ছিদ্রান্বেষণ

wikishia থেকে

ছিদ্রান্বেষণ; অন্যের দোষ খোঁজা এবং তার উপস্থিতি বা অনুপস্থিতিতে সেগুলো চর্চা করা। কারো সাথে কোন দোষ বা ত্রুটি সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে দোষ অনুসন্ধানকারীর উদ্দেশ্য হল প্রতিপক্ষকে ভর্ৎসনা করা, হেয় করা, লাঞ্ছিত করা এবং উপহাস করা ইত্যাদি...।

অন্যের দোষ-ত্রুটি অনুসন্ধান; একটি নিকৃষ্ট ও অপছন্দনীয় নৈতিক বৈশিষ্ট, যা হারাম। তবে জুলুমের শিকার কোন ব্যক্তি যদি কাজটি করে সেক্ষেত্রে বিষয়টি ব্যতিক্রম। পবিত্র কুরআনে এ অপছন্দনীয় বৈশিষ্ট্য যে সকল কুফল বয়ে আনে তা সম্পর্কে যা কিছু উল্লেখ হয়েছে তম্মধ্যে কৃপণতা, গুনাহ, কুফর এবং প্রাণপণ দিয়ে সম্পদ সংগ্রহ করা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া রেওয়ায়েতসমূহেও ‘ছিদ্রান্বেষণ’ এবং এ সংশ্লিষ্ট পাপ থেকে দূরে থাকার প্রতি তাগিদ করা হয়েছে। নিকৃষ্ট এ বৈশিষ্ট্যের যেসকল কুপ্রভাব রেওয়ায়েতে উল্লেখিত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে ছিদ্রান্বেষী ব্যক্তির একই দোষে দোষী হওয়া, কুফরের সীমানায় পৌঁছে যাওয়া, দুনিয়া ও আখেরাতে আযাবের মুখোমুখি হওয়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

হযরত আলী (আ.) বলেছেন: হে আল্লাহর বান্দা! কোন গুনাহের কারণে কারো ত্রুটি অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করো না। হয়ত মহান আল্লাহ তার গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। আর (তোমার দৃষ্টিতে) যে ক্ষুদ্র গুনাহে তুমি লিপ্ত হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিন্ত থেক না, কারণ হয়ত ঐ গুনাহের কারণেই তোমাকে শাস্তি প্রদান করা হবে। অতএব, তোমাদের মধ্য থেকে যে-ই কারো কোন ত্রুটি সম্পর্কে অবগত থাকে, সে যেন নিজের যেসকল ত্রুটি সম্পর্ক অবগত সে কারণে হলেও ঐ ব্যক্তির ত্রুটি অনুসন্ধান থেকে বিরত থাকে। আর অন্য ব্যক্তি যে গুনাহে লিপ্ত হয়েছে সে গুনাহ থেকে পবিত্র থাকার (কারণে প্রভুর দরবারে) শুকরিয়া যেন তাকে অন্যের দোষ-ত্রুটি অনুসন্ধান থেকে বিরত রাখে। [১]

সংজ্ঞা ছিদ্রান্বেষণ তথা অপরের দোষ খোঁজা হল; ‘অন্যের দোষ-ত্রুটি, গুনাহ ও মন্দ দিকগুলো অনুসন্ধান করা এবং সেগুলোকে মানুষের সামনে প্রকাশ করা’।[লোগাতনামে দেহখোদা, মদ্দেহায়ে এইব জেসতান, এইব জু, এইব জুয়ি, এইব যুয়ান্দে, এইব জুঈ] কেউ কেউ ত্রুটি অনুসন্ধানের নেপথ্য কারণ হিসেবে অপরকে ভর্ৎসনা করা, হেয়-প্রতিপন্ন করা এবং লাঞ্ছিত করা ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করেছেন। [২] আরবি ভাষায় ((عیب)) শব্দটি দ্বারা কোন কিছুর সত্তা বা বৈশিষ্ট্যে ত্রুটির উপস্থিতিকে বোঝায়।[৩] পবিত্র কুরআনে শব্দটি একবার যরত খিযির (আ.) ও হযরত মুসার (আ.) ঘটনায় উল্লেখিত হয়েছে। সূরা কাহফের ৭৯নং আয়াতে হযরত খিযিরের ভাষায় বলা হচ্ছে: ((أَمَّا السَّفِينَةُ فَكَانَتْ لِمَسَاكِينَ يَعْمَلُونَ فِي الْبَحْرِ فَأَرَدْتُ أَنْ أَعِيبَهَا)) ‘আর ঐ কয়েকজন গরীব লোকের নৌকা ত্রুটিযুক্ত (ছিদ্র) করে দিলাম যা দিয়ে তারা সমুদ্রে কাজ করত।’

