পৃ. ১০-১২।
  46. নে’মাতি পীর আলী, দেল আরা “বাররাসিয়ে তাতবিকি দাস্তানে তালুত দার কুরআন ওয়া আহাদে আতিক”, পৃ. ১২।
  47. নে’মাতি পীর আলী, দেল আরা “বাররাসিয়ে তাতবিকি দাস্তানে তালুত দার কুরআন ওয়া আহাদে আতিক”, পৃ. ১২।
  48. নে’মাতি পীর আলী, দেল আরা “বাররাসিয়ে তাতবিকি দাস্তানে তালুত দার কুরআন ওয়া আহাদে আতিক”, পৃ. ১২।
  49. কাদকানি ও মেইবদি, “বাররাসিয়ে তাতবিকি ইন্তেখাবে তালুত...”, পৃ. ১৬৪।
  50. কাদকানি ও মেইবদি, “বাররাসিয়ে তাতবিকি ইন্তেখাবে তালুত...”, পৃ. ১৬৮।
  51. নে’মাতি পীর আলী, দেল আরা “বাররাসিয়ে তাতবিকি দাস্তানে তালুত দার কুরআন ওয়া আহাদে আতিক”, পৃ. ২১।
  52. নে’মাতি পীর আলী, দেল আরা “বাররাসিয়ে তাতবিকি দাস্তানে তালুত দার কুরআন ওয়া আহাদে আতিক”, পৃ. ২১।

গ্রন্থপঞ্জি

  • ইবনে আসির জাযরি, আলী ইবনে মুহাম্মদ, আল-কামিল ফি আল-তারিখ, বৈরুত, দার সাদের, ১৩৮৫ হিজরি।
  • ইবনে আসাকির, আলী ইবনে হাসান, তারিখ মদিনাতি দামেস্ক, বৈরুত, দার আল-ফিকর, ১৪১৫ হিজরি।
  • ইবনে কুতাইবা, আবদুল্লাহ ইবনে মুসলিম, আল-মাআরেফ, তাহকিক: আকাশাতু সারওয়াত, কায়রো, আল-হাইয়াতুল মিসরিয়্যাতিল আম্মাতি লিল কিতাব, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৯৯২ খ্রি.।
  • তৌফিকী, হুসাইন, অশনায়ী বা আদইয়ানে বুযুর্গ, তেহরান, সামত, ১৩৮৬ ফার্সি সন।
  • রশিদ রেজা, তাফসীর আল-মানার, কায়রো, আল-হাইয়াতুল মিসরিয়্যাতিল আম্মাতি লিল কিতাব, ১৯৯০ খ্রি.।
  • শুববার, সাইয়্যিদ আবদুল্লাহ, তাফসীর আল-কুরআন আল-করিম, বৈরুত, দারুল বালাগা লিত তাবাআহ ওয়ান নাশর, প্রথম সংস্করণ, ১৪১২ হিজরি।
  • তাবাতাবায়ী, সাইয়্যিদ মুহাম্মদ হুসাইন, আল-মিযান ফি তাফসীর আল-কুরআন, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামি, পঞ্চম সংস্করণ, ১৪১৭ হিজরি।
  • তাবারসি, ফাযল ইবনে হাসান, মাজমা’ আল-বায়ান ফি তাফসীর আল-কুরআন, মুকাদ্দামা: মুহাম্মদ জাওয়াদ বালাগী, তেহরান, নাসের খসরু, ৩য় সংস্করণ, ১৩৭২ ফার্সি সন।
  • আইয়াশি, মুহাম্মদ ইবনে মাসউদ, আল-তাফসীর, গবেষক এবং সংশোধনকারী: রাসুলি মাহাল্লাতি, হাশেম, তেহরান, আল-মাতবাআ আল-ইলামিয়া, ১ম সংস্করণ, ১৯৮০ হি.।
  • ফাখরে রাযী, আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে ওমর, মাফাতিহুল গায়েব, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, ৩য় সংস্করণ, ১৪২০ হি.।
  • কাদকানি, হাশেম; ফাকির মেইবদি, মুহাম্মদ, “বাররাসি তাতবিকি ইন্তেখাবে তালুত বে ওনওয়ানে পাদশাহে বনী ইসরাঈল দার তাফসীরে কুরআন ওয়া আহাদে আতিক”, মুতালেআতে তাফসীরি, সংখ্যা ৩৩, বাহার ১৩৯৭ ফার্সি সন।
  • কুলাইনি, মুহাম্মদ ইবনে ইয়াকুব, আল-কাফি, গবেষক ও সংশোধনকারী: আলী আকবর গাফফারি, আখুন্দি, মুহাম্মদ, তেহরান, দার আল-কুতুব আল-ইসলামিয়া, ৪র্থ সংস্করণ, ১৪০৭ হিজরি।
  • মাজলিসী, মুহাম্মদ বাকির, বিহারুল আনওয়ার, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৩ হিজরি।
  • মাসউদি, আবুল হাসান আলী ইবন আল-হুসেইন, মুরুজ আল-যাহাব ওয়া মাআদেন আল-জাওহার, তাহকিক: আসাদ দাগের, কোম, দার আল-হিজর, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৯ হিজরি।
  • মুস্তাফাভী, হাসান, আত তাহকিক ফি কালিমাতিল কুরআন আল-কারিম, তেহরান, বোনগাহে তারজমে ওয়া নাশরে কিতাব, ১৩৬০ ফার্সি সন।
  • মাকারেম শিরাজী, নাসের, তাফসীরে নেমুনে, তেহরান, দার আল-কুতুব আল-ইসলামিয়া, প্রথম সংস্করণ, ১৩৭৪ হিজরি।
  • নে’মাতি পীর আলী, দেল আরা, “বাররাসি তাতবিকি দাস্তানে তালুত দার কুরআন ওয়া আহাদে আতিক”, মারেফাতে আদইয়ান, সংখ্যা ৩৭, যেমেস্তান ১৩৯৭ ফার্সি সন।
  • নূরীহা, “তালুত”, দানেশ নামেয়ে মাআসেরে কুরআনে কারিম, সারপারাস্তে ইলমি: সাইয়্যেদ সালমান সাফাভি, কোম, সালমান আজাদেহ, ১৩৯৬ ফার্সি সন।