বিষয়বস্তুতে চলুন

সূরা নাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৬ নং লাইন: ৬ নং লাইন:


=== '''নামকরণ''' ===
=== '''নামকরণ''' ===
আলোচ্য সূরাকে ‘'''সূরা নাস'''’ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। ‘নাস’ অর্থ হচ্ছে মানুষ বা জনগণ। এ শব্দটি সূরার প্রথম আয়াতের অংশ থেকে নেয়া হয়েছে। এ সূরাকে ‘মুয়াউজ্জাহ’ সূরাও বলা হয়। কারণ [[শয়তানের প্ররোচনা]], কুমন্ত্রণা এবং মানুষের অনিষ্ট হতে রক্ষা পেতে আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনার উদ্দেশ্যে এ সূরাটি পাঠ করা হয়। এছাড়া মানুষ বিভিন্ন উদ্বিগ্নতা, সংকট ও বালা-মুসিবাতের সময় এ অবস্থা হতে মুক্তি লাভ এবং আল্লাহর নিকট আশ্রয় কামনা করে এ সূরা তেলাওয়াত করে। এ কারণে এ সূরাটি দোয়া ও তাবিজ হিসেবে বিশেষভাবে ফলদায়ক। কাজেই সূরা নাস ও ফালাককে মুয়াউজ্জাতাঈন সূরাদ্বয় তথা শত্রুর অনিষ্ট থেকে রক্ষাকবচ সূরা হিসেবেও অভিহিত করা হয়। {দানেশনামেহ কুরআন, খণ্ড ২, পৃ. ১২৭১}
আলোচ্য সূরাকে ‘'''সূরা নাস'''’ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। ‘নাস’ অর্থ হচ্ছে মানুষ বা জনগণ। এ শব্দটি সূরার প্রথম আয়াতের অংশ থেকে নেয়া হয়েছে। এ সূরাকে ‘মুয়াউজ্জাহ’ সূরাও বলা হয়। কারণ [[শয়তানের প্ররোচনা]], কুমন্ত্রণা এবং মানুষের অনিষ্ট হতে রক্ষা পেতে আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনার উদ্দেশ্যে এ সূরাটি পাঠ করা হয়। এছাড়া মানুষ বিভিন্ন উদ্বিগ্নতা, সংকট ও বালা-মুসিবাতের সময় এ অবস্থা হতে মুক্তি লাভ এবং আল্লাহর নিকট আশ্রয় কামনা করে এ সূরা তেলাওয়াত করে। এ কারণে এ সূরাটি দোয়া ও তাবিজ হিসেবে বিশেষভাবে ফলদায়ক। কাজেই সূরা নাস ও ফালাককে মুয়াউজ্জাতাঈন সূরাদ্বয় তথা শত্রুর অনিষ্ট থেকে রক্ষাকবচ সূরা হিসেবেও অভিহিত করা হয়।<ref>দানেশনামেহ কুরআন, খণ্ড ২, পৃ. ১২৭১।</ref>


=== '''নাযিলের স্থান ও ক্রমধারা''' ===
=== '''নাযিলের স্থান ও ক্রমধারা''' ===
সূরা নাস হচ্ছে মক্কী সূরা এবং এটি রাসূলুল্লাহর (সা.) উপর নাযিল হওয়া ২১তম সূরা। এটি কুরআনের বিদ্যমান পান্ডুলিপিতে ক্রমধারা অনুযায়ী ১১৪তম সূরা এবং ৩০ পারার অন্তর্গত। {আমুজিশে উলুমে কুরআন, খণ্ড ২, পৃ. ১৬৬} খ্যাতনামা মুফাসসির ও বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ আল [[মীযান|মীযানের]] প্রণেতা [[আল্লামা সাইয়েদ তাবাতাবায়ী]]’র দৃষ্টিতে এ সূরাটি সূরা ফালাকের ন্যায় ‘মাদানী’ এবং কিছু হাদীস ও রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে উভয় সূরাই একসাথে রাসূলুল্লাহর (সা.) উপর নাযিল হয়েছে। {আল্লামা তাবাতাবায়ী, তাফসীরে আল মীযান, খণ্ড ২০, পৃ. ৩৯৫} অপরদিকে সমকালীন সময়ে শিয়া মাযহাবের অন্যতম মনীষী হযরত [[জাওয়াদ আমুলী]] উল্লেখ করেছেন যে, এ সূরাটি মক্কীও হতে পারে অথবা মাদানীও হতে পারে। কেননা সূরার বিষয়বস্তু মদীনার তুলনায় মক্কার অবস্থার সাথে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ।
সূরা নাস হচ্ছে মক্কী সূরা এবং এটি রাসূলুল্লাহর (সা.) উপর নাযিল হওয়া ২১তম সূরা। এটি কুরআনের বিদ্যমান পান্ডুলিপিতে ক্রমধারা অনুযায়ী ১১৪তম সূরা এবং ৩০ পারার অন্তর্গত। <ref>আমুজিশে উলুমে কুরআন, খণ্ড ২, পৃ. ১৬৬।</ref> খ্যাতনামা মুফাসসির ও বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ আল [[মীযান|মীযানের]] প্রণেতা [[আল্লামা সাইয়েদ তাবাতাবায়ী]]’র দৃষ্টিতে এ সূরাটি সূরা ফালাকের ন্যায় ‘মাদানী’ এবং কিছু হাদীস ও রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে উভয় সূরাই একসাথে রাসূলুল্লাহর (সা.) উপর নাযিল হয়েছে।<ref>আল্লামা তাবাতাবায়ী, তাফসীরে আল মীযান, খণ্ড ২০, পৃ. ৩৯৫।</ref> অপরদিকে সমকালীন সময়ে শিয়া মাযহাবের অন্যতম মনীষী হযরত [[জাওয়াদ আমুলী]] উল্লেখ করেছেন যে, এ সূরাটি মক্কীও হতে পারে অথবা মাদানীও হতে পারে। কেননা সূরার বিষয়বস্তু মদীনার তুলনায় মক্কার অবস্থার সাথে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ।


=== '''আয়াতের সংখ্যা ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্যাবলি''' ===
=== '''আয়াতের সংখ্যা ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্যাবলি''' ===
সূরা নাসে ৬টি আয়াত রয়েছে এবং এ সূরাটি ২০ শব্দ ও ৭৮ অক্ষর বিশিষ্ট। এ সূরাটি আকৃতির দিক থেকে পবিত্র কুরআনের ছোট আয়াত বিশিষ্ট সূরাসমূহের অন্তর্ভূক্ত। এছাড়া এটি কুরআনে «قُل»  ‘কুল’ শব্দের মাধ্যমে সুচনা হওয়া চারটি সূরার অন্যতম। {দানেশনামেহ কুরআন, খণ্ড ২, পৃ. ১২৭১-১২৭২}
সূরা নাসে ৬টি আয়াত রয়েছে এবং এ সূরাটি ২০ শব্দ ও ৭৮ অক্ষর বিশিষ্ট। এ সূরাটি আকৃতির দিক থেকে পবিত্র কুরআনের ছোট আয়াত বিশিষ্ট সূরাসমূহের অন্তর্ভূক্ত। এছাড়া এটি কুরআনে «قُل»  ‘কুল’ শব্দের মাধ্যমে সুচনা হওয়া চারটি সূরার অন্যতম।<ref>দানেশনামেহ কুরআন, খণ্ড ২, পৃ. ১২৭১-১২৭২।</ref>


== '''বিষয়বস্তু''' ==
== '''বিষয়বস্তু''' ==
confirmed, templateeditor
২,২৮০টি

সম্পাদনা