পবিত্র কুরআনে দোষ খোঁজার ক্ষেত্রে বিভিন্ন শব্দ ও পরিভাষা ব্যবহৃত হয়েছে, যেমন: ((ضَحک)), ((لَمْز)), ((غَمْز)), ((هَمْز)), (( سُخره)), (( جَهْر بِالسّوء)), (( نَبْز)) ইত্যাদি। [৪] পবিত্র কুরআনের অনুবাদকদের অনেকে সূরা হুমাযাহ’র প্রথম আয়াতে ((وَیلٌ لِكُلِّ هُمَزَةٍ لُمَزَة)) উল্লেখিত ((همزه)) এবং ((لمزه)) শব্দদ্বয়কে ত্রুটি অনুসন্ধান[৫] অর্থে এবং সূরা হুজুরাতের ১১নং আয়াতের একাংশে উল্লেখিত ((لا تَلْمِزُوا أَنْفُسَكُم)) বাক্যটি ‘পরস্পরের দোষ-ত্রুটি অনুসন্ধান না করা’ অর্থে অনুবাদ করেছেন।[৬]

কারো ত্রুটি খোঁজা করা হারাম

অপরের দোষ-ত্রুটি খোঁজা একটি নিন্দনীয়, অপছন্দনীয় এবং হারাম কাজ।[৭] এছাড়াও, দোষ খোঁজকারী ব্যক্তির আনুগত্য করাও নিষিদ্ধ ও হারাম।[৮] বিভিন্ন রেওয়ায়েত থেকে স্পষ্ট হয় যে, যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের ত্রুটির সন্ধানে থাকে এবং তাকে অপদস্থ ও লাঞ্ছিত করার সুযোগ খোঁজে সে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ও জঘন্য।[৯] মালিক আশতারের প্রতি ইমাম আলীর (আ.) অধ্যাদেশের মধ্যে একটি ছিল যেন তিনি মানুষের দোষ অনুসন্ধান না করে তাদের দোষ-ত্রুটি গোপন করেন।[১০] আল্লামা তাবাতাবাঈ সূরা হুজুরাতের ১১ ও ১২নং আয়াতের তাফসীরে লিখেছেন: ‘ত্রুটি অনুসন্ধান বলতে কৌতুহল ও অনুসন্ধানের মাধ্যমে কারও কাজকর্মে ত্রুটি সম্পর্কে অবগত হওয়াকে বোঝায়, আর গীবতের (পরনিন্দা) পরিণতি হিসেবে ‘মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার’ যে কথা উল্লেখিত হয়েছে তা ত্রুটি অনুসন্ধানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হওয়াটা অসম্ভব নয়।’[১১]

উৎস

পবিত্র কুরআনের কিছু কিছু আয়াতে ছিদ্রান্বেষণের উৎসের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে:

১। মুনাফিকদের কৃপণতা এবং দানশীল মু’মিনদের ত্রুটি অনুসন্ধান: সূরা তাওবাহ, ৭৬, ৭৭ ও ৭৯নং আয়াত

২। মহানবির (সা.) রেসালাত অস্বীকার, তাঁর (সা.) দোষ-ত্রুটি অনুসন্ধানের ক্ষেত্র তৈরি, সূরা কালাম, ৮ ও ১১নং আয়াত।

৩। ধন অন্বেষণে (প্রাণপণ চেষ্টাও) মানুষের ত্রুটি অনুসন্ধানের কারণ হয়: সূরা হুমাযাহ ১ ও ২নং আয়াত।

৪। মহান আল্লাহ ও তাঁর নবিকে (সা.) অস্বীকার এবং ইসলামের প্রথম যুগে মুনাফিকগণ কর্তৃক মু’মিনদের ত্রুটি অনুসন্ধানের কারণ: সূরা তাওবাহ ৭৭, ৭৯ ও ৮০ নং আয়াত; সূরা মুতাফফিফীন, আয়াত ২৯, ৩০ ও ৩১।

৫। গুনাহ, মু’মিনদের ত্রুটি অনুসন্ধানের কারণ: সূরা মুতাফফিফীন, আয়াত ২৯ ও ৩৯।

৬। কপটতা (নেফাক) ও মু’মিনদের ত্রুটি অনুসন্ধান: সূরা তাওবাহ, আয়াত ৭৭ ও ৭৯।[১২]

ত্রুটি অনুসন্ধানের পরিণতি

মানুষের দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ ও এ সংক্রান্ত গুনাহসমূহকে পরিহার করে অন্যের ত্রুটি খোঁজার পরিবর্তে নিজের ত্রুটিগুলো খুঁজে বের করা এবং এর পার্থিব ও পরকালীন প্রভাব সম্পর্কে বিভিন্ন রেওয়ায়েতে ইঙ্গিত করা হয়েছে যেমন:[১৩]

ত্রুটি অনুসন্ধানকারীর ত্রুটি প্রকাশিত হওয়া: যদি কাউকে লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে তার ত্রুটি অনুসন্ধান করা হয়, মহান আল্লাহ ত্রুটি অনুসন্ধানকারীকে লাঞ্ছিত করবেন এবং তার ত্রুটিগুলোকে প্রকাশ করে দেবেন, যদিও কাজগুলো সে গোপনে এবং ঘরের ভেতরে আঞ্জাম দিয়ে থাকে।[[১৪]

কুফরের সীমানায় পৌঁছে যাওয়া: যে কাজগুলো মানুষকে কুফরের সীমানার কাছাকাছি নিয়ে যায় তার মধ্যে একটি হলো ধর্মের নামে কারো সাথে বন্ধুত্ব করা এবং প্রয়োজনের সময় তাকে লাঞ্ছিত ও অপদস্থ করার লক্ষ্যে তার ভুলগুলো মনে রাখা।[১৫]

দুনিয়া ও আখেরাতে শাস্তি: যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের কাছ থেকে যা কিছু দেখেছে বা শুনেছে তা মানুষের মাঝে প্রচার করে, সে সূরা নূরের ১৯নং আয়াতের অন্তর্ভুক্ত এবং সে দুনিয়া ও আখেরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ভোগ করবে।[১৬]

ভালো কাজগুলোকে উপেক্ষা করে: ত্রুটি অন্বেষণকারীরা হলো মাছির মতো যারা ময়লা-আবর্জনার ওপর বসে মানুষের দোষ-ত্রুটি ও মন্দ দিকগুলোক খুঁজে বেড়ায় এবং তাদের ভাল কাজ ও বৈশিষ্ট্যগুলোকে উপেক্ষা করে।[১৭] অতএব, এ ধরণের লোকের সাথে ওঠাবসা পরিহার করা উচিত, আর এরা যেন আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু এবং আমাদের সব থেকে দূরের মানুষ হয়। [১৮]

একই দোষে দোষী হওয়া: যে ব্যক্তি কোন দোষের কারণ কোন মুমিনকে ভর্ৎসনা করে, সে সেই দোষে দোষী না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করে না। [১৯]

যে সকল ক্ষেত্রে বৈধ

দোষ-ত্রুটি অনুসন্ধান করা হারাম, তবে অত্যাচারীরা যে জুলুম ও অন্যায় করেছে সে সম্পর্কে নির্যাতিত ব্যক্তি কর্তৃক দোষ খোঁজার বিষয়টি ব্যতিক্রম।[২০] এছাড়া একজন মুমিন যেহেতু তার দ্বীনি ভাইয়ের আয়না স্বরূপ তাই তার উচিত তার ভাইয়ের দোষ-ত্রুটি দূর করার লক্ষ্যে তার দোষ-ত্রুটিগুলো স্বয়ং তাকে বলা, অন্যের কাছে নয়। আর এক্ষেত্রে ত্রুটি গোপন করা খেয়ানত হিসেবে গন্য।[২১] অবশ্য লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে ত্রুটি ধরা এবং ত্রুটি মুক্ত করার উদ্দেশ্যে ত্রুটি ধরা -এ দু’য়ের মাঝে অত্যন্ত সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। কারণ উভয় ক্ষেত্রেই দোষ-ত্রুটি প্রকাশিত হয়। কিন্তু ত্রুটি অনুসন্ধানে উদ্দেশ্য হল ছোট করা, শত্রুতার প্রকাশ ঘটানো ও অপমান করা ইত্যাদি। অন্যদিকে ত্রুটি মুক্ত করার উদ্দেশ্য হল শুভ কামনা, সংশোধন, সহানুভূতি, উপদেশ ইত্যাদি।[২২] এছাড়া ইসলামি রাষ্ট্র সুরক্ষায় এবং সম্মানিত জীবন রক্ষার ক্ষেত্রে ফিকাহশাস্ত্রে গুপ্তচরবৃত্তি, শত্রু সম্পর্কে অনুসন্ধান, তথ্য আদান-প্রদান, স্বীকারোক্তি গ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ের সাথে দোষ-ত্রুটি অনুসন্ধানের অনুমোদন সংশ্লিষ্ট বিষয়ও আলোচিত হয়। [২৩]

তথ্যসূত্র

  1. নাহজুল বালাগাহ, খোতবা ১৪০।
  2. আনওয়ারী, ফারহাঙ্গে রুযে সুখান, ১৩৮৩ সৌরবর্ষ, মদ্দে এইব জুঈ।
  3. মুসতাফাউয়ি, আততাহকীক, ১৩৬০ হিঃ, খণ্ড৮, পৃ.২৭০।
  4. উদাহরণস্বরূপ লক্ষ্য করুন: হাশেমী রাফসানজানী, ফারহাঙ্গে কোরআন, ১৩৮৮ সৌরবর্ষ, খণ্ড২১, পৃ.৩২১ (মাদখালে "এইবজুঈ"); এই শব্দগুলোর পার্থক্যের জন্য লক্ষ্য করুন: মুসতাফাউয়ি,আততাহকীক, খণ্ড২, পৃ. ১৩০, খণ্ড৫, পৃ. ৭৮, খণ্ড৭, পৃ. ১৭, খণ্ড৮, পৃ. ২৭০, খণ্ড১০,পৃ. ২৩৩, খণ্ড১১, পৃ. ২৭২, খণ্ড১২,পৃ. ২৬।
  5. যেমন আয়াতটির অনুবাদগুলোতে, এরফা', ইলাহী কমশেঈ, আনসারিয়ান, বুরুযারদী, পয়ানদে, পুরজাওয়াদী, তাশাক্কুরী (মানযুম), হালবি, খুসরাভি, খজুয়ী, রেজায়ি, জাহেরী, ফারসী, ফুলাদোন্দ, ফেইজুল ইসলাম, কবিয়ানপুর, গারমারুদী, মুজতাবাভি, মিশকিনী, মাকারেম ও ইয়াসিরী।
  6. উদাহরণস্বরূপ আয়াতটির অনুবাদগুলোতে, এরফা', ইলাহী কমশেঈ, আনসারিয়ান, বুরুযারদী, পুরজাওয়াদী, জাহেরী, ফারসী, কবিয়ানপুর, গারমারুদী, মুজতাবাভি, মিশকিনী, মাকারেম ও ইয়াসিরী।
  7. মাহদাভী কুনি, নোকতেহায়ে অগায দার আহকামে আমালী, ১৩৮৯ সৌরবর্ষ, পৃ. ২২৮, ফিকহী দলীল সম্পর্কে অধিকতর তথ্যের জন্য দেখুন: খোমেনী, আলমাকাসেবুল মুহরামা, ১৪১৫হিঃ, খণ্ড১, পৃ. ৪০২-৪১১ (এঅতেবাররু কাছদিল ইনতেকাস ফি মাফহুমিল গাইবাহ।
  8. হশেমী রাফসানজানী, ফারহাঙ্গে কোরআন, ১৩৮৮ সৌরবর্ষ, খণ্ড২১, পৃ.৩২৩-৩২৪
  9. মুজতাবাভি, ইলমে আখলাকে ইসলামী, ১৩৭৯ সৌরবর্ষ, খণ্ড২, পৃ. ৩৬০।
  10. নাহযুল বালাগা, পত্র:৫৩।
  11. আল্লামা তাবাতাবাঈ, আল-মিযান, ১৪১৭হিঃ, খণ্ড১৮, পৃ. ৩২৫। এই তাফসীরটির অনুবাদে বলা হয়েছে যে ছিদ্রান্বেষণে গীবত ও তাজাস্সুস একই(মুসাভী হামেদানী, তারজমেয়ে তাফসীর আল-মিজান, ১৩৭৪ সৌরবর্ষ, খণ্ড১৮, পৃ. ৪৮৬)।
  12. হাশেমী রাফসানজানী, ফারহাঙ্গে কোরআন, ১৩৮৮ সৌরবর্ষ, খণ্ড২১, পৃ.৩২৩ (মাদখালে এইবজুঈ)।
  13. উদাহরণস্বরূপ লক্ষ্য করুন: কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭হিঃ, খণ্ড২, পৃ. ৩৫৪-৩৬০; মাহদাভী কুনি, নোকতেহায়ে অগাজ দার আহকামে আমালী, ১৩৮৯ সৌরবর্ষ, পৃ. ২৩০-২৩৬; মুজতাবাভি, ইলমে আখলাকে ইসলামী, ১৩৭৯ সৌরবর্ষ, খণ্ড২, পৃ. ৩৬১-৩৬২।
  14. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭হিঃ, খণ্ড২, পৃ. ৩৫৫।
  15. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭হিঃ, খণ্ড২, পৃ. ৩৫৫।
  16. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭হিঃ, খণ্ড২, পৃ. ৩৫৭।
  17. কুম্মী, সাফিনাতুল বিহার, ১৪১৪হিঃ, খণ্ড৬, পৃ. ৫৭০; ইবনে আবিল হাদীদ, শারহে নাহযুল বালাগা, ১৪০৪হিঃ, খণ্ড২০, পৃ. ২৬৯।
  18. তামিমি অমেদী, গরারুল হিকাম ওয়া দরারুল কালাম, ১৪১০হিঃ,পৃ. ৫৪৯
  19. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭হিঃ, খণ্ড২, পৃ. ৩৫৬
  20. হাশেমী রাফসানজানী, ফারহাঙ্গে কোরআন, ১৩৮৮ সৌরবর্ষ, খণ্ড২১, পৃ.৩২৩-৩২৪।
  21. মাহদাভি কুনি, নোকতেহায়ে অগায দার আখলাকে আমালি, ১৩৮৯ সৌরবর্ষ, পৃ. ২২৮
  22. মাহদাভি কুনি, নোকতেহায়ে অগায দার আখলাকে আমালি, ১৩৮৯ সৌরবর্ষ, পৃ. ২২৮।
  23. খারাযি, "কউশি দার হুকমে ফিকহীয়ে তাযাস্সুস", ১৩৮৭ সৌরবর্ষ, পৃ. ৫২ ও ১৪২।

গ্রন্থপঞ্জি

  • নাহযুল বালাগাহ
  • ইবনে আবিল হাদিদ, আব্দুল হামিদ, শারহে নাহযুল বালাগাহ ইবনে আবি আল-হাদিদ, কোম, আয়াতুল্লাহ মারাশি লাইব্রেরি, ১৪০৪ হিঃ।
  • আনওয়ারি, হাসান, ফারহাঙ্গে রুযে সোখান, তেহরান, সোখান, ১৩৮৩সৌরবর্ষ।
  • বারকেঈ, সাইয়্যেদ ইয়াহিয়া, কাওশী দার এমসাল ওয়া হুকমে ফারসী, কিতাব ফরুশীয়ে ফারুগী, ১৩৫১সৌরবর্ষ।
  • তামিমি অমেদি, আবদুল ওয়াহেদ, গোরারুল হেকাম ওয়া আল-হাকম দোরারুল কালেম, গবেষণা: সাইয়্যেদ মাহদি রাজায়ী, কওম, দারুল কিতাব আল-ইসলামিয়া, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪১০হিঃ।
  • খারাজী, সৈয়দ মোহসেন, কওশী দার হুকমে ফিকহী তাজাস্সুস", দার মাজাল্লে ফিকহে আহলে বাইত (আ.), সংখ্যা ৫৬, ১৩৮৭ সৌরবর্ষের শীতকাল।
  • খোমেনি, সৈয়দ রুহুল্লাহ, আল-মাকাসেব আল-মুহাররামা, কোম, মুআসসে-এ তানযিম ওয়া নাশরে অসারে ইমাম খোমেনী, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৫ হিঃ।
  • দেহখোদা, আলী আকবর, এমসাল ওয়া হুকম, তেহরান, আমির কবির, ৬ষ্ঠ সংস্করণ, ১৩৬৩ সৌরবর্ষ।
  • তাবাতাবাঈ, সাইয়্যেদ মুহাম্মদ হোসাইন, আল-মিজান ফি তাফসিরুল কুরআন, কোম: ইনতেশেরাতে ইসলামী, পঞ্চম সংস্করণ, ১৪১৭ হিঃ।
  • কুম্মী, আব্বাস, সাফিনাতুল বিহার, কোম, ওসওয়ে, ১৪১৪ হিঃ।
  • কুলাইনি, মুহাম্মদ বিন ইয়াকুব, আল-কাফি, সংশোধিত: আলী আকবর গাফ্ফারী, তেহরান, দারুল কিতাব আল-ইসলামিয়া, ১৪০৭ হিঃ।
  • মোজতবাভি, জালালুদ্দিন, ইলমে আখলাকে ইসলামী: জামে আসসাদাতের অনুবাদ (মাওলা মাহদী নারাকি), তেহরান, ইনতেশারাতে হিকমাত, পঞ্চম সংস্করণ, ১৩৭৯সৌরবর্ষ।
  • মোস্তাফাভী, হাসান, আততাহকীক ফি কালেমাতিল কুরআন, তেহরান, বোনগাহে তারজোমে ও নাশরে কিতাব, ১৩৬০ সৌরবর্ষ।
  • মুসাভি হামেদানি, সৈয়দ মোহাম্মদ বাকির, তারজোমে তাফসিরুল মিজান, কোম, ইনতেশরাতে ইসলামী, পঞ্চম সংস্করণ, ১৩৭৪ সৌরবর্ষ।
  • মাহদাভি কুনি, মোহাম্মদ রেজা, নোক্তেহায়ে অগায দার আহকামে আমালী, তেহরান, দাফতারে নাশরে ফারহাঙ্গে ইসলামী, ছাব্বিশতম সংস্করণ, ১৩৮৯ সৌরবর্ষ।
  • হাশেমি রাফসানজানি, আকবার ওয়া জামই' আয মুহাক্কেকান, ফারহাঙ্গে কুরআন, কোম, বোস্তানে কিতাব, খণ্ড-২১, প্রথম সংস্করণ, ১৩৮৮ সৌরবর্ষ।